Faculty of Humanities and Social Science > Law

উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&

(1/9) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
     

উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫

(THE SUCCESSION ACT, 1925)

(১২৫ সনের ৩৯নং আইন)

[৩০ শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৫]

 

বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইন৷

 

যেহেতু বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহত করা প্রযোজনীয় ও সমীচীন; সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ

 

ভাগ - ১

প্রাথমিক

 

ধারা-১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম৷- এই আইন উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ নামে অভিহিত হইবে৷

ধারা-২৷ সংজ্ঞা৷ - বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে-

(ক) ''প্রশাসক'' অর্থ নির্বাহক না থাকিলে মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত কর্র্তৃপক্ষের দ্বারা নিযোগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে বুঝাইবে;

(খ) ''কডিসিল'' (Codicil) অর্থ উইল সংক্রান্ত কৃত কোন দলিল এবং উহার ব্যাখ্যা, পরিবর্তন, বা সংযোজন এবং উইলের অংশবিশেষ গঠন করে বলিয়া বিবেচিত হইবে;

(খখ) ''জেলা জজ'' অর্থ মূল এক্তিয়ারসম্পন্ন প্রধান আদালতের বিচারক বুঝাইবে৷

(গ) ''নির্বাহক'' অর্থ উইলকারীর নিয়োগ দ্বারা মৃত ব্যক্তির সর্বশেষ উইলের কার্যকরণ করার জন্য বিশ্বাস বলে অর্পিত কোন ব্যক্তি;

(ঘ) ''বাংলাদেশ খৃস্টান'' অর্থ বাংলাদেশের একজন নাগরিক যিনি অবিমিশ্র এশিয়াটিক বংশোদ্ভূত বলিয়া নিজেকে দাবী করেন এবং যিনি খৃস্ট ধর্মের কোন অংশে অনুগত;

(ঙ) ''নাবালক'' অর্থ ১৮৭৫ সনের সাবালকত্ব আইন সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি, যিনি উক্ত আইনের অর্থানুসারে সাবালকত্ব অর্জন করেন নাই, এবং অন্য কোন ব্যক্তি, যাহার বয়স ১৮ বত্সর হয় নাই এবং ''নাবালকত্ব'' অর্থ উক্ত কোন ব্যক্তির মর্যাদা;

(চ) ''প্রবেট'' অর্থ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির পরিচালনা মঞ্জুর সম্পর্কিত উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালতের সীল মোহরে সত্যায়িত উইলের অনুলিপি;

(ছ) ''উইল'' অর্থ উইলকারীর সম্পত্তি বিষয়ে তাহার ইচ্ছার আইনগত ঘোষণা বুঝাইবে, যাহা তিনি তাহার মৃত্যুর পরে কায॔কর হইবে মর্মে ইচ্ছা পোষণ করেন৷

 

ধারা-৩৷ এই আইনের প্রয়োগ হইতে কোন জাতি, গোষ্ঠী বা উপজাতিকে অব্যাহতি দানে সরকারের ক্ষমতা৷- (১) সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ১৮৬৫ সনের ১৬ই মার্চ হইতে ভূতাপেক্ষভাবে কিংবা ভবিষ্যত্ হইতে এই আইনের নিম্নলিখিত কোন বিধানাবলীর কার্যকরতা হইতে অর্থাত্ ৫ ধারা থেকে ৪৯ ধারা পর্যন্ত, ৫৮ ধারা থেকে ১৯১ ধারা পর্যন্ত, ২১২, ২১৩ ধারা এবং ২১৫ ধারা থেকে ৩৬৯ ধারা পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী, সম্প্রদায় বা উপজাতিকে কিংবা উহার কোন অংশকে, অব্যাহতি দিতে পারিবে যাহার ক্ষেত্রে সরকার উক্ত বিধানাবলী বা আদেশে উল্লেখিত কোন একটি প্রযোজ্য হওয়া অসম্ভব বা অসমীচীন বলিয়া বিবেচনা করে৷

(২) একইরূপে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার উক্ত কোন আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবে, কিন্তু এমনভাবে নয় যে যাহাতে উক্ত প্রত্যাহারের কোন ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা থাকে৷

(৩) এই ধারায় উল্লিখিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে ''অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ'' হিসাবে উল্লেখিত৷

 

ভাগ - ২

স্থায়ী নিবাস সম্পর্কিত

ধারা ৪৷ এই অধ্যায়ের প্রয়োগ৷- মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ বা জৈন হইলে এই অধ্যায় প্রযুক্ত হইবে না৷

ধারা ৫৷ মৃত ব্যক্তির যথাক্রমে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রণকারী আইন৷-(১) মৃত্যুর সময়ে যেখানেই স্থায়ী নিবাস (domicile) থাকুক না কেন মৃত ব্যক্তির বাংলাদেশে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷ (২) মৃত্যুর সময় যে দেশে স্থায়ী নিবাস থাকিবে মৃত ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ঐ দেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস থাকাকালে 'ক' ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডে অস্থাবর সম্পত্তি এবং বাংলাদেশে স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি রাখিয়া ফ্রান্সে মারা গেল৷ এক্ষেত্রে সমস্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

(আ) 'ক' একজন ইংরেজ ব্যক্তি৷ ফ্রান্সে স্থায়ী নিবাস থাকাকালে বাংলাদেশে তাহার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া বাংলাদেশে মারা গেল৷ অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়টি ফ্রান্সে বসবাসরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী একজন ইংরেজ ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ফ্রান্সে প্রচলিত যে বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, উক্ত বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে, এবং স্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

 

আলোচনা

এই ধারার প্রথম অংশে বলা হয়েছে যে, মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তির স্থায়ী আবাসভূমি বাংলাদেশ বা অন্য দেশে যেখানেই থাকুক না কেন বাংলাদেশে অবস্থিত তার স্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হবে৷

দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তির যেদেশে স্থায়ী আবাস থাকবে অস্থাবর সম্পত্তিতে তার উত্তরাধিকার ঐ দেশের আইন অনুযায়ী হবে৷

ধারা-৬৷ শুধুমাত্র একটা স্থায়ী আবাস অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার প্রভাবিত করে৷ - অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তির কেবলমাত্র একটি স্থায়ী আবাস থাকিতে পারিবে৷

 

আলোচনা

এই ধারাটি মূলতঃ Somerville Vs. Somerville (5 Ves. 750) মামলার ভিত্তিতে এই আইনে স্থান পেয়েছে৷ কোন উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তির একাধিক স্থায়ী আবাস থাকতে পারে কিন্তু অস্থাবর সস্পত্তিতে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে তার একটিমাত্র স্থায়ী আবাস থাকতে পারবে৷

 

ধারা-৭৷ বৈধভাবে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির উত্ পত্তি স্থায়ী আবাস৷- বৈধভাবে জন্ম গ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তির উত্ পত্তি স্থায়ী সম্পর্কে আবাস তাহার জন্মের সময় তাহার পিতা যে দেশে স্থায়ীভাবে বাস করিতেন কিংবা উক্ত ব্যক্তি মরণোত্তর জাত সন্তান হইলে পিতার মৃত্যুর সময় পিতা যে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করিতেন ঐ দেশে হইবে৷

 

উদাহরণ

'ক' এর জন্মের সময় তার পিতার স্থায়ী আবাস ছিল ইংল্যান্ডে৷ অতএব, ক যে দেশেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন তাহার মূল আবাস হবে ইংল্যান্ডে৷

 

আলোচনা

মূল স্থায়ী আবাস বা জন্মসূত্রে স্থায়ী নিবাসঃ Udmy vs Udmy (1 HL Sc 111) মামলায় Lord Westburn বলেছেন, এটা স্বীকৃত নীতি যে, স্থায়ী নিবাস ব্যতীত কোন মানুষ থাকতে পারে না এবং বৈধ জন্মের ক্ষেত্রে জন্মমাত্রই প্রত্যেকটি শিশু তার পিতার এবং অবৈধ জন্মের ক্ষেত্রে প্রতিটি শিশু তার মাতার স্থায়ী নিবাস পেয়ে থাকে৷ মরণোত্তর জাত সন্তানের বেলায় পিতার মৃত্যুর সময় পিতা যে দেশে স্থায়ী নিবাস৷ এটাকেই বলে জন্মসূত্রে স্থায়ী নিবাস বা মূল স্থায়ী নিবাস৷

 

ধারা ৮৷ অবৈধ সন্তানের মূল স্থায়ী নিবাস৷- অবৈধ সন্তানের জন্মের সময় তাহার মাতা যে দেশে স্থায়ীভাবে নিবাসিত ছিলেন, ঐ দেশই হইবে তাহার মূল স্থায়ী নিবাস৷

ধারা ৯৷ মূলস্থায়ী নিবাসের স্থায়িত্ব (Continuance)৷- নতুন কোনো স্থায়ী নিবাস অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত মূল স্থায়ী নিবাস বিদ্যমান থাকে৷

ধারা ১০৷ নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷- মূলস্থায়ী নিবাস নয় এমন কোন দেশে স্থায়ী আবাস (fixed habitation) দলিলের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নতুন স্থায়ী আবাস অর্জন করিতে পারিবে৷

ব্যাখ্যা- বাংলাদেশে বেসামরিক, সামরিক, নৌ কিংবা বিমান বাহিনীতে চাকুরী অথবা কোন পেশা বা জীবিকা (calling) নির্বাহ করিবার সুবাদে শুধুমাত্র বাংলাদেশে বসবাস করিবার কারণে কোনো ব্যক্তি এই দেশে স্থায়ী আবাস দখল করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে না৷

উদাহরণ

(অ) ক-এর স্থায়ী নিবাস ইংল্যান্ডে; তিনি বাংলাদেশে আসিয়া তাহার বাকী জীবনকাল এখানেই বসবাস করিয়া কাটিয়ে দিবার ইচ্ছা পোষণ করিয়া ব্যারিস্টার বা ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন৷ তাঁহার বর্তমান স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশে হইবে৷

(আ) ইংল্যান্ডের স্থায়ী নিবাসী 'ক' অস্ট্রেলিয়া যান এবং অস্ট্রেলীয় একটি চাকুরীতে যোগদান করেন এবং ঐ চাকুরীতে বহাল থাকিবার ইচ্ছা পোষণ করেন৷ 'ক' অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়াছেন৷

(ই) ফ্রান্সে স্থায়ী নিবাসী 'ক' বাংলাদেশ সরকারের সহিত কয়েক বত্সরের চুক্তির অধীনে এই দেশে বসবাস করিবার জন্য আসেন৷ তিনি উক্ত সময় শেষে ফ্রান্সে ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা পোষন করেন৷ তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করেন নাই৷

(ঈ) ক-এর স্থায়ী নিবাস ইংল্যান্ডে; তিনি বিলুপ্ত অংশীদারিত্বের বিষয়াবলী অবসায়নের উদ্দেশ্যে বসবাস করিতে বাংলাদেশে যান, এবং উক্ত উদ্দেশ্য পূরণ হওয়া মাত্র ইংল্যান্ডে ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা পোষণ করেন৷ তাঁহার বসবাসের মেয়াদ যত দীর্ঘই হোক না কেন এইরূপ বসবাসের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিবেন না৷

(উ) পূর্বোক্ত সর্বশেষ উদাহরণে উল্লেখিত পরিস্থিতিতে 'ক' বাংলাদেশে বসবাস করিতে গিয়া পরবর্তীতে তাঁহার ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটান এবং বাংলাদেশে স্থায়ী আবাস গড়িয়া তোলেন৷ 'ক' বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়াছেন৷

(ঊ) চন্দরনগর ফরাসী বসতিতে স্থায়ী নিবাসী৷ ক' রাজনৈতিক কারণে ঢাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন সংঘটিত হইলে তিনি চন্দরনগরে ফিরিতে পারিবেন এই আশায় অনেক বত্সর ঢাকাতে বসবাস করেন৷ এইরূপ বাস করিবার কারণে তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করেন নাই৷

(ঋ) পূর্বোক্ত সর্বশেষ উদাহরণে বর্ণিত পরিস্থিতি ঢাকায় আসিয়া বসবাস করিবার এক পর্যায়ে চন্দরনগরে নিরাপদে ফেরার উক্ত রাজনৈতিক পরিবর্তন সংঘটিত হইবার পরে 'ক' অব্যাহতভাবে ঢাকায় বসবাস করিতে থাকে এবং ঢাকাতে তাহার স্থায়ী আবাস হইবে এইরূপ ইচ্ছা পোষণ করেন৷ 'ক' বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ (অর্জন) করিয়াছেন৷

 

আলোচনা

কিভাবে নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন (গ্রহণ) করা যায় সে সম্পর্কে এই ধারায় আলোচনা করা হয়েছে৷ মূল স্থায়ী নিবাস নয় এমন যে কোন দেশে স্থায়ী আবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার নতুন স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করতে পারে৷ তবে এই ধারাটি এ্যাংলো- ইন্ডিয়ান হিসেবে পরিচিত জাতি এবং স্থায়ীভাবে এখানে বসবাসকৃত জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না [PLD 1958 (Lah.) 699]৷

 

ধারা-১১৷বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণের বিশেষ পদ্ধতি৷- বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণের ইচ্ছা সম্বলিত স্বহস্তে লিখিত ঘোষণাপত্র তৈরী এবং সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত বাংলাদেশের কোন অফিসে উহা দাখিল পূর্বক যে কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করিতে পারিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ঘোষণাদানের অব্যবহিত এক বত্সর পূর্ব পর্যন্ত তাহাকে বাংলাদেশে বসবাস করিতে হইবে৷

 

ধারা-১২৷ বিদেশী সরকারের প্রতিনিধি বা তাহার পরিবারের অংশ হিসাবে আবাসের মাধ্যমে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করা যাইবে না৷ - কোন দেশের সরকার কর্তৃক উহার রাষ্ট্রদূত, কনসাল বা অন্যকোন প্রতিনিধি হিসাবে অন্যকোনো দেশে নিয়োগকৃত কোনো ব্যক্তি তাঁহার নিয়োগের সুবাদে শুধুমাত্র ঐ অন্যদেশে বসবাস করিবার কারণে সেখানে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করেন না কিংবা এইরূপ প্রথমোল্লিখিত ব্যক্তির পরিবারের অংশ বা চাকর হিসাবে তাঁহার সহিত শুধুমাত্র বসবাসের কারণে অন্যকোন ব্যক্তি এইরূপ কোন স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করেন না৷

 

ধারা-১৩৷ নতুন স্থায়ী নিবাসের স্থায়িত্ব৷- পূর্বের স্থায়ী নিবাস পুনরায় গ্রহণ অথবা অন্য একটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নতুন স্থায়ী নিবাস অব্যাহত থাকিবে৷

 

ধারা-১৪৷ নাবালকের স্থায়ী নিবাস৷ - নাবালকের স্থায়ী নিবাস পিতামাতার স্থায়ী নিবাস অনুসরণ করিবে, যাহাদের নিকট হইতে সে মূল স্থায়ী নিবাস পাইয়াছে৷

 

ব্যতিক্রম- নাবালক বিবাহিত হইলে, কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদ ধারণ করিলে অথবা নিয়োজিত থাকিলে কিংবা পিতামাতার সম্মতিতে পৃথক কোন ব্যবসা শুরু করিলে তাহার স্থায়ী নিবাস তাহার পিতামাতার স্থায়ী নিবাসের সহিত পরবর্তিত হইবে না৷

 

ধারা-১৫৷ বিবাহের ফলে মহিলা কর্তৃক অর্জিত স্থায়ী নিবাস৷- বিবাহের মাধ্যমে একজন মহিলা তাহার স্বামীর স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়া থাকেন, যদি পূর্বে তাহার (মহিলার) ঐ একই স্থায়ী নিবাস না থাকে৷

 

ধারা-১৬৷ বিবাহ চলাকালে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস৷- বিবাহকালীন সময়ে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস তাহার স্বামীর স্থায়ী অনুসরণ করিবে৷

 

ব্যতিক্রম- কোন উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পৃথক হইয়া গেলে, কিংবা স্বামীকে দীপান্তরে পাঠানো হইলে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস আর স্বামীর স্থায়ী নিবাসকে অনুসরণ করিবে না৷

 

ধারা-১৭৷ নাবালকের নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷ - এই ভাগে ইতিপূর্বে অন্যভাবে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত, একজন ব্যক্তি তাহার নাবালকত্ব চলাকালে নতুন কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারে না৷

 

ধারা-১৮৷ পাগলের নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷- অন্যকোন ব্যক্তির স্থায়ী নিবাস অনুসরণকারী কোন স্থায়ী নিবাস ব্যতীত অন্যকোন ভাবে একজন বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তি নতুন কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারেন না৷

 

ধারা-১৯৷ অন্য কোথাও স্থায়ী নিবাস প্রমাণের অবর্তমানের বাংলাদেশে অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার৷- অন্য কোথাও কোন স্থায়ী নিবাসের প্রমাণের অবর্তমানে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া মারা যায়, তাহা হইলে ঐ সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়স্ত্রিত হইবে৷

 

ভাগ-৩

বিবাহ

ধারা-২০৷ বিবাহ দ্বারা স্বার্থও ও অধিকার অর্জিত হইবে না কিংবা নষ্ট হইবে না৷ -(১) কোন ব্যক্তি তিনি যাহাকে বিবাহ করিয়াছেন ঐরূপ বিবাহ দ্বারা তাহার সম্পত্তিতে কোন অর্জন করিবেন না, কিংবা তিনি অবিবাহিত হইলে করিতে পারিতেন এইরূপ কোন কার্য তাহার নিজস্ব সম্পত্তি সম্পর্কে করিতে অক্ষম হইবে না৷

(২) এই ধারা-

(ক) ১লা জানুয়ারী-১৮৬৬ইং তারিখের পূর্বে চুক্তিভুক্ত কোন বিবাহের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে না;

(খ) বিবাহের সময় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন ধর্মের প্রতি আনুõ

Sultan Mahmud Sujon:
ভাগ-৫

অকৃত উইল সম্পর্কিত উত্তরাধিকার

অধ্যায় - এক

প্রাথমিক

 

ধারা-২৯৷ এই ভাগের প্রয়োগ৷- (১) এইভাগ ১লা জানুয়ারী ১৮৬৬ সালের পূর্বে ঘটমান কোন উইলবিহীন অবস্থা অথবা কোন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈনের সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে না৷

(২) উপ-ধারা (১) অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত, এই ভাগের বিধানাবলী সকল উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন সৃষ্টি করিবে৷

ধারা ৩০৷ মৃত ব্যক্তি কোন সম্পত্তি উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া মারা গিয়াছে সম্পর্কে৷- কোন ব্যক্তি কার্যকর হইতে সক্ষম উইল সম্পর্কিত বিলিব্যবস্থা করেন নাই এইরূপ সকল সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন (অকৃত উইল) অবস্থায় মারা গিয়াছেন বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) 'ক' কোন উইল না করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সমস্ত সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷

(আ) 'ক' উইল করিয়া এবং 'খ' কে তাহার নির্বাহক নিয়োগ করিয়া মারা যান, কিন্তু উইলে আর অন্যকোন বিধান নাই৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷

(ই) 'ক' বেআইনী উদ্দেশ্যে সমস্ত সম্পত্তি উইল করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷

(ঈ) 'ক' খ কে ১০০০ এবং 'গ' এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা উইল করিয়া দেন এবং উইলমূলে আর কোন কিছু প্রদান করেন নাই এবং ২০০০ টাকা রাখিয়া এবং অন্য কোন সম্পত্তি নয়, মারা যান৷ 'গ' কোন পুত্র না রাখিয়া ক-এর পূর্বে মারা গেলেন৷ ক ১০০০ টাকার বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলেন৷

 

অধ্যায় - দুই

পার্সি ব্যতীত অকৃত উইলের ক্ষেত্রে বিধিমালা

 

ধারা-৩১৷ পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবে না৷- পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের কোন কিছুই প্রযুক্ত হইবে না৷

 

ধারা-৩২৷ এইরূপ সম্পত্তি বর্তানো৷- অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি তাহার স্ত্রী বা স্বামী কিংবা ক্রমানুসারে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়গণের উপর এবং এই অধ্যায়ে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুসারে বর্তাইবে৷

ব্যাখ্যা- একজন বিধবা, তাহার বিবাহের পূর্বে সম্পাদিত বৈধ চুক্তির দ্বারা তাহাকে তাহার স্বামীর ভূ-সম্পত্তিতে তাহার বণ্টনমূলক অংশ হইতে বাদ দেওয়া হইলে, তাহার জন্য এতদ্বারা প্রণীত বিধানে অধিকারী হইবে না৷

 

ধারা-৩৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী এবং সরাসরি (বা প্রত্যক্ষ) বংশধর, বা শুধুমাত্র বিধবা স্ত্রী ও জ্ঞাতি বা বিধবা স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি নয়, রাখিয়া গিয়াছেন৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন-

(ক) যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধরও রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর উল্লেখিত বিধি অনুসারে তাঁহার এক তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার বিধবা স্ত্রী এবং অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার সরাসরি বংশধরগণ;

(খ) ৩৩ক ধারায় যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত, যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধর না রাখিয়া কিন্তু তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণকে রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তাঁহার সম্পত্তির অর্ধাংশ পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী এবং অন্য অংশ পাইবে ক্রমানুযায়ী তাহার জ্ঞাতিগণ;

(গ) যদি তিনি তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকে রাখিয়া না যান, তাহলে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷

 

ধারা-৩৩ক৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন এবং কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই সেক্ষেত্রে বিশেষ বিধান৷- (১) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন, কিন্তু কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই এবং তাহার সম্পত্তি প্রকৃত মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক নয়, সেক্ষেত্রে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷

(২) যেক্ষেত্রে সমুদয় সম্পত্তির মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক হয়, সেক্ষেত্রে বিধবা স্ত্রী উহা হইতে ৫,০০০/= টাকা পাইবেন এবং অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে বাত্সরিক ৪% হারে সুদ সহ উক্তরূপ ৫,০০০/= টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ঐ সমুদয় সম্পত্তির উপর তাহার (বিধবার) চার্জ থাকিবে৷

(৩) অত্র ধারায় বিধবার জন্য প্রণীত বিধান তাহার পূর্বোক্ত সুদসহ উক্ত ৫,০০০/= টাকা পরিশোধের পরে বিদ্যমান উক্ত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশে তাহার (বিধবার) স্বার্থের অতিরিক্ত স্বরূপ এবং উক্তরূপ অবশিষ্টাংশ ৩৩ ধারার বিধান অনুযায়ী এমনভাবে বণ্টন করিয়া দিতে হইবে যেন উহা উক্ত প্রকৃত উইলকারীর সম্পত্তির সমুদয় অংশ৷

(৪) সম্পত্তির মোট মূল্য হইতে অকৃত উইলকারীর সকল দেনা এবং সত্কারে ব্যায়িত সকল অর্থ, এবং সম্পত্তির অন্যান্য সমস্ত দায় এবং চার্জ বাদ দিয়া সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করিতে হইবে৷

(৫) অত্র দ্বারা প্রযোজ্য হইবে না-

(ক) নিম্নের কোন ব্যক্তির সম্পত্তির ক্ষেত্রে-

    (অ) বাংলাদেশী কোন খৃস্টান,

    (আ) বাংলাদেশী খৃস্টান অথবা মৃত্যুকালে বাংলাদেশী খৃস্টান ছিল এইরূপ কোন পুরুষের কোন সন্তান বা নাতি-নাতনী; বা

    (ই) অত্র আইনের বিধানাবলী দ্বারা, বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২ সালের ২৪ ধারার অধীন, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রিত এইরূপ হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি;

(খ) সমুদয় সম্পত্তি সম্পর্কে মৃত ব্যক্তি উইলহীন অবস্থায় মারা না গেলে৷

 

ধারা-৩৪৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা কোন স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি রাখিয়া যান নাই৷- যেক্ষেত্রে অকৃত-উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে অতঃপর বর্ণিত বিধি অনুসারে তাহার সম্পত্তি পাইবে তাহার সরাসরি বংশধরগণ অথবা সরাসরি বংশধর নয় তাহার এমন জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণ; এবং তিনি তাহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকেও না রাখিয়া গেলে উক্ত সম্পত্তির অধিকারী হইবে সরকার৷

 

ধারা-৩৫৷ বিপত্নীকের অধিকার৷- স্বামী রাখিয়া স্ত্রী মারা গেলে, স্বামী উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কে একজন বিধবা স্ত্রীর যেমন অধিকার থাকে, সে (স্ত্রী) উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কেও তাঁহার (স্বামীর) একইরূপ অধিকার থাকিবে৷

 

সরাসরি বংশধর থাকিলে বণ্টন

ধারা-৩৬৷ বণ্টন বিধি৷- (বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গেলে বিধবার অংশ বাদ দেওয়ার পর) সরাসরি বংশধরদের মধ্যে অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বণ্টন বিধি ৩৭ থেকে ৪০ ধারায় বর্ণিত বিধির অনুরূপ হইবে৷

 

ধারা-৩৭৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র একটি সন্তান বা একাধিক সন্তান রাখিয়া যান৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী তাহার এক বা একাধিক সন্তান ছাড়া মৃত কোন সন্তানের মাধ্যমে কোন দূরবর্তী সরাসরি বংশধর না রাখিয়া যান, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি কেবলমাত্র একটি সন্তান থাকিলে ঐ জীবিত সন্তান অথবা তাহার সকল জীবিত সন্তানের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করিয়া দিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৮৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী এক বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন পৌত্র/পৌত্রী বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া জীবিত কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই এবং মৃত পৌত্র/পৌত্রীর মাধ্যমে দূরবর্তী কোন বংশধরও রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে সম্পত্তি পাইবে তাহার জীবিত পৌত্র/পৌত্রী যদি কেবলমাত্র একজন থাকে, অথবা তাহার সকল জীবিত পৌত্র-পৌত্রীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হইয়া যাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) জন, মেরী এবং হেনরী নামে 'ক' এর তিন সন্তান ছাড়া অন্য কেউ নেই৷ তাহারা সকলে পিতার মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন৷ জন দুইটি, মেরী তিনটি এবং হেনরী চারটি সন্তান রাখিয়া যান৷ পরে ক মৃত পৌত্র/পৌত্রীর কোন বংশধর না রাখিয়া কেবলমাত্র ঐ নয়জন পৌত্র/পৌত্রী রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা যান৷ তাঁহার প্রত্যেক পৌত্র/পৌত্রী এক নবমাংশ করিয়া পাইবে৷

(আ) কিন্তু হেনরী যদি কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যাইতেন, তাহা হইলে সমুদয় সম্পত্তি অকৃত উইলকারীর পাঁচ পৌত্র-পৌত্রী অর্থাত্ জন ও মেরীর সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হয়ে যেত৷

ধারা-৩৯৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র প্রপৌত্র-পৌত্রী বা দূরবর্তী সরাসরি বংশধর রাখিয়া গিয়াছেন৷- একইভাবে সম্পত্তি পাইবে দাগ অনুসারে অকৃত উইলকারীর নিকটতম জীবিত সরাসরি বংশধরগণ, যেক্ষেত্রে তাহারা সকলে ধাপ অনুসারে তাহার প্রপৌত্র. পৌত্রী অথবা ধাপ অনুসারে সকলে আরো দূরবর্তী৷

 

ধারা-৪০৷ যে ক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে নয় এবং যাহাদের মাধ্যমে দূরবর্তী বংশধর মৃত৷ - (১) যদি অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে অবস্থান করেন না এবং যে সকল ব্যক্তির বরাবরে তাহার নিকট হইতে আরো দূরবর্তী বংশধরগণ মৃত সেক্ষেত্রে উইলকারীর সরাসরি বংশধরের সংখ্যার অনুরূপ সমান ভাগে সম্পত্তি বণ্টিত হইবে, যাহারা তাহার মৃত্যুতে তাহার নিকটতম জ্ঞাতি ধাপে অবস্থান করতো অথবা তাহার উত্তরজীবি হিসাবে সরাসরি বংশধর রাখিয়া তাহার পূর্বে তাহার অনুরূপ ধাপের বংশধরগণ মারা যায়৷

(২) উইলকারীর মৃত্যুতে তাহার জ্ঞাতির নিকটতম ধাপে অবস্থানকারী সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের মধ্যে উক্ত ভাগের অংশ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের সম্পর্কে উক্ত ভাগ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধর প্রত্যেকের সম্পর্কে বণ্টিত ভাগ তাহার উত্তরজীবি সন্তান বা সন্তানগণ বা অধিক দূরবর্তী সরাসরি বংশধরগণের দখলভুক্ত হইবে৷ যাহারা সর্বদা অকৃত উইলকারী উত্তরজীবি হিসাবে তাহার পিতামাতা যে অংশ পাইত ঐ অংশ গ্রহণ করেন৷

 

উদাহরণ

(অ) ক- এর জন, মেরী এবং হেনরী নামে তিন সন্তান ছিল৷ জন চার সন্তান, এবং মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যায়, এবং হেনরী পিতার উত্তরজীবি থাকেন৷ উইলবিহীন অবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ হেনরী এক-তৃতীয়াংশ জনের ৪ সন্তান এবং অবশিষ্ট তৃতীয়াংশ মেরীর এক সন্তান পায়৷

(আ) ক- কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই, কিন্তু আটজন নাতি-নাতনী এবং মৃত নাতি-নাতনীর দুই সন্তান রাখিয়া যান৷ সম্পত্তি নয় অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ প্রত্যেক নাতি-নাতনী এবং অবশিষ্ট এক নবমাংশ দুই প্রনাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷

(ই) ক-এর তিন সন্তান আছে, জন, মেরী এবং হেনরী৷ জন চার সন্তান, এবং জনের এক সন্তান দুই সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ 'ক' পরবর্তীতে উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায়৷ তাহার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হেনরী, এক-তৃতীয়াংশ মেরীর সন্তান এবং এক-তৃতীয়াংশ চার অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ জনের তিন উত্তরজীবি সন্তানের প্রত্যেকের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং অবশিষ্টাংশ জনের দুই নাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷

(ঈ) ক-এর দুই জন সন্তান আছে, জন এবং মেরী৷ জন তাহার গর্ভবতী স্ত্রী রাখিয়া পিতার পূর্বে মারা যান৷ তারপর ক মেরীকে রাখিয়া মারা যায় এবং যথাসময়ে জনের সন্তান জন্মায়৷ ক-এর সম্পত্তি মেরী এবং মরণোত্তর সন্তানের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হয়৷

 

সরাসরি বংশধর না থাকিলে বণ্টননীতি

ধারা-৪১৷ অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া না গেলে বণ্টননীতি৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি ধারা ৪২ হইবে ৪৮ অনুযায়ী বণ্টনের বিধিসমূহ (একজন বিধবা স্ত্রী থাকিলে তাহার অংশ বাদ দেওয়ার পর)

ধারা-৪২৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত৷- যদি অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত থাকেন, তাহা হইলে তিনি সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷

ধারা-৪৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত, কিন্তু তাহার মাতা, ভাই এবং বোন জীবিত৷ - অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত এবং ভাই বা বোনও জীবিত এবং মৃত ভাই বা বোনের কোন সন্তান জীবিত না থাকে সেক্ষেত্রে মাতা এবং জীবিত প্রত্যেক ভাই বা বোন সমান অংশে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷

 

উদাহরণ

ক- তাহার মাতা সহোদর দুই ভাই জন ও হেনরী এবং এক বোন মেরী, যে মায়ের কন্যা, কিন্তু পিতার নয়, রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেল৷ মাতা এক-চতুর্থ অংশ এবং বৈপিত্রেয় বোন মেরী পাবে এক চতুর্থ অংশ৷

 

ধারা-৪৪৷ অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত থাকেন, এবং কোন ভাই বা বোন এবং কোন ভাইয়ের বা বোনের সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, যিনি বা যাহার উক্ত অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যেতে পারতেন, জীবিত থাকে, তাহলে মাতা এবং প্রত্যেক জীবিত ভাই বা বোন, এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বা বোনের জীবিত সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, এমনভাবে সম্পত্তিতে সমান অংশ পাইবে যেন উক্ত অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে এইরূপ সন্তান-সন্ততি (একাধিক হইলে)'র নিজ নিজ পিতা-মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করছেন৷

 

উদাহরণ

ক উইল না করে তার মাতা, তার দুই ভ্রাতা জন ও হেনরী এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত বৈমাতৃয় ভাই জজের দুই সন্তান রেখে মারা যান৷ মাতা এক পঞ্চমাংশ, মেরীর সন্তান এক পঞ্চমাংশ, জন ও হেনরী প্রত্যেকে এক পঞ্চমাংশ এবং অবশিষ্ট এক পঞ্চমাংশ জজের দুই সন্তানের মধ্যে বণ্টিত হবে৷

 

ধারা-৪৫৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত এবং তাহার মাতা এবং এক ভাই বা বোন কোন মৃতের ভাই বা বোনের সন্তানগণ জীবিত৷- অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু মাতা জীবিত থাকেন এবং ভাই ও বোন সকলে মৃত হন, কিন্তু অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহাদের সকল বা একজন সন্তান জীবিত থাকে, তাহা হইলে মাতা এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বোনের সন্তান বা সন্তানগণ সম্পত্তিতে এমনভাবে সমান অংশ পাইবে যেন অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় উক্তরূপ সন্তানদের (একাধিক হইলে) নিজ নিজ পিতা মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা (সন্তানরা) কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করিতেছে৷

 

উদাহরণ

ক- একজন অকৃত উইলকারী৷ তিনি তাহার মাতা এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত ভাই জর্জের দুই সন্তান ছাড়া কোন ভাই কিংবা বোন রাখিয়া যান নাই৷ মাতা এক-তৃতীয়াংশ, মেরীর সন্তান এ

Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায়-তিন

পারসী অকৃত উইলকারীর জন্য বিশেষ বিধি

ধারা-৫০৷ উইলবিহীন উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সাধারণ নীতি-পারসীদের মধ্যে উইলবিহীন উত্তরাধিকারের উদ্দেশ্যে-

(ক) মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় বাস্তবিকভাবে জন্মগ্রহণকারী এবং তাহার মৃত্যুর সময়ে কেবলমাত্র গর্ভে আসা কিন্তু পরবর্তীতে জীবিত অবস্থায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির মধ্যে কোন পার্থক্য থাকিবে না;

(খ) অকৃত উইলকারীর সরাসরি বংশধর কোন ব্যক্তি যে ব্যক্তি কোন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক না রাখিয়া অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা গিয়াছেন কিংবা কোন সরাসরি বংশধর কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বিভাজন পদ্ধতি নির্ণয়ে বিবেচিত হইবে না; এবং

যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহার কোন অত্মীয়ের বিধবা স্ত্রী পুনরায় বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে ঐ মহিলা অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি কোন অংশ পাইবে না এবং অকৃত উইলকারীর মৃত্যুতে তাহার অস্তিত্ব ছিল না বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

ধারা-৫১৷ পুরুষ অকৃত উইলকারীর স্ত্রী তাহার বিধবা স্ত্রী, সন্তান এবং পিতামাতার মধ্যে বিভাজন সম্পর্কে৷ -(১) উপ-ধারা (২)-এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, একজন পুরুষ পারসীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি ভাগ হইবে-

(ক) যেক্ষেত্রে সে একজন বিধবা স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তান এবং বিধবার অংশ প্রত্যেক কন্যার অংশের দ্বিগুণ পরিমাণে তাহার বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানরা পাইবে; বা

(খ) যেক্ষেত্রে সে ছেলেমেয়ে রাখিয়া মারা যান কিন্তু কোন বিধবা স্ত্রী থাকে না, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক পুত্রের অংশ প্রত্যেক কন্যার অংশের দ্বিগুণ পরিমাণে সন্তানদের মধ্যে ভাগ হইবে৷

(২) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সন্তান অথবা বিধবা স্ত্রী এবং সন্তান ছাড়াও পিতামাতার একজন অথবা উভয়কে রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে পিতা এক পুত্রের অর্ধেকের সমান অংশ এবং মাতা এক কন্যার অর্ধেকের সমান অংশ পাইবে৷

 

ধারা-৫২৷ বিপত্নীক স্বামী এবং সন্তানের মধ্যে একজন মহিলা অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি বিভাজন৷ -একজন মহিলা পারসীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি বণ্টিত হইবে-

(ক) যেক্ষেত্রে সে স্বামী এবং সন্তান রাখিয়া মারা যায়, সেক্ষেত্রে বিপত্নীক স্বামী এবং সন্তানদের মধ্যে যাহাতে বিপত্নীক স্বামী এবং প্রত্যেক সন্তান সমান অংশ পায়; বা

(খ) যেক্ষেত্রে সে সন্তান রাখিয়া, কিন্তু স্বামী নয়, মারা যায়, সেক্ষেত্রে সমান অংশে সন্তানদের মধ্যে৷

 

ধারা-৫৩৷ সরাসরি বংশধর রাখিয়া যাওয়া অকৃত উইলকারীর পূর্বমৃত সন্তানের অংশের ভাগ৷- যে সকল ক্ষেত্রে একজন পারসী ব্যক্তি সরাসরি বংশধর রাখিয়া মারা যায় এবং তাহার জীবদ্দশায় তাহার কোন সন্তান মারা যায়, সেক্ষেত্রে উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া তাহার সম্পত্তি অংশ, যাহা তাহার ঐরূপ পুত্র তাহার মৃত্যুর সময় জীবিত থাকলে পাইত, নিম্নলিখিত বিধি মোতাবেক বণ্টিত হইবে, যথাঃ-

(ক) যদি ঐরূপ মৃত সন্তান পুত্র হইত, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী এবং সন্তান এই অধ্যায়ের বিধানাবলী মোতাবেক এমনভাবে অংশ পাইবে যেন অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে সে (ঐরূপ সন্তান) মারা গিয়াছেঃ তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ঐরূপ মৃত সন্তান একজন বিধবা স্ত্রী কিংবা সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন কিন্তু কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যায় নাই, সেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তিতে উক্তরূপ বণ্টনের পর তাহার ভাগের অবশিষ্টাংশ এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অনুযায়ী ভাগ হইবে, এবং উক্তরূপ অবশিষ্টাংশ বণ্টনের বেলায় অকৃত উইলকারীর উক্ত মৃত সন্তান বিবেচিত হইবে না৷

(খ) যদি উক্ত মৃত সন্তান কন্যা হ্ইত, তাহা হ্ইলে তাহার অংশ তাহার সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হইবে৷

(গ) যদি উক্ত সন্তানের কোন সন্তান অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়, তাহা হ্ইলে অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকিলে তাহার প্রাপ্য অংশ ক্ষেত্রমত দফা (ক) বা দফা (খ) অনুযায়ী একইভাবে বণ্টিত হইবে৷

(ঘ) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহার কোন দূরবর্তী সরাসরি বংশধর মারা যায়, সেক্ষেত্রে (গ) দফার বিধানাবলী প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকিলে সে যে অংশ পাইত ঐ অংশের বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হ্ইবে তাহা হ্ইলে এবং অকৃত উইলকারীর মধ্যে অকৃত উইলকারীর সকল সরাসরি বংশধরের পূর্ব-মৃত্যুজনিত কারণে৷

 

Case Law

Section 63 & 283- Admittedly, except PW1 no one was examined among the 8 attesting withnesses to prove attestation of the alleged will and no explanation was given for their non-examination even though the law required that at least two attesting witnesses each of whom saw the testator sign or affix his mark should be examined by the propounder of the will. The long delay of 15 years in filing the application for probate was not explained. The alleged will was found not to be physically genuine. [Bhagirat Barman & another Vs. Haricharan Barman, 4 BLC 234].

 

ধারা-৫৪৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি কোন বংশধর রাখিয়া যান না কিন্তু বিধবা স্ত্রী, বিপত্নীক স্বামী বা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান সেক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টন৷- যেক্ষেত্রে একজন পারসী কোন সরাসরি বংশধর না রাখিয়া মারা যান কিন্তু একজন বিধবা স্ত্রী, বিপত্নীক স্বামী অথবা সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে তাহার উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি নিম্নলিখিত বিধি অনুসারে বণ্টিত হইবে,

যথাঃ-

(ক) যদি বিধবা স্ত্রী একজন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া যান, কিন্তু সরাসরি বংশধরের কোন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান না, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী উক্ত সম্পত্তির অর্ধেক পাইবে৷

(খ) যদি অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী অথবা বিপত্নীক স্বামী এবং কোন সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রীও রাখিয়া যান, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাইবে, কিংবা যদি উক্তরূপ একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকে, তাহা হইলে সর্বশেষ উল্লেখিত এক-তৃতীয়াংশ তাহাদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷

(গ) যদি অকৃত উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী কিংবা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া না যান কিন্তু সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান, তিনি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাইবেন কিংবা যদি অকৃত উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া না যান কিন্তু সরাসরি বংশধরের একাধিক স্ত্রী রাখিয়া যান, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ উক্তরূপ বিধবাদের মধ্যে সমান অংশে বণ্টিত হইবে৷

(ঘ) (ক), (খ) বা (গ) দফায় উল্লিখিত অংশ বণ্টনের পরে অবশিষ্টাংশ তফসীল ২ এর ভাগ এক- এ উল্লিখিত অকৃত উইলকারীর আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ক্রমানুসারে বণ্টিত হইবে৷ উক্ত তফসিলের ভাগ ১-এ প্রথমে অবস্থানকারী নিকটাত্বীয়গণ, দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী আত্মীয়গণের উপর প্রাধান্য পাইবে৷ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণ, তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর এবং এইভাবে ক্রমপর্যায়ে, তবে শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি এমনভাবে বণ্টিত হইবে যাহাতে প্রত্যেক পুরুষ নিকট আত্মীয়ের দিক হইতে একই ধাপে অবস্থানকারী প্রত্যেক মহিলার দ্বিগুণ পায়৷

(ঙ) দফা (গ)-এ উল্লিখিত অবশিষ্টাংশের অধিকারী যদি কোন আত্মীয় স্বজন না থাকে, তাহা হইলে সম্পূর্ণ অবশিষ্টাংশ এই ধারায় অংশ লাভে অধিকারী ব্যক্তিগণের মধ্যে উল্লিখিত অংশের আনুপাতিক হারে বণ্টিত হইবে৷

 

ধারা-৫৫৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর কিংবা বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রীও রাখিয়া না যান সেক্ষেত্রে সম্পত্তির বণ্টন৷ -যেক্ষেত্রে একজন পারসী সরাসরি কোন বংশধর কিংবা বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া না যান, দ্বিতীয় তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত ক্রমানুসারে তাহার নিকট আত্মীয়গণ তাহার উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পূর্ণ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবেন৷ উক্ত তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে প্রথমে অবস্থানকারী নিকট আত্মীয়গণ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর প্রাধান্য পাইবে, দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণ তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর এবং এইভাবে ক্রমানুযায়ী, তবে শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি এমনভাবে বণ্টিত হইবে যাহাতে প্রত্যেক পুরুষ নিকটাত্মীয় দিক হইতে একই ধাপে অবস্থানকারী প্রত্যেক মহিলা দ্বিগুণ পায়৷

 

ধারা-৫৬৷ যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অধীনে উত্তরাধিকার লাভে কোন আত্মীয় না থাকে সেক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টন৷- যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলীর অধীন উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া পারসী সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হওয়ার মতো কোন আত্মীয় না থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি তাহার জ্ঞাতির দিক হইতে নিকটতম ধাপে অবস্থানকারী আত্মীয়জনের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷

Sultan Mahmud Sujon:
ভাগ-৬

উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকার

অধ্যায়-এক

সূচনাপবᐂ

 

ধারা-৫৭৷ হিন্দু, প্রভৃতি কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে এই ভাগের কতিপয় বিধানাবলীর প্রয়োগ৷- তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত এই ভাগের কতিপয় বিধানাবলী উক্ত তফসিলে উল্লেখিত বাধা-নিষেধ এবং পরিবর্তন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য হইবে-

(ক) বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ১৮৭০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তারিখে বা তত্পরবর্তীতে কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত সকল উইল এবং কডিসিল (Codicil) -এর ক্ষেত্রে; এবং

(খ) উক্ত ভূ-খণ্ড এবং সীমার বাইরে কৃত সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রে ততখানি যতখানি উহা ভু-খণ্ড বা সীমার মধ্যে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত হইবে, এবং

(গ) যে সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রে দফা (ক) এবং (খ)-এর বিধানাবলী প্রযুক্তি নয়, ১৯২৭ সালের ১লা জানুয়ারী তারিখে বা তত্পরবর্তীতে কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত ঐ সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, বিবাহের মাধ্যমে উক্তরূপ কোন উইল বা কডিসিল প্রত্যাহার করা যাইবে না৷

 

ধারা-৫৮৷ এই ভাগের সাধারণ প্রয়োগ৷- (১) এই ভাগের বিধানাবলী কোন মুসলমানের সম্পত্তিতে উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কিংবা ৫৭ ধারায় যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈনের সম্পত্তিতে উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, কিংবা উহা ১৮৬৬ সনের ১লা জানুয়ারীর পূর্বে কৃত কোন উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

(২) (১) উপধারায় কিংবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত এই ভাগের বিধানাবলী উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাংলাদেশের আইন বলে গণ্য হইবে৷

 

অধ্যায় -দুই

উইল এবং কডিসিল সম্পর্কিত

ধারা-৫৯৷ উইল সম্পাদনে যোগ্য ব্যক্তি৷- নাবালক নয় এমন সুস্থ মস্তিষ্ক প্রত্যেক ব্যক্তিই উইলের মাধ্যমে তাঁহার সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷

ব্যাখ্যা ১৷ একজন বিবাহিত মহিলা তাঁহার জীবদ্দশায় তাঁহার নিজস্ব কার্যের মাধ্যমে যে সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারিতেন উইলের মাধ্যমে ঐ সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷

ব্যাখ্যা ২৷ বধির, বোবা বা অন্ধ ব্যক্তিগণ উইল সম্পাদনে অযোগ্য হইবে না যদি তাহারা জানে যে তদদ্বারা তাহারা কি করিতেছে৷

ব্যাখ্যা ৩৷ স্বাভাবিকভাবে বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তি তাঁহার সুস্থ মস্তিষ্কের বিরামকালে উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন৷

ব্যাখ্যা ৪৷ যদি কোন ব্যক্তি মাতাল অবস্থা কিংবা অসুস্থতা কিংবা অন্যকোন কারণে এমন মানসিক অবস্থায় থাকে যে, তিনি কি করিতেছেন তাহা তিনি জানেন না, তাহা হইলে ঐ ব্যক্তি উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন না৷

 

উদাহরণ

(১) ক- তাহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কি হইতেছে তাহা বুঝিতে পারে এবং জানা সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে কিন্তু তাহার সম্পত্তির বা তাহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণের প্রকৃতি সম্পর্কে পূর্ণ অবহিতি নাই কিংবা উইল সম্পাদন করিলে তাহার সুবিধা হইবে উহা সম্পর্কেও ধারণা নাই৷ ক- কোন বৈধ উইল সম্পাদন করিতে পারিবে না৷

(২) ক- উইল বলিয়া গণ্য এমন একটা দলিল সম্পাদন করে, কিন্তু সে দলিলের প্রকৃতি কিংবা ইহার বিধানের প্রভাব সম্পর্কে কিছু জানে না৷ দলিলটি বৈধ উইল না৷

(৩) ক একজন দুর্বল ব্যক্তি, কিন্তু সে তাঁহার সম্পত্তি যথার্থ বিলি ব্যবস্থা সম্পর্কে রায় দিতে পারে এবং সেই অনুসারে উইল সম্পাদন করে৷ এটা একটি বৈধ উইল৷

 

ধারা-৬০৷ উইল সংক্রান্ত অভিভাবক৷- বয়স যাহাই হোক না কেন একজন পিতা উইলের মাধ্যমে নাবালক অবস্থায় তাহার সন্তানের অভিভাবক নিযুক্ত হইতে পারিবেন৷

 

ধারা-৬১৷ প্রতারণা, বল প্রয়োগ বা জবরদস্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত উইল৷- কোন উইল বা উইলের কোন অংশ প্রতারণা, বল প্রয়োগ কিংবা উইলকারীর সম্মতি নাই এমন জোর জবরদস্তির মাধ্যমে সম্পাদিত হইলে উইলটি বাতিল বলে গণ্য হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক- মিথ্যাভাবে এবং জানিয়া উইলকারীর নিকট এইরূপ বলে যে তাহার একমাত্র সন্তান মৃত কিংবা সে কিছু অনৈতিক কার্য করিয়াছেন এবং তদদ্বারা ক-কে তাঁহার বরাবরে উইল করার জন্য প্ররোচিত করে৷ এইরূপ উইল প্রতারণার মাধ্যমে লাভ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং ইহা অবৈধ৷

(আ) ক- প্রতারণা এবং সঠতার মাধ্যমে তাহার বরাবরে উইল করিয়া দিবার জন্য উইলকারীকে প্ররোচিত করে৷ উইলটি অবৈধ৷

(ই) ক- আইনগত কর্তৃপক্ষের কয়েদি থাকা অবস্থায় উইল সম্পাদন করে৷ কয়েদবাসের কারণে উইলটি অবৈধ নয়৷

(ঈ) গ-কে উইল করিয়া না দিলে ক-খ কে গুলি করার বা তাহার বাড়ি পুড়িয়ে দেবার বা ফৌজদারী অভিযোগে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেয়৷ ফলে খ, গ কে উইল করিয়া দেয়৷ বল প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পাদিত বলিয়া উইলটি বেআইনী৷

(উ) অন্যের প্রভাবে প্রভাবিত না হইয়া উইল করার মত পর্যাপ্ত বুদ্ধি ক-এর আছে৷ সে খ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা অবস্থায় খ-এর নির্দেশে উইল সম্পাদন করে৷ এইরূপ প্রতীয়মান হইবে যে, ক-এর ভয়েই খ উইল সম্পাদন করিয়াছেন৷ উইলটি বেআইনী৷

(ঊ) ক-এর এমন ভগ্ন স্বাস্থ্য যে, অন্যের জবরদস্তি প্রতিরোধ করিতে অক্ষম৷ ক, খ-এর চাপে পড়িয়া শুধুমাত্র শান্তি রক্ষার্থে একটা নির্দিষ্ট অংশ উইল করিয়া দেয়৷ উইলটি বেআইনী৷

(ঋ) ক-এর এমন ভগ্ন স্বাস্থ্য যে, সে তাহার নিজস্ব বিবেচনা এবং ইচ্ছা প্রয়োগ করিতে অক্ষম৷ খ-এর অনুনয় বিনয় এবং প্ররোচনায় খ-এর সুপারিশক্রমে কিন্তু তাহার নিজস্ব বিবেচনা এবং ইচ্ছায় একটা উইল করে৷ উইলটি খ এর অনুনয় বিনয় এবং প্ররোচনায় সম্পাদিত হইলেও বেআইনী হইবে না৷

(এ) ক, খ-এর নিকট হইতে উইলপত্র লাভের উদ্দেশ্যে তাহার (খ-এর) মনোযোগ আকৃষ্ট করিয়া তাহাকে তোষামোদ করেন এবং তাহার মধ্যে ক-এর প্রতি একটি খামখেয়ালি পক্ষপাতিত্বের সৃষ্টি করে৷ এইরূপ মনোযোগ ও তোষামোদের ফলে 'খ' উইল করিয়া ক-কে উইলপত্র দিয়া দেন৷ ক-এর উক্ত মনোযোগ ও তোষামোদের কারণে উইলটি বে-আইনী হইবে না৷

ধারা-৬২৷ উইল প্রত্যাহার কিংবা পরিবর্তন করা যাইবে৷- উইলের মাধ্যমে সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থাকরণে যোগ্য হইলেই উইল সম্পাদনকারী উইলটি প্রত্যাহার কিংবা পরিবর্তন করিতে পারিবেন৷

Sultan Mahmud Sujon:
অধ্যায়-তিন

প্রকাশিত উইলের সম্পাদন সম্পর্কে

ধারা-৬৩৷ প্রকাশিত উইলের সম্পাদন৷- কোন অভিযানে নিয়োজিত বা যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সৈনিক নয় অথবা অনুরূপভাবে নিয়োজিত বা সংশ্লিষ্ট বৈমানিক অথবা সমুদ্রের নাবিক নয় এমন প্রত্যেক উইলকারী নিম্ললিখিত বিধি মোতাবেক উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন-

(ক) উইলকারী উইলে স্বাক্ষর করিবেন কিংবা তাঁহার চিহ্ন (mark) লটকাইয়া দিবেন কিংবা উইলটি তাঁহার উপস্থিতি এবং নির্দেশে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে৷

(খ) উইলকারীর স্বাক্ষর বা চিহ্ন বা তাঁহার পক্ষে স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষর এমনভাবে দিতে হইবে যে, যাহাতে উহা উইল হিসাবে কার্যকর লিখন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা হইয়াছিল এইরূপ প্রতীয়মান হয়৷

(গ) উইলে উইলকারীকে স্বাক্ষর দিতে কিংবা চিহ্ন লটকাইয়া দিতে দেখিয়াছেন অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উইলে স্বাক্ষর করিতে দেখিয়াছেন, এমন দুই বা ততোধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে উইলটি সত্যায়িত হইতে হইবে এবং উইলকারীর নির্দেশে অথবা উইলকারীর নিকট হইতে তাঁহার স্বাক্ষর বা চিহ্ন সম্পর্কে কিংবা উক্তরূপ ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্পর্কে ব্যক্তিগত পরিচিতি লাভ করিয়াছেন এবং প্রত্যেক সাক্ষী উইলকারীর উপস্থিতিতে উইলে স্বাক্ষর করিবেন কিন্তু একই সময়ে একাধিক সাক্ষীর উপস্থিতি এবং সত্যায়িত করার বিশেষ কোন ফরমের প্রয়োজন হইবে না৷

 

ধারা-৬৪৷ রেফারেন্সের মাধ্যমে কাগজপত্রের অন্তর্ভূক্তি৷- যথাযথভাবে নিবন্ধিত কোন উইল বা কডিসিলে যদি কোন উইলকারী তাঁহার ইচ্ছার প্রকাশ স্বরূপ লিখিত অন্য কোন দলিলের বরাত দিয়া থাকেন, তাহা হইলে ঐ দলিল উইল বা কডিসিলের অংশ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷ উপযুক্ত উইলকারী উইল সম্পাদন করিলে এই অনুমান করা যায় যে, তিনি উইলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানিতেন এবং উহা অনুমোদন করিয়াছেন৷

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version