উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&

Author Topic: উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&  (Read 29204 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়- তিন

মঞ্জুর পরিবর্তন এবং প্রত্যাহার

ধারা-২৬১৷ কোন ভুল আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যাইবে৷- নাম এবং বর্ণনায় কিংবা মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এবং স্থান উল্লেখে বিদ্যমান ভুল, বা সীমিত মঞ্জুরে আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যাইবে এবং তদানুসারে ব্যবস্থাপনাপত্র বা প্রবেট মঞ্জুর পরিবর্তন এবং সংশোধন করা যাইবে৷

 

ধারা-২৬২৷ ব্যবস্থাপনা মঞ্জুরের পরে সংযুক্ত উইলসহ আবিষ্কৃত কডিসিলের ক্ষেত্রে পদ্ধতি৷- যদি সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের পরে কোন কডিসিল আবিষ্কৃত হয়, তাহা হইলে যথোপযুক্ত প্রমাণ এবং সনাক্তকরণের প্রেক্ষিতে উহা মঞ্জুরের সহিত যুক্ত করা যাইবে এবং তদানুসারে উক্ত মঞ্জুর পরিবর্তন এবং সংশোধন করা যাইবে৷

 

ধারা-২৬৩৷ সঠিক কারণবশতঃ প্রত্যাহার বা বাতিল৷- উপযুক্ত কারণে মঞ্জুরীকৃত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র প্রত্যাহার বা বাতিল করা যাইবে৷

ব্যাখ্যা- নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ বিদ্যমান বলিয়া বিবেচিত হইবে-

    (ক) মঞ্জুর লাভের কার্যধারা মূলতঃ ত্রুটিপূর্ণ; বা

    (খ) মিথ্যা বিবৃতি বা ঘটনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছু আদালতে গোপন করিবার মাধ্যমে মঞ্জুরী লাভ করা হইয়াছে; বা

    (গ) মঞ্জুরীর সঠিকতার জন্য আইনের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অসত্য অভিযোগের মাধ্যমে মঞ্জুরী লাভ করা হইয়াছিল, যদিও উক্ত অভিযোগ অজ্ঞানবশতঃ কিংবা অসতর্কতাবশতঃ করা হইয়াছিল; বা

    (ঘ) অবস্থার কারণে উক্ত মঞ্জুর অপ্রয়োজনীয় এবং কার্যকরহীন হইয়া গিয়াছে; বা

    (ঙ) যে ব্যক্তির বরাবরে মঞ্জুরি করা হইয়াছিল উক্ত ব্যক্তি এই ভাগের ৭নং অধ্যায়ের বিধানাবলী মোতাবেক স্বেচ্ছায় এবং যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে কোন তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করেন নাই কিংবা উক্ত অধ্যায়ের অধীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অসত্য তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করিয়াছেন৷

 

উদাহরণ

    (অ) যে আদালতের মাধ্যমে মঞ্জুর করা হইয়াছিল ঐ আদালতের কোন এক্তিয়ার ছিল না৷

    (আ) যে পক্ষসমূহকে উল্লেখ করা উচিত ছিল তাহাদের উল্লেখ না করিয়া মঞ্জুর করা হইয়াছিল৷

    (ই) প্রাপ্ত উইলের প্রবেট জাল করা হইয়াছিল অথবা প্রত্যাহার করা হইয়াছিল,

    (ঈ) ক, খ- এর বিধবা স্ত্রী হিসাবে তাহার ভূ-সম্পত্তিতে ব্যবস্থাপনাপত্র লাভ করে কিন্তু খ এর সাথে তাহার কখনও বিবাহ হয়নি মর্মে জানাজানি হইয়া যায়৷

    (উ) ক, খ এর ভূ-সম্পত্তিতে যেন খ উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছে এইরূপ ভাবে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে কিন্তু উহার একটি উইল আবিষ্কৃত হয়৷

    (ঋ) প্রবেট মঞ্জুর করার পরে এমন একটি কডিসিল আবিস্কৃত হয়েছে যা উইলের অধীন নির্বাহকের নিয়োগ প্রত্যাহার করে বা সংযুক্ত করে৷

    (এ) যে ব্যক্তিকে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র দেওয়া হয় পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি বিকারগ্রস্ত হইয়া যায়৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় - চার

প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের প্রথা সম্পর্কিত

ধারা-২৬৪৷ প্রবেট প্রভৃতি মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারে জেলা জজের এখতিয়ার৷- (১) জেলা জজ তাহার জেলার মধ্যে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের সকল ক্ষেত্রে এখতিয়ার থাকে৷

(২) ৫৭ ধারা প্রযোজ্য হওয়ার ক্ষেত্র ব্যতীত মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে সেক্ষেত্রে কোন আদালত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার উক্ত আদালতকে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তদ্রূপ করিবার ক্ষমতা দান করে।

 

ধারা-২৬৫৷ বিরোধহীন ক্ষেত্র কারবারে জেলা জজের প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষমতা৷- (১) সুপ্রিম কোর্ট তত্কর্তৃক নির্ধারিত স্থানীয় সীমার মধ্যে জেলা জজের পক্ষে কার্য করিবার জন্য যেমন উপযুক্ত মনে করে কোন জেলার মধ্যে বিরোধহীন ক্ষেত্রে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে প্রতিনিধি হিসাবে তেমন সংখ্যক বিচার বিভাগ ও কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) উক্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ জেলা প্রতিনিধি নামে অভিহিত হইবে৷

 

ধারা-২৬৬৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর সম্পর্কে জেলা জজের ক্ষমতা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র এবং তত্ সংক্রান্ত সকল বিষয়াদি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে জেলা জজের আদালতে নিষ্পন্নাধীন কোন দেওয়ানি মামলা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে তাহার উপর আইন বলে যেইরূপ ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে সেইরূপ ক্ষমতা কর্তৃত্ব তাহার থাকিবে৷

 

ধারা-২৬৭৷ উইল সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি দাখিলে জেলা জজ কোন ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারিবে৷- (১) জেলা জজ উইল সংক্রান্ত বা উইল সংক্রান্ত বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোন পেপার বা লেখা আদালতে দাখিল বা আনার জন্য ঐ ব্যক্তিকে আদেশ করিতে পারিবে৷

(২) যদি প্রমাণ করা না যায় যে, উক্ত কোন পেপার বা লেখা উক্ত ব্যক্তির দখল বা নিয়ন্ত্রণে আছে কিন্তু, উক্ত পেপার বা লেখা সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে আদালতে হাজির হইবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷

(৩) উক্ত ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের সত্য জবাব দিতে হইবে এবং আদালত আদেশ করিলে উক্ত পেপার বা লেখা দাখিল করিতে হইবে এবং তিনি কোন মামলার পক্ষ হইলে উক্ত প্রশ্নের জবাব না দিলে বা আদালতে হাজির না হইলে বা উক্ত পেপার লেখা না নিলে দণ্ডবিধির অধীনে যেরূপ শাস্তি ভোগ করিতেন সেরূপ শাস্তি পাইবে৷

(৪) কার্যধারা ব্যয় বিচারকের বিবেচনাপ্রসূত হইবে৷

 

ধারা-২৬৮৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যধারা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যক্রম অতঃপর অন্য কোনভাবে বর্ণিত ব্যতীত অবস্থার প্রেক্ষিতে যতদূর সম্ভব ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

 

ধারা-২৬৯৷ কখন এবং কিভাবে সম্পত্তি সংরক্ষণে জেলা জজ হস্তক্ষেপ করিবে৷- (১) মৃত ব্যক্তির উইলের প্রবেট মঞ্জুর না করা পর্যন্ত অথবা তাহার ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপক নিয়োগ না করা পর্যন্ত যে জেলা জজের এখতিয়ারে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ অবস্থিত ঐ জেলা জজ উক্ত সম্পত্তির স্বার্থ দাবীকারী কোন ব্যক্তির উদ্যোগে উহা সংরক্ষণের জন্য হস্তক্ষেপ করার অধিকারী হইবে এবং যেক্ষেত্রে সম্পত্তি কোন ক্ষতি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় বলিয়া জজ মনে করেন, সেই সকল ক্ষেত্রে এবং তিনি উপযুক্ত মনে করিলে তদুদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ এবং দখলে রাখার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে কিংবা উইলবিহীন অবস্থায় বাংলাদেশী খ্রীস্টানের সম্পত্তির কোন অংশের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না৷

 

ধারা-২৭০৷ জেলা জজ কখন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে৷- জেলা জজ তাহার আদালতের সীলমোহর কোন মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির ক্ষেত্রে উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তির দরখাস্তের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে উইলকারী বা ক্ষেত্রমত অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময় উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে বসবাসের স্থান বা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন৷

 

ধারা-২৭১৷ মৃত ব্যক্তির নির্দিষ্ট কোন আবাসস্থল না থাকিলে জেলা জজের নিকটকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তি৷- যখন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে যে জেলায় তাহার নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল ছিলনা, ঐ জেলা জজের নিকট দরখাস্ত করা হয় তখন উক্ত দরখাস্ত জজ তাহার স্ববিবেচনায় প্রত্যাখান করিবে, যদি তাহার রায়ে উক্ত দরখাস্ত আরো সঠিক বা সুবিধাজনকভাবে অন্য কোন জেলায় নিষ্পত্তি করা যায় কিংবা যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে বা তাহার এখতিয়ারের মধ্যে সম্পত্তিতে সীমিতভাবে উহা মঞ্জুর করিবেন৷

 

ধারা-২৭২৷ প্রতিনিধি প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবেন৷- কোন জেলা প্রতিনিধির নিকট দরখাস্তের ভিত্তিতে যে বিষয়ে কোন বিবাদ নাই ঐ বিষয়ে তত্কর্তৃক প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে সত্যায়িত পিটিশনের মাধ্যমে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, ক্ষেত্রমত উইলকারী অথবা অকৃত উইলকারী উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে তাহার মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷

 

ধারা-২৭৩৷ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের চূড়ান্ততা৷- স্থাবর বা অস্থাবর সকল সম্পত্তি বা ভূ-সম্পত্তিতে বা মৃত ব্যক্তির উপর প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের কার্যকরতা থাকিবে এবং মৃত ব্যক্তির সকল দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব সম্পর্কে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার দখলভুক্ত সম্পত্তি সকল ধারক ব্যক্তিগণ এবং দেনা পরিশোধপূর্বক সকল দেনাদারকে এবং যে ব্যক্তিকে উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা হইয়াছে ঐ ব্যক্তিকে উক্ত সম্পত্তি অর্পনকারী সকল ব্যক্তিগণকে পূর্ণ অব্যাহতি দান করিব:

তবে শর্ত থাকে যে,-

(ক) হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে, বা

(খ) জেলা জজের মাধ্যমে, যেখানে মৃত ব্যক্তি তাহার মৃত্যুর সময়ে উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে তাহার নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল এবং জজ এই মর্মে প্রত্যায়ন করেন যে, বাংলাদেশের সীমানার বাইরের সম্পত্তি এবং ভূ-সম্পত্তির মূল্যায়নে ১০,০০০ টাকার অধিক হয় না৷

মঞ্জুরীকৃত প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের মাধ্যমে অন্যভাবে নির্দেশিত না থাকিলে সমগ্র বাংলাদেশে একইভাবে কার্যকর হইবে৷

 

ধারা-২৭৪৷ ২৭৩ ধারার অনুবিধি অধীনে মঞ্জুরীকৃত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ৷- (১) যেক্ষেত্রে ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত দলসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজ উক্ত মঞ্জুর সম্পর্কে একটি সার্টিফিকেট নিম্নলিখিত আদালতে পাঠাইয়া দিবেন৷ যথা-

(ক) যখন মঞ্জুর হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে হয় তখন প্রত্যেকটি জেলা আদালতে;

(খ) জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইলে হাইকোর্ট বিভাগে৷

(২) উপধারায় (১) উল্লেখিত প্রতিটি সার্টিফিকেট চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত পদ্ধতিতে করিতে হইবে এবং উক্ত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে ফাইল করিতে হইবে৷

 

ধারা-২৭৫৷ উপযুক্তভাবে কৃত এবং সত্যায়িত হইলে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার দরখাস্তে চূড়ান্ততা৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা দরখাস্ত, যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধিততে করা হয় এবং সত্যায়িত করা হয় প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা মঞ্জুরের ক্ষমতাদানের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ কোন মঞ্জুর শুধুমাত্র এই কারণে অভিশংসিত হইবে না যে, উইলকারী বা অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময়ে জেলার মধ্যে নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল বা সম্পত্তি ছিল না যদি না আদালতে প্রতারণার মাধ্যমে মঞ্জুর প্রত্যাহার করার কার্যধারার মাধ্যমে লাভ করা হয়৷

 

ধারা- ২৭৬৷ প্রবেটের জন্য পিটিশন৷- (১) সংযুক্ত উইল সহযোগ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত স্পষ্টভাবে লিখিত ভাষায় পিটিশনের মাধ্যমে উইলসহ করিতে হইবে কিংবা ২৩৭, ২৩৮ এবং ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে ঐ দরখাস্তের বিষয়বস্তুর একটি অনুলিপি খসড়া বা বিবৃতি সহযোগ নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবৃত করিতে হইবে-

    (ক) উইলকারীর মৃত্যুর সময়;

    (খ) সংযুক্ত লেখা যে তাহার সর্বশেষ উইল তাহা;

    (গ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্ভাব্য সম্পত্তির পরিমাণ;

    এবং

    (ঙ) দরখাস্তটি প্রবেট সংক্রান্ত হইলে পিটিশনার যে উইলে উল্লেখিত নির্বাহক৷

    (২) উক্ত বিবরণাদি ছাড়াও পিটিশনে আরও উল্লেখ থাকিবে-

    (ক) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল, এবং

    (খ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷

Case Law

Section 276- In our country an application for probate or letters of administration is governed by the old law i.e. the Limitation Act, 1908 and there is no bar of limitation in applying for the grant of probate or letters of administration or revocation thereof. [Mokta Hossain Vs. Budhi Bala Dashi. 48 DLR 2021.

Section 276-In a suit for probate or letters of administration all that the Court is to see is that if the will in question is a genuine one and then the Court is required to see if the testator had disposing mind at the time of execution of the Will. [Moktar Hossain Vs. Budhi Bala Dashi, 48 DLR 2021.

 

ধারা-২৭৭৷ কোন্ ক্ষেত্রে পিটিশনের সাথে উইলের অনুবাদ সংযুক্ত করিতে হইবে৷ কোর্ট অনুবাদক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা অনুবাদের প্রত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় উইল, খসড়ার অনুলিপি লেখা হয় ঐ ক্ষেত্রে আদালত, যদি ভাষাটি এমন হয় যে উহার জন্য একজন অনুবাদক নিয়োগ করিতে হয় কিংবা যদি উইল অনুলিপি বা খসড়া অন্য ভাষায় হয়, উহা অনুবাদ করিবারযোগ্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবে এবং অনুবাদটি উক্ত ব্যক্তির দ্বারা নিম্নলিখিতভাবে প্রত্যায়িত হইবে৷ যথা-

''আমি (ক, খ) এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি মূল অংশের ভাষা এবং চরিত্র পড়িয়াছি এবং নিখুঁতভাবে বুঝিয়াছি এবং উপরোক্ত অনুবাদ সত্য এবং সঠিক''৷

 

ধারা-২৭৮৷ ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য পিটিশন৷- (১) ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্ত পূর্বোক্তভাবে স্পষ্টভাবে লিখিত পিটিশনের মাধ্যমে করিতে হইবে এবং দরখাস্তে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ থাকিবে৷

    (ক) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এবং স্থান;

    (খ) মৃত ব্যক্তির পরিবার এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন এবং তাহাদের নিজ নিজ বাসস্থান;

    (গ) পিটিশনের যে অধিকার দাবী করে;

    (ঘ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্পত্তির পরিমান;

    (ঙ) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল;

    (চ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷

 

ধারা-১৭৯৷ কতিপয় ক্ষেত্রে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন প্রভৃতিতে বিবৃতি সংযোজন৷- (১) ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত, কোন আদালতে সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া কোন ভূ-সম্পত্তির উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্তকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার পিটিশনে যথাক্রমে ২৭৬ ও ২৭৮ ধারায় বিষয়াদি ছাড়াও এইরূপ বিবৃতি করিবে যে, তাহার বিশ্বাস মতে সর্বশেষ পূর্বোক্তভাবে উক্ত কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া ঐ উইলের প্রবেট বা ঐ ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য অন্য কোন আদালতে দরখাস্ত করা হয় নাই কিংবা উক্তরূপ কোন দরখাস্ত করা হইলে যে আদালতে উহা করা হইয়াছে যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ উহা করিয়াছে এবং উহাতে কার্যধারাসমূহ (যদি থাকে)৷

(২) ২৭৩ ধারার অনুবিধির অধীনে যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালত উপযুক্ত মনে করিলে দরখাস্তটি বাতিল করিতে হইবে৷

 

ধারা-২৮০৷ প্রবেট, প্রভৃতির জন্য পিটিশন স্বাক্ষরিত এবং সত্যায়িত হইবে৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন সকল ক্ষেত্রে পিটিশনার এবং তাহার আইনজীবী, যদি থাকে, কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং পিটিশনার কর্তৃক নিম্নলিখিতভাবে সত্যায়িত হইবে৷ যথা-

''আমি (ক, খ), উপরোক্ত পিটিশনের এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, পিটিশনে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা আমার তথ্য এবং বিশ্বাস মতে সত্য৷''

 

ধারা-২৮১৷ উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা প্রবেটের জন্য পিটিশনের সত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি প্রবেটের জন্য করা হয়, সেক্ষেত্রে পিটিশনটি নিম্নলিখিতভাবে বা মর্মে কমপক্ষে উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা সত্যায়িত হইবে৷

যথা-

''আমি (গ, ঘ), উপরোক্ত পিটিশনে উল্লেখিত সর্বশেষ উইলের একজন সাক্ষী এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি উক্ত উইলকারীকে উইলে তাহার স্বাক্ষর (বা চিহ্ন) উপস্থিত থাকিয়া সংযুক্ত করিতে দেখিয়াছি (বা উক্ত উইলকারী উপরোক্ত পিটিশনে সংযুক্ত লেখা আমার উপস্থিতিতে তাহার সর্বশেষ উইল বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন৷)

 

ধারা-২৮২৷ পিটিশন বা ঘোষণায় মিথ্যা বর্ননার শাস্তি৷- এতদ্বারা সত্যায়িত করিতে হইবে মর্মে আবশ্যক কোন পিটিশন বা ঘোষণায় যদি এইরূপ কোন বর্ণনা থাকে যাহা প্রত্যায়নকারী ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়া জানে অথবা বিশ্বাস করে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি ১৮৬০ সালের বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৯৩ ধারার অধীনে অপরাধ করিয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

ধারা-২৮৩৷ জেলা জজের ক্ষমতা৷- (১) সকল ক্ষেত্রে জেলা জজ বা জেলা প্রতিনিধি উপযুক্ত মনে করিলে-

(ক) শপথপূর্বক ব্যক্তিগতভাবে পিটিশনারকে জেরা করিতে পারিবে;

(খ) উইলের উপযুক্ত কার্যকর সম্পর্কে বা ক্ষেত্রমত ব্যবস্থাপনাপত্রে পি&#

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়- পাঁচ

নিজেদের ভুলের নির্বাহকগণ সম্পর্কে

ধারা-৩০৩৷ নিজের ভুলের নির্বাহক৷- যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করেন, কিংবা নির্বাহকের পদ ভুল অন্য কোন কার্য করেন, এবং কোন বৈধ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক না থাকে, ঐ ব্যক্তি তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক নিজেকে করিতে পারিবেন৷

ব্যতিক্রম৷- (১) সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কিংবা সত্ কারের ব্যবস্থার জন্য বা পরিবার অথবা সম্পত্তির তাত্ ক্ষণিক প্রয়োজনের উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ একজন নির্বাহককে তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক করিবে না৷

(২) অন্যের নিকট হইতে গৃহীত মৃতের পণ্য লেনদেনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিজের ভুলের নির্বাহক করে না৷

উদাহরণ

(অ) ক মৃত ব্যক্তির কিছু পণ্য ব্যবহার করে বা দিয়া দেয় বা বিক্রি করে অথবা তাহার নিজের ঋণ বা উত্তর দায় পূরণার্থে উহা গ্রহণ করে অথবা মৃতের দেনায় পরিশোধ গ্রহণ করে৷ ক তাহার নিজে ভুলের একজন নির্বাহক৷

(আ) ক মৃত ব্যক্তির দেনা সংগ্রহ ও তাহার পণ্য বিক্রয় করিবার জন্য মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয় এবং তাহার মৃত্যু সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরে উক্তরূপ কার্য করা অব্যাহত রাখে৷ এখানে ক মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে তত্কর্তৃক সম্পাদিত কার্য সম্পর্কে তাহার নিজের ভুলের একজন নির্বাহক৷

(ই) ক মৃত ব্যক্তির নির্বাহক না হয়েও তাহার নির্বাহক হিসাবে মামলা দায়ের করে৷ ক তাহার নিজের ভুলের একজন নির্বাহক৷

ধারা-৩০৪৷ নিজের ভুল বিষয়ে নির্বাহকের দায়৷- যখন একজন ব্যক্তি তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক হওয়া বিষয়ে কার্য করেন, তখন তিনি বৈধ নির্বাহক বা প্রশাসক বা মৃতের কোন পাওনা দায় বা উত্তরদায়গ্রহীতার নিকট জবাবদিহি হইবেন, ঐ পরিমাণ সম্পত্তির ক্ষেত্রে যে সম্পত্তি বৈধ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের নিকট পরিশোধিত পরিমাণ হইতে দেওয়ার পর তাহার নিকটে আসে৷

 

অধ্যায় -ছয়

নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা

ধারা-৩০৫৷ মৃত ব্যক্তির বিদ্যমান মামলার কারণ এবং মৃত্যুতে দেয় দেনা বিষয়ে৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের মৃত ব্যক্তির বিদ্যমান সকল মামলার কারণ বিষয়ে এবং দেনা আদায়ের ক্ষমতা বিষয়ে মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকিলে তাহার যে ক্ষমতা থাকিত, ঐ ক্ষমতা থাকিবে৷

ধারা-৩০৬৷ মৃত ব্যক্তি এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলার অধিকার এবং দাবী৷- মৃত্যুর সময়ে কোন ব্যক্তি তা তাহার নির্বাহক এবং ব্যবস্থাপকের পক্ষে বা বিপক্ষে বিদ্যমান সকল অধিকার ১৮৬০ সালের দণ্ডিবিধিতে অর্জিত মানহানি বা আঘাত কিংবা মৃত হয় না এইরূপ ক্ষতি এবং পক্ষের মৃত্যুর পরে দাবীকৃত প্রতিকার পাওয়া যায় না এইরূপ ব্যতীত, বিদ্যমান থাকিবে৷

উদাহরণ

(ক) কোন কর্মকর্তার দোষ বা অবহেলার কারণে রেললাইনে সংঘর্ষ ঘটে এবং একজন বাদী বারাত্মকভাবে আহত হয়, কিন্তু মৃত্যু হয় না৷ কোন মামলা দায়ের না করিয়া তিনি পরে মারা যান৷ মামলার কারণ বিদ্যমান থাকে না৷

(আ) 'ক' বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন৷ 'ক' মারা গেল৷ মামলা করিবার কারণ তাহার প্রতিনিধির বরাবরে থাকে না৷

 

ধারা-৩০৭৷ সম্পত্তি বিলিব্যবস্থা করার জন্য নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- (১) উপধারা (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ১২১-ধারার অধীনে তাহার উপর ন্যস্ত মৃতের সম্পত্তি তিনি যেমন বিবেচনা করেন তেমন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে বিলিব্যবস্থা করিবার ক্ষমতা থাকে৷

উদাহরণ

(অ) মৃত ব্যক্তি তাহার সম্পত্তির অংশ উইলমূলে দান করেন৷ নির্বাহক উক্ত দানের সম্মতি না দিয়া সম্পত্তি বিক্রয় করে৷ বিষয়টি বৈধ৷

(আ) নির্বাহক তাহার বিবেচনার প্রয়োগ বলে মৃতের স্থাবর সম্পত্তির অংশবিশেষ বন্ধক দেন৷ বন্ধকটি বৈধ৷

(২) যদি মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত হন তাহা হইলে উপধারা (১) বলে অর্পিত সাধারণ ক্ষমতা নিম্নিলিখত বাধানিষেধ শর্তসাপেক্ষ হইবে৷ যথা-

(অ) নির্বাহকের উপর ন্যস্ত অস্থাবর সম্পত্তি বিলিব্যবস্থা করার ক্ষমতা তাহাকে নিয়োগকারী উইলের মাধ্যমে আরোপিত বাধানিষেধ সাপেক্ষ হয় যদি না উক্ত বাধা নিষেধ সত্ত্বেও প্রবেট তাহাকে এবং প্রবেট মঞ্জুরীকৃত আদালত তাহাকে লিখিত আদেশ বলে আদেশে বর্ণিত অনুমিত পদ্ধতিতে স্থাবর সম্পত্তি বিলি করিবার ক্ষমতা দান করে৷

(আ) একজন ব্যবস্থাপক ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরীপত্র দানকারী আদালতের পূর্বানুমতি ব্যতীত-

(ক) ২১১ ধারার অধীনে সাময়িকভাবে তাহার উপর ন্যস্ত কোন অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক চার্জ করতে বা বিক্রয়মূলে হস্তান্তর, দান, বিনিময় বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করিতে পারিবেন না বা

(খ) ৫ বছরের অধিক মেয়াদে উক্ত কোন সম্পত্ত ইজারা দিতে পারিবেন না৷

(ই) ক্ষেত্রমতে দফা (অ) বা (আ) এর লঙ্ঘন করিয়া নির্বাহক ব্যবস্থাপক সম্পত্তির বিলি ব্যবস্থা করিলে উক্ত সম্পত্তিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছে উহা বাতিলযোগ্য হইবে৷

(৩) এইরূপ ক্ষেত্রে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর করিবার পূর্বে ক্ষেত্রমতে উপধারা (অ) এর এবং (১) ধারার (২) উপধারার (অ) এবং (ই) উপধারার একটি কপি উহাতে পৃষ্ঠাংকন করিয়া দিতে হইবে৷

(৪) প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র (৩) উপধারা বা সংযুক্তি না করা বা গাঁথিয়া না দেবার কারণে অবৈধ হইবে না কিংবা উক্ত পৃষ্ঠাংকন বা সংযুক্তির অনুপস্থিতি এই ধারার বিধানাবলী ব্যতীত অন্য কোনভাবে কার্যকর করিতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপককে ক্ষমতা দান করিবেন৷

 

ধারা-৩০৮৷ ব্যবস্থাপনার সাধারণ ক্ষমতা৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক তত্কর্তৃক আইনসংগতভাবে খরচ করার ক্ষমতা ছাড়াও উহা লঙ্ঘন না করিয়া খরচ করিতে পারিবেন৷ -

(ক) তত্কর্তৃক ব্যবস্থাকৃত কোন ভূ-সম্পত্তির উপযুক্ত তত্ত্বাবধান বা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্ষেত্রে এবং

(খ) হাইকোর্ট বিভাগে অনুমোদনক্রমে উক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত এবং উপযুক্ত যেমন হইবে তেমন ধর্মীয় দাতব্য এবং অন্যান্য বিষয়ে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে৷

 

ধারা-৩০৯৷ কমিশন বা প্রতিনিধিত্ব চার্জ৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ১৯১৩ সালের Administrator General's Act এর অধীনে বা দ্বারা মহাব্যবস্থাপক এর ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট হারের চাইতে অধিক হারে কোন কমিশন বা প্রতিনিধত্ব চার্জ গ্রহণ বা দখলে রাখার অধিকারী হইবে না৷

 

ধারা-৩১০৷ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক কর্তৃক মৃতের সম্পত্তি ক্রয়৷- যদি কোন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে মৃতের সম্পত্তির কোন অংশ ক্রয় করে তাহা হইলে বিক্রয়টি বিক্রিত সম্পত্তিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট বাতিলযোগ্য হইবে৷

 

ধারা-৩১১৷ কতিপয় নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা একজনের দ্বারা প্রয়োগযোগ্য৷- যখন কয়েকজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক থাকেন তখন বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে তাহাদের সকলের ক্ষমতা তাহাদের মধ্যে একজনের দ্বারা প্রয়োগ করা যাইবে যিনি উইল প্রমাণ করিয়াছে কিংবা ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করিয়াছে৷

উদাহরণ

    (অ) কয়েকজন নির্বাহকের একজনের মৃত ব্যক্তির নিকট প্রাপ্য দেনা মুক্তকরণের অধিকার আছে৷

    (আ) একজনের ইজারা সমর্পণের ক্ষমতা আছে৷

    (ই) একজনের মৃতের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, বিক্রয়ের ক্ষমতা আছে৷

    (ঈ) একজনের উত্তরদায়ে সম্মতি দেওয়ার ক্ষমতা আছে৷

    (উ) একজনের মৃতের প্রতি প্রদেয় প্রতিজ্ঞাপত্র পৃষ্ঠাংকন করার ক্ষমতা আছে৷

    (ঊ) উইলের মাধ্যমে ক, খ, গ এবং ঘ কে নির্বাহক নিয়োগ করা হয় এবং নির্দেশ দেওয়া হয় যে দুই জনের নিয়া কোরাম হইবে৷ একজন নির্বাহক কোন কার্য করিতে পারিবেন না৷

 

ধারা-৩১২৷ কতিপয় নির্বাহক বা প্রশাসকের কোন একজনের মৃত্যুতে বিদ্যমান ক্ষমতা৷- উইল বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরী বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে কতিপয় নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের এক বা ততোধিকের মৃত্যুতে উক্ত পদের সকল ক্ষমতা উত্তরজীবীগণ বা উত্তরজীবর উপর ন্যস্ত হইবে৷

 

ধারা-৩১৩৷ ব্যবস্থাপকের অব্যবস্থাপিত বিষয়ের ক্ষমতা৷- অব্যবস্থাপিত বিষয়ের ব্যবস্থাপকের উক্ত বিষয় সম্পর্কে মূল নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতার ন্যায় ক্ষমতা থাকিবে৷

 

ধারা-৩১৪৷ নাবালকত্ব কালে ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- নাবালকত্ব কালে একজন ব্যবস্থাপকের একজন সাধারণ ব্যবস্থাপকের সকল ক্ষমতা থাকিবে৷

 

ধারা-৩১৫৷ বিবাহিত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- যখন কোন বিবাহিত মহিলাকে প্রবেট ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর দেওয়া হয় তখন তাহার একজন সাধারন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সকল ক্ষমতা থাকিবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-সাত

নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের কর্তব্য সম্পর্কে

 

ধারা-৩১৬৷ মৃতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পর্কে৷- মৃতের প্রয়োজনীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয় অনুষ্ঠানের সম্পাদনের জন্য তাহার অবস্থা উপযোগীভাবে মৃত ব্যক্তি উক্ত উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত সম্পত্তি রাখিয়া গেলে তহবিল দেওয়া নির্বাহকের কর্তব্য৷

 

ধারা-৩১৭৷ তালিকা এবং হিসাব্৷- (১) একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরের তারিখ হইতে ৬ মাসের মধ্যে অথবা আদালতের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐ আদালতের দখলভুক্ত সকল সম্পত্তির পূর্ণ এবং প্রকৃত হিসাব এবং সকল পাওনা এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক অধিকারী হন কোন ব্যক্তির দ্বারা এরূপ সকল দেনা সম্বলিত একটি তালিকা প্রদর্শন করিবেন এবং একইভাবে মঞ্জুরের তারিখ হইতে এক বছরের মধ্যে অথবা উক্ত আদালতের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাহার কাছে আসন্ন সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তি প্রয়োগ বা বিলিব্যবস্থার পদ্ধিত সম্বলিত ভূ-সম্পত্তির একটি হিসাব প্রদর্শন করিবে৷

(২) এই ধারার অধীনে কোন ফরমে তালিকা বা হিসাব প্রদর্শিত হইবে সুপ্রীম কোর্ট তাহা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷

(৩) যদি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধারার অধীনে আদালতের দ্বারা নির্দেশিত তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন না করেন তাহা হইলে তিনি ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৭৬ ধারার অধীন অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) এই ধারার অধীনে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করা হইলে উহা উক্ত বিধির ১৯৩ ধারার অধীনে অপরাধ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

ধারা-৩১৮৷ কতিপয় ক্ষেত্রে তালিকা বাংলাদেশের কোন অংশের সম্পত্তির অন্তর্ভূক্ত করিবে৷- যেক্ষেত্রে সমগ্র বাংলাদেশের কার্যকর হওয়ার অভিপ্রায়ে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর করা হয় ঐ সকল ক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক বাংলাদেশে অবস্থিত মৃত ব্যক্তির সকল স্থাবর বা অস্থাবর সকল সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করিবে এবং উক্ত সম্পত্তির মূল্য আলাদা আলাদাভাবে উক্ত তালিকায় উল্লেখ করিতে হইবে এবং সম্পত্তি বাংলাদেশে যেখানেই থাকুক না কেন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের অনুরূপ দিকসহ সম্পত্তির পরিমাণ বা মূল্য ধার্যযোগ্য হইবে৷

 

ধারা-৩১৯৷ মৃতের সম্পত্তি এবং দেনা সম্পর্কে৷- যুক্তিসঙ্গত শ্রমে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক মৃতের সম্পত্তি এবং তাহার মৃত্যুর সময়ে তাহার নিকট প্রাপ্য দেনা সংগ্রহ করিবেন৷

 

ধারা-৩২০৷ সমস্ত দেনার পূর্বে খরচ প্রদান করিতে হইবে৷- মৃত ব্যক্তির মান এবং গুণ অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে আন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যয় এবং মৃত্যুশয্যার চার্জ চিকিত্সা সেবার জন্য ফিসহ এবং তাহার মৃত্যুর একমাস পূর্বে বোর্ড এবং লজিং সকল দেনার পূর্বে পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩২১৷ উক্ত খরচের পরে অন্যান্য খরচ পরিশোধ করিতে হইবে৷- সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় কোন বিচার বিভাগীয় কার্যধারার জন্য বা বিষয়ের খরচসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র লাভের খরচ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া খরচ এবং মৃত্যু শয্যার চার্জের পরে পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩২২৷ কতিপয় সেবার জন্য মুজুরী পরে পরিশোধ করিতে হইবে এবং তারপর অন্যান্য দেনা৷- কোন শ্রমিক আর্টিজান বা ঘরোয়া চাকরের দ্বারা মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে ৩ মাসের মধ্যে তাহার জন্য সেবার ক্ষেত্রে দেয় মুজুরী পরে পরিশোধ করিতে হইবে এবং তাহার পর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মৃত ব্যক্তির অন্যান্য দেনা পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩২৩৷ পূর্বোক্ত ব্যতীত সকল দেনা সমান হারে পরিশোধ করিতে হইবে৷- পূর্বে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত কোন পাওনাদারের অন্য কোন পাওনাদারের উপর অগ্রাধিকারের অধিকার থাকিবে না; কিন্তু নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক তাহার নিজস্ব দেনাসহ যতদূর পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বর্ধিত হইত ততদূর পর্যন্ত তাহার জানার মধ্যে উক্ত সকল দেনা সমান হারে পরিশোধ করিবেন৷

 

ধারা-৩২৪৷ দেনা পরিশোধে স্থাবর সম্পত্তির প্রয়োগ যেক্ষেত্রে স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশ নয়৷- (১) যদি মৃত ব্যক্তির স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশে না থাকে, তাহলে তাহার দেনা পরিশোধের জন্য অস্থাবর সম্পত্তি ব্যবহার করিবার বিষয়টি বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

(২) (১) উপধারা বলে দেনার অংশবিশেষের পরিশোধ গ্রহণকারী কোন পাওনাদার মৃতের অস্থাবর সম্পত্তির 'উপস্বত্বে' কোন ভাগের অধিকারী হইবেন না, যদি না তিনি অন্যান্য পাওনাদারের কল্যাণার্থে উক্ত পরিশোধ হিসাবে আনেন৷

(৩) এই ধারা মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে প্রযোজ্য হইবে না৷

 

উদাহরণ

ক এমন কোন দেশে তাহার স্থায়ী নিবাস আছে যেখানে সীল মোহরাংকিত দলিলপত্র সীল মোহরাংকিত সিস নয় দলিলপত্রের উপর প্রাধান্য লাভ করে ৫,০০০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি এবং ১০,০০০ টাকা মূল্যে অস্থাবর সম্পত্তি এবং ১০,০০০ টাকার দেনা এবং একই পরিমাণ সীল মোহরহীন দলিলে দেনা রাখিয়া মারা যান৷ পাওয়ানাদারগণ স্থাবর সম্পত্তির লাভ হইতে তাহাদের দেনার অর্ধাংশ গ্রহণ করেন৷ অস্থাবর সম্পত্তির লভ্যাংশ মোহরাংকিত দলিলের দেনা পরিশোধে ব্যয় হইবে যতক্ষণ না উক্ত দেনার অর্ধাংশ পরিশোধ করা হয়৷ এই উইল ৫,০০০ টাকা রাখিয়া যায় যাহা দেনাদারের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করিয়া দিতে হয়৷

 

ধারা-৩২৫৷ উত্তরদায়ের পূর্বে দেনা পরিশোধ করিতে হইবে৷- প্রত্যেক প্রকার দেনা কোন উত্তরদায়ের পূর্বে অবশ্যই পরিশোধ করিতে হইব৷

 

ধারা-৩২৬৷ অব্যাহতি ছাড়া নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উত্তরদায় পরিশোধে বাধ্য নয়৷- যদি মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি কোন স্বত্বাধীন দায়-দায়িত্ব সাপেক্ষ হয় তাহা হইলে দায়-দায়িত্ব মেটানোর পর্যাপ্ত অব্যাহতি ব্যতীত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক কোন উত্তরদায় পরিশোধে বাধ্য নয়৷

 

ধারা-৩২৭৷ সাধারণ উত্তরদায়ের হ্রাস৷- দেনা পরিশোধের পরে যদি সম্পত্তি, প্রয়োজনীয় খরচ এবং সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়সমূহ পূর্ণভাবে সকল সাধারণ উত্তরদায় পরিশোধ পর্যাপ্ত না হয় তাহা হইলে পরবর্তী অংশ সমান অনুপাতে কমাতে হবে হ্রাসপ্রাপ্ত হইবে এবং উইলে বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে নির্বাহক একজনকে অগ্রাধিকার দিয়া অন্য উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিতে কিংবা নিজে কোন উত্তর দায়ের অর্থ দখলে রাখিতে অথবা কোন ব্যক্তিকে পরিশোধ করিতে পারিবেন না তিনি যে ব্যক্তির ট্রাষ্টি৷

 

ধারা-৩২৮৷ সম্পত্তি দেনা পরিশোধে পর্যাপ্ত হইলে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের হ্রাসহীনতা৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় থাকে এবং সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্টকৃত বস্তু কোন হ্রাস ছাড়াই উত্তরদায়গ্রহীতাকে অর্পণ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩২৯৷ নির্দেশার্থক উত্তরদায়ের অধীনে অধিকার যখন সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত৷- যেক্ষেত্রে নির্দেশার্থক উত্তরদায় থাকে এবং সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতার ঐ তহবিল হইতে তাহার উত্তরদায় পরিশোধের অগ্রাধিকারভিত্তিক দাবী থাকে সে তহবিল হইতে উক্ত তহবিল নিঃশেষিত না হওয়া পর্যন্ত উত্তরদায়টি পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে এবং তহবিল নিঃশেষিত হওয়ার পরে যদি উত্তরদায়ের অংশবিশেষ তখনও পরিশোধিত না থাকে তাহা হইলে তিনি সাধারণ সম্পত্তির বিরুদ্ধে অবশিষ্টের জন্য পদাধিকারের অধিকারী হইবেন৷

 

ধারা-৩৩০৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের আনুপাতিক হ্রাস৷- যদি সম্পত্তি দেনা এবং সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় পরিশোধে পর্যাপ্ত না হয় তাহা হইলে পরবর্তিটি হইতে উহাদের নিজেদের পরিমাণ আণুপাতিক হারে কমাইতে হইবে৷

 

উদাহরণ

ক, খ কে ৫০০ টাকা মূল্যের একটি ডায়মন্ড রিং এবং ১,০০০ টাকার মূল্যের একটি ঘোড়া দান করে৷ উইলকারীর সকল বিষয় বিক্রয় করার প্রয়োজন হয় এবং দেনা পরিশোধের পর তাহার সম্পত্তির মূল্য হয় ১,০০০ টাকা৷ এই অর্থ হইতে খ কে ৩৩৩.৩৩ টাকা এবং গ কে ৬৬৬.৬৭ টাকা পরিশোধ করিতে হয়৷

 

ধারা-৩৩১৷ কমানোর উদ্দেশ্যে উত্তরদায়কে সাধারণ হিসাবে গণ্য করিতে হইবে৷- কমানোর উদ্দেশ্যে আজীবন উত্তরদায় ভাতা প্রদানে উইল দ্বারা বণ্টিত অর্থ এবং ভাতার মূল্য যখন উক্ত ভাতা প্রদানে কোন অর্থ বণ্টন না করা হয় সাধারণ উত্তরদায় হিসাবে গণ্য করিতে হইবে৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় -আট

নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দ্বারা উত্তরদায়ে সম্পত্তি

 

ধারা-৩৩২৷ উত্তরদায় গ্রহীতার স্বত্বপূর্ণ করিতে প্রয়োজনীয় সম্মতি৷- উত্তরদায়ে উত্তরদায় গ্রহীতার স্বত্ব পূর্ণ করিতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি প্রয়োজন৷

 

উদাহরণ

(অ) ক উইলের দ্বারা খ কে সোনালী ব্যাংকে জমারত সরকারী কাগজ দান করে৷ ব্যাংকের সিকিউরিটি অর্পণে কোন ক্ষমতা নাই কিংবা নির্বাহকের সম্মতি ব্যতীত খ এর উহাদের দখল নেয়ার অধিকার নেই৷

(আ) ক উইল দ্বারা খ এর প্রজা সত্ত্বে ঢাকায় তাহার বাড়ী গ কে দান করে৷ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি ব্যতীত গ উহার খাজনা গ্রহণ করিবেন না৷

 

ধারা-৩৩৩৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ে নির্বাহকের সম্মতির ফল৷- (১) সুনির্দিষ্ট দানে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি উহাতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক হিসাবে তাহার স্বার্থ বঞ্চিত এবং উত্তরদায়গ্রহীতার দানের বিষয় হস্তান্তরে পর্যাপ্ত হইবে, যদি সম্পত্তির প্রকৃতি বা অবস্থা এইরূপ হয় যে, উহা বিষয়ভাবে হস্তান্তর করিতে হইবে৷

(২) এই সম্মতি মৌখিক এবং নির্বাহক ব্যবস্থাপকের আচরণ হইতে প্রকাশ্য বা আপ্রকাশ্য হইতে পারিবে৷

 

উদাহরণ

(অ) একটা ঘোড়া দান করা হয়৷ নির্বাহক উহা হস্তান্তর করিতে উত্তরদায় গ্রহীতাকে অনুরোধ করেন কিংবা তৃতীয় পক্ষ নির্বাহকের নিকট হইতে ঘোড়াটি ক্রয় করার প্রস্তাব দেন, এবং তিনি উত্তরদায় গ্রহীতার নিকট আবেদন করিবার নির্দেশ দেন৷ উত্তর দায়টিতে সম্মতি অব্যক্ত৷

(আ) তহবিলের সুদ উত্তরদায়গ্রহীতার নাবালকত্বকালে তাহার ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় হইবে বলিয়া নির্দেশ দেওয়া হয়৷ নির্বাহক উহা প্রয়োগ করিতে আরম্ভ করেন৷ সমুদয় দানে ইহা সম্মতি৷

(ই) প্রথমে ক এবং খ কে তহবিল দান করা হয়৷ নির্বাহক তহবিলের সুদ ক কে পরিশোধ করেন৷ ইহা ক-কে দানের প্রতি অব্যক্ত সম্মতি৷

(ঈ) উইলকারীর সকল দেনা পরিশোধের পরে কিন্তু সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় মেটানোর পূর্বে নির্বাহকগণ মারা যান৷ উত্তরদায়সমূহে সম্মতি অনুমান করা যাইবে৷

(উ) সুনির্দিষ্ট পণ্য দান করা হইয়াছে এইরূপ ব্যক্তি উহার দখল গ্রহণ করেন এবং নির্বাহকের কোন আপত্তি ব্যতিরেকে উহা দখলে রাখেন৷

 

ধারা-৩৩৪৷ শর্তসাপেক্ষ সম্মতি৷- উত্তরদায়ে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি শর্তসাপেক্ষ হইতে পারিবে এবং শর্তটি যদি এমন হয় যে, তাহা বলবত্ করিবার অধিকার তাহার আছে এবং উহা সম্পাদন করা না হয়, তাহা হইলে সেখানে কোন সম্মতি নাই৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ, কে সুলতানপুরের ভূমি দান করেন যাহা উইল এবং ক-এর মৃত্যুর তারিখে ১০,০০০ টাকা রেহেনাধীন ছিল৷ নির্বাহক দানটিতে এই শর্তে সম্মতি দান করেন যে, খ উইলকারীর মৃত্যুতে রেহেনে দেয় পরিমাণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করিবেন৷ পরিশোধ করা হয় নাই৷ কোন সম্মতি নাই৷

(আ) দানে উইলকারী এই শর্তে সম্মতি দান করেন যে, উত্তরদায়গ্রহীতা তাকে কিছু অর্থ প্রদান করিবেন৷ অর্থ পরিশোধ করা হয় নাই৷ সম্মতি বৈধ৷

 

ধারা-৩৩৫৷ নিজস্ব উত্তরদায়ে নির্বাহকের সম্মতি৷- (১) যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক একজন উত্তরদায়গ্রহীতা, তখন তাহার উত্তরদায়ে তাহার সম্মতি দান করার সময়ে একইভাবে যেমন প্রয়োজন তেমন উহাতে তাহার স্বত্ব পূর্ণ করিতে প্রয়োজন হয়, এবং একইভাবে তাহার সম্মতি প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য হইতে পারিবে৷

(২) সম্মতি অব্যক্ত হইবে যদি সম্মতি ব্যবস্থাপনায় তাহার পদ্ধতিতে তিনি এমন কোন কার্য করেন যাহা উত্তরদায়গ্রহীতা হিসাবে তাহার চরিত্রে বরাতযোগ্য এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের চরিত্রে বরাতযোগ্য নয়৷

 

উদাহরণ

একজন নির্বাহক তাহাকে দানকৃত বাড়ির খাজনা কিংবা সরকারী সিকিউরিজের সুদ গ্রহণ করেন এবং উহা নিজের ব্যবহারে প্রয়োগ করেন৷ ইহা সম্মতি৷

 

ধারা-৩৩৬৷ নির্বাহকের সম্মতির ফল৷- উত্তরদায়ে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি উইলকারীর মৃত্যু হইতে উহাতে কার্যকর হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) একজন উত্তরদায়গ্রহীতা নির্বাহকের দ্বারা সম্মতি লাভের পূর্বে তাহার বাড়ী বিক্রয় করেন৷ উত্তরদায় গ্রহীতা পরবর্তীতে ক্রেতার কল্যাণে উহাতে সম্মতি দান করে এবং উত্তরদায় শর্ত পূরণ করে৷

(আ) ক, খ কে তাহার মৃত্যু হইতে সুদ সহ ১,০০০ টাকা দান করেন৷ ক এর মৃত্যু হইতে এব বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহক তাহার উত্তরদানে সম্মতি দেন নাই৷ ক এর মৃত্যু হইতে খ সুদের অধিকারী হন৷

 

ধারা-৩৩৭৷ কখন নির্বাহককে উত্তরদায় অর্পণ করিতে হয়৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উইলকারীর মৃত্যু হইতে এক বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন উত্তরদায় পরিশোধ বা অর্পণে বাধ্য থাকিবেন না৷

 

উদাহরণ

ক উইলের দ্বারা তাহার মৃত্যুর পরে ছয় মাসের মধ্যে উত্তরদায় পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ দেন এক বছর অতিবাহিত না হইলে নির্বাহক উহা পরিশোধ করিতে বাধ্য নন৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় -নয়

ভাতা পরিশোধ এবং বণ্টন সম্পর্কে

 

ধারা-৩৩৮৷ উইলের দ্বারা সময় নির্ধারিত না থাকিলে ভাতার আরম্ভ৷- যেক্ষেত্রে উইলের দ্বারা ভাড়া দেওয়া হয় এবং উহা আরম্ভের তারিখ উল্লেখ না করা হয়, সেক্ষেত্রে উহা উইলকারীর মৃত্যু হইতে শুরু হইবে এবং প্রথম পরিশোধ উক্ত ঘটনার পরবর্তী এক বছর অতিবাহিত হইলে করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৩৯৷ কখন ষান্মাসিক বা মাসিক হারে ভাতা প্রদান করিতে হইবে৷-যেক্ষেত্রে ষান্মাসিক বা মাসিক ভাবে ভাতা পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে সেক্ষেত্রে প্রথম এক চতুর্থাংশ বা উইলকারীর মৃত্যুর পরে প্রথম মাস সমাপ্তির পরে প্রথম পরিশোধ দেয় হইবে এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উপযুক্ত মনে করিলে যখন প্রাপ্য হইবে তখন পরিশোধ করিতে হইবে কিন্তু, বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উহা পরিশোধে বাধ্য থাকিবে না৷

 

ধারা-৩৪০৷ অনুক্রমিক পরিশোধের তারিখ যখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অথবা নির্দিষ্ট দিনে প্রথম পরিশোধে নির্দেশ থাকেঃ পরিশোধের পূর্বে ভাতা গ্রহণকারীর মৃত্যু৷- (১) যেক্ষেত্রে উইলকারী মৃত্যু হইতে এক মাস কিংবা এক মাস সময়ের কোন অংশের মধ্যে কিংবা কোন নির্দিষ্ট দিনে ভাতা প্রথম পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে, সেক্ষেত্রে যে তারিখে প্রথম পরিশোধ করিত হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে ঐ তারিখ অনুক্রমিক পরিশোধ করিতে হইবে৷

(২) যদি পরিশোধের সময় মধ্যে বিরোধিতা গ্রহণকারী মারা যান তাহা হইলে ভাতার বণ্টিত ভাগ তাহার প্রতিনিধিকে পরিশোধ করিতে হইবে

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-দশ

উত্তরদায়ের জন্য প্রদত্ত তহবিলে বিনিয়োগ

 

ধারা-৩৪১৷ দানকৃত অর্থের বিনিয়োগ যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নয় এইরূপ উত্তরদায়গ্রহীতা আজীবনের জন্য প্রদত্ত৷ -যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নয় এইরূপ উত্তরদায়গ্রহীতা আজীবনের জন্য দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বছরান্তে দানকৃত অর্থ সুপ্রীমকোর্ট সাধারণ বিধি দ্বারা যেমন ক্ষমতা দান করবেন বা নির্দেশ দিবেন তেমনভাবে বিনিয়োগ করিতে হইবে এবং উদ্ভূত লভ্যাংশ উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৪২৷ সাধারণ উত্তরদায়ের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে পরিশোধ করিতে হইবে মধ্যবর্তী সুদের বিলিব্যবস্থা৷- (১) যেক্ষেত্রে একটি সাধারণ উত্তরদায় ভবিষ্যত্ সময়ে পরিশোধিতব্য বলিয়া দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ৩৪১ ধারায় উল্লিখিত প্রকারের সিকিউরিটিতে উহা মিটানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বিনিয়োগ করিতে হইবে৷

(২) মধ্যবর্তী সুদ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তি অবশিষ্টাংশ গঠন করিবে৷

 

ধারা-৩৪৩৷ কোন তহবিল ভাতার সহিত চার্জকৃত কিংবা বণ্টিত না হইলে পদ্ধতি৷-যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাগ দেওয়া হয় এবং উহা পূরণে উহার পরিশোধের সহিত বা উইলের দ্বারা বণ্টিত না হয়, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ সরকারী ভাতা ক্রয় করিতে হইবে কিংবা যদি উক্ত কোন বার্ষিক ভাতা পাওয়া না যায়, তাহা হইলে ৩৪১ ধারায় উল্লিখিত প্রকারে সিকিউরিটিজে বার্ষিক ভাতা মিটাতে পর্যাপ্ত অর্থ উক্ত উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৪৪৷ অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে শর্তসাপেক্ষ দান হস্তান্তর৷-যেক্ষেত্রে দান শর্তসাপেক্ষ হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উত্তরদায়ের পরিমাণ বিনিয়োগ করিতে বাধ্য নয়, কিন্তু উত্তরদায় দেয় হইলে উত্তরদায় পরিশোধের জন্য তত্ কর্তৃক পর্যাপ্ত দেওয়ার ভিত্তিতে অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্ট সমুদয় অংশ হস্তান্তর করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-৩৪৫৷ বিশেষ সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের নির্দেশ ব্যতীত আজীবনের জন্য দানকৃত অবশিষ্টাংশের বিনিয়োগ৷- (১) যেক্ষেত্রে উইলকারী কোন নির্দেশ ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে আজীবনের জন্য তাহার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ দান করেন, সেক্ষেত্রে ৩৪১ ধারায় উল্লেখিত প্রকারের সিকিউরিটিজে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে যতখানি বিনিয়োগ করা হয় নাই ততখানি অর্থে পরিণত করা যাইবে এবং উক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাইবে৷

(২) মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে নার

 

ধারা-৩৪৬৷ সুনির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করিবার নির্দেশসহ দানকৃত অবশিষ্টাংশের বিনিয়োগ৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী কোন ব্যক্তিকে সারাজীবনের জন্য তাহার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ দান করেন এবং নির্দেশ দেন যে, উহা নির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করিতে হইবে, সেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে ভূ-সম্পত্তির যতখানি অংশ সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়নি ততখানি অর্থে পরিণত হইবে এবং উক্ত সিকিউরিটিকে বিনিয়োগ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৪৭৷ রূপান্তর এবং বিনিয়োগের সময় ক্রয় পদ্ধতি৷- ৩৪৫ এবং ৩৪৬ ধারায় বর্ণিত উক্ত রূপান্তর ক্রয় বিনিয়োগ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক যে সময় উপযুক্ত মনে করেন ঐ সময়ে এবং পদ্ধতিতে করিতে হইবে এবং উক্ত রূপান্তর এবং বিনিয়োগ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যে ব্যক্তি উক্ত তহবিলের আয়ে সাময়িকভাবে অধিকারী হইতেন ঐ ব্যক্তি বিনিয়োগ করা হয় নাই এইরূপ তহবিলের অংশবিশেষের বাজার মূল্যের উপর বার্ষিক ৪% হারে সুদ পাইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, বিনিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে সুদের হার বার্ষিক ৬% হইবে যখন উইলকারী হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হন৷

 

ধারা-৩৪৮৷ নাবালক তাত্ ক্ষণিক পরিশোধ বা দানের দখলের অধিকারী হইলে পদ্ধতি, এবং তাহার পক্ষে ব্যক্তিকে পরিশোধের কোন নির্দেশ না থাকিলে৷- (১) যেক্ষেত্রে দানের শর্ত দ্বারা, উত্তরদায়গ্রহীতা দানকৃত পরিশোধ বা অর্থ বা দানের সরাসরি দখলের অধিকারী, কিন্তু তিনি নাবালক এবং তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে পরিশোধ করিবার জন্য উইলে কোন নির্দেশ নাই, সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উহা জেলা আদালতে পরিশোধ কিংবা অর্পণ করিবেন, যাহার জেলা প্রতিনিধি দ্বারা প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র উত্তরদায়গ্রহীতাকে মঞ্জুর করা হইয়াছিল যদি উত্তরদায়গ্রহীতা একজন ওয়ার্ড অব কোর্ট না হয়৷

(২) যদি উত্তরদায় গ্রহীতা কোর্ট অব ওয়ার্ড হন, তাহা হইলে উত্তরদায়টি তাহার কোর্ট অব ওয়ার্ডের হিসাবে পরিশোধ করিতে হইবে৷

(৩) জেলা আদালতে কিংবা কোর্ট অব ওয়ার্ডে উক্ত পরিশোধ উক্তভাবে পরিশোধিত অর্থের পর্যাপ্ত অব্যাহতি হইবে৷

(৪) এই ধারার অধীনে পরিশোধিত অর্থ সরকারী সিকিউরিটিজ ক্রয়ে বিনিয়োগ করিতে হইবে, যাহা সুদসহ উহাতে অধিকারী ব্যক্তিকে পরিশোধ করিতে হইবে অথবা ভিন্নভাবে তাহার কল্যাণে ব্যয় হইবে অথবা আদালত বা জজ যেমন নির্দেশ দেন তেমন হইবে৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-এগার

উত্তরদায়ের লাভ এবং সুদ

 

ধারা-৩৪৯৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের লাভে উত্তরদায়গ্রহীতার স্বত্ব৷- উইলকারীর মৃত্যু হইতে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের উত্তরদায় গ্রহীতা উহার পরিমাণ লাভের অধিকারী হইবেন৷

ব্যতিক্রমঃ- শর্তসাপেক্ষ সুনির্দিষ্ট দান, উইলকারীর মৃত্যু এবং উত্তরদায় ন্যস্ততার মধ্যবর্তী সময়ে উত্তরদায়ের লাভ অন্তর্ভূক্ত করে না৷ উহার স্পষ্ট লাভ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ গঠন করে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ কে তাহার ভেড়ার পাল দান করেন৷ ক-এর মৃত্যু এবং তাহার নির্বাহকরা ভেড়া অর্পণের মধ্যে কিছু ভেড়ী শাবক জন্ম দেয়৷ উল এবং বাচ্চা খ এর সম্পত্তি৷

(আ) ক, খ কে সরকারী সিকিউরিটিজ দান করে, কিন্তু গ-এর মৃত্যু পর্যন্ত উহার অর্পণ স্থগিত রাখে৷ ক এবং গ এর মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে দেয় সুদ খ পাইবে এবং তিনি নাবালক না হইলে উহা তাহাকেই প্রদান করিতে হইবে৷

(ই) উইলকারী তাহার সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের ৪% হারের সকল কিছু ক-কে দান করেন যখন তাহার বয়স ১৮ বত্সর হইবে৷ ক যদি ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে উদ্ভূত সুদ অবশিষ্টাংশ গঠন করিবে৷

 

ধারা-৩৫০৷ অবশিষ্ট তহবিলের লাভে অবশিষ্টভোগী উত্তরদায় গ্রহীতার গড়৷- একটি সাধারণ অবশিষ্ট দানের অধীনে উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকারীর মৃত্যু হইতে অবশিষ্ট তহবিলের লাভের অধিকারী হন৷

ব্যতিক্রম- একটি সাধারণ শর্তসাপেক্ষ অবশিষ্ট দান উইলকারীর মৃত্যু এবং উত্তরদায় ন্যস্ত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে দানকৃত তহবিলের উপর উদ্ভূত আয় অন্তর্ভূক্ত করিবে না৷ উক্ত আয় বিলিব্যবস্থাহীন হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) উইলকারী নাবলক ক কে যখন সে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করিবে, তাহার সম্পত্তি দান করেন৷ উইলকারী মৃত্যু হইতে আয় ক পাইবে৷

(আ) ক এর বয়স যখন ১৮ বছর হইবে শর্তে তখন ক কে উইলকারী তাহার সম্পত্তি দান করে, ক ১৮ বছর বয়স হইলে অবশিষ্ট অংশ পাইবে৷ উইলকারীর মৃত্যু হইতে উদ্ভূত আয় বিলিব্যবস্থাহীন হয়৷

 

ধারা-৩৫১৷ যখন সাধারণ উত্তরদায়ের পরিশোধের জন্য কোন সময় নির্দিষ্ট নয়৷- যেক্ষেত্রে সাধারণ উত্তরদায় পরিশোধের কোন নির্দিষ্ট সময় নাই, সেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ একবছর অতিক্রান্ত হইলে সুদ সৃষ্টি হইবে৷

ব্যতিক্রম- (১) যেক্ষেত্রে দানকৃত উত্তরদায় দেনা পরিশোধে পর্যাপ্ত সেইক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে সুদের সৃষ্টি হয়৷

(২) যেক্ষেত্রে উইলকারী উত্তরদায় গ্রহীতার পিতা বা অধিক দূরবর্তী পূর্বপুরুষ ছিলেন, অথবা উত্তরদায়গ্রহীতার পিতার স্থানে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি উইলকারীর মৃত্যুর পর হতে সুদ বহন করবে৷

(৩) যেক্ষেত্রে নাবালককে তাহার ভরণ-পোষণের জন্য অর্থ দান করা হয়, সেই ক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে সুদ প্রদেয় হইবে৷

 

ধারা-৩৫২৷ নির্দিষ্ট সময়ের ক্ষেত্রে সুদ৷- যেক্ষেত্রে সাধারণ উত্তরদায় পরিশোধের সময় নির্দিষ্ট থাকে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত নির্ধারিত সময় হইতে সুদ শুরু হয়৷ উক্ত সময় পর্যন্ত সুদ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ গঠন করে৷

ব্যতিক্রম- যেক্ষেত্রে উইলকারী উত্তরদায়গ্রহীতার কোন দূরবর্তী পূর্বপুরুষ অথবা নিজেকে উত্তরদায় গ্রহীতার পিতামাতার স্থলে নিজেকে বসান, সেইক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে উত্তরদায়ের সুদ হইবে৷ যদি না ভরণ-পোষণের জন্য উইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অর্থ দেওয়া হয় অথবা যদি না উইলে বিপরীত মর্মে নির্দেশ থাকে৷

 

ধারা-৩৫৩৷ সুদের হার৷ উইলকারী, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে, সেই ক্ষেত্রে বার্ষিক সুদের হার ৬% হইবে৷ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে বার্ষিক ৪% সুদ হইবে৷

 

ধারা- ৩৫৪৷ উইলকারীর মৃত্যুর পর প্রথম বছরের মধ্যে বার্ষিক ভাতার উপর কোন সুদ হইবে না৷- উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে প্রথম বছরের মধ্যে বার্ষিক ভাতার উপর কোন সুদ হইবে না, যদিও উক্ত বত্ সর অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে বার্ষিক ভাতার প্রথম পরিশোধের জন্য উইলের দ্বারা সময় নির্দিষ্ট করা হয়৷

 

ধারা-৩৫৫৷ বার্ষিক ভাতা হ্রাসে বিনিয়োগে তাহার উপর সুদ৷ - যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতা আয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অর্থ বিনিয়োগ হইত বলিয়া নির্দেশ থাকে, সেইক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে সুদ প্রদেয় হয়৷

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-১২

উত্তর দায় হ্রাস

ধারা-৩৫৬৷ আদালতের আদেশ প্রদত্ত উত্তরদায় ফেরত্ দান৷-যখন একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক আদালতের আদেশে উত্তরদায় পরিশোধ করেন তখন তিনি সকল উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে উহা ফেরতদানে উত্তরদায়গ্রহীতাকে আহবান করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-৩৫৭৷ স্বেচ্ছামূলকভাবে পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন ফেরতদান হইবে না৷ - যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক স্বেচ্ছামূলকভাবে উত্তরদায় পরিশোধ করেন তখন তিনি সকল উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে উহা ফেরতদান উত্তরদায় গ্রহীতাকে আহবান করিতে পারিবেন না৷

 

ধারা-৩৫৮৷ ১৩৭ ধারার অধীনে অধিক সময় প্রদানের মধ্যে শর্তপূরণ হইলে দেয় উত্তরদায় ফেরতদান৷- যখন শর্তপূরণ ব্যতিরেকে শর্তপূরণের জন্য উইলদ্বারা নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়, এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উহার ফলে প্রতারণা ব্যতীত, সম্পত্তি বণ্টন করেন; উক্ত ক্ষেত্রে শর্ত পূরণের ১৩৭ ধারার অধীনে অতিরিক্ত সময় প্রদান করা হইলে এবং শর্তটি তদনুসারে পূরণ করা হইলে উত্তরদায়টি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের নিকট হইতে দাবী করা যাইবে না কিন্তু যাহাদেরকে তিনি উহা পরিশোধ করিয়াছেন তাহারা উহা ফেরতদানে বাধ্য থাকিবেন৷

 

ধারা-৩৫৯৷ কখন প্রত্যেক উত্তরদায়গ্রহীতা আনুপাতিকভাবে ফেরতদানে বাধ্য৷- যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উত্তরদানের সম্পত্তি পরিশোধ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি যে দেনার সম্পর্কে তাহার কোন নোটিশ ছিল না ঐ দেনা পরিশোধ করেন, তখন তিনি প্রত্যেক উত্তরদায়গ্রহীতাকে আনুপাতিক হারে ফেরতদানের আহবান করিতে পারিবেন৷

 

ধারা- ৩৬০৷ সম্পত্তি বণ্টন৷ - যেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক সুপ্রীম কোর্টের দ্বারা সাধারণ বিধিবলে নির্ধারিত নোটিশ দেন কিংবা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির বিরুদ্ধে দাবী জানাইয়া তাহার নিকট হাইকোর্ট বিভাগ পাওনাদারের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা মামলায় যেমন পারতেন তেমন কোন নোটিশ না দেন, তাহা হইলে তিনি নোটিশে দাবী প্রেরণের জন্য উল্লিখিত সময়ের অবসানে সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ বণ্টনের অধিকারী হইবেন এবং তিনি উক্ত বণ্টনের সময়ে তাহার অজ্ঞাত দাবীর জন্য উক্তভাবে বণ্টিত সম্পত্তির জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এখানে বিধৃত কোন কিছুই কোন পাওনাদার বা দাবীদারকে যে ব্যক্তিগণ উহা গ্রহণ করিতে পারিতেন ঐ ব্যক্তিগণের নিকট সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ অনুসরণ করা ক্ষুণ্ণ করিবে না৷

 

ধারা-৩৬১৷ পাওনাদার ফেরতদানে উত্তরদায়গ্রহীতাকে আহবান করিতে পারিবেন৷- নিজের দেনা গ্রহণ করেন নাই এমন পাওনাদার উত্তরদায় পরিশোধ গ্রহন করিয়াছেন এমন উত্তরদায়গ্রহীতাকে ফেরতদানের আহবান জানতে পারিবেন, মৃত্যুর সময়ে উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির সম্পদ দেনা এবং উত্তরদায় উভয়ই পরিশোধে পর্যাপ্ত থাকুক বা না থাকুক এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দ্বারা উত্তর দায়ের পরিশোধ স্বেচ্ছামূলক হোক বা না হোক৷

 

ধারা-৩৬২৷ ৩৬১ ধারার অধীনে ফেরতদানে সন্তুষ্ট বা বাধ্য না হইয়া যখন উত্তরদায়গ্রহীতা অন্যজন্যকে পূর্ণভাবে পরিশোধিত ফেরতদানে বাধ্য করিতে পারিবেন না৷- যদি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে সকল সম্পদ উত্তরদায় পরিশোধে পর্যাপ্ত থাকে তাহা হইলে উত্তরদায় গ্রহণ করেন নাই, এমন উত্তরদায়গ্রহীতা বা যিনি ৩৬১ ধারার, অধীনে ফেরতদানে বাধ্য হইয়াছেন, তিনি পূর্ণ পরিশোধ গ্রহণ করিয়াছে এমন কাউকে ফেরতদানে বাধ্য করিতে পারিবেন না, মামলাসহ বা মামলা ব্যতীত উত্তরদায় পরিশোধ করা হোক বা না হোক যদিও নির্বাহকের অপচয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে সম্পদের ঘাটতি দেখা যায়৷

 

ধারা- ৩৬৩৷ কখন অসুন্তুষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা দেউলিয়া হওয়া নির্বাহকের বিরুদ্ধে প্রথমে অগ্রসর হইবেন৷- যদি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে সকল উত্তরদায় পরিশোধে সম্পদ পর্যাপ্ত না থাকা তাহা হইলে উত্তরদায়ের পরিশোধ গ্রহণ করেন নাই এমন উত্তরদায়গ্রহীতা নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে যদি তিনি দেউলিয়া হন প্রথমেই অগ্রসর হইবেন কিন্তু নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক দেউলিয়া না হইলে অসুন্তুষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতা প্রত্যেক সন্তুষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতাকে আনুপাতিক হারে ফেরতদানে বাধ্য করিতে পারিবেন৷

 

ধারা- ৩৬৪৷ একজন উত্তরদায়গ্রহীতা অন্যজনকে ফেরতদানের সীমা৷- একজন উত্তরদায়গ্রহীতা অন্যজনকে ফেরতদান সুন্তুষ্ট উত্তরদায় যতখানি কম হওয়া উচিত ততখানি অর্থের অধিক হইবেন যদি সম্পত্তি উপযুক্তভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়৷

 

উদাহরণ

ক, খ কে ২৪০ টাকা গ কে ৪৮০ টাকা এবং ঘ কে ৭২০ টাকা দান করে৷ সম্পদের মূল্য ১২০০ টাকা এবং উপযুক্তভাবে ব্যবস্থাপনা করা হইলে খ কে ২০০ টাকা গ কে ৪০০ টাকা এবং ঘ কে ৬০০ টাকা দেওয়া যাইবে৷ গ এবং ঘ, খ এর জন্য কিছু না রাখিয়া পূর্ণভাবে তাদের উত্তরদায় পরিশোধ করেন৷ খ ৮০ টাকা ফেরতদানে গ কে এবং ১২০ টাকা ফেরতদানে ঘ কে বাধ্য করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-৩৬৫৷ ফেরতদান সুদ ব্যতীত হইবে৷ - সকল ক্ষেত্রে ফেরতদান সুদ ব্যতীত হইবে৷

 

ধারা- ৩৬৬৷ অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়ীগ্রহীতাকে স্বাভাবিক পরিশোধের পরে অবশিষ্ট অংশ৷- দেনা এবং উত্তরদায় পরিশোধের পরে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি উদ্বৃত্ত বা অবশিষ্ট অংশ অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে যখন কাউকে উইলের দ্বারা নিয়োগ করা হয় পরিশোধ করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৬৭৷ স্থায়ী নিবাসের দেশে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের নিকট বণ্টনের জন্য পাকিস্তান হইতে সম্পদের হস্তান্তর৷- যেক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী আবাস নাই এইরূপ কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ এবং মৃত্যুর সময়ে স্থায়ী নিবাস ছিল এইরূপ কোন দেশে সম্পদ রাখিয়া মারা যান এবং সম্পদ সম্পর্কে বাংলাদেশে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর থাকে এবং স্থায়ী নিবাসের দেশেও থাকে সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ৩৬০ ধারা উল্লেখিত নোটিশ প্রদানের পরে এবং নোটিশের উল্লেখিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে তাহার অবগতির মধ্যে বৈধ দাবী অব্যাহতি দেওয়ার পরে বাংলাদেশের বাইরে বসকারী ব্যক্তগণকে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির উদ্বৃত্ত বা অবশিষ্ট অংশ নিজে বণ্টনের পরিবর্তে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতিতে উক্ত ব্যক্তিগণকে বণ্টনের জন্য দিতে পারিবেন৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়- তের

ধ্বংসের জন্য নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দায়দায়িত্ব

 

ধারা-৩৬৮৷ ধ্বংসের নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দায়-দায়িত্ব৷- যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক মৃতের সম্পত্তির অপ্রয়োগ করেন কিংবা উহা বিনষ্ট বা ক্ষতি করেন তখন তিনি উক্ত বিনষ্ট বা ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য থাকিবেন৷

 

উদাহরণ

(অ) নির্বাহক অপ্রতিষ্ঠিত দাবী ভূ-সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করেন৷ তিনি ক্ষতি পূরণ দিবেন৷

(আ) মৃত ব্যক্তির নোটিশ দ্বারা নবায়নযোগ্য একটি ইজারা ছিল যাহা নির্বাহক দিতে অবহেলা করেন৷ নির্বাহক উহার ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য৷

(ই) মৃত ব্যক্তির একটি লীজ ছিল যাহার মূল্য খাজনার চাইতে কম, কিন্তু বিশেষ সময়ে নোটিশ মূল্যে যাহা সমাপ্ত করা যায়৷ নির্বাহক নোটিশ দিতে অবহেলা করেন৷ তিনি ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য৷

 

ধারা-৩৬৯৷ সম্পত্তির কোন অংশ লাভে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের অবহেলার দায়-দায়িত্ব৷- যখন নির্বাহক কিংবা ব্যবস্থাপক মৃতের সম্পত্তির কোন অংশ লাভে অবহেলা করিয়া ভূ-সম্পত্তির ক্ষতি করেন, তখন তিনি উক্ত ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য থাকিবেন৷

 

উদাহরণ

(অ) নির্বাহক মৃতের নিকট পাওনা একটি দেনা সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দেন৷ নির্বাহক ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকিবেন৷

(আ) নির্বাহক, দেনার জন্য দেনাদার দাবীটি তামাদি দোষে দুষ্ট ওজর করা সত্ত্বেও মামলা করিতে অবহেলা করেন এবং দেনাটি উহার ফলে ভূ-সম্পত্তিতে হারাইয়া যায়৷ নির্বাহক ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-১০

উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট

 

ধারা-৩৭০৷ এই ভাগের অধিনে সার্টিফেকেট মঞ্জুরে বাধা-নিষেধ৷- (১) একটি উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট (এই ভাগে অতঃপর সার্টিফিকেট হিসাবে উল্লেখিত) ২১২ বা ২১৩ ধারার অধীনে ব্যবস্থাপনাপত্র বা প্রবেট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হইতে হইবে এইরূপ কোনো দেনা বা জামানতে কোন অধিকার সম্পর্কে এই ভাগের অধীনে মঞ্জুর করা যাইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় বিধৃত কোন কিছুই মৃত বাংলাদেশী খৃষ্টানের বিষয় বা উহার অংশবিশেষে অধিকার দাবীকারী কোন ব্যক্তিকে সার্টিফির্কেট মঞ্জুরে নিবারণ করিবে না, এই কারণে যে, এই আইনের অধীনে ব্যবস্থাপনাপত্রের মাধ্যমে কোন দেনা বা জামানত বিষয়ে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাইবে৷

(২) এই ভাগের উদ্দেশ্যকল্পে ''জামানত'' অর্থ-

(ক) কোনো প্রতিজ্ঞাপত্র, ডিবেঞ্চার, স্টক বা সরকারের অন্য কোন সিকিউরিটি;

(গ) কোনো কোম্পানী বা অন্য কোন বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কোনো স্টক, ডিবেঞ্চার বা শেয়ার;

(ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা বা পক্ষে অর্থের জন্য ইস্যুকৃত কোন ডিবেঞ্চার, বা অন্য কোন সিকিউরিটি;

(ঙ) এই ভাগের উদ্দেশ্যে সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিকিউরিটি বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে এইরূপ অন্যকোন সিকিউরিটি৷

 

ধারা-৩৭১৷ সার্টিফিকেট মঞ্জুরে এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালত৷-মৃত ব্যক্তি তাহার মৃত্যুর সময়ে সাধারণভাবে যে জেলা জজের এক্তিয়ারে বসবাস করেন ঐ জেলা জজ কিংবা ঐ সময় তাহার কোনো স্থায়ী নিবাস না থাকিলে যে জেলা জজের এক্তিয়ারে মৃত সম্পত্তির কোনো অংশ পাওয়া যায় ঐ জেলা জজ এই ভাগের অধীনে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-৩৭২৷ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন৷- (১) ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধিতে বর্ণিত পদ্ধতিতে দরখাস্তকারীর দ্বারা বা পক্ষে স্বাক্ষরিত এবং প্রত্যায়িত পিটিশনের মাধ্যমে উক্ত সার্টিফিকেটের দরখাস্ত করিতে হইবে৷ দরখাস্তের জন্য বাদীর দ্বারা বা পক্ষে আরজী স্বাক্ষরিত এবং প্রত্যায়িত হইবে এবং উহাতে নিম্নলিখিত বিবরণাদির উল্লেখ থাকিবে, যথাঃ-

(ক) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়;

(খ) মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির সাধারণ বাসস্থান এবং উক্ত বাসস্থান যে জজের নিকট দরখাস্ত করা হয় ঐ জজের স্থানীয় এক্তিয়ারে না থাকিলে, উক্ত সীমার মধ্যে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি;

(গ) মৃত ব্যক্তির পরিবার বা অন্যান্য নিকট আত্মীয় এবং তাহাদের নিজ নিজ বাসস্থানসমূহ;

(ঘ) পিটিশনার যে অধিকার দাবী করেন;

(ঙ) সার্টিফিকেট মঞ্জুরে কিংবা উহা মঞ্জুর করা হইলে উহার বৈধতার ক্ষেত্রে ৩৭০ ধারা বা এই আইনে কোন বিধানাবলী বা অন্য কোন আইনের অধীনে কোন প্রতিববন্ধকতার অনুপস্থিতি; এবং

(চ) দরখাস্তকৃত সার্টিফিকেট বিষয়ে দেনা এবং সিকিউরিটিজ৷

(২) যদি পিটিশনে কোন বক্তব্য থাকে যাহা সত্যায়নকারী ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়া জানের বা বিশ্বাস করেন কিংবা সত্য বলিয়া বিশ্বাস না করেন, তাহলে ঐ ব্যক্তি দণ্ডবিধির ১৯৮ ধারার অধীনে অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

(৩) মৃত পাওনাদারের নিকট দেয় কোন দেনা বা দেনাসমূহ বিষয়ে কিংবা উহার কোন অংশ বিষয়ে উক্ত সার্টিফিকেটের জন্য দরখাস্ত করা যাইবে৷

 

ধারা-৩৭৩৷ দরখাস্ত করিবার পদ্ধতি-৷ (১) যদি জেলা জজ এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, দরখাস্ত করিবার কারণ, তাহলে তিনি শুনানীর জন্য একটা দিন নির্দিষ্ট করিবেন এবং দরখাস্ত এবং শুনানীর নির্দিষ্ট ফি সম্পর্কে নোটিশ দিবেন-

(ক) বিচারকের মতে, দরখাস্ত সম্পর্কে বিশেষ নোটিশ দিতে হইবে এইরূপ কোন ব্যক্তিকে, এবং

(খ) আদালত প্রাঙ্গনের দৃষ্টি গ্রাহ্য কোন স্থানে লটকাইয়া দিবেন এবং এতদুশ্যে সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক প্রণীত বিধি সাপেক্ষে বিচারক যেমন উপযুক্ত মনে করেন তেমনভাবে প্রকাশিত হইবে এবং নির্দিষ্ট দিনে অথবা তত্ পরবর্তীতে যতদূর সম্ভব সুবিধাজনক সময়ে সার্টিফিকেটে বিদ্যামান অধিকার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত দিবেন৷

(২) যখন বিচারক উহাতে অধিকার দরখাস্তকারীর অধিকার ভুক্ত বলিয়া সিদ্ধান্ত দেন, তখন তিনি তাহাকে সার্টিফিকেট মঞ্জুরের আদেশ দান করিবেন৷

(৩) যদি বিচারক আইনগত বিষয় নিষ্পত্তি ব্যতীত যাহা সংক্ষিপ্ত কার্যধারায় নিষ্পত্তি করা তাহার বিবেচনায় সূক্ষ্ম এবং জটিল, সার্টিফিকেটে অধিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে না পারেন, তাহা হইলে তিনি তাহা সত্ত্বেও দরখাস্তকারীকে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে পারিবেন যদি তাহার নিকট এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তির উহাতে আপাতগ্রাহ্য স্বত্ব আছে৷

(৪) যখন একটি সার্টিফিকেটের জন্য একাধিক দরখাস্তকারী থাকেন, এবং তাহাদের একাধিক দরখাস্তকারীর মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তিতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলিয়া বিচারকের নিকট প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে কাহাকে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে হইবে এতদবিষয়ে সিদ্ধান্ত দানে তিনি দরখাস্তকারীগণের স্বার্থের পরিধি এবং অন্যান্য যোগ্যতা বিবেচনা করিবেন৷

 

Case Law

Section 373 Buddists : Buddhists are not governed by the Hindu Laws of succession, but by the principles of equity and good conscience [Ajitandra Bikshu Vs. Agra Bangsa Mahathero, 32 DLR 187].

Opening of the succession is the material question in s.4 of the Muslim Family Laws Ordinance, [1961 Sk. Ibrahim Vs. Nazma Begum, 44 DLR (AD) 276].

সার্টিফিকেটের বিষয়বস্তু৷- যখন জেলা জজ সার্টিফিকেট মঞ্জুর করেন তখন সার্টিফিকেটের দরখাস্তে উল্লেখিত দেনা এবং সিকিউরিটিস সার্টিফিকেটে নির্দিষ্ট করিবেন এবং যে ব্যক্তিকে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা হয় ঐ ব্যক্তিকে-

(ক) উহাদের স্বার্থে এবং লভ্যাংশ গ্রহণ করিবার; বা

(খ) আলোচনা বা হস্তান্তর করিবার; বা

(গ) সিকিউরিটি অথবা উহাদের কোন একটিতে স্বার্থ এবং লভ্যাংশ গ্রহণ বা হন্তান্তর উভয় করিবার ক্ষমতা দিবেন৷

 

ধারা-৩৭৫৷ সার্টিফিকেট গ্রহণকারী হইতে সিকিউরিটি গ্রহণ৷- (১) যেক্ষেত্রে ৩৭৩ ধারার (৩) বা (৪) উপধারার অধীনে জেলা জজ অগ্রসর হওয়ার প্রস্তাব করেন সেইক্ষেত্রে এবং অন্য কোন ক্ষেত্রে তিনি সার্টিফিকেট মঞ্জুরের পূর্বে এইরূপ শর্ত আরোপ করিতে পারিবেন, যে ব্যক্তিকে তিনি মঞ্জুর করিবার প্রস্তাব করেন ঐ ব্যক্তি এক বা ততোধিক জামিনদারসহ বা অন্যান্য পর্যাপ্ত জামানতসহ মুচলেকা তত্কর্তৃক গৃহীত দেনা এবং সিকিউরিটিসের হিসাব দান এবং উক্ত দেনা এবং সিকিউরিটিসের সমুদয় বা কোন অংশে অধিকারী ব্যক্তি অব্যাহতির জন্য বিচারকের নিকট দিবেন৷

(২) পিটিশনের মাধ্যমে দরখাস্ত এবং তাহার নিকট সন্তোষজনক কারণে এবং তিনি যেমন উপযুক্ত মনে করেন তেমন শর্তে সিকিউরিটি সম্পর্কে অথবা গৃহীত অর্থ আদালতে প্রদান করিতে হইবে এইরূপ বিধান করিয়া বা অন্য কোনভাবে অন্য কোন ব্যক্তিকে মুচলেকা বা অন্য কোন জামানত শর্ত নিয়োগ করিতে পারিবেন, এবং ঐ ব্যক্তি উহার ফলে তাহার নিজের নামে এমনভাবে মামলা করিতে পারিবেন যেন আদালতে বিচারকের পরিবর্তে উহা মূলত তাহাকে দেওয়া হইয়াছে এবং ঐ ব্যক্তি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির ট্রাষ্ট হিসাবে আদায়যোগ্য অর্থ আদায় করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-৩৭৬৷ সার্টিফিকেটের বর্ধন৷- (১) এই ভাগের অধীনে সার্টিফিকেট ধারকের দরখাস্তের ভিত্তিতে জেলা জজ সার্টিফিকেটে মূলতঃ উল্লেখিত নয় এইরূপ দেনা বা সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট বর্ধন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি বর্ধন যে দেনা বা সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট বর্ধন করা হয় ঐ দেনা সিকিউরিটি মূলত উহাতে উল্লেখিত ছিল এমনভাবে কার্যকর হইবে৷

সার্টিফিকেটের বর্ধনের ভিত্তিতে উহাতে সুদ বা লভ্যাংশ বা কোন হস্তান্তর গ্রহণকারী ব্যক্তি সম্পর্কে ক্ষমতা অর্পণ করা যাইবে এবং ৩৭৫ ধারায় উল্লেখিত উদ্দেশ্যে মুচলেকা বা অন্য কোন জামানত সার্টিফিকেটের মূল মঞ্জুরের ন্যায় একইভাবে প্রয়োজন হইবে৷

 

ধারা-৩৭৭৷ সার্টিফিকেটের ফরম এবং বর্ধিত সার্টিফিকেট৷- যতদূর সম্ভব ৮নং তফসিলে বর্ণিত ফরমে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে হইবে এবং সার্টিফিকেট বর্ধন করিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৭৮৷ সিকিউরিটিস সম্পর্কে ক্ষমতার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটের সংশোধন৷-যেক্ষেত্রে সনদে উল্লেখিত জামানত বিষয়ে সনদের ধারকের উপর জেলা জজ কোন ক্ষমতা অর্পণ করেন নাই অথবা জামানতের উপর সুদ বা লভ্যাংশ কিংবা হস্তান্তর গ্রহণ করার ক্ষমতা দিয়াছেন, সেক্ষেত্রে তিনি পিটিশনের মাধ্যমে দরখাস্তের ভিত্তিতে এবং তাহার নিকট সন্তোষজনক কারণে ৩৭৪ ধারায় উল্লেখিত কোন ক্ষমতা অর্পণ করিয়া বা উহাদের পরিবর্তে অন্য কোন ক্ষমতা প্রতিস্থাপন করিয়া সনদ সংশোধন করিতে পারিবেন৷

 

ধারা-৩৭৯৷ সার্টিফিকেটের উপর কোর্ট-ফি সংগ্রহের পদ্ধতি৷- (১) উপধারা (২)-এর বিধানাবলী সাপেক্ষে সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিটি দরখাস্তের সাথে Court-fees Act, 1870 (VII of 1870), এই ধারায় অতঃপর Court-fees Act হিসাবে উল্লিখিত, এর অধীনে প্রদেয় ফি এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বাবদ জমা দিতে হইবে৷

(২) মৃত ব্যক্তির কোন উত্তরাধিকারিনী বা ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জন্য অথবা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য দরখাস্ত করিলে উক্ত সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধি বাবদ Court-fees Act এর অধীনে প্রদেয় ফি উপ-ধারা (৩)-এ উল্লেখিত উপায়ে জমা দিতে হইবে৷

(৩) দরখাস্ত মঞ্জুর করা হইলে-

(ক) মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা ওয়ারিশ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে দরখাস্তকারী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ বিচারকের নির্দেশে Court-fees Act-এর অধীনে প্রদেয় ফি চিহ্নিত (denoting) করিবার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃতব্য স্ট্যাম্প ক্রয়ে ব্যয় করিতে হইবে; এবং

(খ) মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা ওয়ারিশ কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে বিচারক Court-fees Act-এর ২৫ ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধি বাবদ Court-fees Act-এর অধীনে প্রদেয় ফি এর সম পরিমাণ অর্থ মৃত ব্যক্তির জন্য বা তাহার পক্ষে কোন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর, অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ধারণকৃত অর্থ বা নালিশযোগ্য দাবী হইতে নগদে সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিবেন এবং তদনুয়ায়ী উক্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিচারকের অবগতিতে (intimation) উক্ত পরিমাণ অর্থ জমা দিবেন৷

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীনে গৃহীত কিন্তু উপ-ধারা (৩) (ক)-এর অধীন ব্যয় করা হয় নাই এমন যে কোন পরিমাণ অর্থ জমাদানকারী ব্যক্তিকে ফেরত্ দিতে হইবে৷

ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ''আর্থিক প্রতিষ্ঠান'' অর্থঋণ আদালত আইন, ১৯৯০ (১৯৯০ সনের ৪নং আইন)-এর ২(ক) ধারায় প্রদত্ত সংজ্ঞা মোতাবেক কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান৷

 

ধারা-৩৮০৷ সনদের স্থানীয় পরিধি৷- এইভাগের অধীনে প্রদত্ত সনদ সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে৷

 

ধারা-৩৮১৷ সনদের ফলাফল৷- এই ভাগের বিধানাবলী সাপেক্ষে জেলা জজের সনদ উহাতে উল্লেখিত দেনা এবং সিকিউরিটিস বিষয়ে উক্ত দেনা এবং সিকিউরিটিস বিষয়ে উক্ত দেনা এবং সিকিউরিটিসের দায়বদ্ধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইবে এবং ৩৭০ ধারায় যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন অথবা অন্য কোন ত্রুটি সত্ত্বেও উক্ত দেনা বা সিকিউরিটিস বিষয়ে প্রদত্ত সকল পরিশোধ বা লেনদেন বিষয়ে উক্ত সকল ব্যক্তিকে পূর্ণ অব্যাহতি দান করিবে৷

 

ধারা-৩৮২৷ বৈদেশিক রাষ্ট্রে বাংলাদেশী প্রতিনিধির দ্বারা প্রদত্ত বর্ধিত সনদের ফলাফল৷- যেক্ষেত্রে বিদেশী রাষ্ট্রে প্রেরিত বাংলাদেশের প্রতিনিধির দ্বারা ৮নঙ তফসিলে ফরমে সনদ মঞ্জুর করা হয় অথবা ঐ প্রতিনিধির দ্বারা প্রদত্ত সনদ যেক্ষেত্রে বর্ধন করা হয়, সেক্ষেত্রে সনদটি এই ভাগের অধীন সনদ সম্পর্কে ১৮৭০ সালের কোর্ট ফিস এ্যাক্ট এর বিধানাবলী মোতাবেক স্ট্যাম্পকৃত হইলে এই ভাগের অধীনে প্রদত্ত বা বর্ধিত সনদের ন্যায়, বাংলাদেশে কার্যকর হইবে৷

 

ধারা-৩৮৩৷ সাটিফিকেট বাতিল কর৷- এই ভাগের অধীনে প্রদত্ত সনদ নিম্নলিখিত যে কোন একটি কারণে প্রত্যাহার করা যাইবে, যথা-

(ক) সনদ প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ;

(খ) মিথ্যা প্রস্তাব পেশ করিয়া কিংবা বিষয়টিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আদালতের নিকট লুকাইয়া প্রতারণার মাধ্যমে সনদলাভ করা হইয়াছিল;

(ঘ) অবস্থার কারণে সনদ অপ্রয়োজনীয় এবং কার্যকরহীন হইয়া গিয়াছে;

(ঙ) সনদে বর্ণিত দেনা বা সিকিউরিটি বিষয়ে কোন মামলা বা কার্যধারায় উপযুক্ত আদালতের দ্বারা প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের মাধ্যমে সনদটি প্রত্যাহার করা উচিত এমন হইয়াছে৷

Case Law

Section 383- A person seeking revocation of certificate granted by a competent Court must have some interest, immediate or remote, in the property of the testator. [Arbinda Sarker Vs. Bimalendu Bhowmik and others, 48 DLR (AD) 182].

 

ধারা-৩৮৪৷ আপীল৷ - (১) এই ভাগের বিধানাবলী সাপেক্ষে এই ভাগের অধীনে প্রদান, প্রত্যাখান বা প্রত্যাহার বিষয়ে জেলা জজের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করা যাইবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ উপযুক্ত মনে করিলে কোন ব্যক্তিকে সনদ প্রদান করিতে হইবে এবং উহার জন্য দরখাস্তের ভিত্তিতে বিচারককে সনদ প্রদান করিবার নির্দেশ দিয়া তদনুসারে প্রদত্ত সনদ প্রত্যাহার করিয়া সনদ দিতে পারিবে৷

(২) উপধারা (১)-এর অধীনে আপীল ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধিতে আপীলের ক্ষেত্রে অনুমোদিত সময়ের মধ্যে করিতে হইবে৷

(৩) উপধারা (১) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে এবং হাইকোর্ট বিভাগের নিকট এবং দ্বারা রেফারেন্স এবং রিভিশন এবং ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির রায়ের রিভিউ সম্পর্কে যাহা উক্ত বিধির ১৪১ ধারা প্রয়োগকৃত, জেলা জজের আদেশ চূড়ান্ত হইবে৷

 

ধারা-৩৮৫৷ পূর্ববর্তী প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের ফলাফল৷- এই আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত মৃত ব্যক্তির কোন বিষয় প্রদত্ত সনদ বেআইনী হইবে৷ যদি মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি সম্পর্কে পূর্বে উক্তরূপ কোন সনদ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা হয় এবং উক্ত মঞ্জুর বলবত্ থাকে৷

 

ধারা-৩৮৬৷ অবৈধ সনদের ধারককে সনদ বিশ্বাস কতিপয় পরিশোধের বৈধতা৷- যেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীনে প্রদত্ত সনদ ৩৮৩ ধারার অধীনে প্রত্যাহারের কারণে কিংবা ৩৮৪ ধারার অধীনে আপীলযোগ্য আদেশে উল্লেখিত ব্যক্তিকে প্রদানের কারণে কিংবা পূর্বে মঞ্জুরের কারণে কিংবা অন্য কোন কারণে বাতিল করা হয় বা অবৈধ হয় সেক্ষেত্রে বাতিলকৃ