অধ্যায় - চার
প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের প্রথা সম্পর্কিত
ধারা-২৬৪৷ প্রবেট প্রভৃতি মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারে জেলা জজের এখতিয়ার৷- (১) জেলা জজ তাহার জেলার মধ্যে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের সকল ক্ষেত্রে এখতিয়ার থাকে৷
(২) ৫৭ ধারা প্রযোজ্য হওয়ার ক্ষেত্র ব্যতীত মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে সেক্ষেত্রে কোন আদালত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার উক্ত আদালতকে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তদ্রূপ করিবার ক্ষমতা দান করে।
ধারা-২৬৫৷ বিরোধহীন ক্ষেত্র কারবারে জেলা জজের প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষমতা৷- (১) সুপ্রিম কোর্ট তত্কর্তৃক নির্ধারিত স্থানীয় সীমার মধ্যে জেলা জজের পক্ষে কার্য করিবার জন্য যেমন উপযুক্ত মনে করে কোন জেলার মধ্যে বিরোধহীন ক্ষেত্রে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে প্রতিনিধি হিসাবে তেমন সংখ্যক বিচার বিভাগ ও কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷
(২) উক্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ জেলা প্রতিনিধি নামে অভিহিত হইবে৷
ধারা-২৬৬৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর সম্পর্কে জেলা জজের ক্ষমতা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র এবং তত্ সংক্রান্ত সকল বিষয়াদি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে জেলা জজের আদালতে নিষ্পন্নাধীন কোন দেওয়ানি মামলা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে তাহার উপর আইন বলে যেইরূপ ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে সেইরূপ ক্ষমতা কর্তৃত্ব তাহার থাকিবে৷
ধারা-২৬৭৷ উইল সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি দাখিলে জেলা জজ কোন ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারিবে৷- (১) জেলা জজ উইল সংক্রান্ত বা উইল সংক্রান্ত বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোন পেপার বা লেখা আদালতে দাখিল বা আনার জন্য ঐ ব্যক্তিকে আদেশ করিতে পারিবে৷
(২) যদি প্রমাণ করা না যায় যে, উক্ত কোন পেপার বা লেখা উক্ত ব্যক্তির দখল বা নিয়ন্ত্রণে আছে কিন্তু, উক্ত পেপার বা লেখা সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে আদালতে হাজির হইবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
(৩) উক্ত ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের সত্য জবাব দিতে হইবে এবং আদালত আদেশ করিলে উক্ত পেপার বা লেখা দাখিল করিতে হইবে এবং তিনি কোন মামলার পক্ষ হইলে উক্ত প্রশ্নের জবাব না দিলে বা আদালতে হাজির না হইলে বা উক্ত পেপার লেখা না নিলে দণ্ডবিধির অধীনে যেরূপ শাস্তি ভোগ করিতেন সেরূপ শাস্তি পাইবে৷
(৪) কার্যধারা ব্যয় বিচারকের বিবেচনাপ্রসূত হইবে৷
ধারা-২৬৮৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যধারা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যক্রম অতঃপর অন্য কোনভাবে বর্ণিত ব্যতীত অবস্থার প্রেক্ষিতে যতদূর সম্ভব ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
ধারা-২৬৯৷ কখন এবং কিভাবে সম্পত্তি সংরক্ষণে জেলা জজ হস্তক্ষেপ করিবে৷- (১) মৃত ব্যক্তির উইলের প্রবেট মঞ্জুর না করা পর্যন্ত অথবা তাহার ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপক নিয়োগ না করা পর্যন্ত যে জেলা জজের এখতিয়ারে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ অবস্থিত ঐ জেলা জজ উক্ত সম্পত্তির স্বার্থ দাবীকারী কোন ব্যক্তির উদ্যোগে উহা সংরক্ষণের জন্য হস্তক্ষেপ করার অধিকারী হইবে এবং যেক্ষেত্রে সম্পত্তি কোন ক্ষতি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় বলিয়া জজ মনে করেন, সেই সকল ক্ষেত্রে এবং তিনি উপযুক্ত মনে করিলে তদুদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ এবং দখলে রাখার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷
(২) মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে কিংবা উইলবিহীন অবস্থায় বাংলাদেশী খ্রীস্টানের সম্পত্তির কোন অংশের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না৷
ধারা-২৭০৷ জেলা জজ কখন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে৷- জেলা জজ তাহার আদালতের সীলমোহর কোন মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির ক্ষেত্রে উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তির দরখাস্তের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে উইলকারী বা ক্ষেত্রমত অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময় উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে বসবাসের স্থান বা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন৷
ধারা-২৭১৷ মৃত ব্যক্তির নির্দিষ্ট কোন আবাসস্থল না থাকিলে জেলা জজের নিকটকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তি৷- যখন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে যে জেলায় তাহার নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল ছিলনা, ঐ জেলা জজের নিকট দরখাস্ত করা হয় তখন উক্ত দরখাস্ত জজ তাহার স্ববিবেচনায় প্রত্যাখান করিবে, যদি তাহার রায়ে উক্ত দরখাস্ত আরো সঠিক বা সুবিধাজনকভাবে অন্য কোন জেলায় নিষ্পত্তি করা যায় কিংবা যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে বা তাহার এখতিয়ারের মধ্যে সম্পত্তিতে সীমিতভাবে উহা মঞ্জুর করিবেন৷
ধারা-২৭২৷ প্রতিনিধি প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবেন৷- কোন জেলা প্রতিনিধির নিকট দরখাস্তের ভিত্তিতে যে বিষয়ে কোন বিবাদ নাই ঐ বিষয়ে তত্কর্তৃক প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে সত্যায়িত পিটিশনের মাধ্যমে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, ক্ষেত্রমত উইলকারী অথবা অকৃত উইলকারী উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে তাহার মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
ধারা-২৭৩৷ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের চূড়ান্ততা৷- স্থাবর বা অস্থাবর সকল সম্পত্তি বা ভূ-সম্পত্তিতে বা মৃত ব্যক্তির উপর প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের কার্যকরতা থাকিবে এবং মৃত ব্যক্তির সকল দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব সম্পর্কে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার দখলভুক্ত সম্পত্তি সকল ধারক ব্যক্তিগণ এবং দেনা পরিশোধপূর্বক সকল দেনাদারকে এবং যে ব্যক্তিকে উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা হইয়াছে ঐ ব্যক্তিকে উক্ত সম্পত্তি অর্পনকারী সকল ব্যক্তিগণকে পূর্ণ অব্যাহতি দান করিব:
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে, বা
(খ) জেলা জজের মাধ্যমে, যেখানে মৃত ব্যক্তি তাহার মৃত্যুর সময়ে উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে তাহার নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল এবং জজ এই মর্মে প্রত্যায়ন করেন যে, বাংলাদেশের সীমানার বাইরের সম্পত্তি এবং ভূ-সম্পত্তির মূল্যায়নে ১০,০০০ টাকার অধিক হয় না৷
মঞ্জুরীকৃত প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের মাধ্যমে অন্যভাবে নির্দেশিত না থাকিলে সমগ্র বাংলাদেশে একইভাবে কার্যকর হইবে৷
ধারা-২৭৪৷ ২৭৩ ধারার অনুবিধি অধীনে মঞ্জুরীকৃত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ৷- (১) যেক্ষেত্রে ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত দলসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজ উক্ত মঞ্জুর সম্পর্কে একটি সার্টিফিকেট নিম্নলিখিত আদালতে পাঠাইয়া দিবেন৷ যথা-
(ক) যখন মঞ্জুর হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে হয় তখন প্রত্যেকটি জেলা আদালতে;
(খ) জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইলে হাইকোর্ট বিভাগে৷
(২) উপধারায় (১) উল্লেখিত প্রতিটি সার্টিফিকেট চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত পদ্ধতিতে করিতে হইবে এবং উক্ত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে ফাইল করিতে হইবে৷
ধারা-২৭৫৷ উপযুক্তভাবে কৃত এবং সত্যায়িত হইলে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার দরখাস্তে চূড়ান্ততা৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা দরখাস্ত, যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধিততে করা হয় এবং সত্যায়িত করা হয় প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা মঞ্জুরের ক্ষমতাদানের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ কোন মঞ্জুর শুধুমাত্র এই কারণে অভিশংসিত হইবে না যে, উইলকারী বা অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময়ে জেলার মধ্যে নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল বা সম্পত্তি ছিল না যদি না আদালতে প্রতারণার মাধ্যমে মঞ্জুর প্রত্যাহার করার কার্যধারার মাধ্যমে লাভ করা হয়৷
ধারা- ২৭৬৷ প্রবেটের জন্য পিটিশন৷- (১) সংযুক্ত উইল সহযোগ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত স্পষ্টভাবে লিখিত ভাষায় পিটিশনের মাধ্যমে উইলসহ করিতে হইবে কিংবা ২৩৭, ২৩৮ এবং ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে ঐ দরখাস্তের বিষয়বস্তুর একটি অনুলিপি খসড়া বা বিবৃতি সহযোগ নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবৃত করিতে হইবে-
(ক) উইলকারীর মৃত্যুর সময়;
(খ) সংযুক্ত লেখা যে তাহার সর্বশেষ উইল তাহা;
(গ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্ভাব্য সম্পত্তির পরিমাণ;
এবং
(ঙ) দরখাস্তটি প্রবেট সংক্রান্ত হইলে পিটিশনার যে উইলে উল্লেখিত নির্বাহক৷
(২) উক্ত বিবরণাদি ছাড়াও পিটিশনে আরও উল্লেখ থাকিবে-
(ক) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল, এবং
(খ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
Case Law
Section 276- In our country an application for probate or letters of administration is governed by the old law i.e. the Limitation Act, 1908 and there is no bar of limitation in applying for the grant of probate or letters of administration or revocation thereof. [Mokta Hossain Vs. Budhi Bala Dashi. 48 DLR 2021.
Section 276-In a suit for probate or letters of administration all that the Court is to see is that if the will in question is a genuine one and then the Court is required to see if the testator had disposing mind at the time of execution of the Will. [Moktar Hossain Vs. Budhi Bala Dashi, 48 DLR 2021.
ধারা-২৭৭৷ কোন্ ক্ষেত্রে পিটিশনের সাথে উইলের অনুবাদ সংযুক্ত করিতে হইবে৷ কোর্ট অনুবাদক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা অনুবাদের প্রত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় উইল, খসড়ার অনুলিপি লেখা হয় ঐ ক্ষেত্রে আদালত, যদি ভাষাটি এমন হয় যে উহার জন্য একজন অনুবাদক নিয়োগ করিতে হয় কিংবা যদি উইল অনুলিপি বা খসড়া অন্য ভাষায় হয়, উহা অনুবাদ করিবারযোগ্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবে এবং অনুবাদটি উক্ত ব্যক্তির দ্বারা নিম্নলিখিতভাবে প্রত্যায়িত হইবে৷ যথা-
''আমি (ক, খ) এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি মূল অংশের ভাষা এবং চরিত্র পড়িয়াছি এবং নিখুঁতভাবে বুঝিয়াছি এবং উপরোক্ত অনুবাদ সত্য এবং সঠিক''৷
ধারা-২৭৮৷ ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য পিটিশন৷- (১) ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্ত পূর্বোক্তভাবে স্পষ্টভাবে লিখিত পিটিশনের মাধ্যমে করিতে হইবে এবং দরখাস্তে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ থাকিবে৷
(ক) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এবং স্থান;
(খ) মৃত ব্যক্তির পরিবার এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন এবং তাহাদের নিজ নিজ বাসস্থান;
(গ) পিটিশনের যে অধিকার দাবী করে;
(ঘ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্পত্তির পরিমান;
(ঙ) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল;
(চ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
ধারা-১৭৯৷ কতিপয় ক্ষেত্রে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন প্রভৃতিতে বিবৃতি সংযোজন৷- (১) ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত, কোন আদালতে সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া কোন ভূ-সম্পত্তির উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্তকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার পিটিশনে যথাক্রমে ২৭৬ ও ২৭৮ ধারায় বিষয়াদি ছাড়াও এইরূপ বিবৃতি করিবে যে, তাহার বিশ্বাস মতে সর্বশেষ পূর্বোক্তভাবে উক্ত কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া ঐ উইলের প্রবেট বা ঐ ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য অন্য কোন আদালতে দরখাস্ত করা হয় নাই কিংবা উক্তরূপ কোন দরখাস্ত করা হইলে যে আদালতে উহা করা হইয়াছে যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ উহা করিয়াছে এবং উহাতে কার্যধারাসমূহ (যদি থাকে)৷
(২) ২৭৩ ধারার অনুবিধির অধীনে যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালত উপযুক্ত মনে করিলে দরখাস্তটি বাতিল করিতে হইবে৷
ধারা-২৮০৷ প্রবেট, প্রভৃতির জন্য পিটিশন স্বাক্ষরিত এবং সত্যায়িত হইবে৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন সকল ক্ষেত্রে পিটিশনার এবং তাহার আইনজীবী, যদি থাকে, কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং পিটিশনার কর্তৃক নিম্নলিখিতভাবে সত্যায়িত হইবে৷ যথা-
''আমি (ক, খ), উপরোক্ত পিটিশনের এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, পিটিশনে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা আমার তথ্য এবং বিশ্বাস মতে সত্য৷''
ধারা-২৮১৷ উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা প্রবেটের জন্য পিটিশনের সত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি প্রবেটের জন্য করা হয়, সেক্ষেত্রে পিটিশনটি নিম্নলিখিতভাবে বা মর্মে কমপক্ষে উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা সত্যায়িত হইবে৷
যথা-
''আমি (গ, ঘ), উপরোক্ত পিটিশনে উল্লেখিত সর্বশেষ উইলের একজন সাক্ষী এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি উক্ত উইলকারীকে উইলে তাহার স্বাক্ষর (বা চিহ্ন) উপস্থিত থাকিয়া সংযুক্ত করিতে দেখিয়াছি (বা উক্ত উইলকারী উপরোক্ত পিটিশনে সংযুক্ত লেখা আমার উপস্থিতিতে তাহার সর্বশেষ উইল বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন৷)
ধারা-২৮২৷ পিটিশন বা ঘোষণায় মিথ্যা বর্ননার শাস্তি৷- এতদ্বারা সত্যায়িত করিতে হইবে মর্মে আবশ্যক কোন পিটিশন বা ঘোষণায় যদি এইরূপ কোন বর্ণনা থাকে যাহা প্রত্যায়নকারী ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়া জানে অথবা বিশ্বাস করে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি ১৮৬০ সালের বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৯৩ ধারার অধীনে অপরাধ করিয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
ধারা-২৮৩৷ জেলা জজের ক্ষমতা৷- (১) সকল ক্ষেত্রে জেলা জজ বা জেলা প্রতিনিধি উপযুক্ত মনে করিলে-
(ক) শপথপূর্বক ব্যক্তিগতভাবে পিটিশনারকে জেরা করিতে পারিবে;
(খ) উইলের উপযুক্ত কার্যকর সম্পর্কে বা ক্ষেত্রমত ব্যবস্থাপনাপত্রে পি