উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&

Author Topic: উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (THE SUCCESSION ACT, 1925) (১২৫ সনের ৩৯নং আই&  (Read 29172 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
     

উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫

(THE SUCCESSION ACT, 1925)

(১২৫ সনের ৩৯নং আইন)

[৩০ শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৫]

 

বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইন৷

 

যেহেতু বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহত করা প্রযোজনীয় ও সমীচীন; সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ

 

ভাগ - ১

প্রাথমিক

 

ধারা-১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম৷- এই আইন উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ নামে অভিহিত হইবে৷

ধারা-২৷ সংজ্ঞা৷ - বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে-

(ক) ''প্রশাসক'' অর্থ নির্বাহক না থাকিলে মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত কর্র্তৃপক্ষের দ্বারা নিযোগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে বুঝাইবে;

(খ) ''কডিসিল'' (Codicil) অর্থ উইল সংক্রান্ত কৃত কোন দলিল এবং উহার ব্যাখ্যা, পরিবর্তন, বা সংযোজন এবং উইলের অংশবিশেষ গঠন করে বলিয়া বিবেচিত হইবে;

(খখ) ''জেলা জজ'' অর্থ মূল এক্তিয়ারসম্পন্ন প্রধান আদালতের বিচারক বুঝাইবে৷

(গ) ''নির্বাহক'' অর্থ উইলকারীর নিয়োগ দ্বারা মৃত ব্যক্তির সর্বশেষ উইলের কার্যকরণ করার জন্য বিশ্বাস বলে অর্পিত কোন ব্যক্তি;

(ঘ) ''বাংলাদেশ খৃস্টান'' অর্থ বাংলাদেশের একজন নাগরিক যিনি অবিমিশ্র এশিয়াটিক বংশোদ্ভূত বলিয়া নিজেকে দাবী করেন এবং যিনি খৃস্ট ধর্মের কোন অংশে অনুগত;

(ঙ) ''নাবালক'' অর্থ ১৮৭৫ সনের সাবালকত্ব আইন সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি, যিনি উক্ত আইনের অর্থানুসারে সাবালকত্ব অর্জন করেন নাই, এবং অন্য কোন ব্যক্তি, যাহার বয়স ১৮ বত্সর হয় নাই এবং ''নাবালকত্ব'' অর্থ উক্ত কোন ব্যক্তির মর্যাদা;

(চ) ''প্রবেট'' অর্থ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির পরিচালনা মঞ্জুর সম্পর্কিত উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালতের সীল মোহরে সত্যায়িত উইলের অনুলিপি;

(ছ) ''উইল'' অর্থ উইলকারীর সম্পত্তি বিষয়ে তাহার ইচ্ছার আইনগত ঘোষণা বুঝাইবে, যাহা তিনি তাহার মৃত্যুর পরে কায॔কর হইবে মর্মে ইচ্ছা পোষণ করেন৷

 

ধারা-৩৷ এই আইনের প্রয়োগ হইতে কোন জাতি, গোষ্ঠী বা উপজাতিকে অব্যাহতি দানে সরকারের ক্ষমতা৷- (১) সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ১৮৬৫ সনের ১৬ই মার্চ হইতে ভূতাপেক্ষভাবে কিংবা ভবিষ্যত্ হইতে এই আইনের নিম্নলিখিত কোন বিধানাবলীর কার্যকরতা হইতে অর্থাত্ ৫ ধারা থেকে ৪৯ ধারা পর্যন্ত, ৫৮ ধারা থেকে ১৯১ ধারা পর্যন্ত, ২১২, ২১৩ ধারা এবং ২১৫ ধারা থেকে ৩৬৯ ধারা পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী, সম্প্রদায় বা উপজাতিকে কিংবা উহার কোন অংশকে, অব্যাহতি দিতে পারিবে যাহার ক্ষেত্রে সরকার উক্ত বিধানাবলী বা আদেশে উল্লেখিত কোন একটি প্রযোজ্য হওয়া অসম্ভব বা অসমীচীন বলিয়া বিবেচনা করে৷

(২) একইরূপে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার উক্ত কোন আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবে, কিন্তু এমনভাবে নয় যে যাহাতে উক্ত প্রত্যাহারের কোন ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা থাকে৷

(৩) এই ধারায় উল্লিখিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে ''অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ'' হিসাবে উল্লেখিত৷

 

ভাগ - ২

স্থায়ী নিবাস সম্পর্কিত

ধারা ৪৷ এই অধ্যায়ের প্রয়োগ৷- মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ বা জৈন হইলে এই অধ্যায় প্রযুক্ত হইবে না৷

ধারা ৫৷ মৃত ব্যক্তির যথাক্রমে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রণকারী আইন৷-(১) মৃত্যুর সময়ে যেখানেই স্থায়ী নিবাস (domicile) থাকুক না কেন মৃত ব্যক্তির বাংলাদেশে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷ (২) মৃত্যুর সময় যে দেশে স্থায়ী নিবাস থাকিবে মৃত ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ঐ দেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস থাকাকালে 'ক' ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডে অস্থাবর সম্পত্তি এবং বাংলাদেশে স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি রাখিয়া ফ্রান্সে মারা গেল৷ এক্ষেত্রে সমস্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

(আ) 'ক' একজন ইংরেজ ব্যক্তি৷ ফ্রান্সে স্থায়ী নিবাস থাকাকালে বাংলাদেশে তাহার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া বাংলাদেশে মারা গেল৷ অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়টি ফ্রান্সে বসবাসরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী একজন ইংরেজ ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ফ্রান্সে প্রচলিত যে বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, উক্ত বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে, এবং স্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷

 

আলোচনা

এই ধারার প্রথম অংশে বলা হয়েছে যে, মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তির স্থায়ী আবাসভূমি বাংলাদেশ বা অন্য দেশে যেখানেই থাকুক না কেন বাংলাদেশে অবস্থিত তার স্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হবে৷

দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তির যেদেশে স্থায়ী আবাস থাকবে অস্থাবর সম্পত্তিতে তার উত্তরাধিকার ঐ দেশের আইন অনুযায়ী হবে৷

ধারা-৬৷ শুধুমাত্র একটা স্থায়ী আবাস অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার প্রভাবিত করে৷ - অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তির কেবলমাত্র একটি স্থায়ী আবাস থাকিতে পারিবে৷

 

আলোচনা

এই ধারাটি মূলতঃ Somerville Vs. Somerville (5 Ves. 750) মামলার ভিত্তিতে এই আইনে স্থান পেয়েছে৷ কোন উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তির একাধিক স্থায়ী আবাস থাকতে পারে কিন্তু অস্থাবর সস্পত্তিতে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে তার একটিমাত্র স্থায়ী আবাস থাকতে পারবে৷

 

ধারা-৭৷ বৈধভাবে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির উত্ পত্তি স্থায়ী আবাস৷- বৈধভাবে জন্ম গ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তির উত্ পত্তি স্থায়ী সম্পর্কে আবাস তাহার জন্মের সময় তাহার পিতা যে দেশে স্থায়ীভাবে বাস করিতেন কিংবা উক্ত ব্যক্তি মরণোত্তর জাত সন্তান হইলে পিতার মৃত্যুর সময় পিতা যে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করিতেন ঐ দেশে হইবে৷

 

উদাহরণ

'ক' এর জন্মের সময় তার পিতার স্থায়ী আবাস ছিল ইংল্যান্ডে৷ অতএব, ক যে দেশেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন তাহার মূল আবাস হবে ইংল্যান্ডে৷

 

আলোচনা

মূল স্থায়ী আবাস বা জন্মসূত্রে স্থায়ী নিবাসঃ Udmy vs Udmy (1 HL Sc 111) মামলায় Lord Westburn বলেছেন, এটা স্বীকৃত নীতি যে, স্থায়ী নিবাস ব্যতীত কোন মানুষ থাকতে পারে না এবং বৈধ জন্মের ক্ষেত্রে জন্মমাত্রই প্রত্যেকটি শিশু তার পিতার এবং অবৈধ জন্মের ক্ষেত্রে প্রতিটি শিশু তার মাতার স্থায়ী নিবাস পেয়ে থাকে৷ মরণোত্তর জাত সন্তানের বেলায় পিতার মৃত্যুর সময় পিতা যে দেশে স্থায়ী নিবাস৷ এটাকেই বলে জন্মসূত্রে স্থায়ী নিবাস বা মূল স্থায়ী নিবাস৷

 

ধারা ৮৷ অবৈধ সন্তানের মূল স্থায়ী নিবাস৷- অবৈধ সন্তানের জন্মের সময় তাহার মাতা যে দেশে স্থায়ীভাবে নিবাসিত ছিলেন, ঐ দেশই হইবে তাহার মূল স্থায়ী নিবাস৷

ধারা ৯৷ মূলস্থায়ী নিবাসের স্থায়িত্ব (Continuance)৷- নতুন কোনো স্থায়ী নিবাস অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত মূল স্থায়ী নিবাস বিদ্যমান থাকে৷

ধারা ১০৷ নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷- মূলস্থায়ী নিবাস নয় এমন কোন দেশে স্থায়ী আবাস (fixed habitation) দলিলের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নতুন স্থায়ী আবাস অর্জন করিতে পারিবে৷

ব্যাখ্যা- বাংলাদেশে বেসামরিক, সামরিক, নৌ কিংবা বিমান বাহিনীতে চাকুরী অথবা কোন পেশা বা জীবিকা (calling) নির্বাহ করিবার সুবাদে শুধুমাত্র বাংলাদেশে বসবাস করিবার কারণে কোনো ব্যক্তি এই দেশে স্থায়ী আবাস দখল করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে না৷

উদাহরণ

(অ) ক-এর স্থায়ী নিবাস ইংল্যান্ডে; তিনি বাংলাদেশে আসিয়া তাহার বাকী জীবনকাল এখানেই বসবাস করিয়া কাটিয়ে দিবার ইচ্ছা পোষণ করিয়া ব্যারিস্টার বা ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন৷ তাঁহার বর্তমান স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশে হইবে৷

(আ) ইংল্যান্ডের স্থায়ী নিবাসী 'ক' অস্ট্রেলিয়া যান এবং অস্ট্রেলীয় একটি চাকুরীতে যোগদান করেন এবং ঐ চাকুরীতে বহাল থাকিবার ইচ্ছা পোষণ করেন৷ 'ক' অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়াছেন৷

(ই) ফ্রান্সে স্থায়ী নিবাসী 'ক' বাংলাদেশ সরকারের সহিত কয়েক বত্সরের চুক্তির অধীনে এই দেশে বসবাস করিবার জন্য আসেন৷ তিনি উক্ত সময় শেষে ফ্রান্সে ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা পোষন করেন৷ তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করেন নাই৷

(ঈ) ক-এর স্থায়ী নিবাস ইংল্যান্ডে; তিনি বিলুপ্ত অংশীদারিত্বের বিষয়াবলী অবসায়নের উদ্দেশ্যে বসবাস করিতে বাংলাদেশে যান, এবং উক্ত উদ্দেশ্য পূরণ হওয়া মাত্র ইংল্যান্ডে ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা পোষণ করেন৷ তাঁহার বসবাসের মেয়াদ যত দীর্ঘই হোক না কেন এইরূপ বসবাসের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিবেন না৷

(উ) পূর্বোক্ত সর্বশেষ উদাহরণে উল্লেখিত পরিস্থিতিতে 'ক' বাংলাদেশে বসবাস করিতে গিয়া পরবর্তীতে তাঁহার ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটান এবং বাংলাদেশে স্থায়ী আবাস গড়িয়া তোলেন৷ 'ক' বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়াছেন৷

(ঊ) চন্দরনগর ফরাসী বসতিতে স্থায়ী নিবাসী৷ ক' রাজনৈতিক কারণে ঢাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন সংঘটিত হইলে তিনি চন্দরনগরে ফিরিতে পারিবেন এই আশায় অনেক বত্সর ঢাকাতে বসবাস করেন৷ এইরূপ বাস করিবার কারণে তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করেন নাই৷

(ঋ) পূর্বোক্ত সর্বশেষ উদাহরণে বর্ণিত পরিস্থিতি ঢাকায় আসিয়া বসবাস করিবার এক পর্যায়ে চন্দরনগরে নিরাপদে ফেরার উক্ত রাজনৈতিক পরিবর্তন সংঘটিত হইবার পরে 'ক' অব্যাহতভাবে ঢাকায় বসবাস করিতে থাকে এবং ঢাকাতে তাহার স্থায়ী আবাস হইবে এইরূপ ইচ্ছা পোষণ করেন৷ 'ক' বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ (অর্জন) করিয়াছেন৷

 

আলোচনা

কিভাবে নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন (গ্রহণ) করা যায় সে সম্পর্কে এই ধারায় আলোচনা করা হয়েছে৷ মূল স্থায়ী নিবাস নয় এমন যে কোন দেশে স্থায়ী আবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার নতুন স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করতে পারে৷ তবে এই ধারাটি এ্যাংলো- ইন্ডিয়ান হিসেবে পরিচিত জাতি এবং স্থায়ীভাবে এখানে বসবাসকৃত জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না [PLD 1958 (Lah.) 699]৷

 

ধারা-১১৷বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণের বিশেষ পদ্ধতি৷- বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণের ইচ্ছা সম্বলিত স্বহস্তে লিখিত ঘোষণাপত্র তৈরী এবং সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত বাংলাদেশের কোন অফিসে উহা দাখিল পূর্বক যে কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করিতে পারিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ঘোষণাদানের অব্যবহিত এক বত্সর পূর্ব পর্যন্ত তাহাকে বাংলাদেশে বসবাস করিতে হইবে৷

 

ধারা-১২৷ বিদেশী সরকারের প্রতিনিধি বা তাহার পরিবারের অংশ হিসাবে আবাসের মাধ্যমে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করা যাইবে না৷ - কোন দেশের সরকার কর্তৃক উহার রাষ্ট্রদূত, কনসাল বা অন্যকোন প্রতিনিধি হিসাবে অন্যকোনো দেশে নিয়োগকৃত কোনো ব্যক্তি তাঁহার নিয়োগের সুবাদে শুধুমাত্র ঐ অন্যদেশে বসবাস করিবার কারণে সেখানে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করেন না কিংবা এইরূপ প্রথমোল্লিখিত ব্যক্তির পরিবারের অংশ বা চাকর হিসাবে তাঁহার সহিত শুধুমাত্র বসবাসের কারণে অন্যকোন ব্যক্তি এইরূপ কোন স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করেন না৷

 

ধারা-১৩৷ নতুন স্থায়ী নিবাসের স্থায়িত্ব৷- পূর্বের স্থায়ী নিবাস পুনরায় গ্রহণ অথবা অন্য একটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নতুন স্থায়ী নিবাস অব্যাহত থাকিবে৷

 

ধারা-১৪৷ নাবালকের স্থায়ী নিবাস৷ - নাবালকের স্থায়ী নিবাস পিতামাতার স্থায়ী নিবাস অনুসরণ করিবে, যাহাদের নিকট হইতে সে মূল স্থায়ী নিবাস পাইয়াছে৷

 

ব্যতিক্রম- নাবালক বিবাহিত হইলে, কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদ ধারণ করিলে অথবা নিয়োজিত থাকিলে কিংবা পিতামাতার সম্মতিতে পৃথক কোন ব্যবসা শুরু করিলে তাহার স্থায়ী নিবাস তাহার পিতামাতার স্থায়ী নিবাসের সহিত পরবর্তিত হইবে না৷

 

ধারা-১৫৷ বিবাহের ফলে মহিলা কর্তৃক অর্জিত স্থায়ী নিবাস৷- বিবাহের মাধ্যমে একজন মহিলা তাহার স্বামীর স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়া থাকেন, যদি পূর্বে তাহার (মহিলার) ঐ একই স্থায়ী নিবাস না থাকে৷

 

ধারা-১৬৷ বিবাহ চলাকালে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস৷- বিবাহকালীন সময়ে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস তাহার স্বামীর স্থায়ী অনুসরণ করিবে৷

 

ব্যতিক্রম- কোন উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পৃথক হইয়া গেলে, কিংবা স্বামীকে দীপান্তরে পাঠানো হইলে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস আর স্বামীর স্থায়ী নিবাসকে অনুসরণ করিবে না৷

 

ধারা-১৭৷ নাবালকের নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷ - এই ভাগে ইতিপূর্বে অন্যভাবে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত, একজন ব্যক্তি তাহার নাবালকত্ব চলাকালে নতুন কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারে না৷

 

ধারা-১৮৷ পাগলের নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷- অন্যকোন ব্যক্তির স্থায়ী নিবাস অনুসরণকারী কোন স্থায়ী নিবাস ব্যতীত অন্যকোন ভাবে একজন বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তি নতুন কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারেন না৷

 

ধারা-১৯৷ অন্য কোথাও স্থায়ী নিবাস প্রমাণের অবর্তমানের বাংলাদেশে অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার৷- অন্য কোথাও কোন স্থায়ী নিবাসের প্রমাণের অবর্তমানে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া মারা যায়, তাহা হইলে ঐ সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়স্ত্রিত হইবে৷

 

ভাগ-৩

বিবাহ

ধারা-২০৷ বিবাহ দ্বারা স্বার্থও ও অধিকার অর্জিত হইবে না কিংবা নষ্ট হইবে না৷ -(১) কোন ব্যক্তি তিনি যাহাকে বিবাহ করিয়াছেন ঐরূপ বিবাহ দ্বারা তাহার সম্পত্তিতে কোন অর্জন করিবেন না, কিংবা তিনি অবিবাহিত হইলে করিতে পারিতেন এইরূপ কোন কার্য তাহার নিজস্ব সম্পত্তি সম্পর্কে করিতে অক্ষম হইবে না৷

(২) এই ধারা-

(ক) ১লা জানুয়ারী-১৮৬৬ইং তারিখের পূর্বে চুক্তিভুক্ত কোন বিবাহের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে না;

(খ) বিবাহের সময় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন ধর্মের প্রতি আনুõ

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-৫

অকৃত উইল সম্পর্কিত উত্তরাধিকার

অধ্যায় - এক

প্রাথমিক

 

ধারা-২৯৷ এই ভাগের প্রয়োগ৷- (১) এইভাগ ১লা জানুয়ারী ১৮৬৬ সালের পূর্বে ঘটমান কোন উইলবিহীন অবস্থা অথবা কোন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈনের সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে না৷

(২) উপ-ধারা (১) অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত, এই ভাগের বিধানাবলী সকল উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন সৃষ্টি করিবে৷

ধারা ৩০৷ মৃত ব্যক্তি কোন সম্পত্তি উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া মারা গিয়াছে সম্পর্কে৷- কোন ব্যক্তি কার্যকর হইতে সক্ষম উইল সম্পর্কিত বিলিব্যবস্থা করেন নাই এইরূপ সকল সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন (অকৃত উইল) অবস্থায় মারা গিয়াছেন বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) 'ক' কোন উইল না করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সমস্ত সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷

(আ) 'ক' উইল করিয়া এবং 'খ' কে তাহার নির্বাহক নিয়োগ করিয়া মারা যান, কিন্তু উইলে আর অন্যকোন বিধান নাই৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷

(ই) 'ক' বেআইনী উদ্দেশ্যে সমস্ত সম্পত্তি উইল করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷

(ঈ) 'ক' খ কে ১০০০ এবং 'গ' এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা উইল করিয়া দেন এবং উইলমূলে আর কোন কিছু প্রদান করেন নাই এবং ২০০০ টাকা রাখিয়া এবং অন্য কোন সম্পত্তি নয়, মারা যান৷ 'গ' কোন পুত্র না রাখিয়া ক-এর পূর্বে মারা গেলেন৷ ক ১০০০ টাকার বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলেন৷

 

অধ্যায় - দুই

পার্সি ব্যতীত অকৃত উইলের ক্ষেত্রে বিধিমালা

 

ধারা-৩১৷ পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবে না৷- পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের কোন কিছুই প্রযুক্ত হইবে না৷

 

ধারা-৩২৷ এইরূপ সম্পত্তি বর্তানো৷- অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি তাহার স্ত্রী বা স্বামী কিংবা ক্রমানুসারে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়গণের উপর এবং এই অধ্যায়ে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুসারে বর্তাইবে৷

ব্যাখ্যা- একজন বিধবা, তাহার বিবাহের পূর্বে সম্পাদিত বৈধ চুক্তির দ্বারা তাহাকে তাহার স্বামীর ভূ-সম্পত্তিতে তাহার বণ্টনমূলক অংশ হইতে বাদ দেওয়া হইলে, তাহার জন্য এতদ্বারা প্রণীত বিধানে অধিকারী হইবে না৷

 

ধারা-৩৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী এবং সরাসরি (বা প্রত্যক্ষ) বংশধর, বা শুধুমাত্র বিধবা স্ত্রী ও জ্ঞাতি বা বিধবা স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি নয়, রাখিয়া গিয়াছেন৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন-

(ক) যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধরও রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর উল্লেখিত বিধি অনুসারে তাঁহার এক তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার বিধবা স্ত্রী এবং অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার সরাসরি বংশধরগণ;

(খ) ৩৩ক ধারায় যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত, যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধর না রাখিয়া কিন্তু তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণকে রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তাঁহার সম্পত্তির অর্ধাংশ পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী এবং অন্য অংশ পাইবে ক্রমানুযায়ী তাহার জ্ঞাতিগণ;

(গ) যদি তিনি তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকে রাখিয়া না যান, তাহলে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷

 

ধারা-৩৩ক৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন এবং কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই সেক্ষেত্রে বিশেষ বিধান৷- (১) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন, কিন্তু কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই এবং তাহার সম্পত্তি প্রকৃত মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক নয়, সেক্ষেত্রে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷

(২) যেক্ষেত্রে সমুদয় সম্পত্তির মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক হয়, সেক্ষেত্রে বিধবা স্ত্রী উহা হইতে ৫,০০০/= টাকা পাইবেন এবং অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে বাত্সরিক ৪% হারে সুদ সহ উক্তরূপ ৫,০০০/= টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ঐ সমুদয় সম্পত্তির উপর তাহার (বিধবার) চার্জ থাকিবে৷

(৩) অত্র ধারায় বিধবার জন্য প্রণীত বিধান তাহার পূর্বোক্ত সুদসহ উক্ত ৫,০০০/= টাকা পরিশোধের পরে বিদ্যমান উক্ত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশে তাহার (বিধবার) স্বার্থের অতিরিক্ত স্বরূপ এবং উক্তরূপ অবশিষ্টাংশ ৩৩ ধারার বিধান অনুযায়ী এমনভাবে বণ্টন করিয়া দিতে হইবে যেন উহা উক্ত প্রকৃত উইলকারীর সম্পত্তির সমুদয় অংশ৷

(৪) সম্পত্তির মোট মূল্য হইতে অকৃত উইলকারীর সকল দেনা এবং সত্কারে ব্যায়িত সকল অর্থ, এবং সম্পত্তির অন্যান্য সমস্ত দায় এবং চার্জ বাদ দিয়া সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করিতে হইবে৷

(৫) অত্র দ্বারা প্রযোজ্য হইবে না-

(ক) নিম্নের কোন ব্যক্তির সম্পত্তির ক্ষেত্রে-

    (অ) বাংলাদেশী কোন খৃস্টান,

    (আ) বাংলাদেশী খৃস্টান অথবা মৃত্যুকালে বাংলাদেশী খৃস্টান ছিল এইরূপ কোন পুরুষের কোন সন্তান বা নাতি-নাতনী; বা

    (ই) অত্র আইনের বিধানাবলী দ্বারা, বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২ সালের ২৪ ধারার অধীন, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রিত এইরূপ হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি;

(খ) সমুদয় সম্পত্তি সম্পর্কে মৃত ব্যক্তি উইলহীন অবস্থায় মারা না গেলে৷

 

ধারা-৩৪৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা কোন স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি রাখিয়া যান নাই৷- যেক্ষেত্রে অকৃত-উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে অতঃপর বর্ণিত বিধি অনুসারে তাহার সম্পত্তি পাইবে তাহার সরাসরি বংশধরগণ অথবা সরাসরি বংশধর নয় তাহার এমন জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণ; এবং তিনি তাহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকেও না রাখিয়া গেলে উক্ত সম্পত্তির অধিকারী হইবে সরকার৷

 

ধারা-৩৫৷ বিপত্নীকের অধিকার৷- স্বামী রাখিয়া স্ত্রী মারা গেলে, স্বামী উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কে একজন বিধবা স্ত্রীর যেমন অধিকার থাকে, সে (স্ত্রী) উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কেও তাঁহার (স্বামীর) একইরূপ অধিকার থাকিবে৷

 

সরাসরি বংশধর থাকিলে বণ্টন

ধারা-৩৬৷ বণ্টন বিধি৷- (বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গেলে বিধবার অংশ বাদ দেওয়ার পর) সরাসরি বংশধরদের মধ্যে অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বণ্টন বিধি ৩৭ থেকে ৪০ ধারায় বর্ণিত বিধির অনুরূপ হইবে৷

 

ধারা-৩৭৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র একটি সন্তান বা একাধিক সন্তান রাখিয়া যান৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী তাহার এক বা একাধিক সন্তান ছাড়া মৃত কোন সন্তানের মাধ্যমে কোন দূরবর্তী সরাসরি বংশধর না রাখিয়া যান, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি কেবলমাত্র একটি সন্তান থাকিলে ঐ জীবিত সন্তান অথবা তাহার সকল জীবিত সন্তানের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করিয়া দিতে হইবে৷

 

ধারা-৩৮৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী এক বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন পৌত্র/পৌত্রী বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া জীবিত কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই এবং মৃত পৌত্র/পৌত্রীর মাধ্যমে দূরবর্তী কোন বংশধরও রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে সম্পত্তি পাইবে তাহার জীবিত পৌত্র/পৌত্রী যদি কেবলমাত্র একজন থাকে, অথবা তাহার সকল জীবিত পৌত্র-পৌত্রীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হইয়া যাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) জন, মেরী এবং হেনরী নামে 'ক' এর তিন সন্তান ছাড়া অন্য কেউ নেই৷ তাহারা সকলে পিতার মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন৷ জন দুইটি, মেরী তিনটি এবং হেনরী চারটি সন্তান রাখিয়া যান৷ পরে ক মৃত পৌত্র/পৌত্রীর কোন বংশধর না রাখিয়া কেবলমাত্র ঐ নয়জন পৌত্র/পৌত্রী রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা যান৷ তাঁহার প্রত্যেক পৌত্র/পৌত্রী এক নবমাংশ করিয়া পাইবে৷

(আ) কিন্তু হেনরী যদি কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যাইতেন, তাহা হইলে সমুদয় সম্পত্তি অকৃত উইলকারীর পাঁচ পৌত্র-পৌত্রী অর্থাত্ জন ও মেরীর সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হয়ে যেত৷

ধারা-৩৯৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র প্রপৌত্র-পৌত্রী বা দূরবর্তী সরাসরি বংশধর রাখিয়া গিয়াছেন৷- একইভাবে সম্পত্তি পাইবে দাগ অনুসারে অকৃত উইলকারীর নিকটতম জীবিত সরাসরি বংশধরগণ, যেক্ষেত্রে তাহারা সকলে ধাপ অনুসারে তাহার প্রপৌত্র. পৌত্রী অথবা ধাপ অনুসারে সকলে আরো দূরবর্তী৷

 

ধারা-৪০৷ যে ক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে নয় এবং যাহাদের মাধ্যমে দূরবর্তী বংশধর মৃত৷ - (১) যদি অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে অবস্থান করেন না এবং যে সকল ব্যক্তির বরাবরে তাহার নিকট হইতে আরো দূরবর্তী বংশধরগণ মৃত সেক্ষেত্রে উইলকারীর সরাসরি বংশধরের সংখ্যার অনুরূপ সমান ভাগে সম্পত্তি বণ্টিত হইবে, যাহারা তাহার মৃত্যুতে তাহার নিকটতম জ্ঞাতি ধাপে অবস্থান করতো অথবা তাহার উত্তরজীবি হিসাবে সরাসরি বংশধর রাখিয়া তাহার পূর্বে তাহার অনুরূপ ধাপের বংশধরগণ মারা যায়৷

(২) উইলকারীর মৃত্যুতে তাহার জ্ঞাতির নিকটতম ধাপে অবস্থানকারী সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের মধ্যে উক্ত ভাগের অংশ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের সম্পর্কে উক্ত ভাগ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধর প্রত্যেকের সম্পর্কে বণ্টিত ভাগ তাহার উত্তরজীবি সন্তান বা সন্তানগণ বা অধিক দূরবর্তী সরাসরি বংশধরগণের দখলভুক্ত হইবে৷ যাহারা সর্বদা অকৃত উইলকারী উত্তরজীবি হিসাবে তাহার পিতামাতা যে অংশ পাইত ঐ অংশ গ্রহণ করেন৷

 

উদাহরণ

(অ) ক- এর জন, মেরী এবং হেনরী নামে তিন সন্তান ছিল৷ জন চার সন্তান, এবং মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যায়, এবং হেনরী পিতার উত্তরজীবি থাকেন৷ উইলবিহীন অবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ হেনরী এক-তৃতীয়াংশ জনের ৪ সন্তান এবং অবশিষ্ট তৃতীয়াংশ মেরীর এক সন্তান পায়৷

(আ) ক- কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই, কিন্তু আটজন নাতি-নাতনী এবং মৃত নাতি-নাতনীর দুই সন্তান রাখিয়া যান৷ সম্পত্তি নয় অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ প্রত্যেক নাতি-নাতনী এবং অবশিষ্ট এক নবমাংশ দুই প্রনাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷

(ই) ক-এর তিন সন্তান আছে, জন, মেরী এবং হেনরী৷ জন চার সন্তান, এবং জনের এক সন্তান দুই সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ 'ক' পরবর্তীতে উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায়৷ তাহার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হেনরী, এক-তৃতীয়াংশ মেরীর সন্তান এবং এক-তৃতীয়াংশ চার অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ জনের তিন উত্তরজীবি সন্তানের প্রত্যেকের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং অবশিষ্টাংশ জনের দুই নাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷

(ঈ) ক-এর দুই জন সন্তান আছে, জন এবং মেরী৷ জন তাহার গর্ভবতী স্ত্রী রাখিয়া পিতার পূর্বে মারা যান৷ তারপর ক মেরীকে রাখিয়া মারা যায় এবং যথাসময়ে জনের সন্তান জন্মায়৷ ক-এর সম্পত্তি মেরী এবং মরণোত্তর সন্তানের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হয়৷

 

সরাসরি বংশধর না থাকিলে বণ্টননীতি

ধারা-৪১৷ অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া না গেলে বণ্টননীতি৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি ধারা ৪২ হইবে ৪৮ অনুযায়ী বণ্টনের বিধিসমূহ (একজন বিধবা স্ত্রী থাকিলে তাহার অংশ বাদ দেওয়ার পর)

ধারা-৪২৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত৷- যদি অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত থাকেন, তাহা হইলে তিনি সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷

ধারা-৪৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত, কিন্তু তাহার মাতা, ভাই এবং বোন জীবিত৷ - অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত এবং ভাই বা বোনও জীবিত এবং মৃত ভাই বা বোনের কোন সন্তান জীবিত না থাকে সেক্ষেত্রে মাতা এবং জীবিত প্রত্যেক ভাই বা বোন সমান অংশে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷

 

উদাহরণ

ক- তাহার মাতা সহোদর দুই ভাই জন ও হেনরী এবং এক বোন মেরী, যে মায়ের কন্যা, কিন্তু পিতার নয়, রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেল৷ মাতা এক-চতুর্থ অংশ এবং বৈপিত্রেয় বোন মেরী পাবে এক চতুর্থ অংশ৷

 

ধারা-৪৪৷ অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত থাকেন, এবং কোন ভাই বা বোন এবং কোন ভাইয়ের বা বোনের সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, যিনি বা যাহার উক্ত অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যেতে পারতেন, জীবিত থাকে, তাহলে মাতা এবং প্রত্যেক জীবিত ভাই বা বোন, এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বা বোনের জীবিত সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, এমনভাবে সম্পত্তিতে সমান অংশ পাইবে যেন উক্ত অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে এইরূপ সন্তান-সন্ততি (একাধিক হইলে)'র নিজ নিজ পিতা-মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করছেন৷

 

উদাহরণ

ক উইল না করে তার মাতা, তার দুই ভ্রাতা জন ও হেনরী এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত বৈমাতৃয় ভাই জজের দুই সন্তান রেখে মারা যান৷ মাতা এক পঞ্চমাংশ, মেরীর সন্তান এক পঞ্চমাংশ, জন ও হেনরী প্রত্যেকে এক পঞ্চমাংশ এবং অবশিষ্ট এক পঞ্চমাংশ জজের দুই সন্তানের মধ্যে বণ্টিত হবে৷

 

ধারা-৪৫৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত এবং তাহার মাতা এবং এক ভাই বা বোন কোন মৃতের ভাই বা বোনের সন্তানগণ জীবিত৷- অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু মাতা জীবিত থাকেন এবং ভাই ও বোন সকলে মৃত হন, কিন্তু অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহাদের সকল বা একজন সন্তান জীবিত থাকে, তাহা হইলে মাতা এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বোনের সন্তান বা সন্তানগণ সম্পত্তিতে এমনভাবে সমান অংশ পাইবে যেন অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় উক্তরূপ সন্তানদের (একাধিক হইলে) নিজ নিজ পিতা মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা (সন্তানরা) কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করিতেছে৷

 

উদাহরণ

ক- একজন অকৃত উইলকারী৷ তিনি তাহার মাতা এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত ভাই জর্জের দুই সন্তান ছাড়া কোন ভাই কিংবা বোন রাখিয়া যান নাই৷ মাতা এক-তৃতীয়াংশ, মেরীর সন্তান এ

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-তিন

পারসী অকৃত উইলকারীর জন্য বিশেষ বিধি

ধারা-৫০৷ উইলবিহীন উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সাধারণ নীতি-পারসীদের মধ্যে উইলবিহীন উত্তরাধিকারের উদ্দেশ্যে-

(ক) মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় বাস্তবিকভাবে জন্মগ্রহণকারী এবং তাহার মৃত্যুর সময়ে কেবলমাত্র গর্ভে আসা কিন্তু পরবর্তীতে জীবিত অবস্থায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির মধ্যে কোন পার্থক্য থাকিবে না;

(খ) অকৃত উইলকারীর সরাসরি বংশধর কোন ব্যক্তি যে ব্যক্তি কোন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক না রাখিয়া অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা গিয়াছেন কিংবা কোন সরাসরি বংশধর কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বিভাজন পদ্ধতি নির্ণয়ে বিবেচিত হইবে না; এবং

যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহার কোন অত্মীয়ের বিধবা স্ত্রী পুনরায় বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে ঐ মহিলা অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি কোন অংশ পাইবে না এবং অকৃত উইলকারীর মৃত্যুতে তাহার অস্তিত্ব ছিল না বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

ধারা-৫১৷ পুরুষ অকৃত উইলকারীর স্ত্রী তাহার বিধবা স্ত্রী, সন্তান এবং পিতামাতার মধ্যে বিভাজন সম্পর্কে৷ -(১) উপ-ধারা (২)-এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, একজন পুরুষ পারসীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি ভাগ হইবে-

(ক) যেক্ষেত্রে সে একজন বিধবা স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তান এবং বিধবার অংশ প্রত্যেক কন্যার অংশের দ্বিগুণ পরিমাণে তাহার বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানরা পাইবে; বা

(খ) যেক্ষেত্রে সে ছেলেমেয়ে রাখিয়া মারা যান কিন্তু কোন বিধবা স্ত্রী থাকে না, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক পুত্রের অংশ প্রত্যেক কন্যার অংশের দ্বিগুণ পরিমাণে সন্তানদের মধ্যে ভাগ হইবে৷

(২) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সন্তান অথবা বিধবা স্ত্রী এবং সন্তান ছাড়াও পিতামাতার একজন অথবা উভয়কে রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে পিতা এক পুত্রের অর্ধেকের সমান অংশ এবং মাতা এক কন্যার অর্ধেকের সমান অংশ পাইবে৷

 

ধারা-৫২৷ বিপত্নীক স্বামী এবং সন্তানের মধ্যে একজন মহিলা অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি বিভাজন৷ -একজন মহিলা পারসীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি বণ্টিত হইবে-

(ক) যেক্ষেত্রে সে স্বামী এবং সন্তান রাখিয়া মারা যায়, সেক্ষেত্রে বিপত্নীক স্বামী এবং সন্তানদের মধ্যে যাহাতে বিপত্নীক স্বামী এবং প্রত্যেক সন্তান সমান অংশ পায়; বা

(খ) যেক্ষেত্রে সে সন্তান রাখিয়া, কিন্তু স্বামী নয়, মারা যায়, সেক্ষেত্রে সমান অংশে সন্তানদের মধ্যে৷

 

ধারা-৫৩৷ সরাসরি বংশধর রাখিয়া যাওয়া অকৃত উইলকারীর পূর্বমৃত সন্তানের অংশের ভাগ৷- যে সকল ক্ষেত্রে একজন পারসী ব্যক্তি সরাসরি বংশধর রাখিয়া মারা যায় এবং তাহার জীবদ্দশায় তাহার কোন সন্তান মারা যায়, সেক্ষেত্রে উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া তাহার সম্পত্তি অংশ, যাহা তাহার ঐরূপ পুত্র তাহার মৃত্যুর সময় জীবিত থাকলে পাইত, নিম্নলিখিত বিধি মোতাবেক বণ্টিত হইবে, যথাঃ-

(ক) যদি ঐরূপ মৃত সন্তান পুত্র হইত, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী এবং সন্তান এই অধ্যায়ের বিধানাবলী মোতাবেক এমনভাবে অংশ পাইবে যেন অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে সে (ঐরূপ সন্তান) মারা গিয়াছেঃ তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ঐরূপ মৃত সন্তান একজন বিধবা স্ত্রী কিংবা সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন কিন্তু কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যায় নাই, সেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তিতে উক্তরূপ বণ্টনের পর তাহার ভাগের অবশিষ্টাংশ এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অনুযায়ী ভাগ হইবে, এবং উক্তরূপ অবশিষ্টাংশ বণ্টনের বেলায় অকৃত উইলকারীর উক্ত মৃত সন্তান বিবেচিত হইবে না৷

(খ) যদি উক্ত মৃত সন্তান কন্যা হ্ইত, তাহা হ্ইলে তাহার অংশ তাহার সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হইবে৷

(গ) যদি উক্ত সন্তানের কোন সন্তান অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়, তাহা হ্ইলে অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকিলে তাহার প্রাপ্য অংশ ক্ষেত্রমত দফা (ক) বা দফা (খ) অনুযায়ী একইভাবে বণ্টিত হইবে৷

(ঘ) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহার কোন দূরবর্তী সরাসরি বংশধর মারা যায়, সেক্ষেত্রে (গ) দফার বিধানাবলী প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকিলে সে যে অংশ পাইত ঐ অংশের বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হ্ইবে তাহা হ্ইলে এবং অকৃত উইলকারীর মধ্যে অকৃত উইলকারীর সকল সরাসরি বংশধরের পূর্ব-মৃত্যুজনিত কারণে৷

 

Case Law

Section 63 & 283- Admittedly, except PW1 no one was examined among the 8 attesting withnesses to prove attestation of the alleged will and no explanation was given for their non-examination even though the law required that at least two attesting witnesses each of whom saw the testator sign or affix his mark should be examined by the propounder of the will. The long delay of 15 years in filing the application for probate was not explained. The alleged will was found not to be physically genuine. [Bhagirat Barman & another Vs. Haricharan Barman, 4 BLC 234].

 

ধারা-৫৪৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি কোন বংশধর রাখিয়া যান না কিন্তু বিধবা স্ত্রী, বিপত্নীক স্বামী বা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান সেক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টন৷- যেক্ষেত্রে একজন পারসী কোন সরাসরি বংশধর না রাখিয়া মারা যান কিন্তু একজন বিধবা স্ত্রী, বিপত্নীক স্বামী অথবা সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে তাহার উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি নিম্নলিখিত বিধি অনুসারে বণ্টিত হইবে,

যথাঃ-

(ক) যদি বিধবা স্ত্রী একজন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া যান, কিন্তু সরাসরি বংশধরের কোন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান না, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী উক্ত সম্পত্তির অর্ধেক পাইবে৷

(খ) যদি অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী অথবা বিপত্নীক স্বামী এবং কোন সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রীও রাখিয়া যান, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাইবে, কিংবা যদি উক্তরূপ একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকে, তাহা হইলে সর্বশেষ উল্লেখিত এক-তৃতীয়াংশ তাহাদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷

(গ) যদি অকৃত উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী কিংবা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া না যান কিন্তু সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান, তিনি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাইবেন কিংবা যদি অকৃত উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া না যান কিন্তু সরাসরি বংশধরের একাধিক স্ত্রী রাখিয়া যান, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ উক্তরূপ বিধবাদের মধ্যে সমান অংশে বণ্টিত হইবে৷

(ঘ) (ক), (খ) বা (গ) দফায় উল্লিখিত অংশ বণ্টনের পরে অবশিষ্টাংশ তফসীল ২ এর ভাগ এক- এ উল্লিখিত অকৃত উইলকারীর আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ক্রমানুসারে বণ্টিত হইবে৷ উক্ত তফসিলের ভাগ ১-এ প্রথমে অবস্থানকারী নিকটাত্বীয়গণ, দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী আত্মীয়গণের উপর প্রাধান্য পাইবে৷ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণ, তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর এবং এইভাবে ক্রমপর্যায়ে, তবে শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি এমনভাবে বণ্টিত হইবে যাহাতে প্রত্যেক পুরুষ নিকট আত্মীয়ের দিক হইতে একই ধাপে অবস্থানকারী প্রত্যেক মহিলার দ্বিগুণ পায়৷

(ঙ) দফা (গ)-এ উল্লিখিত অবশিষ্টাংশের অধিকারী যদি কোন আত্মীয় স্বজন না থাকে, তাহা হইলে সম্পূর্ণ অবশিষ্টাংশ এই ধারায় অংশ লাভে অধিকারী ব্যক্তিগণের মধ্যে উল্লিখিত অংশের আনুপাতিক হারে বণ্টিত হইবে৷

 

ধারা-৫৫৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর কিংবা বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রীও রাখিয়া না যান সেক্ষেত্রে সম্পত্তির বণ্টন৷ -যেক্ষেত্রে একজন পারসী সরাসরি কোন বংশধর কিংবা বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া না যান, দ্বিতীয় তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত ক্রমানুসারে তাহার নিকট আত্মীয়গণ তাহার উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পূর্ণ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবেন৷ উক্ত তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে প্রথমে অবস্থানকারী নিকট আত্মীয়গণ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর প্রাধান্য পাইবে, দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণ তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর এবং এইভাবে ক্রমানুযায়ী, তবে শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি এমনভাবে বণ্টিত হইবে যাহাতে প্রত্যেক পুরুষ নিকটাত্মীয় দিক হইতে একই ধাপে অবস্থানকারী প্রত্যেক মহিলা দ্বিগুণ পায়৷

 

ধারা-৫৬৷ যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অধীনে উত্তরাধিকার লাভে কোন আত্মীয় না থাকে সেক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টন৷- যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলীর অধীন উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া পারসী সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হওয়ার মতো কোন আত্মীয় না থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি তাহার জ্ঞাতির দিক হইতে নিকটতম ধাপে অবস্থানকারী আত্মীয়জনের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-৬

উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকার

অধ্যায়-এক

সূচনাপবᐂ

 

ধারা-৫৭৷ হিন্দু, প্রভৃতি কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে এই ভাগের কতিপয় বিধানাবলীর প্রয়োগ৷- তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত এই ভাগের কতিপয় বিধানাবলী উক্ত তফসিলে উল্লেখিত বাধা-নিষেধ এবং পরিবর্তন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য হইবে-

(ক) বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ১৮৭০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তারিখে বা তত্পরবর্তীতে কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত সকল উইল এবং কডিসিল (Codicil) -এর ক্ষেত্রে; এবং

(খ) উক্ত ভূ-খণ্ড এবং সীমার বাইরে কৃত সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রে ততখানি যতখানি উহা ভু-খণ্ড বা সীমার মধ্যে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত হইবে, এবং

(গ) যে সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রে দফা (ক) এবং (খ)-এর বিধানাবলী প্রযুক্তি নয়, ১৯২৭ সালের ১লা জানুয়ারী তারিখে বা তত্পরবর্তীতে কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত ঐ সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, বিবাহের মাধ্যমে উক্তরূপ কোন উইল বা কডিসিল প্রত্যাহার করা যাইবে না৷

 

ধারা-৫৮৷ এই ভাগের সাধারণ প্রয়োগ৷- (১) এই ভাগের বিধানাবলী কোন মুসলমানের সম্পত্তিতে উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কিংবা ৫৭ ধারায় যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈনের সম্পত্তিতে উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, কিংবা উহা ১৮৬৬ সনের ১লা জানুয়ারীর পূর্বে কৃত কোন উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

(২) (১) উপধারায় কিংবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত এই ভাগের বিধানাবলী উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাংলাদেশের আইন বলে গণ্য হইবে৷

 

অধ্যায় -দুই

উইল এবং কডিসিল সম্পর্কিত

ধারা-৫৯৷ উইল সম্পাদনে যোগ্য ব্যক্তি৷- নাবালক নয় এমন সুস্থ মস্তিষ্ক প্রত্যেক ব্যক্তিই উইলের মাধ্যমে তাঁহার সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷

ব্যাখ্যা ১৷ একজন বিবাহিত মহিলা তাঁহার জীবদ্দশায় তাঁহার নিজস্ব কার্যের মাধ্যমে যে সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারিতেন উইলের মাধ্যমে ঐ সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷

ব্যাখ্যা ২৷ বধির, বোবা বা অন্ধ ব্যক্তিগণ উইল সম্পাদনে অযোগ্য হইবে না যদি তাহারা জানে যে তদদ্বারা তাহারা কি করিতেছে৷

ব্যাখ্যা ৩৷ স্বাভাবিকভাবে বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তি তাঁহার সুস্থ মস্তিষ্কের বিরামকালে উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন৷

ব্যাখ্যা ৪৷ যদি কোন ব্যক্তি মাতাল অবস্থা কিংবা অসুস্থতা কিংবা অন্যকোন কারণে এমন মানসিক অবস্থায় থাকে যে, তিনি কি করিতেছেন তাহা তিনি জানেন না, তাহা হইলে ঐ ব্যক্তি উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন না৷

 

উদাহরণ

(১) ক- তাহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কি হইতেছে তাহা বুঝিতে পারে এবং জানা সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে কিন্তু তাহার সম্পত্তির বা তাহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণের প্রকৃতি সম্পর্কে পূর্ণ অবহিতি নাই কিংবা উইল সম্পাদন করিলে তাহার সুবিধা হইবে উহা সম্পর্কেও ধারণা নাই৷ ক- কোন বৈধ উইল সম্পাদন করিতে পারিবে না৷

(২) ক- উইল বলিয়া গণ্য এমন একটা দলিল সম্পাদন করে, কিন্তু সে দলিলের প্রকৃতি কিংবা ইহার বিধানের প্রভাব সম্পর্কে কিছু জানে না৷ দলিলটি বৈধ উইল না৷

(৩) ক একজন দুর্বল ব্যক্তি, কিন্তু সে তাঁহার সম্পত্তি যথার্থ বিলি ব্যবস্থা সম্পর্কে রায় দিতে পারে এবং সেই অনুসারে উইল সম্পাদন করে৷ এটা একটি বৈধ উইল৷

 

ধারা-৬০৷ উইল সংক্রান্ত অভিভাবক৷- বয়স যাহাই হোক না কেন একজন পিতা উইলের মাধ্যমে নাবালক অবস্থায় তাহার সন্তানের অভিভাবক নিযুক্ত হইতে পারিবেন৷

 

ধারা-৬১৷ প্রতারণা, বল প্রয়োগ বা জবরদস্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত উইল৷- কোন উইল বা উইলের কোন অংশ প্রতারণা, বল প্রয়োগ কিংবা উইলকারীর সম্মতি নাই এমন জোর জবরদস্তির মাধ্যমে সম্পাদিত হইলে উইলটি বাতিল বলে গণ্য হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক- মিথ্যাভাবে এবং জানিয়া উইলকারীর নিকট এইরূপ বলে যে তাহার একমাত্র সন্তান মৃত কিংবা সে কিছু অনৈতিক কার্য করিয়াছেন এবং তদদ্বারা ক-কে তাঁহার বরাবরে উইল করার জন্য প্ররোচিত করে৷ এইরূপ উইল প্রতারণার মাধ্যমে লাভ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং ইহা অবৈধ৷

(আ) ক- প্রতারণা এবং সঠতার মাধ্যমে তাহার বরাবরে উইল করিয়া দিবার জন্য উইলকারীকে প্ররোচিত করে৷ উইলটি অবৈধ৷

(ই) ক- আইনগত কর্তৃপক্ষের কয়েদি থাকা অবস্থায় উইল সম্পাদন করে৷ কয়েদবাসের কারণে উইলটি অবৈধ নয়৷

(ঈ) গ-কে উইল করিয়া না দিলে ক-খ কে গুলি করার বা তাহার বাড়ি পুড়িয়ে দেবার বা ফৌজদারী অভিযোগে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেয়৷ ফলে খ, গ কে উইল করিয়া দেয়৷ বল প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পাদিত বলিয়া উইলটি বেআইনী৷

(উ) অন্যের প্রভাবে প্রভাবিত না হইয়া উইল করার মত পর্যাপ্ত বুদ্ধি ক-এর আছে৷ সে খ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা অবস্থায় খ-এর নির্দেশে উইল সম্পাদন করে৷ এইরূপ প্রতীয়মান হইবে যে, ক-এর ভয়েই খ উইল সম্পাদন করিয়াছেন৷ উইলটি বেআইনী৷

(ঊ) ক-এর এমন ভগ্ন স্বাস্থ্য যে, অন্যের জবরদস্তি প্রতিরোধ করিতে অক্ষম৷ ক, খ-এর চাপে পড়িয়া শুধুমাত্র শান্তি রক্ষার্থে একটা নির্দিষ্ট অংশ উইল করিয়া দেয়৷ উইলটি বেআইনী৷

(ঋ) ক-এর এমন ভগ্ন স্বাস্থ্য যে, সে তাহার নিজস্ব বিবেচনা এবং ইচ্ছা প্রয়োগ করিতে অক্ষম৷ খ-এর অনুনয় বিনয় এবং প্ররোচনায় খ-এর সুপারিশক্রমে কিন্তু তাহার নিজস্ব বিবেচনা এবং ইচ্ছায় একটা উইল করে৷ উইলটি খ এর অনুনয় বিনয় এবং প্ররোচনায় সম্পাদিত হইলেও বেআইনী হইবে না৷

(এ) ক, খ-এর নিকট হইতে উইলপত্র লাভের উদ্দেশ্যে তাহার (খ-এর) মনোযোগ আকৃষ্ট করিয়া তাহাকে তোষামোদ করেন এবং তাহার মধ্যে ক-এর প্রতি একটি খামখেয়ালি পক্ষপাতিত্বের সৃষ্টি করে৷ এইরূপ মনোযোগ ও তোষামোদের ফলে 'খ' উইল করিয়া ক-কে উইলপত্র দিয়া দেন৷ ক-এর উক্ত মনোযোগ ও তোষামোদের কারণে উইলটি বে-আইনী হইবে না৷

ধারা-৬২৷ উইল প্রত্যাহার কিংবা পরিবর্তন করা যাইবে৷- উইলের মাধ্যমে সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থাকরণে যোগ্য হইলেই উইল সম্পাদনকারী উইলটি প্রত্যাহার কিংবা পরিবর্তন করিতে পারিবেন৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-তিন

প্রকাশিত উইলের সম্পাদন সম্পর্কে

ধারা-৬৩৷ প্রকাশিত উইলের সম্পাদন৷- কোন অভিযানে নিয়োজিত বা যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সৈনিক নয় অথবা অনুরূপভাবে নিয়োজিত বা সংশ্লিষ্ট বৈমানিক অথবা সমুদ্রের নাবিক নয় এমন প্রত্যেক উইলকারী নিম্ললিখিত বিধি মোতাবেক উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন-

(ক) উইলকারী উইলে স্বাক্ষর করিবেন কিংবা তাঁহার চিহ্ন (mark) লটকাইয়া দিবেন কিংবা উইলটি তাঁহার উপস্থিতি এবং নির্দেশে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে৷

(খ) উইলকারীর স্বাক্ষর বা চিহ্ন বা তাঁহার পক্ষে স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষর এমনভাবে দিতে হইবে যে, যাহাতে উহা উইল হিসাবে কার্যকর লিখন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা হইয়াছিল এইরূপ প্রতীয়মান হয়৷

(গ) উইলে উইলকারীকে স্বাক্ষর দিতে কিংবা চিহ্ন লটকাইয়া দিতে দেখিয়াছেন অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উইলে স্বাক্ষর করিতে দেখিয়াছেন, এমন দুই বা ততোধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে উইলটি সত্যায়িত হইতে হইবে এবং উইলকারীর নির্দেশে অথবা উইলকারীর নিকট হইতে তাঁহার স্বাক্ষর বা চিহ্ন সম্পর্কে কিংবা উক্তরূপ ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্পর্কে ব্যক্তিগত পরিচিতি লাভ করিয়াছেন এবং প্রত্যেক সাক্ষী উইলকারীর উপস্থিতিতে উইলে স্বাক্ষর করিবেন কিন্তু একই সময়ে একাধিক সাক্ষীর উপস্থিতি এবং সত্যায়িত করার বিশেষ কোন ফরমের প্রয়োজন হইবে না৷

 

ধারা-৬৪৷ রেফারেন্সের মাধ্যমে কাগজপত্রের অন্তর্ভূক্তি৷- যথাযথভাবে নিবন্ধিত কোন উইল বা কডিসিলে যদি কোন উইলকারী তাঁহার ইচ্ছার প্রকাশ স্বরূপ লিখিত অন্য কোন দলিলের বরাত দিয়া থাকেন, তাহা হইলে ঐ দলিল উইল বা কডিসিলের অংশ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷ উপযুক্ত উইলকারী উইল সম্পাদন করিলে এই অনুমান করা যায় যে, তিনি উইলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানিতেন এবং উহা অনুমোদন করিয়াছেন৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় -চার

বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত (প্রিভিলেজড) উইল সম্পর্কে

ধারা-৬৫৷ প্রিভিলেজড উইল৷- কোন অভিযানে নিয়োজিত বা যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সৈনিক অথবা অনুরূপভাবে নিয়োজিত বা সংশ্লিষ্ট বৈমানিক অথবা সমুদ্রের নাবিক এমন যে কেউ, যদি তিনি ১৮ বত্সর বয়স পূর্ণ করে থাকেন, ৬৬ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে উইলের মাধ্যমে তাঁহার সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারিবেন৷ এইরূপ উইলকে প্রিভিলেজড উইল বলে৷

 

উদাহরণ

(অ) কোন রেজিমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট ক, একজন মেডিকেল অফিসার, সত্যিকারে কোন অভিযানে নিয়োজিত৷ তিনি প্রকৃতই কোন অভিযানে নিয়োজিত সৈনিক, আর তাই প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷

(আ) ক, সমুদ্রে অবস্থানরত কোন বাণিজ্যিক জাহাজের পার্সার (Purser), তিনি একজন নাবিক, এবং সমুদ্রে অবস্থান করায় প্রিভেলেজড উইল করতে পারবেন৷

(ই) ক, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ময়দানে যুদ্ধরত একজন সৈনিক হওয়ায় তিনি প্রকৃত পক্ষেই যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োজিত বলে গণ্য হন এবং সেইহেতু প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷

(ঈ) ক, একটা জাহাজের নাবিক৷ সমুদ্র যাত্রাকালে অল্প সময়ের জন্য তিনি তীরবর্তী পোতাশ্রয়ে শুয়ে আছেন৷ এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণ কল্পে তিনি সমুদ্রের একজন নাবিক হওয়ায় প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷

(উ) নৌবাহিনীর কমান্ডদানকারী একজন এডমিরাল৷ কিন্তু তিনি তীরে বাস করেন এবং মাঝে মাঝে জাহাজে গমন করেন৷ তিনি সমুদ্রে অবস্থানকারী হিসেবে গণ্য না হওয়ায় প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন না৷

(ঊ) ক সামরিক অভিযানে কর্মরত একজন নাবিক, কিন্তু সমুদ্রে অবস্থানরত নয়৷ তিনি একজন সৈন্য হিসাবে গণ্য হওয়ায় প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷

 

ধারা-৬৬৷ প্রিভিলেজড উইল করার নিয়ম এবং সম্পাদনের বিধি৷-(১) প্রিভিলেজড উইল লিখিত হইতে পারিবে, অথবা মৌখিকভাবেও করা যাইবে৷

(২) প্রিভিলেজড উইলের সম্পাদন নিম্নলিখিত বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবেঃ

(ক) উইলটি সম্পূর্ণভাবে উইলকারীর নিজহাতে লিখিত হইতে পারিবে৷ এইরূপ ক্ষেত্রে উহা স্বাক্ষরিত কিংবা সত্যায়িত হওয়ার প্রয়োজন নাই৷

(খ) উহা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে লিখিত হইতে পারিবে এবং উইলকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে পারিবে৷ এই ক্ষেত্রে উহা সত্যায়িত হওয়ার প্রয়োজন নাই৷

(গ) যদি হিসাবে বিবেচিত দলিলটি অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে লিখিত হয় এবং উইলকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত না হয়, তাহা হইলে, যদি এই মর্মে প্রমাণ করা যায় যে, উহা উইলকারীর নির্দেশে লিখিত হইয়াছে কিংবা তিনি উহা উইল হিসাবে স্বীকার করিয়াছেন, দলিলটি তাঁহার উইল হিসাবে বিবেচিত হইবে৷

(ঘ) যদি দলিল হইতে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, দলিলটি উইলকারীর ইচ্ছানুযায়ী সম্পূর্ণ করা হয় নাই, তাহা হইলে উক্ত কারণে, দলিলটি উইল হিসাবে বৈধ হইবে না, এই শর্তে যে, দলিলটির অসম্পাদন দলিলে প্রকাশিত উইল সংক্রান্ত অভিপ্রায়ের পরিত্যাগ ব্যতীত যুক্তিসংগতভাবে অন্য কোন কারণ অনুমোদন করা যাইবে৷

(ঙ) যদি সৈনিক, বৈমানিক এবং নাবিকদের উইল প্রস্তুতের জন্য লিখিত নির্দেশ থাকে, কিন্তু উইল প্রস্তুত এবং সম্পাদিত হওয়ার আগে মারা যায়, তাহা হইলে ঐরূপ নির্দেশ তাঁহার উইল সৃষ্টিকারী হিসাবে বিবেচিত হইবে৷

(চ) যদি উইল প্রস্তুত করার জন্য সৈনিক, বৈমানিক কিংবা নাবিক, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মৌখিক নির্দেশ দিয়া থাকেন, এবং উক্ত নির্দেশ তাঁহার জীবদ্দশায় লিখিত হইয়া থাকে, কিন্তু উহা প্রস্তুত এবং সম্পাদনের আগেই তিনি মারা যান, তাহা হইলে উক্ত নির্দেশ তাহার উপস্থিতিতে লিখিত না হইলেও কিংবা তাহাকে পাঠ করিয়া শুনানো না হইলেও উইল বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

(ছ) সৈনিক, বৈমানিক কিংবা নাবিক এই সময়ে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাঁহার ইচ্ছা ঘোষণার মাধ্যমে মৌখিকভাবে উইল তৈরী করিতে পারিবেন৷

(জ) মৌখিকভাবে তৈরী উইল এক মাসের অবস্থানে বাতিল হইয়া যাইবে এবং তত্পরে উইলকারী জীবিত থাকিলেও কোন প্রিভিলেজড উইল করিতে পারিবেন না৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-পাঁচ

উইল সত্যায়িতকরণ, প্রত্যাহার, পরিবর্তন এবং পুর্নবহাল সম্পর্কে

ধারা-৬৭৷ সত্যায়িতকরণ সাক্ষীকে প্রদত্ত দানের ফল৷- উইল সত্যায়িতকারী কোন ব্যক্তি, কিংবা তাঁহার স্বামী বা স্ত্রীকে বিকোয়েস্ট বা চাকুরী হিসাবে প্রদত্ত কোন লাভের কারণে উইলটি অপর্যাপ্তভাবে সত্যায়িত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে না কিন্তু রিকোয়েস্ট বা পদ/চাকুরীটি যতদূর পর্যন্ত সত্যায়িতকারী ব্যক্তি, তাহার স্বামী বা স্ত্রী, কিংবা তাহাদের মাধ্যমে দাবীদার যে কোন সম্পর্কে হইবে তত্দূর পর্যন্ত বাতিল বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

ধারা-৬৮৷ স্বার্থ থাকিবার কিংবা নির্বাহক হওয়ার কারণে সাক্ষীগণ অযোগ্য হইবেন না৷-উইলে স্বার্থ থাকা কিংবা নির্বাহক হওয়ার কারণে কোন ব্যক্তি সাক্ষী হিসাবে উইলটির সম্পাদন প্রমাণ করার কিংবা উহার বৈধতা বা অবৈধতা প্রমাণ করার অযোগ্য হইবেন না৷

 

ধারা-৬৯৷ উইলকারীর বিবাহের মাধ্যমে উইল প্রত্যাহার৷ - পদের ক্ষমতাবলে প্রস্তুত ব্যতীত প্রত্যেকটি উইল উইলকারীর বিবাহের মাধ্যমে প্রত্যাহৃত হইবে, যখন উক্ত পদের ক্ষমতা প্রযোজ্য সম্পত্তি, উক্তরূপ বন্দোবস্ত না থাকিলে তাঁহার নির্বাহক বা প্রশাসক কিংবা উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে অধিকারী ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইত৷

ব্যাখ্যা- যখন কোন ব্যক্তি তিনি মালিক নন এমন কোন সম্পত্তির বিলিব্যবস্থা নির্ধারণ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন, তখন ঐরূপ সম্পত্তি নির্দিষ্ট করিবার ক্ষমতা তাঁহার থাকিবে৷

 

ধারা-৭০৷ আনপ্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের প্রত্যাহার৷- কোন আনপ্রিভিলেজড উইল বা উহার কোন অংশ, বিবাহ বা অন্যকোন উইল বা কডিসিল কিংবা উহা প্রত্যাহার করিবার জন্য কোন লিখিত ঘোষণা এবং ইতিপূর্বে সম্পাদিত হওয়ার জন্য আনপ্রিভিলেজড উইল সম্পাদনের পদ্ধতি কিংবা উহা প্রত্যাহারের ইচ্ছায় তাঁহার উপস্থিতিতে বা নির্দেশে তদকর্তৃক বা অন্যকোন ব্যক্তি কর্তৃক পুড়ে যাওয়া, ছিঁড়ে ফেলা বা অন্য কোনভাবে ধ্বংস হওয়া ব্যতীত, প্রত্যাহৃত হইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) ক- একটা আনপ্রিভিলেজড উইল করিয়াছেন৷ পরবর্তীতে তিনি প্রথমটির প্রত্যাহারের ইচ্ছায় অন্য আরেকটি প্রিভিলেজড উইল করিয়াছেন৷ ইহা প্রত্যাহার হইবে৷

(আ) ক- একটা আনপ্রিভিলেজড উইল করেন৷ পরবর্তীতে তিনি অন্য একটা প্রিভিলেজড উইল করিবার অধিকারী হইয়া আনপ্রিভিলেজড উইল প্রত্যাহারের ইচ্ছায় একটা প্রিভিলেজড উইল করেন৷ এটা প্রত্যাহার হইবে৷

 

ধারা-৭১৷ আনপ্রিভিলেজড উইলে বিলোপ, ইন্টার-লাইনেশন, বা পরিবর্তনের ফল৷- যতদূর পর্যন্ত কোন আনপ্রিভিলেজড উইলের শব্দাবলী বা অর্থ অপাঠ্য বা বোধগম্যহীন হয়, ততদূর পর্যন্ত ব্যতীত সম্পাদনের পরে উহাতে কোন বিলোপ, ইন্টারলাইনেশন বা পরিবর্তন ঘটানো যাইবে না, যদি না উইল সম্পাদনের জন্য ইতোপূর্বে পদ্ধতিতে উক্ত পরিবর্তন সম্পাদিত না হইয়া থাকেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে পরিবর্তিত উইল যথোপযুক্তভাবে সম্পাদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যদি উইলের শেষ প্রান্তে বা মাঝের কোন অংশে বা উক্ত পরিবর্তনের বিপরীতে বা নিকটে বা উক্ত পরিবর্তনের উল্লেখকারী স্মারকের শেষে বা বিপরীতে উইলকারীর স্বাক্ষর এবং সাক্ষীর নাম সই দেওয়া হয় এবং উইলের শেষে বা অন্য কোন অংশে লিখিত হয়৷

 

ধারা-৭২৷ প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের প্রত্যাহার৷- একটা প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিল কোন আনপ্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের মাধ্যমে অথবা উহা প্রত্যাহারের ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া কোন কার্যের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা যাইবে এবং প্রিভিলেজড উইলের বৈধতা দেওয়ার পর্যাপ্ত আনুষ্ঠানিকতাও উহার সহিত থাকিতে হইবে৷ আবার উহা প্রত্যাহারের ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া উইলকারীর দ্বারা অথবা তাঁহার উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে কোন ব্যক্তির দ্বারা পুড়িয়ে, ছিড়ে ফেলে কিংবা অন্য কোনভাবে ধ্বংস করিয়াও প্রত্যাহার করা যাইবে৷

ব্যাখ্যা - প্রিভিলেজড উইলকে বৈধতা দান করার পর্যাপ্ত আনুষ্ঠানিকতা সংযোগে কার্যদ্বারা প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের প্রত্যাহারার্থে উক্ত কার্য করিবার সময় উইলকারীকে প্রিভিলেজড উইল করিবার অবস্থানে থাকিবার প্রয়োজন নাই৷

ধারা-৭৩৷ আন প্রিভিলেজড উইলের পুনর্বহাল৷- (১) প্রত্যাহার করা হইয়াছে এমন কোন আন প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিল বা উহার কোন অংশবিশেষ উহার পুন সম্পাদন, কিংবা কডিসিল সম্পাদিত হবার পূর্বোক্ত পদ্ধতি এবং উহা পুনর্বহালের ইচ্ছা প্রকাশ ব্যতীত অন্য কোনভাবে পুনর্বহাল করা যাইবে না৷

(২) যখন আংশিকভাবে প্রত্যাহার করা হইয়াছে এবং পরবর্তীতে সস্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হইয়াছে এইরূপ কোন উইল বা কডিসিল পূনর্বহাল করা হয়, তখন এইরূপ পুনঃপ্রচলন সম্পূর্ণ অংশের প্রত্যাহারের পূর্বে যতখানি প্রত্যাহার করা হইয়াছে ততখানি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হইবে; উক্ত উইল বা কডিসিলের মাধ্যমে বিপরীত মর্মে কোন ইচ্ছা প্রমাণিত না হইলে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় -ছয়

উইলের ব্যাখ্যা সম্পর্কে

ধারা-৭৪৷ উইলের শব্দ৷- উইলে কোন টেকনিক্যাল শব্দ বা কলা সম্পর্কিত পদ ব্যবহৃত হইবে এইরূপ প্রয়োজন নাই, তবে শুধুমাত্র উইল হইতে উইলকারীর ইচ্ছা জানা যায় এইরূপ শব্দ ব্যবহার করিতে হইবে৷

ধারা-৭৫৷ উইলের উদ্দেশ্য বা বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন নির্ণয়ে তদন্ত৷- উইলের ব্যবহৃত কোন শব্দাবলীর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা কোন সম্পত্তি নির্দেশ করা হইয়াছে৷ এতদবিষয়ে প্রশ্নের নিষ্পত্তিকল্পে আদালত উক্ত উইলের অধীনে স্বার্থ আছে বলিয়া দাবীদার ব্যক্তি সম্পর্কিত প্রত্যেকটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা/বিষয়, বিলি ব্যবস্থার বিষয় হিসাবে দাবীকৃত সম্পত্তি, উইলকারী এবং তাহার পরিবারের অবস্থা এবং উইলকারী ব্যবহার করিয়াছে এইরূপ শব্দের সঠিক প্রয়োগ সহায়তা করিতে পারে৷ এইরূপ প্রত্যেকটি ঘটনার অবগতি সম্পর্কে তদন্ত করিবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক- উইলের মাধ্যমে তাঁহার জ্যেষ্ঠ সন্তানকে অথবা তাহার কনিষ্ঠ নাতী/নাতনীকে অথকা তাঁহার চাচাতো বোন মেরীকে দান করেন৷ উইলের বর্ণনা কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উহা নিষ্পত্তিকল্পে আদালত তদন্ত করিতে পারিবে৷

(আ) ক, উইলের মাধ্যমে খ কে ''ব্লাক একর'' নামে আমার ভূ-সম্পত্তি দান করেন৷ উইলের বিষয়বস্তু কি উহা নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে অর্থাত্ উইলকারী কোন ভূ-সম্পত্তিকে ব্লাক একর বলেন উহা নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ করা আবশ্যক হইবে৷

(ই) ক, খ কে উইলের মাধ্যমে ''গ-এর নিকট হইতে আমি ক্রয়কৃত সম্পত্তি'' দান করেন৷ কোন সম্পত্তি খ-এর নিকট হইতে গ ক্রয় করিয়াছেন উহা নির্ণয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাইবে৷

ধারা-৭৬৷ উদ্দেশ্যের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা বা ভ্রান্ত বর্ণনা৷- (১) যেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা বা উত্তরদায়গ্রহীতার শ্রেণীকে বর্ণনা করার জন্য উইলে ব্যবহৃত শব্দাবলীর অর্থ কি এইরূপ বুঝানো হয়, সেক্ষেত্রে নামের বর্ণনায় বিদ্যমান কোন ভুল উত্তরদায় কার্যকর হইতে বিরত থাকিবে না৷

(২) উত্তরদায়গ্রহীতার নামে ভুল তাহাকে বর্ণনার দ্বারা এবং উত্তরদায়গ্রহীতার বর্ণনায় ভুল নামের দ্বারা সংশোধন করা যাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক-একটি উত্তর দায় ''আমার ভাই জনের দ্বিতীয় পুত্র থমাসকে'' উইল করিয়া দিলেন৷ উইলকারীর একটিমাত্র ভাই ছিল জন নামে যাহার থমাস নামে কোন সন্তান নেই৷ কিন্তু উইলিয়াম নামে দ্বিতীয় পুত্র আছে৷ উইলিয়াম উক্ত উত্তরদায় পাইবে৷

(আ) ক, ''আমার ভাই জনের দ্বিতীয় পুত্র থমাস'' কে উত্তরদায় উইল করিয়া দেন৷ উইলকারী জন নামে একটিমাত্র ভাই আছে, যাহার প্রথম সন্তানের নাম থমাস এবং দ্বিতীয় পুত্রের নাম উইলিয়াম৷ থমাস উত্তরদায় পাইবে৷

(ই) উইলকারী তাঁহার সম্পত্তি ''গ-এর বৈধ সন্তান ক, এবং খ কে'' উইল করিয়া দিলেন৷ গ-এর কোন বৈধ সন্তান নেই, তবে ক ও খ নামে দুইটি অবৈধ সন্তান আছে৷ অবৈধ হইলে দানটি ক ও খ-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

(ঈ) উইলকারী তাহার অবশিষ্ট ভূ-সম্পত্তি ''আমার ৭ সন্তানের মধ্যে ভাগ হইবে'' এই মর্মে উইল করেন এবং নাম উল্লেখ করার সময় কেবলমাত্র ৬ জনের নাম উল্লেখ করেন৷ এই বিচ্যুতি ৭ম সন্তানকে অন্যান্যদের সহিত তাহার অংশ নিতে প্রতিহত করিবে না৷

(উ) উইলকারীর ৬ জন নাতি-নাতনী বর্তমান থাকাকালে ''আমরা ৬ নাতি-নাতনীকে'' উইল করিয়াছেন এবং তাদের খ্রীস্টীয় নামে উল্লেখের সময় একজনকে একেবারেই বাদ দিয়া আরেকজনের নাম দুইবার উল্লেখ করেন৷ যাহার নাম উল্লেখ করা হয় নাই তিনি অন্যান্যাদের সহিত অংশ পাইবেন৷

(ঊ) উইলকারী ''ক-এর তিন সন্তানের প্রত্যেককে ১০০০ টাকা'' উইল করিয়া দেন৷ উইলের তারিখে ক-এর ৪ সন্তান আছে৷ উইলকারীর মৃত্যুর পূর্বে থাকিলে ৪ সন্তানের প্রত্যেকে ১০০০ টাকা পাইবে৷

 

আলোচনা

উইলে নামে বা বর্ণনায় কোন ভুল থাকলে পরে সেটা সংশোধন করা যাবে৷ তার জন্য উত্তরদায় অকার্যকর হবে না (Murari Lal Vs. Kundar Lal, 31 Au. 330).

 

ধারা-৭৭৷ কখন শব্দাবলী সরবরাহ করা যাইবে৷- যেক্ষেত্রে অর্থের পূর্ণ অভিব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কোন শব্দ বাদ পড়ে যায়, যেক্ষেত্রে প্রসঙ্গ দ্বারা উহা সরবরাহ করা যাইবে৷

 

উদাহরণ

উইলকারী তাহার কন্যা ক-কে ৫০০ টাকা এবং কন্যা খ-কে ৫০০ টাকা উইল করিয়া যান৷ ক, ৫০০ টাকার দানটি গ্রহণ করিবে৷

 

ধারা-৭৮৷ বিষয় বর্ণনার ভ্রান্ত বিবরণের বাতিল৷- যে বিষয়টি উইলকারী ধার্য করিতে চাহেন যদি ঐ বিষয়টি উইলে প্রদত্ত বিবরণ হইতে পর্যাপ্তভাবে চিহ্নিত করা যায়, কিন্তু বর্ণনার কিছু অংশ প্রযোজ্য না হয়, তাহা হইলে বর্ণনার উক্ত অংশ ভ্রান্ত হিসাবে বাতিল হইবে এবং দানটি বলবত্ হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ কে ''ঠ এ অবস্থিত এবং ব-এর দখলে থাকা আমার জলাভূমি'' উইলমূলে দান করেন৷ উইলকারীর ঠ-এর জলাভূমি আছে কিন্তু ব-এর দখলে কোন জলাভূমি নেই৷ ''ব-এর দখলে'' শব্দগুলো ভ্রান্ত হিসাবে বাদ যাইবে এবং ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমি উইলমূলে হস্তান্তরিত হইবে৷

(আ) উইলকারী ''রামপুরের আমার জামিনদারী'' ক-কে উইলমূলে দান করেন৷ রামপুরে তাহার একটা ভূ-সম্পত্তি ছিল, কিন্তু সেটা তালুক, জামিনদারী নয়৷ উইলমূলে তালুকটি হস্তান্তরিত হইবে৷

 

ধারা-৭৯৷ বর্ণনার কোন অংশ ভ্রান্ত হিসাবে বাতিল হইবে না৷- উইলকারী যে বিষয় উইলমূলে দান করিতে চাহেন ঐ বিষয়ের বর্ণনামূলক হিসাবে কোন উইলে যদি কতিপয় অবস্থার উল্লেখ থাকে, এবং উক্ত অবস্থা বিদ্যমান তাহার এইরূপ সম্পত্তি থাকে, তাহা হইলে দানটি উক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং বর্ণনার কোন অংশ ভ্রান্ত হিসাবে বাতিল করা আইনসঙ্গত হইবে না৷ কারণ উইলকারীর অন্য সম্পত্তি ছিল যাহাতে বর্ণনার ঐরূপ অংশ প্রযোজ্য হয় না৷

ব্যাখ্যা- কোন বিষয় এই ধারার অর্থানুসারে পড়ে কিনা তাহা বিচারে ৭৮ ধারার অধীনে বাতিল হইবে৷ এইরূপ শব্দাবলী উইল হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ-কে ''ঠ-এ অবস্থিত এবং ব-এর দখলে থাকা আমার জলাভূমি'' খ কে উইলমূলে দান করে৷ উইলকারীর ঠ-এ জলাভূমি ছিল যাহার কিছু অংশে দখলে ব ছিল, কিছু অংশের দখলে ব ছিল না৷ দানটি ব-এর দখলে থাকা এবং ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকিবে৷

(আ) ক, খ কে ''ঠ-এ অবস্থিত এবং ব-এর দখলে থাকা আমার ১০০০ বিঘার জলাভূমি'' উইলমূলে হস্তান্তর করেন৷ উইলকারীর ঠ-এ জলাভূমি ছিল, যাহার কিছু অংশের দখল ছিল ব-এর এবং কিছু অংশ ব-এর দখলে ছিলনা৷ পরিমাপটি দুইটা জলাভূমির যেকোনটার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে অপ্রযোজ্য হইবে৷ পরিমাপটা উইল হইতে বাদ যাইবে বলিয়া গণ্য হইবে এবং ব-এর দখলে থাকা ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমিই শুধুমাত্র উইলমূলে হস্তান্তরিত হইবে৷

 

ধারা-৮০৷ মূল দ্ব্যর্থতার ক্ষেত্রে বাহ্যিক সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে৷- যেক্ষেত্রে উইলের শব্দাবলী দ্ব্যর্থহীন নয়, কিন্তু বাহ্যিক সাক্ষে দেখা যায় যে, ঐগুলো প্রয়োগযোগ্য এবং উহার একটা উইলকারী ঐরূপ ইচ্ছা করিয়াছিল, সেক্ষেত্রে বাহ্যিক সাক্ষ্য ঐ শব্দগুলোর কোনগুলো সম্পর্কে ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয়েছিল সে সম্পর্কে বিবেচনায় আনা যাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) একজন লোকের মেরী নামে ২ জন চাচাতো/খালাতো বোন আছে৷ তিনি ''আমার চাচাতো/খালাতো বোন মেরী'' কে কিছু অর্থ উইলমূলে দান করেন৷ দেখা যায় যে, দুইজন ব্যক্তির প্রত্যেকে উইলে বর্ণনা দিচ্ছেন৷ অতএব, উক্ত বর্ণনা দুইটি দরখাস্তের বিষয় হয় যাদের একটি উইলকারী ইচ্ছা করেছিল৷ দরখাস্ত দুইটির কোনটি সম্পর্কে উইলকারী ইচ্ছা করেছিল যে সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে৷

(আ) ক-উইলের মাধ্যমে খ-কে ''সুলতানপুর খুরদ'' নামে আমায় ভূ-সম্পত্তি দান করেন৷ এর থেকে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, সুলতানপুর খুরদ নামে তার দুইটি ভূ-সম্পত্তি ছিল৷ ক কোন ভূ-সম্পত্তি উইলমূলে দান করিতে চাহিয়াছিলেন যে সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে৷

 

আলোচনা

সম্পূর্ণ উইল থেকেই উইলকারীর ইচ্ছা অনুমান করা যায়৷ তা সেটা ঘটনাগত প্রশ্ন, আইনগত প্রশ্ন নয়৷ তবে উইলে দ্ব্যর্থতা থাকলে অন্তর্নিহিত সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না৷

 

ধারা-৮১৷ মূল দ্ব্যর্থতা বা ত্রুটির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সাক্ষ্য অগ্রহণযোগ্য হইবে৷- যেক্ষেত্রে উইলে দ্ব্যর্থহীনতা বা ত্রুটি থাকে, সেক্ষেত্রে উইলকারীর ইচ্ছা সম্পর্কে কোন স্বাভাবিক সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) একজন লোকের ক্যারোলিন নামে একজন চাচী/খালা এবং মেরী নামে একজন চাচাতো/খালাতো বোন আছে; কিন্তু মেরী নামে কোন চাচী/খালা নেই৷ তিনি উইলমূলে ''আমার চাচী/খালা ক্যারোলীনকে'' ১০০০ টাকা এবং ''আমার চাচাতো বোন/খালাতো বোন মেরীকে'' ১০০০ টাকা দান করেন এবং পরবর্তীতে ''আমার পূর্বোল্লিখিত চাচী/খালা মেরীকে'' ১০০০ টাকা দান করেন৷ উইলে প্রদত্ত বর্ণনা প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোন ব্যক্তি নাই; এবং ''আমার পূর্বোক্ত চাচী/খালা বলতে কাকে বুঝানো হয় সে সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷ ৮৯ ধারার অধীনে অনিশ্চতার কারণে উইলমূলে দানটি অবৈধ৷

(আ) উত্তরদায়গ্রহীতার নামের স্থান খালি স্থান রেখে ক-১০০০ টাকা উইলমূলে দান করেন৷ উইলকারী ঐ ফাঁকা জায়গায় কার নাম বসাতে চেয়েছিলেন সে সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷

(ই) ক, খ কে ............... টাকা বা ......... তাহার ভূ-সম্পত্তি উইলমূলে দান করেন৷ কি পরিমান অর্থ বা কোন ভূ-সম্পত্তি উইলকারী উল্লেখ করিতে চাহিয়াছিলেন সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷

 

ধারা-৮২৷ সমস্ত দফা হইতে সংগৃহিতব্য দফার অর্থ৷- উইলে কোন দফার অর্থ সম্পূর্ণ দলিল হইতে সংগ্রহ করিতে হইবে এবং একে অন্যের বরাতে উহার সকল অংশ ব্যাখ্যা করিতে হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) উইলকারী খ-কে ক-এর মৃত্যুতে একটা সুনির্দিষ্ট তহবিল বা সম্পত্তি দেন এবং পরবর্তী দফার মাধ্যমে তাহার সমুদয় সম্পত্তি ক-কে দেন৷ কতিপয় দফা একত্র করিলে তার ফল এইরূপ হইবে যে, সুনির্দিষ্ট তহবিল বা সম্পত্তি ক-এর জীবদ্দশায় ক-এর উপরে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ-এর উপর ন্যস্ত হইবে৷ খ-এর বরাবরে উইলমূলে দান হইতে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উইলকারী শব্দগুলো সংকুচিত অর্থে ব্যবহার করিয়াছিলেন যাহাতে তিনি কোন সম্পত্তি বা তহবিল ক-কে দিবেন বর্ণনা করা হইয়াছে৷

(আ) উইলকারী তাঁহার সমুদয় ভু-সম্পত্তি খ-কে উইলমূলে ভাগ করে দেন যাহার একটা অংশকে বলা হয় ব্ল্যাক একর'' এবং তাঁহার উইলের অন্য অংশে খ-কে ব্ল্যাক একর দেন৷ পরবর্তী দানটি প্রথম দানের ব্যতিক্রম হিসাবে এমনভাবে পড়িতে হইবে যাহাতে ''আমি ব্ল্যাক একর খ-কে এবং আমার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ ক-কে দিলাম'' এইরূপ বুঝা যায়৷

 

ধারা ৮৩৷ কখন শব্দাবলী সংকুচিত অর্থে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ব্যাপক অর্থে বুঝিতে হইবে৷- সাধারণ শব্দাবলী সংকুচিত অর্থে বুঝিতে হইবে, যেক্ষেত্রে উইল হইতে এইরূপ সংগ্রহ করা যায় যে, উইলকারী উক্ত শব্দাবলী সংকুচিত অর্থেই ব্যবহার করিতে চাহিয়াছিলেন এবং স্বাভাবিক অর্থের চেয়ে শব্দাবলীকে ব্যাপক অর্থে বুঝিতে হইবে যেক্ষেত্রে উইলের অন্যান্য শব্দাবলী হইতে এমন সংগ্রহ করা যাইবে যে, উইলকারী উহা ঐরূপ ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করিতে চাহিয়া ছিলেন৷

 

উদাহরণ

(অ) একজন উইলকারী ক-কে ''খ-এর দখলে আমার ফার্ম এবং গ কে ''ছ-এ অবস্থিত আমার সকল জলা জমি'' দেন৷ খ-এর দখলে থাকা ফার্মের একটা অংশ ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমি এবং ঠ-এ উইলকারীর অন্যান্য জলাভূমিও ছিল৷ ''ঠ-এ অবিস্থত আমার সকল জলাভূমি'' এই সাধারণ শব্দগুলো ক-এর বরাবরে দান দ্বারা সংকুচিত ক ঠ-এ অবস্থিত ফার্মের অংশসহ খ-এর দখলে থাকা সমুদয় ফার্ম গ্রহণ করেন৷

(আ) উইলকারী (জাহাজে অবস্থানরত একজন নাবিক) তাঁহার মাকে তাঁহার সোনার আংটি, এবং পোষাকের বোতাম এবং বক্ষদেশ এবং তাঁহার বন্ধুকে (তাঁহার জাহাজ সঙ্গী) একটা লাল বাক্স, একটা ক্লাস্প লাইফ (Clasp Knife) এবং পূর্বে উইলমূলে দান করা হয়নি এমন সকল জিনিস৷ এই উইলমূলে দান দ্বারা বাড়িতে উইলকারীর অংশ ক-এর বরাবরে হস্তান্তরিত হইবে না৷

(ই) ক-উইলমূলে খ-কে তাঁহার গৃহের সকল আসবারপত্র, প্লেট, লিনেন, চায়না, বই, ছবি এবং অন্যান্য প্রকার সকল পণ্য দান করেন এবং পরে খ-কে তাঁহার সম্পত্তির একটা নির্দিষ্ট অংশ দান করেন৷ প্রথম উইলমূলে দান করা খ উইলকারীর একই প্রকৃতির দ্রব্যসামগ্রী পাইবার অধিকার হইবেন৷

 

ধারা-৮৪৷দুইটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যার কোনটি অগ্রাধিকার পাইবে৷- যেক্ষেত্রে একটা দফার দুইটি অর্থ গ্রহণযোগ্য যাহার একটির প্রভাব/ফল থাকে এবং অন্যটির কিছুই থাকে না, সেক্ষেত্রে প্রথমটি অগ্রাধিকার পাইবে৷

 

ধারা-৮৫৷ যুক্তিসংগতভাবে ব্যাখ্যা করা হইলে কোন অংশ বাতিল হইবে না৷- যুক্তি সংগত ব্যাখ্যা আরোপ সম্ভব হইলে একটা উইলের কোন অংশ অর্থহীন হিসাবে বাতিল হইবে না৷

 

ধারা-৮৬৷ উইলের বিভিন্ন অংশে দ্বিত্ব শব্দের ব্যাখ্যা৷- একই উইলের বিভিন্ন অংশে একই শব্দের ব্যবহার ঘটিলে, বিপক্ষ কিছু প্রমাণিত না হইলে, উহা সর্বত্র একই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে মর্মে- ধরিয়া নিতে হইবে৷

 

ধারা-৮৭৷ যতদূর সম্ভব উইলকারীর ইচ্ছা কার্যকর করিতে হইবে৷- উইলকারীর ইচ্ছা বাতিল করা যাইবে না কারণ উহা পূর্ণভাবে কার্যকর করা যাইবে না৷ কিন্তু যতদূর সম্ভব কার্যকর করিতে হইবে৷

 

উদাহরণ

উইলকারী মৃত্যু শয্যায় উইলমূলে তাঁহার সকল সম্পত্তি গ, ঘ কে দান করেন এবং তাঁহার মৃত্যুর পরে নির্দিষ্ট একটা হাসপাতালকে উহা দান করেন৷ উইলকারীর ইচ্ছা পূর্ণভাবে কার্যকর হবে না কারণ ১১৮ ধারার অধীন হাসপাতাল বরাবরে দানটি অবৈধ, কিন্তু উহা গ, ঘ-এর বরাবরে কার্যকর হইবে৷

 

ধারা-৮৮৷ সর্বশেষ দুইটি অসামঞ্জস্য দফা বলবত্ থাকিবে৷ - যেক্ষেত্রে দুইটি দফা বা উইলের দান পরস্পর অসামঞ্জস্য হওয়ার কারণে তাহারা পরস্পর একত্রে অবস্থান করিতে পারে না, সেক্ষেত্রে সর্বশেষটি বলবত্ থাকিবে৷

 

উদাহরণ

(অ) উইলকারী উইলের প্রথম দফার মাধ্যমে ক-কে রংপুরের সম্পত্তি এবং সর্বশেষ দফার মাধ্যমে উহা খ-কে দান করেন৷ সম্পত্তিটি খ পাইবে৷

(আ) যদি একজন ব্যক্তি উইলের শুরুতেই তাঁহার বাড়ী ক-কে এবং উইলের শেষে নির্দেশ দেন যে বাড়ীটি বিক্রয় করিয়া লভ্যাংশ খ-এর কল্যাণার্থে বিনিয়োগ করিতে হইবে৷ এক

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
উদাহরণ

(অ) উইলমূলে একটা দান করা হয়-

    ক এবং তাহার সন্তানদেরকে,

    ক এবং তাহার বর্তমান স্ত্রীর সন্তানদেরকে,

    ক এবং তাহার উত্তরাধিকারীদেরকে,

    ক এবং তাহার শরীরের উত্তরাধিকারীদেরকে,

    ক এবং তাহার শরীরের পুরুষ উত্তরাধিকারীদেরকে,

    ক এবং তাহার শরীরের মহিলা উত্তরাধিকারীদেরকে,

    ক এবং তাহার সন্তানকে,

    ক এবং তাহার পরিবারকে,

    ক এবং তাহার বংশধরদেরকে,

    ক এবং তাহার প্রতিনিধিদেরকে,

    ক এবং তাহার ব্যক্তিগত প্রতিনিধিদেরকে,

    ক এবং তাহার নির্বাহক এবং প্রশাসকদেরকে৷

উক্তক্ষেত্রে প্রত্যেকটিতে সম্পত্তিতে উইলকারীর সমুদয় স্বার্থ ক গ্রহণ করে৷

(আ) ক এবং তাহার ভাইকে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক এবং তাহার ভাই যৌথভাবে উত্তরদায়ে অধিকারী৷

(ই) সারা জীবনের জন্য ক কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে তাঁহার সন্তানকে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক-এর মৃত্যুতে ক-এর সন্তানের বর্ণনাদানকারী সকল ব্যক্তিগণের প্রত্যেকে সমান অংশ সম্পত্তি পাইবে৷

 

ধারা-৯৮৷ শুধুমাত্র সাধারণ বর্ণনাধীন ব্যক্তি-শ্রেণীকে উইলমূলে দান৷- যেক্ষেত্রে শুধুমাত্র সাধারণ বর্ণনাধীন ব্যক্তিশ্রেণীকে উইলমূলে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে বর্ণনার শব্দাবলী তাহাদের সাধারণ অর্থে প্রযোজ্য হয় না, এইরূপ কোন ব্যক্তি উত্তরদায় গ্রহণ করিবে না৷

 

ধারা-৯৯৷ শব্দের ব্যাখ্যা৷- একটি উইলে-

(ক) ''ছেলেমেয়ে'' শব্দটি যে ব্যক্তির ''ছেলেমেয়ে'' সম্পর্কে বলা হয় প্রথম ধাপে ঐ ব্যক্তির কেবলমাত্র সরাসরি বংশধরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;

(খ) ''নাতি-নাতনী'' শব্দটি যে ব্যক্তির নাতি-নাতনী সম্পর্কে বলা হয় দ্বিতীয় ধাপে ঐ ব্যক্তির কেবলমাত্র সরাসরি বংশধরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;

(গ) ''ভাইপো'' এবং ''ভাইঝি'' শব্দ দুইটি কেবলমাত্র ভাই বা বোনের ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;

(ঘ) ''চাচাতো/খালাতো বোন'' বা প্রথম চাচাতো/ ''খালাতো বোন'' বা ''কাজিন জার্মান'' যে ব্যক্তির ''চাচাতো/ খালাতো বোন বা প্রথম চাচাতো/খালাতো বোন বা কাজিন জার্মান সম্পর্কে বলা হয় ঐ ব্যক্তির পিতা বা মাতার ভাই বোনের সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;

(ঙ) একবার দূরীভূত ''প্রথম খালাতো/চাচাতো বোন'' শব্দাবলী যে ব্যক্তির প্রথম চাচাতো/খালাতো বোন সম্পর্কে বলা হয়, ঐ ব্যক্তির পিতামাতারা কাজিন-জার্মানদের ক্ষেত্রে বা কাজিন জার্মানদের সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;

(চ) ''দ্বিতীয় চাচাতো/খালাতো বোন'' শব্দাবলী যে ব্যক্তির ছেলেমেয়ে সম্পর্কে বলা হয় ঐ ব্যক্তির দাদা বা দাদীর ভাই বা বোনের নাতি-নাতনীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;

(ছ) ''সন্তান'' এবং ''বংশধর'' শব্দাবলী যে ব্যক্তির সন্তান বা বংশধর সম্পর্কে বলা হয় ঐ ব্যক্তির কেবলমাত্র সরাসরি সকল বংশধরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য;

(জ) রক্ত সম্পর্কীয় প্রকাশক শব্দাবলী আপন এবং সত্সম্পর্কের ক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য হয়৷

সম্পর্ক প্রকাশকারী সকল শব্দাবলী মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যে পরবর্তীতে জন্মগ্রহণ করে৷

 

ধারা-১০০৷ সম্পর্ক প্রকাশকারী শব্দাবলী কেবলমাত্র বৈধ সম্পর্ককে নির্দেশ করে বা উক্ত সম্পর্ক না থাকিলে খ্যাত বৈধ নির্দেশ করে৷- উইলে বিপরীত মর্মে কোন ইঙ্গিতের অবর্তমানে ''সন্তান'' শব্দটি বা ''ছেলে'' শব্দটি বা ''কন্যা'' শব্দটি অথবা সম্পর্ক প্রকাশকারী অন্য কোন শব্দে কেবলমাত্র বৈধ সম্পর্ক নির্দেশ করে এমনভাবে বুঝিতে হইবে কিংবা যেক্ষেত্রে উক্ত বৈধ সম্পর্ক নেই, সেক্ষেত্রে উইলের তারিখে উক্তরূপ সম্পর্কে খ্যাতি অর্জন করিয়াছে৷

 

উদাহরণ

(ক) ক-এর খ, গ এবং ঘ নামে তিন সন্তান আছে৷ খ ও গ বৈধ কিন্তু ঘ অবৈধ সন্তান৷ ক তাহার সন্তানদের মধ্যে সমান অংশে ভাগ করে দেওয়ার জন্য সম্পত্তি রাখিয়া যান৷ সম্পত্তি ঘ বাদে খ ও গ-এর মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷

(আ) ক-এর একটা অবৈধ ভাইঝি আছে যে তাহার ভাইজি হওয়ার খ্যাতি অর্জন করিয়াছে এবং ক-এর অন্যকোন বৈধ ভাইঝি নাই৷ ক তাহাকে অর্থ দান করিয়াছেন৷ অবৈধ ভাইঝি উত্তরদায়ে অধিকারী৷

(ই) ক, উইলে তাহার সন্তানদের উল্লেখ করে এবং অবৈধ সন্তান খ এর নাম উল্লেখ করে৷ ''আমার উক্ত সন্তানদের বরাবরে'' উত্তরদায় করে৷ বৈধ সন্তানের সাথে খ উত্তরদায়ে অংশ পাইবে৷

(ঈ) ক ''খ-এর সন্তানদেরকে'' উত্তরদায় রাখিয়া যায়৷ খ মারা যায় কিন্তু অবৈধ সন্তান ছাড়া আর কাউকে রাখিয়া যায় নাই৷ উইলের তারিখে যাহারা খ-এর সন্তান হওয়ার খ্যাতি অর্জন করে তাহারাই দানের বিষয়বস্তু হইবে৷

(উ) ক, খ-এর সন্তানদের বরাবরে উত্তরদায় দান করেন৷ খ-এর কখনো কোন বৈধ সন্তান ছিল না৷ গ এবং ঘ উইলের তারিখে খ-এর সন্তানের মর্যাদা অর্জন করে৷ উইলের তারিখের পরে এবং উইলকারীর মৃত্যুর পূর্বে ঙ এবং চ জন্মগ্রহণ করিয়া খ-এর সন্তানের মর্যাদা অর্জন করেন৷ কেবলমাত্র গ এবং ঘ দানের বস্তু হইবে৷

(ঊ) ক, স্ত্রী নয় এমন একজন মহিলার দ্বারা তাহার জাত সন্তানের বরাবরে দান করেন৷ খ উইলের তারিখে উক্ত মহিলার দ্বারা ক-এর সন্তানের মর্যাদা অর্জন করে৷ খ উত্তরদায় পায়৷

(ঋ) ক, কখনো তাহার স্ত্রী হইবে না এমন একজন মহিলার দ্বারা তাঁহার জাত সন্তানের অনুকূলে উইলমূলে দান করেন৷ উত্তরদায়টি অবৈধ৷

(এ) ক-এর বিবাহিত নয় কিন্তু ততকর্তৃক গর্ভবতী এমন একজন মহিলার সন্তানের অনুকূলে উত্তরদায় উইলমূলে দান করেন৷ উত্তরদায়টি অবৈধ৷

 

ধারা-১০১৷ যেক্ষেত্রে একই ব্যক্তির বরাবরে দুইটি দান করা হয় সেক্ষেত্রে ব্যাখ্যার নিয়ম৷-যেক্ষেত্রে একিট উইল দ্বারা একই ব্যক্তির বরাবরে দুইটি দান করা হয় এবং উইলকারী প্রথমটির পরিবর্তে বা প্রথমটি ছাড়াও দ্বিতীয়টি করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়; যদি তিনি কি ইচ্ছা পোষণ করিয়াছিলেন সে সম্পর্কে উইলে প্রমাণ করার কিছু না থাকে, সেক্ষেত্রে উইলের ব্যাখ্যায় নিম্নিলিখিত বিধিসমূহ কার্যকরী হইবেঃ-

    (ক) যদি একই নির্দিষ্ট জিনিস একই উইলে কিংবা উইলে এবং আবার কডিসিলে একই উত্তরদায় গ্রহীতার বরাবরে দুইবার উইলমূলে দান করা হয়, তাহা হইলে তিনি কেবলমাত্র ঐ নির্দিষ্ট জিনিস গ্রহণের অধিকার হইবেন৷

    (খ) যেক্ষেত্রে এক এবং একই উইল বা এক এবং একই কডিসিল কোন কিছুর একই পরিমাণ একই ব্যক্তির বরাবরে দুই স্থানে উইলমূলে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে তিনি শুধুমাত্র উক্ত একটা উত্তরদায়ের অধিকারী হইবেন৷

    (গ) যেক্ষেত্রে অসম পরিমাণের দুইটি উত্তরদায় একই উইলে বা একই কডিসিলে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা উভয়টিতে অধিকারী হইবেন৷

    (ঘ) যেক্ষেত্রে সমান বা অসমান পরিমাণ দুইটি উত্তরদায় একটা উইল দ্বারা এবং অন্যটা কডিসিল দ্বারা একই উত্তরদায়গ্রহীতাকে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায় গ্রহীতা উভয় উত্তরদায়ের অধিকারী হইবেন৷

ব্যাখ্যা- এই ধারায় (ক) থেকে (ঘ) দফা পর্যন্ত উইল শব্দটি কডিসিলকে অন্তর্ভূক্ত করে না৷

 

উদাহরণ

(অ) ক-এর ভারত ইস্পেরিয়াল ব্যাংকে দশটি শেয়ার আছে৷ তিনি ''আমি খ কে ইস্পেরিয়াল ব্যাঙকে আমার দশটি শেয়ার উইলমূলে দান করিলাম'' শব্দাবলীর সাহায্যে উইল করেন৷ অন্যান্য দানের পরে ''এবং আমি ইস্পেরিয়াল ব্যাংকে আমার দশটি শেয়ার খ কে দান করিলাম''- এই শব্দাবলী দিয়ে উইলটি শেষ করেন৷ খ সাধারণভাবে ইস্পেরিয়াল ব্যাংকে ক-এর দশটি শেয়ার পাইবে৷

(আ) ক-এর খ দ্বারা প্রদত্ত একটি ডায়মন্ডের আংটি আছে যাহা তিনি খ কে উইলমূলে হস্তান্তর করেন৷ পরবর্তীতে ক তাহার উইলের কডিসিল করেন এবং তাহার অন্যান্য উত্তরদায় দেওয়ার পরে আংটি তিনি গ কে দান করেন৷ আংটি ছাড়া অন্য কিছু দাবী করিতে পারিবেন না৷

(ই) ক উইল দ্বারা খ কে ৫০০০ টাকা দান করেন এবং পরবর্তীতে একই উইলে একই শব্দাবলী পুনর্ব্যক্ত করেন৷ খ শুধুমাত্র ৫০০০ টাকার উত্তরদায়টি পাইবেন৷

(ঈ) ক উইলমূলে খ কে ৫০০০ টাকা দান করেন এবং পরবর্তীতে একই উইলে খ কে ৬০০০ টাকা দান করেন৷ খ ১১০০০ টাকা পাইবে৷

(উ) ক উইলমূলে খ-কে ৫০০০ টাকা এবং উইলের কডিসিল মূলে ৫০০০ টাকা দান করেন৷ খ ১০,০০০ টাকা পাইবেন৷

(ঊ) ক তাঁহার উইলের একটা কডিসিল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা এবং অন্য কডিসিল দ্বারা গ-কে ৬০০০ টাকা দান করেন৷ খ-১১,০০০ টাকা পাইবেন৷

(ঋ) ক উইল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা দান করেন, কারণ খ আমার নার্স'' এবং উইলের অন্য অংশে তাকে ''৫০০ টাকা দান করেন, কারণ তিনি আমার সন্তানের সাথে ইংল্যান্ড গিয়াছিলেন'' খ ১০০০ টাকা পাইবেন৷

(এ) ক উইল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা এবং উইলের অন্য অংশে ভাতা হিসাবে ৪০০ টাকা দান করেন৷ খ উভয় উত্তরদায় পাইবেন৷

(ঐ) ক উইল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা এবং যদি সে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করে তাহা হইলে ৫০০০ টাকা দান করেন৷ খ সম্পূর্ণভাবে ৫০০০ টাকা পাইবেন এবং শর্তসাপেক্ষে অপর ৫০০০ টাকা পাইবেন৷

 

ধারা-১০২৷ অবশিষ্ট উত্তর দায় গ্রহীতার গঠন৷ - উইলকারীর ইচ্ছা প্রকাশকারী কোন শব্দাবলী দ্বারা অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা গঠন করা যাইবে, যাহাতে আখ্যায়িত ব্যক্তি তাহার সম্পত্তির অতিরিক্ত বা অবশিষ্ট অংশ গ্রহণ করিবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক উইল সংক্রান্ত কয়েকটি কাগজপত্রের সমন্বয়ে গঠিত কাগজপত্রে উইল করে যান৷ কাগজপত্রের একটিতে নিম্নলিখিত কথাগুলো লেখা ছিলঃ

আমি মনে করি, আমার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার যাবতীয় ব্যয় প্রভৃতি নির্বাহ করার পর যা কিছু থাকবে তার সবটুকু বর্তমানে স্কুলে অধ্যয়নরত খ পাবে, যা পরবর্তীতে খ যে পেশায় নিয়োজিত হবে ঐ পেশার জন্য উপযোগী হ্ওয়ার জন্য ব্যয় হবে৷'' এখানে ''খ'' অবশিষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতা বলে পরিগণিত হবে৷

(আ) ক উইল করে যান, উইলটির শেষে নিম্নোক্ত কথাটি রয়েছে-''আমি বিশ্বাস করি যে, আমার দেনা পরিশোধ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ আমার ব্যাংকারের হাতে থাকবে এবং খ তদ্বারা আমার দেনা পরিশোধ করবে বলে আমি আশা করি৷ এখানে ''খ'' অবশিষ্ট উত্তর দায় গ্রহীতা বলে বণ্য হবে৷

(ই) ক স্টক ও ফান্ড বাদে তার সমূদয় সম্পত্তি খ কে উইল করে দেন; স্টক ও ফান্ড তিনি গ কে উইল করে দেন৷ ''খ'' অবশিষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতা বলে গণ্য হবে৷

 

ধারা-১০৩৷ কোন সম্পত্তিতে উত্তরদায়গ্রহীতা অধিকারী হইবেন৷-অবশিষ্ট দানের অধীনে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে উত্তরদায়গ্রহীতা তাহার সকল সম্পত্তি পাইবেন, যে সম্পত্তি সম্পর্কে অন্যকোন উইলমূলক বিলি করেন নাই যাহা বলবত্ সক্ষম৷

 

উদাহরণ

ক- উইলমূলে কয়েকটি উত্তরদায় হস্তান্তর করেন যাহার মধ্যে ১১৮ ধারায় একটি বাতিল এবং অন্যটি উত্তরদায়গ্রহীতার মৃত্যুজনিত কারণে তামাদি হয়ে যায়৷ তিনি তাঁহার সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ খ কে উইলমূলে দান করেন৷ উইল সম্পাদনের পরে ক একটি জামিনদারী! ক্রয় করেন, যাহা মৃত্যুর সময়ে তাঁহার দখলে থাকে৷ খ দুইটি উত্তরদায়ের এবং অবশিষ্টাংশ হিসাবে জামিনদারটির অধিকারী হন৷

 

ধারা-১০৪৷ সাধারণ শর্তে উত্তরদায় ন্যস্ত হবার সময়৷- পরিশোধের সময় উল্লেখ না করিয়া যদি সাধারণ অর্থে একটা উত্তরদায় দেওয়া হয়, তাহা হইলে উইলকারীর মৃত্যুর দিন হইতে উত্তরদায়টিতে উত্তরদায়গ্রহীতার ন্যাস্ত স্বার্থ থাকে, এবং যদি তিনি উহা গ্রহণ না করিয়া মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে উহা তাহার প্রতিনিধির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷

 

ধারা-১০৫৷ কোন ক্ষেত্রে উত্তর দায় তামাদি হয়ে যায়৷- (১) উত্তরদায়গ্রহীতা যদি উইলকারীর পূর্বেই মারা যায়, তাহা হইলে উত্তরদায়টি কার্যকর হইতে পারিবে না, কিন্তু তামাদি হইয়া যাইবে এবং উইলকারীর সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ গঠন করিবে যদি না উইল দ্বারা এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উইলকারী উত্তরদায়টি অন্য কারো বরাবরে চালিয়া যাইবে এইরূপ ইচ্ছা করিয়া থাকেন৷

(২) উত্তরদায় গ্রহণে উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধিকে অধিকার দেওয়ার জন্য প্রমাণ করিতে হইবে যে, উইলকারী তাঁহার পূর্বে মারা গিয়াছেন৷

 

উদাহরণ

(অ) উইলকারী খ ক ''খ আমার কাছে ৫০০ টাকা পাইবে'' উইলমূলে দান করেন৷ খ উইলকারীর পূর্বেই মারা যায়৷ উত্তরদায়টি তামাদি হইয়া যাইবে৷

(আ) ক এবং তাহার সন্তানের বরাবরে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক উইলকারীর পূর্বেই মারা যায় কিংবা উইল সম্পাদনের সময়ে মৃত্যুবরণ করেন৷ ক এবং তাঁহার বরাবরে উত্তরদায়টি তামাদি হইয়া যায়৷

(ই) ক কে এবং উইলকারীর পূর্বে মৃত্যুর ক্ষেত্রে খ কে উত্তরদায় দেওয়া হয়৷ উইলকারীর পূর্বে ক মারা যান৷ উত্তরদায়টি খ-এর বরাবরে চলিয়া যায়৷

(ঈ) সারাজীবনের জন্য ক কে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উইল দ্বারা দান করা হয় এবং তাঁহার মৃত্যুর পূর্বে খ কে৷ ক, উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়; খ বেঁচে থাকে৷ খ এর বরাবরে দানটি কার্যকর হয়৷

(উ) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ১৮ বত্সর পূর্ণ হইলে ক কে এবং ১৮ বত্সর পূর্ণ হবার পূর্বে মারা গেলে খ কে দান করা হয়৷ ক ১৮ বত্সর পূর্ণ করেন এবং উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যান৷ ক-এর বরাবরে উত্তরদায়টি তামাটি হয়, এবং খ-এরটি কার্যকর হয় না৷

(ঊ) একই জাহাজ দুর্ঘটনায় উইলকারী এবং উত্তরদায়গ্রহীতা মারা যান; কিন্দু যে প্রথমে মারা যান সে সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য নাই৷ উত্তরদায়টি তামাদি হয়ে যায়৷

 

ধারা-১০৬৷ উইলকারীর পূর্বে দু'জন যৌথ উত্তরদায়গ্রহীতা একজন মারা গেলে উত্তরদায় তামাদি হয় না৷- যদি যৌথভাবে দুইজন ব্যক্তিকে উত্তরদায় দেওয়া হয় এবং তাহাদের একজন উইলকারীর পূর্বে মারা যান, তাহা হইলে অন্যজন সমুদয় উত্তরদায়টি পাইবে৷

 

উদাহরণ

সাধারণভাবে ক এবং খ কে উত্তরদায় দেওয়া হয়৷ উইলকারীর পূর্বে ''ক'' মারা যান৷ ''খ'' উত্তরদায়টি পায়৷

 

ধারা-১০৭৷ ভিন্ন অংশ দেবার ক্ষেত্রে উইলকারীর ইচ্ছা সম্বলিত শব্দের ফল৷- যদি উত্তরদায়গ্রহীতাকে একটি উত্তরদায় এমন শব্দের ব্যবহার করিয়া দেওয়া হয় যাহার ফলে এইরূপ বুঝা যায় যে উইলকারী উত্তরদায়টির ভিন্ন ভিন্ন অংশ তাহাদেরকে দিতে চাহিয়াছিলেন, তাহা হইলে উইলকারীর পূর্বে কোন উত্তরদায়গ্রহীতা মারা গেলে উত্তরদায়টির যত খানি অংশ তাহার জন্য দেওয়ার ইচ্ছা করা হইয়াছিল, ততখানি অংশ উইলকারীর সম্পত্তির অবশিষ্টাংশের মধ্যে পড়িবে৷

 

উদাহরণ

ক, খ এবং গ-এর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করিয়া দিয়া কিছু অর্থ দা&#

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ভাগ-৬

উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকার

অধ্যায়-সাত

বাতিল দান সম্পর্কিত

 

ধারা-১১২৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব নাই এমন ব্যক্তির বরাবরে বিশেষ বর্ণনা দ্বারা দান৷- যেক্ষেত্রে বিশেষ বর্ণনা দ্বারা কোন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয় এবং উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে কোন অস্তিত্ব থাকে না, যিনি বর্ণনাটির উত্তর দিতে সক্ষম, সেক্ষেত্রে দানটি বাতিল হইবে৷

ব্যতিক্রম- যদি নির্দিষ্ট ব্যক্তির জ্ঞাতির বিশেষ ধাপে দণ্ডায়মান বর্ণিত বর্গের শ্রেণী বরাবরে সম্পত্তি দান করা হয়, কিন্তু উহার পূর্ববর্তী কোন দান বা অন্য কোন কারণে উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকে তাহা হইলে সম্পত্তি ঐ ব্যক্তির কাছে যাইবে অথবা তিনি মৃত হইলে তাহার প্রতিনিধির কাছে যাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র খ কে ১০০০ টাকা দান করেন৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় খ এর অস্তিত্ব ছিল না৷ দানটি বাতিল হইবে৷

(আ) ক, খ কে এবং খ এর মৃত্যুর পর গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা দান করে৷ উইলকারী মৃত্যুর সময় গ এর কোন পুত্র ছিল না৷ পরবর্তীতে খ এর জীবদ্দশায় গ এর পুত্র সন্তান হয়৷ খ এর মৃত্যুর পর উত্তরদায়টি গ এর পুত্র পাইবে৷

(ই) ক ১০০০/= টাকা সারাজীবনের জন্য খ-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে গ-এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে উইলমূলে দান করে৷ ক-এর ঘ নামে এক পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে৷ প্রথমে ঘ মারা যায়, পরে খ দান পত্রটি ঘ-এর প্রতিনিধিগণ পাইবে৷

(ঈ) ক তাহার গ্রীন একরের ভূমি খ কে এবং ঘ এর মৃত্যুর পর গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দান করে৷ ঘ এর মৃত্যু পর্যন্ত গ এর কোন পুত্র সন্তান ছিল না৷ গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রের বরাবরে দানটি বাতিল হইবে৷

(উ) ক, গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা দান করেন, যাহা খ এর মৃত্যুর পরে তাহাকে পরিশোধ করিতে হইবে৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় গ এর কোন পুত্র সন্তান ছিল না কিন্তু, পরবর্তীতে জন্মগ্রহণ করে এবং ঘ এর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকে৷ গ এর পুত্র ১০০০ টাকা পাইবে৷

 

ধারা-১১৩৷ পূর্বদান সাপেক্ষে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্বহীন ব্যক্তির বরাবরে দান৷- যেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব নেই এমন কোন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তী দানটি বাতিল হইবে যদি না উহা উইলকৃত বস্তুতে বিদ্যমান উইলকারীর অবশিষ্ট সমুদয় স্বার্থ থাকে৷

 

 

উদাহরণ

(অ) সম্পত্তি ক কে, ক এর মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে এবং তাহার মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দান করা হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় ক এর কোন সন্তান নাই৷ ক এর জ্যেষ্ঠ পুত্রের বরাবরে দানটি অস্তিত্বহীন ব্যক্তির বরাবরে দান হওয়ায় দানটি বাতিল হইবে৷

(আ) একটি তহবিল সারা জীবনের জন্য ক-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে তার কন্যাদেরকে উইলমূলে দান করা হয়৷ 'ক' জীবিত থাকাকালীন উইলকারী মারা যায়৷ ক-এর কন্যান সন্তান থাকিলেও তাদের কেউ কেউ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে জন্ম গ্রহণ করেনি৷ ক-এর কন্যাদের বরাবরে প্রদত্ত দান পত্রটিতে উইলকারী উইলকৃত তহবিলে অন্তর্ভূক্ত সমস্ত স্বার্থ থাকবে৷ ক-এর কন্যাদের বরাবরে প্রদত্ত দানপত্রটি বে-আইনী৷

(ই) কিছু তহবিল ক কে এবং ক এর মৃত্যুর পরে তাহার কন্যাগণকে এই মর্মে দান করা হয় যে, যদি কন্যাদের কারো ১৮ বছরের নীচে বিয়ে হয় তাহা হইলে তাহার অংশ তাহার মৃত্যুর পরে তাহার ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভাগ হইয়া যাইবে৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় ক এর কোন কন্যা সন্তান ছিল না, কিন্তু উইলকারীর মৃত্যুর পরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে৷ দানটি বাতিল হইবে৷

(ঈ) ক সারাজীবনের জন্য খ-কে কিছু অ উইলমূলে দান করে এবং এই মর্মে নির্দেশ দান করে যে, খ-এর মৃত্যু হইলে উক্ত অর্থ তাহার কন্যা সন্তানগণের উপর এমনভাবে স্থির হইবে যাহাতে প্রত্যেক কন্যার অংশ সারা জীবেনর জন্য তাহার হয় এবং তাহার মৃত্যুর পরে তাহার ছেলে মেয়েদের মধ্যে বণ্টিত হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুকালে খ-এর জীবিত কোন কন্যা থাকে না৷ এক্ষেত্রে, খ-এর কন্যাদের বরাবরে প্রদত্ত একমাত্র দানপত্রটি উক্ত অর্থ স্থির হওয়ায় নির্দেশের মধ্যে নিহিত, এবং এই নির্দেশ এখনো জন্মগ্রহণ করেনি এমন ব্যক্তিগণের উক্ত তহবিলে নিহিত জীবন স্বত্বের বরাবরে দান পত্রের ন্যায় হইবে৷ খ-এর কন্যাদের উপর তহবিল স্থির হওয়ার নির্দেশ বে-আইনী৷

ধারা-১১৪৷ অবিরাম হস্তান্তর বিরোধী নিয়ম৷- কোন সম্পত্তি এমনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না, যাহা হস্তান্তরের তারিখে জীবিত এক বা একাধিক ব্যক্তির জীবনকাল এবং এইরূপ জীবনকালের অব্যবহিত পর হইতে অপর কোন ব্যক্তির নাবালক অবস্থা অবিবাহিত হওয়ার পরে বলবত্ হইবে৷ জীবিত ব্যক্তির বা ব্যক্তিগণের জীবনকাল সমাপ্ত হওয়ার সময় উক্ত নাবালকের অস্তিত্ব থাকিতে হইবে এবং নাবালক সাবালক হওয়ার সাথে সাথে সৃষ্ট স্বার্থ তাহার উপর বর্তাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) একটি তহবিল সারাজীবনের জন্য ক কে, এবং ক-এর মৃত্যুর পরে সারাজীবনের জন্য খ কে; এবং খ এর মৃত্যুর পরে প্রথম ২৫ বত্সর পূর্ণ হওয়া খ-এর ছেলের বরাবরে উইল মূলে দান করা হইল৷ উইলকারীর মৃত্যুর পর ক ও খ জীবিত থাকে৷ এখন খ এর যে পুত্র প্রথম ২৫ বত্সর পূর্ণ করিবেন তিনি হইবেন উইলকারীর মৃত্যুর পরে প্রথম জন্মলাভকারী পুত্র; ক ও খ-এর মৃত্যুর পরে ১৮ বত্সরের অধিক অতিক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত এইরূপ পুত্র ২৫ বত্সর পূর্ণ নাও করিতে পারেন; এবং ক ও খ-এর জীবনকাল এবং খ-এর পুত্রদের নাবালকত্ব শেষ হওয়ার পরে উক্ত তহবিল ন্যস্ত হওয়া বিলম্বিত হইতে পারিবে৷ খ-এর মৃত্যুর পরে উইলমূলে দানটি বেআইনী হইবে৷

(আ) একটি তহবিল সরাজীবনের জন্য ক কে, এবং ক-এর মৃত্যুর পরে সারাজীবনের জন্য খ কে; এবং খ এর মৃত্যুর পরে প্রথম ২৫ বত্সর পূর্ণ হওয়া খ-এর ছেলের বরাবরে উইল মূলে দান করা হইল৷ ঘ এক বা একাধিক ছেলে সন্তান রাখিয়া উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যান৷ এইক্ষেত্রে খ-এর সন্তানগণ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে জীবিত থাকা ব্যক্তিগণ এবং যখন তাহাদের মধ্যে যেকোন ১ জন, ২৫ বত্সর পূর্ণ করেন তখন তাহার নিজের জীবদ্দশার মধ্যে পড়েন৷ উইলমূলে দানটি বৈধ হইবে৷

(ই) একটি তহবিল সারাজীবনের জন্য ক কে, এবং ক-এর মৃত্যুর পরে সারাজীবনের জন্য খ-এর বরাবরে উইলমূলে দান করা হয়৷ উইলে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, খ-এর মৃত্যুর পরে তহবিলটি খ-এর ঐ রূপ সন্তানদের মধ্যে বিভাজ্য হবে যারা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করবেন, তবে খ-এর কোন সন্তানের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে তহবিলটি গ-এর বরাবরে হস্তান্তরিত হবে৷ এখানে খ-এর যিনি উইলকারী মৃত্যুর পরেও জীবিত থাকেন, মৃতু্যর পর হতে ১৮ বছর অতিক্রান্ত হলে তহবিলটি বিভাজ্য হওয়ার সময় হবে৷ উইলমূলে সমস্ত দানপত্র বৈধ৷

(ঈ) একটি তহবিল উইলকারীর কন্যাদের কল্যানার্থে ট্রাস্টিদের বরাবরে উইলমূলে হস্তান্তর করা হলো এবং নির্দেশ দেওয়া হলো যে, যদি তাদের কোন একজন নাবালিকা থাকা অবস্থায় বিবাহ করলে তহবিলে তার অংশটি এমনভাবে স্থিরকৃত হবে যাতে মৃত্যুর পরে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া তার সন্তানের উপর বর্তায়৷ উইলকারীর মৃত্যুকালে নির্দেশটি প্রযোজ্য হয় এমন কোন কন্য সন্তানের অস্তিত্ব অবশ্যই থাকতে হবে এবং তহবিলের কোন অংশ যা নির্দেশ মোতাবেক স্থিরকৃত হবে, কন্যাদের মৃত্যুর পর থেকে ১৮ বছর পরে ন্যস্ত হতে পারবে না৷ সমস্ত শর্তগুলোই বৈধ৷

 

ধারা-১১৫৷ ১১৩ ও ১১৪ ধারার বিধানের অধীন শ্রেণীর বরাবরে দান৷- যদি কোন শ্রেণীর ব্যক্তির বরাবরে উইলমূলে দান করা হয়, যাহাদের কারো সম্পর্কে ১১৩ বা ১১৪ ধারার বিধানাবলীর কারণে উক্ত দান অকার্যকর হইয়া থাকে, তাহা হইলে শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তিগণ সম্পর্কে এবং সমুদয় শ্রেণী সম্পর্কে নয় উক্ত দান বাতিল হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) একটা তহবিল সারাজীবনের জন্য ক-কে এবং ক এর মৃত্যুর পরে ২৫ বত্সর বয়স হইবে এমন তাহার সন্তানকে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক উইলকারীর পরে জীবিত থাকে এবং উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে তাহার সন্তানও থাকে৷ দানের জন্য অনুমোদিত সীমার মধ্যে ক-এর জীবিত প্রতিটি সন্তান ১৫ বছর বয়স্ক হইবে৷ কিন্তু উইলকারীর মৃত্যুর পরে ক-এর সন্তান থাকিতে পারে যাহারা ২৫ বছর বয়স্ক হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না ক-এর মৃত্যুর পরে ১৮ বছর অতিক্রান্ত হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুর পরে জীবিত ক-এর সন্তানের বরাবরে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে যাহার ১৮ বছর বয়স হয় নাই, তাহাদের বরাবরে দানটি অকার্যকর হইবে৷ কিন্তু অন্যান্য সন্তানদের সম্পর্কে কার্যকর হয়৷

(আ) কিছু তহবিল ক-কে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে খ, গ, ঘ এবং ক-এর অন্য সকল সন্তানকে দান করা হয়, যাহারা ২৫ বছর বয়স্ক হবে৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে ক-এর খ, গ, ঘ সন্তানগণ জীবিত থাকে৷ সকল দিক থেকে বিষয়টি (১) নং উদাহরণ বর্ণিত বিষয়ের অনুরূপ হইবে৷ যদিও খ, গ এবং ঘ-এর বরাবরে দানটি কোন শ্রেণীর বরাবরে দান হিসাবে গণ্য করিতে প্রতিহত করিবে না, উহা সম্পূর্ণভাবে বাতিল না৷ উহা ক-এর মৃত্যুর পরে ১৮ বত্ সরের মধ্যে ২৫ বছর বয়স অর্জনকারী খ, গ বা ঘ এর ক্ষেত্রে কার্যকর হইবে৷

 

ধারা-১১৬৷ পূর্বদানের ব্যথতার কারণে দানের কার্যকারিতা৷- যেক্ষেত্রে ১১৩ এবং ১১৪ ধারায় বর্ণিত বিধির কারণে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তির শ্রেণীর বরাবরে উইলমূলে দানটি বাতিল হয়, সেক্ষেত্রে একই উইলে উল্লিখিত এবং উক্ত পূর্বদানের পরে বা ব্যর্থতায় কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছাকৃত কোন দানও বাতিল হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) কিছু তহবিল ক-কে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে ২৫ বত্সর অর্জনকারী তাহার ছেলেদেরকে উইলমূলে দান করা হয়, এবং উক্ত সন্তানের মৃত্যুর পরে খ-কে৷ খ-এর বরাবরে দানটি ১১৪ ধারার অধীনে বাতিল হইবে কারণ উহা ক-এর সন্তানগণের বয়স ২৫ বছর হওয়ার পরে কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা ব্যক্ত করা হইয়াছিল৷ খ কে প্রদত্ত দানটিও বাতিল হইবে৷

(আ) কিছু তহবিল ক-কে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে তাঁহার পুত্রদের মধ্যে সর্বপ্রথম ২৫ বত্সর বয়স হইবে তাহার বরাবরে এবং কোন পুত্র ২৫ বছর বয়স অর্জন না করিলে খ-এর বরাবরে দান করা হয়৷ উইলকারী ক এবং খ এর পূর্বে মারা যায়৷ খ-এর বরাবরে দানটি বাতিল হইবে কারণ উহা ক-এর পুত্রদের মধ্যে সর্বপ্রথম ২৫ বছর পূর্ণ করিতে ব্যর্থতার কারণে খ-এর বরাবরে দান করা হয়৷

 

ধারা-১১৭৷ পুঞ্জীভুত করার নির্দেশের ফল৷- (১) যেক্ষেত্রে কোন উইলের শর্তাবলীতে এইরূপ নির্দেশ থাকে যে, কোন সম্পত্তি হইতে উদ্ভূত আয় সম্পূর্ণভাবে কিংবা আংশিকভাবে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে বত্সরেরও বেশি মেয়াদে জমা হইবে, সেক্ষেত্রে অতঃপর যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত উক্ত নির্দেশ যে সময় পর্যন্ত পুঞ্জীভূত করিবার নির্দেশ দেওয়া হয় ঐ সময়ের যতখানি অতিরিক্ত ততখানি বাতিল হইবে, এবং উক্ত ১৮ বত্সর সময় অন্তে সম্পত্তি এবং উহার আয় যে সময় পর্যন্ত পুঞ্জীভূত করার নির্দেশ দেওয়া হয় ঐ সময় অবসানে বিলি হইবে৷

(২) এই ধারা নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে পুঞ্জীভূত করিবার কোন নির্দেশ প্রভাবিত করিবে না-

    (অ) উইলকারী কিংবা উইলের স্বার্থ গ্রহণকারী কোন ব্যক্তির দেনা পরিশোধ, বা

    (আ) উইলকারী কিংবা উইলের অধীনে স্বার্থ গ্রহণকারী কোন ব্যক্তির সন্তানদের কিংবা পূর্ববর্তী সন্তানের জন্য অংশের বিধান, বা

    (ই) উইলকৃত সম্পত্তির হেফাজত বা রক্ষণাবেক্ষণ, এবং উক্ত নির্দেশ সেই মোতাবেক দেওয়া যাইবে৷

ধারা-১১৮৷ ধর্মীয় বা দাতব্য ব্যবহারের জন্য দান৷ - ভাইপো, বা ভাইঝি বা অন্য কোন নিকট আত্মীয় আছে এইরূপ কোন ব্যক্তি তাঁহার মৃত্যুর অন্যূন ১২ বত্সর পূর্বে, উইলদ্বারা সম্পাদিত এবং জীবিত ব্যক্তিগণের উইলের নিরাপত্তা হেফাজতের আইন দ্বারা নির্ধারিত কোন স্থানে উক্ত উইল সম্পাদনের তারিখ হইতে ৬ মাসের মধ্যে জমাকৃত ব্যতীত ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি উইলমূলে দান করিতে পারিবেন না৷

 

উদাহরণ

ক-এর একজন ভাইপো আছে৷ ক-প্রয়োজন মত সম্পাদিত এবং জমাকৃত হয় নাই উইল দ্বারা দান করেন-

    দরিদ্র জনগণের জন্য;

    অসুস্থ সৈন্যদের দেখাশুনার জন্য;

    হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা বা উহার ব্যয়ের জন্য;

    এতিমদের শিক্ষার জন্য;

    পণ্ডিতদের সহায়তার জন্য;

    স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য;

    সেতু তৈরী এবং সংস্কারের জন্য;

    রাস্তা তৈরীর জন্য;

    চার্চ সংস্কারের জন্য;

    ধর্মীয় ব্যক্তিদের কল্যাণের জন্য;

    পাবলিক গার্ডেন প্রতিষ্ঠার জন্য

    উক্ত সমস্ত দান বাতিল হইবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় - আট

উত্তরদায়ের ন্যস্ততা সম্পর্কে

 

ধারা-১১৯৷ উত্তরদায়ের ন্যস্ততার তারিখ যখন পরিশোধ বা দখল স্থগিত করা হয়৷- যেক্ষেত্রে দানের শর্তাবলী দ্বারা উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকৃত বস্তুটির তাত্ক্ষণিক দখলের অধিকারী না হন, সেক্ষেত্রে উপযুক্ত সময়ে উহা গ্রহণের অধিকার, যদিনা উইল দ্বারা ভিন্ন ইচ্ছা ব্যক্ত হয়, উইলকারীর মৃত্যুতে উত্তরদায় গ্রহীতার উপর ন্যস্ত হইবে, এবং উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ যদি তিনি উক্ত সময়ের পূর্বে মারা যান এবং উক্ত ক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যু হইতে উত্তরদায়টি ন্যস্ত হইয়া থাকে৷

ব্যাখ্যা৷- কোন ব্যক্তির বরাবরে উত্তরদায় তাহার উপর স্বার্থে ন্যস্ত হইবে না এমন ইচ্ছা শুধুমাত্র একটি বিধান হইতে অনুমান করা যাইবে না যদদ্বারা উইলকৃত বস্তুটির পরিশোধ বা দখল স্থগিত করা হয় বা যদদ্বারা উইলকৃত তহবিল হইতে আয় পুঞ্জীভূত হইবে বলিয়া নির্দেশ দেওয়া হয় যতক্ষণ না পরিশোধের সময় হয় কিংবা এইরূপ কোন দফা হইতে যে, যদি বিশেষ কোন ঘটনা ঘটে, তাহা হইলে উত্তরদায়টি অন্যকোন ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ কে ১০০ টাকা দান করে যাহা গ-এর মৃত্যুতে প্রদেয় হইবে৷ ক- এর মৃত্যুতে উত্তরদায়টি খ-এর উপর ন্যস্ত হয়, এবং যদি সে গ-এর পূর্বে মারা যায়, তাহা হইলে তাহার প্রতিনিধি উত্তরদায়টি পাইবে৷

(আ) ক, খ কে ১০০ টাকা দান করে, যাহা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হইলে প্রদেয় হইবে৷ ক-এর মৃত্যুতে উহা খ-এর বরাবরে ন্যস্ত হয়৷

(ই) একটা ভূ-সম্পত্তি ক-কে আজীবনের জন্য দান করা হয় এবং তাহার মৃত্যুর পর 'খ' যদি জীবিত থাকে তবে সে পাইবে এই বলা থাকে, কিন্তু যদি 'খ' জীবিত না থাকেন তবে 'গ' পাইবে৷ উইলকারীর জীবিত অবস্থায় ক এবং 'খ' বাচিয়া থাকে৷ এক্ষেত্রে খ এবং গ ভূ-সম্পত্তিতে শর্ত সাপেক্ষ স্বার্থ পাইবে যদি না ঘটনাটি ঘটে৷

(ঈ) খ-এর বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ক কে তহবিল দান করা হয় এবং তারপর খ-কে৷ উইলকারীর মৃত্যু হইতে খ-এর বরাবরে উত্তরদায়টি ন্যস্ত হয়৷

(উ) ক, খ কে ট্রাস্টমূলে তাঁহার সমুদয় সম্পত্তি উইলমূলে দান করে এবং তারপর গ কে দেয়৷ ক-এর মৃত্যুতে গ-এর বরাবরে দানটি তাহার উপর ন্যস্ত হইবে৷

 

ধারা-১২০৷ ন্যস্ততার তারিখ যখন নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনায় উত্তরদায় শর্তসাপেক্ষে৷- (১) কোন নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনার ক্ষেত্রে উইলকৃত উত্তরদায় উক্ত ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত ন্যস্ত হইবে না৷

(২) কোন নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনার ক্ষেত্রে উইলকৃত উত্তরদায় উক্ত ঘটনা ঘটা অসম্ভব না হওয়া পর্যন্ত ন্যস্ত হইবে না৷

(৩) যে কোন একটা ক্ষেত্রে শর্তটি পূরণ না হইলে উত্তরদায়গ্রহীতার স্বাথর্কে শর্তাধীন বলা হয়৷

ব্যতিক্রম- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির বরাবরে বিশেষ বয়স অর্জন পর্যন্ত দান করা হয় এবং তিনি উক্ত বয়সে পৌঁছানোর পূর্বে উইলটি তহবিল হইতে উদ্বৃত্ত আয় তাহাকে দিয়া দেয় অথবা তাহার কল্যাণার্থে যতখানি প্রযোজন আয় ততখানি প্রয়োজন হইবে এইরূপ নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে তহবিলের দানটি শর্তাধীন নয়৷

 

উদাহরণ

(১) ঘ এর বরাবরে উত্তরদায় দান করা হয় যদি ক, খ এবং ঘ সকলে ১৮ বছরের নীচে মারা যায়৷ উত্তরদায়টিতে ঘ এর শর্তসাপেক্ষে স্বার্থ আছে যতক্ষণ না ক, খ এবং গ সকলে ১৮ বছরের নীচে মারা যায় অথবা তাহাদের সকলে উক্ত বয়স অর্জন করে৷

(২) কিছু অর্থ খ কে দান করা হয় যদি সে ১৮ বছর বয়স্ক হয় অথবা যখন তাহার বয়স ১৮ বছর হইবে৷ ক এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষে হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত সে উক্ত বয়স অর্জন দ্বারা শর্তটি পূর্ণ হয়৷

(৩) একটা ভূ-সম্পত্তি ক-কে তাহার মৃত্যুর পর খ-কে দান করা হয় যদি খ তখন জীবিত থাকে, কিন্তু খ জীবিত না থাকিলে গ-কে৷ উইলকারী ক, খ এবং গ এর পূর্বে মারা যায়৷ খ এবং গ প্রত্যেকে ভূ-সম্পত্তিতে শর্তসাপেক্ষ স্বার্থ পায় যদি না ঘটনাটি ঘটে৷

(৪) একটি ভূ-সম্পত্তি 'ক'-এর বরাবরে আজীবনের জন্য দান উইল করা হইল৷ ক-এর জীবদ্দশায় 'খ' মারা যায় এবং 'খ'-এর মৃত্যুর পর 'গ' উহাতে কায়েজী স্বার্থ-লাভ করে৷

(৫) 'ক' এর বরাবরে এই মর্মে উইল করা হয় যে, তাহার বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন সে (মহিলা) 'খ'-এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে এবং উক্ত মহিলাটি যদি ইহার কোনটাই না করেন, তবে উহা 'গ' পাইবে৷ এক্ষেত্রে উভয়ে শর্তসাপেক্ষ স্বার্থ অর্জন করিবে৷

(৬) একটি ভূ-সম্পত্তি ক কে দান করা হয় যতক্ষণ না সে বিবাহ করিবে এবং উক্ত ঘটনার পরে খ কে দান করা হয়৷ দানে খ এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যতক্ষণ না ক এর বিবাহ দ্বারা শর্তটি পূর্ণ হয়৷

(৭) ভূ-সম্পত্তি ক কে দান করা হয় যতক্ষণ না সে ঋণগ্রহীতার প্রতিকারের জন্য কোন আইনের সুবিধা পাইবে এবং উক্ত ঘটনার পরে খ এর বরাবরে দান করা হয়৷ দানটিতে খ এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যদি না ক উক্ত আইনের সুবিধা গ্রহণ করে৷

(৮) ভূ-সম্পত্তি ক কে দান করা হয় যদি সে খ কে ৫০০ টাকা দেয়৷ দানটিতে ক এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যতক্ষণ সে খ কে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে৷

(৯) ক, খ কে তাহার সুলতানপুরের খামারটি দেয় যদি খ গ কে সুলতানপুর বুজা ক এর খামারটি গ কে দেয়৷ দায়টিতে খ এর শর্ত সাপেক্ষ যতক্ষণ না সে পরবর্তী খামারটি গ, কে দিয়া থাকে৷

(১০) ক কে একটি তহবিল দান করা হয় যদি উইলকারীর মৃত্যুর পরে ৫ বছরের মধ্যে খ, গ কে বিবাহ করে৷ উত্তরদায়টিতে ক এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যতক্ষণ না গ কে খ এর বিবাহ ব্যতীত ৫ বছর অবসান দ্বারা অথবা উক্ত সময়ের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটা দ্বারা যাহা উক্ত শর্ত পূরণ অসম্ভব করিয়া দেয়, শর্তটি পূরণ হয়৷

(১১) একটি তহবিল ক কে দান করা হয় যদি খ উইল দ্বারা তাহার জন্য কোন বিধান না করে৷ খ এর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত উত্তরদায়টি শর্ত সাপেক্ষ৷

(১২) ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া মাত্র ক, খ কে ৫০০ টাকা দান কের এবং নির্দিষ্ট দেয় যে সুদ অথবা উহার কোন অংশ উক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাহার কল্যাণার্থে ব্যয় হইবে৷ উত্তরদায়টি ন্যস্ত৷

(১৩) ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া মাত্র ক, খ কে ৫০০ টাকা দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে উক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু অর্থ তাহার ভরণ পোষণের জন্য ব্যয় করা হবে৷ উত্তর দায়টি শর্তসাপেক্ষ৷

 

ধারা-১২১৷ বিশেষ বয়স অর্জন করিবে এইরূপ শ্রেণীর সদস্যগণের বরাবরে দানে বিদ্যমান স্বার্থের ন্যস্ততা৷- যেক্ষেত্রে বিশেষ বয়স অর্জন করিবে শুধুমাত্র এইরূপ শ্রণীর সদস্যগণের বরাবরে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি উক্ত বয়স অর্জন করে নাই তিনি উত্তরদায়টিতে স্বার্থের অধিকারী হইবে না৷

 

উদাহরণ

একটি তহবিল ১৮ বছর বয়স হইবে ক এর এইরূপ সন্তান এর বরাবরে এমন নির্দেশসহ দান করা হয় যে, যদি ক এর কোন সন্তান ১৮ বছরের নীচে জয় তাহা হইলে যে অংশের সে অধিকারী হইবে ঐ অংশের আয় তাহার ভরণ-পোষণ এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হইবে৷ ১৮ বছরের নীচে ক এর কোন সন্তানের দানটিতে ন্যস্ত অধিকার থাকিবে না

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় নয়

অ'নারাস দান সম্পর্ক

ধারা-১২২৷ অ'নারাস দান৷- যেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতার উপর কোন দান বাধ্যবাধকতা আরোপ করে, সেক্ষেত্রে তিনি উহা পূর্ণভাবে গ্রহণ না করিলে উহা দ্বারা কিছুই গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷

 

উদাহরণ

ক এর চ নামক জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে এবং ছ নামক অন্য একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে শেয়ার আছে৷ ক, খ কে উক্ত জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সমস্ত শেয়ার দান করে৷ খ, ছ কোম্পানির শেয়ার নিতে অস্বীকার করে৷ সে চ কোম্পানির শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে৷

 

ধারা-১২৩৷ একই ব্যক্তিকে দু'টি পৃথক এবং স্বাধীন দানের একটি গ্রহণ করা যাইবে এবং অন্যটি প্রত্যাখান করা যাইবে৷- যেক্ষেত্রে একটি উইল এ একই ব্যক্তির বরাবরে দু'টি পৃথক এবং স্বাধীন দান থাকে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতার যে কোন একটি গ্রহণের এবং অন্যটি অস্বীকার করিবার স্বাধীনতা থাকিবে, যদিও পূর্বটি লাভজনক এবং পরেরটি অ'নারাস৷

 

উদাহরণ

ক এর কয়েক বত্ সর মেয়াদের একটি বাড়ীর ইজারা আছে যাহার খাজনা তিনি এবং তাহার প্রতিনিধি উক্ত মেয়াদে প্রদান করিতে বাধ্য এবং বাড়ীটি যে খাজনায় ভাড়া দেওয়া যাইবে উহা তাহার অধিক৷ খ ইজারাটি গ্রহণ করিতে অস্বীকার করে৷ এইরূপ অস্বীকার দ্বারা সে অর্থ বাজেয়াপ্ত করিবে না৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায় -দশ

শর্তাধীন দান সম্পর্কে

 

ধারা-১২৪৷ নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটার কোন সময় উল্লেখ না থাকিলে সেক্ষেত্রে শতর্সাপেক্ষ দান৷- যেক্ষেত্রে উত্তরদায় দান করা হয় যদি নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটে এবং উইল-এ উক্ত ঘটনা ঘটার জন্য কোন সময় উল্লেখ না থাকে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে না যদি না উইলকৃত তহবিল দেয় বা বণ্টনযোগ্য মেয়াদের উক্ত ঘটনা ঘটে৷

 

উদাহরণ

(অ) একটি উত্তর দায় ক-কে এবং তাহার মৃত্যুতে খ কে দান করা হয়৷ ক যদি জীবিত থাকে তাহা হইলে খ এর বরাবরে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে৷

(আ) একটি উত্তরদায় ক-কে এবং নিঃসন্তান অবস্থায় তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে খ কে দান করা হয়৷ যদি ক উইলকারীর পরে মারা যায় অথবা সন্তান রাখিয়া তাহার জীবদ্দশায় মারা যায় তাহা হইলে খ এর বরাবরে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে না৷

(ই) যখন এবং যদি ১৮ বছর বয়স্ক হয় তাহা হইলে একটি উত্তরদায় ক কে এবং তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে খ-কে দান করা হয়৷ ক ১৮ বছর বয়স অর্জন করে৷ খ এর বরাবরে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে না৷

(ঈ) একটি উত্তরদায় ক-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ-কে এবং নিঃসন্তান অবস্থায় খ এর মৃত্যুর ক্ষেত্রে গ কে দান করা হয়৷ ''নিঃসন্তান অবস্থায় খ এর মৃত্যুর ক্ষেত্রে'' শব্দগুলি ''ক এর জীবদ্দশায় যদি খ সন্তানহীন অবস্থায় মারা যায়'' অর্থমতে, বুঝিতে হইবে৷

(উ) সারা জীবনের জন্য ক-এর বরাবরে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ-এর বরাবরে এবং 'খ'-এর মৃত্যু হইলে 'গ'-এর বরাবরে একটি উত্তরদায় উইল করে দেয়া হয়৷ ''খ''-এর মৃত্যু হইলে'' শব্দাবলী ক-এর জীবদ্দশায় 'খ' মারা গেলে''- এমন অর্থে বিবেচনা করিতে হইবে৷

 

ধারা-১২৫৷ নির্দিষ্ট নয় এইরূপ কোন মেয়াদে জীবিত কতিপয় ব্যক্তি বরাবরে দান৷- যেক্ষেত্রে কোন মেয়াদে জীবিত থাকিবে এইরূপ ব্যক্তির বরাবরে কোন দান করা হয় কিন্তু সঠিক সময় উল্লেখ করা না হয়, সেক্ষেত্রে উইল দ্বারা বিপরীত মর্মে ইচ্ছা প্রতীয়মান না হইলে উত্তরদায়টি পরিশোধ বা বণ্টনের সময় জীবিত ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) সম্পত্তি সমানভাবে ক এবং খ এর মধ্যে অথবা তাদের উত্তরজীবীগণের মধ্যে দান করা হয়৷ ক এবং খ উভয়ই যদি উইলকারীর উত্তরজীবী থাকে তাহা হইলে উত্তরদায়টি তাহাদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হইবে৷ যদি ক উইলকারীর পূর্বে মারা যায় এবং খ জীবিত থাকে তাহলে উহা খ এর বরাবরে যাইবে৷

(আ) সম্পত্তি ক কে এবং ক এর মৃত্যুর পরে খ এবং গ কে অথবা তাহাদের উত্তরজীবীকে দান করা হয়৷ ক এর জীবদ্দশায় খ মারা যায়, গ, ক এর উত্তরজীবী থাকে৷ ক এর মৃত্যুতে উত্তরদায়টি গ এর কাছে যায়৷

(ই) সম্পত্তি ক কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ এবং গ কে অথবা তাদের উত্তরজীবীকে এই নির্দেশ দিয়া দান করা হয় যে, যদি খ উইলকারীর উত্তরজীবী না হয় তাহলে তাহার সন্তানগণ তাহার স্থানে অবস্থান করিবে৷ গ উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়, খ উইলকারীর উত্তরজীবী থাকে কিন্তু ক এর জীবদ্দশায় মারা যায়৷ উত্তরদায়টি খ এর প্রতিনিধির নিকটে যায়৷

(ঈ) সম্পত্তি ক কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ এবং গ কে এই নির্দেশ দিয়া দান করা হয় যে, যদি তাহাদের যে কোন একজন ক এর জীবদ্দশায় মারা যায় তাহা হইলে সমুদয় সম্পত্তি উত্তরজীবীর নিকট চলিয়া যাইবে৷ খ, ক এর জীবদ্দশায় মারা যায় পরবর্তী ক, গ এর জীবদ্দশায় মারা যায়, উত্তরদায়টি গ এর প্রতিনিধির নিকটে চলিয়া যায়৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-এগার

শর্তসাপেক্ষ দান সম্পর্কে

 

ধারা-১২৬৷ অসম্ভব শর্তে দান৷- অসম্ভব শর্তে কোন দান বাতিল হয়৷

 

উদাহরণ

(ক) ভূ-সম্পত্তি ক-কে এই শর্তে দান করা হয় যে, এক ঘন্টায় ১০০ মাইল হাঁটিবে৷ দানটি বাতিল হয়৷

(আ) ক, খ কে এই শর্তে ৫০০ টাকা দান করে যে খ, ক এর কন্যাকে বিবাহ করিবে৷ উইল এর তারিখে ক-এর কন্যা মৃত ছিল দানটি বাতিল হইবে৷

 

ধারা-১২৭৷ বেআইনী বা অনৈতিক স্বার্থ দান৷- কোন শর্তে দান, যাহা পূরণ করা আইন বা নৈতিকতা বিরোধী হইবে, বাতিল হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক, খ কে এই শর্তে ৫০০ টাকা দান করে যে, সে গ কে খুন করিবে৷ দানটি বাতিল হইবে৷

(আ) ক তাহার ভাইঝিকে ৫০০ টাকা দান করে যদি সে তাহার স্বামীকে ত্যাগ করে৷ দানটি বাতিল হইবে৷

 

ধারা-১২৮৷ উত্তরদায় ন্যস্ততার পূর্ববর্তী শর্ত পূরণ৷- যেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকৃত বস্তুতে ন্যস্ত স্বার্থ গ্রহণ করিবার পূর্বে কোন উইল পূরণ করিতে হইবে এমন কোন শর্ত আরোপ করে, সেক্ষেত্রে শর্তটি পালন করা হইলে উহা পূরণ করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক কে এই শর্তে উত্তরদায় দান করা যায় যে, সে খ, গ, ঘ এবং ঙ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক, খ এর লিখিত সম্মতিতে বিবাহ করে, গ বিবাহের সময় উপস্থিত থাকে৷ খ বিবাহের পূর্বে ক কে একটি উপহার পাঠায়৷ ঙ, ক কে ব্যক্তিগতভাবে তাহার ইচ্ছার কথা জানায় এবং কোন আপত্তি করে নাই৷ ক শর্তটি পূর্ণ করিয়াছেন৷

(আ) একটি উত্তরদায় ক-কে এই শর্তে দান করা হয় যে, খ, গ এবং ঘ-এর সম্মতিতে বিবাহ করে৷ 'ক' শর্তটি পূরণ করিয়াছে৷

(ই) একটি উত্তর দায় ক কে এই শর্তে দান করা হয় যে, সে খ, গ এবং ঘ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক, খ এবং গ এর জীবদ্দশায় শুধুমাত্র খ এবং গ এর সম্মতিতে বিবাহ করে৷ ক শর্তটি পূরণ করে নাই৷

(ঈ) একটি উত্তরদায় ক কে এই শর্তে দান করা হয় যে, সে খ, গ এবং ঘ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক নিঃশর্তভাবে ঙ এর সহিত তাহার বিবাহে খ, গ এবং ঘ এর সম্মতি লাভ করে৷ পরবর্তীতে খ, গ এবং ঘ খামখেয়ালীভাবে তাহাদের সম্মতি প্রত্যাহার করে৷ ক, ঙ কে বিবাহ করে৷ ক শর্তটি পূরণ করিয়াছে৷

(উ) একটি উত্তরদায় ক-কে এই শর্তে দান করা হয় যে, খ, গ এবং ঘ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক তাহাদের সম্মতি ছাড়া বিবাহ করে কিন্তু বিবাহের পরে তাহাদের সম্মতি লাভ করে৷ ক শর্তটি পূরণ করে নাই৷

(ঊ) ক তাহার উইল করে যাহা দ্বারা সে খ কে কিছু অর্থ দান করে যদি খ, ক এর নির্বাহকদের সম্মতিতে বিবাহ করে৷ খ, ক এর জীবদ্দশায় বিবাহ করে এবং ক পরবর্র্তীতে বিবাহে তাহার সম্মতি ব্যক্ত করে৷ ক মারা যায়৷ খ এর বরাবরে দানটি কার্যকর হইবে৷

(ঋ) একটি উত্তরদায় ক কে দান করা হয় যদি সে উইল-এ কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট দলিল সম্পাদন করে৷ যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে ক দলিলটি সম্পাদন করে৷ কিন্তু উইলে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে করে না৷ শর্তটি পূরণ করে নাই এবং তাই উত্তরদায়টি গ্রহণ করিবার অধিকারী নয়৷

 

ধারা-১২৯৷ ক এর বরাবরে দান এবং খ এর বরাবরে পূর্ব দানের ব্যর্থতা৷- যেক্ষেত একজন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয় এবং অন্যজন ব্যক্তির বরাবরে ঐ একই জিনিস দান করা হয়, যদি পূর্ববর্তী দানটি ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী দানটির ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দানটি কার্যকর হইবে যদিও উক্ত ব্যর্থতা উইলকারীর কল্পিত পদ্ধতিতে ঘটে নাই৷

 

উদাহরণ

(অ) ক তাহার সন্তানদেরকে কিছু অর্থ এবং ১৮ বছরের নীচে তাহারা সকলে মারা গেলে উক্ত অর্থ খ কে দান করে৷ ক কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যায়৷ খ এর বরাবরে দানটি কার্যকরী হইবে৷

(আ) ক, খ কে এই শর্তে কিছু অর্থ দান করে যে, সে ক এর মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট দলিল সম্পাদন করিবে৷ এবং যদি সে গ এর বরাবরে উহা করিতে অবহেলা করে৷ খ উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়৷ গ এর বরাবরে দানটি কার্যকরী হইবে৷

 

ধারা-১৩০৷ যখন প্রথম দানের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দান কার্যকর হয় না৷- যেক্ষেত্রে উইল-এ এইরূপ ইচ্ছা থাকে যে বিশেষ অবস্থায় কেবলমাত্র প্রথম দানের ব্যর্থতার ঘটনায় দ্বিতীয় দানটি কার্যকর হইবে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় দানটি কার্যকর হইবে না যদি না প্রথম দানটি উক্ত বিশেষভাবে ব্যর্থ হয়৷

 

উদাহরণ

ক তাহার স্ত্রীকে উইলমূলে দান করে কিন্তু যদি সে (স্ত্রী) তাহার জীবদ্দশায় মারা যায় সেক্ষেত্রে তাহার স্ত্রীর বরাবরে দানকৃত বস্তুটি খ-কে দান করে৷ ক এবং তাহার স্ত্রী একত্রে মারা যায় কিন্তু স্ত্রী তাহার পূর্বে মারা গিয়াছে এইরূপ প্রমাণ করা অসম্ভব হয়, খ-এর বরাবরে দানটি কার্যকর হইবে না৷

 

ধারা-১৩১৷ নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটা বা না ঘটার ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে দান৷- (১) কোন ব্যক্তির বরাবরে এই শর্তে দান করা যাইবে যে, নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটার ক্ষেত্রে উইলকৃত বস্তুটি অন্যকোন ব্যক্তির কাছে যাইবে অথবা এই শর্তে যে, নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনাটি না ঘটিলে উইলকৃত বস্তুটি অন্য ব্যক্তির কাছে যাইবে৷

(২) প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সর্বশেষ দানটি ১২০, ১২১, ১২২, ১২৩, ১২৪, ১২৫, ১২৬, ১২৭, ১২৯ এবং ১৩০ ধারায় বর্ণিত বিধি সাপেক্ষে হইবে৷

 

উদাহরণ

(অ) কিছু অর্থ ''ক'' কে দান করা হয় যাহা তাহার বয়স ১৮ বছর হইলে তাহার বরাবরে প্রদেয় হইবে এবং উক্ত বয়সের পূর্বেই যদি সে মারা যায় তাহা হইলে ''খ'' পাইবে৷ ''ক'' উত্তরদায়টিতে ন্যস্ত স্বার্থ গ্রহণ করে এবং ১৮ বছরের নীচে মারা গেলে উহা ''খ'' পায়৷

(আ) ''ক'' এর বরাবরে ভূ-সম্পত্তি এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি ক উইলকারীর উইল করার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাহা হইলে ভূ-সম্পত্তিটি খ এর কাছে চলিয়া যাইবে৷ ''ক'' উক্ত প্রশ্ন তোলায় ভূ-সম্পত্তিটি ''খ'' এর কাছে চলিয়া যাইবে৷

(ই) কিছু অর্থ ''ক'' ''খ''-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে ''খ'' কে দান করা হয়, কিন্তু যদি ''খ'' তখন পুত্র সন্তান রাখিয়া মারা যায় তাহা হইলে উক্ত সন্তান ''খ'' এর স্থলে অবস্থান করিবে৷ যদি ''ক'' ''খ'' এর জীবদ্দশায় পুত্র রাখিয়া মারা যায় তাহা হইলে সে উত্তরদায়টিতে ন্যস্ত স্বার্থ গ্রহণ করে৷

(ঈ) কিছু অর্থ ''ক'' এবং ''খ'' কে এবং ''গ'' এর জীবদ্দশায় উহাদের যে কোন একজন মারা গেলে গ এর মৃত্যুর সময়ে উত্তরজীবীর বরাবরে দান করা হয়৷ ''ক'' এবং ''খ'' ''গ'' এর পূর্বে মারা যায়৷ দানটি কার্যকর হইবে না কিন্তু ''ক'' এর প্রতিনিধি অর্থের অর্ধেক এবং ''খ'' এর প্রতিনিধি অপর অর্ধেক পায়৷

(উ) ''ক'' ''খ'' কে তহবিলের স্বার্থ দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে তাহার মৃত্যুতে উক্ত তহবিল তাহার তিন সন্তানের মধ্যে অথবা তাহার মৃত্যুর সময় জীবিতদের মধ্যে সমান ভাবে বণ্টিত হইবে৷ ''খ'' এর সকল সন্তান তাহার জীবদ্দশায় মারা যায়৷ দানটি কার্যকর হইবে না কিন্তু সন্তানদের স্বার্থ তাহাদের প্রতিনিধির বরাবরে চলিয়া যায়৷

 

ধারা-১৩২৷ শর্ত অবশ্যই চূড়ান্তভাবে পূরণ করিতে হইবে৷ ১৩১ ধারায় বর্ণিত কোন দান কার্যকর হইবে না, যদি না শর্তটি চূড়ান্তভাবে পূরণ করা হয়৷

 

উদাহরণ

(অ) একটি উত্তরদায় ''ক'' কে এইশর্তে দান করা হয় যে, যদি সে ''খ'', ''গ'' এবং ''ঘ'' এর সম্মতি ছাড়া বিবাহ করে তাহা হইলে উহা ঙ এর বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ ঘ মরা যায়৷ ''খ'' এবং ''গ'' এর সম্মতি ছাড়া বিবাহ করিলেও ''ঙ'' এর বরাবরে দানটি কর্যকর হয় না৷

(আ) একটি উত্তরদায় ক এর বরাবরে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে খ এর সম্মতি ব্যতীত বিবাহ করে তাহা হইলে উহা গ এর বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ ক খ এর সম্মতিতে বিবাহ করে কিন্তু পরবর্তীতে বিপত্নীক হইয়া যায় এবং খ এর সম্মতি ছাড়া পুনরায় বিবাহ করে৷ গ এর বরাবরে দানটি কার্যকর হয় না৷

(ই) একটি উত্তরদায় ক কে দান করা হয় যাহা তাহার বয়স ১৮ বছর হইলে অথবা সে বিবাহ করিলে প্রদেয় হইবে এবং এই শর্তে যে, যদি ''ক'' ১৮ বছরের নীচে মারা যায় অথবা খ এর সম্মতি ছাড়া বিবাহ করে তাহা হইলে উহা ''গ'' এর বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ ''গ'' এর বরাবরে দানটি কার্যকর হয়৷

 

ধারা-১৩৩৷ দ্বিতীয় দানের অবৈধতার দ্বারা মূল দানটি ক্ষতিগ্রস্ত হইবে না৷- যদি সর্বশেষ দানটি বৈধ না হয় তাহা হইলে তদ্বারা মূল দানটি ক্ষতিগ্রস্ত হইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) কোন ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে যদি সে কোন নির্দিষ্ট দিনে এক ঘন্টায় ১০০ মাইল না হাঁটে তাহা হাইলে ভূ-সম্পত্তিটি ''খ'' পাইবে৷ শর্তটি বাতিল হওয়ায় ''ক'' তাহার ভূ-সম্পত্তি এমনভাবে লাভ করে যেন উইল এ কোন শর্তই উল্লেখ করা হয় না৷

(আ) কোন ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এবং যদি সে তাহার স্বামীকে ত্যাগ না করে তাহা হইলে ''ঘ'' কে দান করা হয়৷ ''ক'' কে দান করা হয়৷ ''ক'' তাহার জীবদ্দশায় ভূ-সম্পত্তিটি এমনভাবে পাইবে যেন উইল এ কোন শর্তই উল্লেখ করা হয় না৷

(ই) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এবং যদি সে বিবাহ করে তাহা হইলে ''খ'' এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দান করা হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় ''খ'' এর কোন সন্তান ছিল না৷ ১০৫ ধারার অধীনে দানটি বাতিল হওয়ায় ''ক'' তাহার জীবদ্দশায় ভূ-সম্পত্তিটির অধিকারী হইবে৷

 

ধারা-১৩৪৷ এই শর্তে দান করা হয় যে, নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটিলে বা না ঘটিলে উহার কার্যকারিতা থাকিবে না৷- একটি দান এই শর্তে করা যাইবে যে, যদি নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটে অথবা যদি নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা না ঘটে তাহা হইলে উহা কার্যকর হইবে না৷

 

উদাহরণ

(অ) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে কোন নির্দিষ্ট গাছ কাটে তাহা হইলে দানটির কোন কার্যকারিতা থাকিবে না, ''ক'' গাছটি কাটে৷ সে ভূ-সম্পত্তিতে তাহার জীবন স্বত্ব হারায়৷

(আ) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে উইল এ উল্লেখিত নির্বাহকের সম্মতি ব্যতীত ২৫ বছরের নীচে বিবাহ করে তাহা হইলে উহা তাহার অধিকারভূক্ত হইবে না৷ ''ক'' তদরূপ করায় সে ভূ-সম্পত্তিটি হারায়৷

(ই) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে উইলকারীর মৃত্যুর পরে তিন বছরের মধ্যে ইংল্যান্ড না যায় তাহা হইলে ভূ-সম্পত্তিতে তাহার স্বার্থ থাকিবে না৷ ''ক'' উহা না করায় তাহার স্বার্থের অবলুপ্তি ঘটে৷

(ঈ) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে যদি সে নান হয় তাহা হইলে সে উহা কোন স্বার্থ পাইবে না৷ ''ক'' নান হওয়ায় তাহার স্বার্থ হারায়৷

(উ) একটি তহবিল ''ক'' কে জীবন স্বত্বে দান করে এবং ''ক'' এর মৃত্যুর পরে ''খ'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে যদি ''খ'' নান হয় তাহা হইলে তাহার বরাবরে দানটির কোন কার্যকারিতা থাকিবে না৷ ''খ'' ''ক'' এর জীবদ্দশায় নান হওয়ায় সে তহবিলে বিদ্যমান স্বার্থ হারায়৷

 

ধারা-১৩৫৷ উক্তরূপ শর্ত ১২০ ধারায় অধীনে অবৈধ হইবে না৷- একটি দানের কার্যকারিতা থাকিবে না এইরূপ শর্ত যাহাতে বৈধ হইতে পারে, ইহা আবশ্যক যে উক্ত শর্ত প্রযোজ্য এইরূপ ঘটনা এমন একটি ঘটনা হইবে যাহা ১২০ ধারায় বর্ণিত দানের শর্ত বৈধভাবে গঠন করিবে৷

 

ধারা-১৩৬৷ কোন সময় নির্দিষ্ট নাই উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক এইরূপ কোন ঘটনা অসম্ভব করা কিংবা অনির্দিষ্টভাবে স্থগিত করার ফলাফল এবং যাহার বিষয়বস্তু সম্পাদন না করায় হস্তান্তরের ফল৷- যেক্ষেত্রে এই শর্ত দান করা হয় যে, উত্তরদায়গ্রহীতা কোন নির্দিষ্ট কার্য না করিলে দানটির বিষয়বস্তু অন্য ব্যক্তির নিকট চলিয়া যাইবে অথবা দানটির কার্যকারিতা থাকিবে না৷ কিন্তু কার্যটি সম্পাদনের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করা হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের ফলে যদি কার্য সম্পন্ন হওয়া অসম্ভব হয় কিংবা অনির্দিষ্টভাবে স্থগিত থাকে, উত্তরদায়টি এমনভাবে যাইবে যেন উত্তরদায়গ্রহীতা উক্ত কার্য সম্পন্ন না করিয়া মারা গিয়াছে৷

 

উদাহরণ

(অ) ক-কে এই শর্তে উইল করে দেয়া হয় যে, সে সেনাবাহিনীতে যোগদান না করিলে উত্তরদায়টি খ-এর উপর ন্যস্ত হইবে৷ ক পবিত্র আদেশ নেওয়ার কারণে তাহার পক্ষে শর্তপূরণ করা অসম্ভব হইয়া পড়ে৷ উত্তর দায়টি খ পাইবে৷

(আ) ক-কে এই শর্তে উইল করিয়া দেওয়া হইল যে, ক, খ-এর কন্যাকে বিবাহ না করিলে উহার কোন কার্যকরতা থাকিবে না৷ ক, অন্য আরেক জনকে বিবাহ করার কারণে শর্ত পূরণ করিতে ব্যর্থ হইল৷ উত্তরদায়টির কোন কার্যকরতা থাকিবে না৷

 

ধারা-১৩৭৷ পূর্ববর্তী বা পরবর্তী শর্তের নির্দীষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদন৷ প্রতারণার ক্ষেত্রে আরও সময়৷- যেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক উত্তরদায়টি ভোগের পূর্বে শর্ত হিসাবে পূরণ করিতে হইবে অথবা দানের বিষয়বস্তু পূরণ করিতে হইবে অথবা দানের বিষয়বস্তু পূরণ না করা শর্তের ক্ষেত্রে উহা অন্য কোন ব্যক্তির কাছে চলিয়া যায় অথবা কার্যকারিতা হারায় উইলে এইরূপ কোন কার্যের উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রে কার্যটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে৷

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
অধ্যায়-বার

ভোগের প্রয়োগ বিষয়ে নির্দেশসহ দান সম্পর্কে

ধারা-১৩৮৷ যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির বরাবরে চূড়ান্তভাবে অথবা তাহার কল্যাণার্থে তহবিল দান করা হয়৷- কিন্তু এই মর্মে নির্দেশ থাকে যে উহা বিশেষভাবে ব্যবহৃত বা ভোগ করিতে হইবে সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা এমনভাবে তহবিল গ্রহণে অধিকারী হইবে যেন উইলে উক্ত কোন নির্দেশ ছিল না৷

 

উদাহরণ

ক এর জন্য বাসস্থান ক্রয়ে অথবা ক এর জন্য এ্যানিউটির ক্রয়ের অথবা তাহাকে কোন ব্যবসায় বসানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু অর্থ দান করা হয়৷ ক অর্থের উত্তরদায়টি গ্রহণ করার জন্য পছন্দ করে৷ সে উক্তরূপ করিবার অধিকারী৷

 

ধারা-১৩৯৷ চূড়ান্ত দানের ভোগের পদ্ধতি সংকুচিত হইবে উত্তরদায়গ্রহীতার নির্দিষ্ট কল্যাণ নিশ্চিত করণার্থে এইরূপ নির্দেশ৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী চূড়ান্তভাবে কোন তহবিল এমনভাবে দান করে যাহার ফলে উহা তাহার ভূ-সম্পত্তি হইতে বিচ্ছিন্ন হয় কিন্তু নির্দেশ দেয় যে উহার ভোগের ভরণ উত্তরদায়গ্রহীতার কল্যাণে নিশ্চিত করণার্থে তত্কর্তৃক সংকুচিত হইবে, সেক্ষেত্রে উক্ত কল্যাণ উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য পাওয়া না গেলে তহবিল এমনভাবে তাহার দখলভুক্ত হইবে যেন উইলে উক্তরূপ কোন নির্দেশ ছিল না৷

 

উদাহরণ

(অ) ''ক'' তাহার সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ তাহার কন্যাগণের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হইবে এমনভাবে দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে, তাহাদের অংশ জীবনব্যাপী স্থিরকৃত এবং তাহাদের মৃত্যুর পর তাহাদের সন্তানের বরাবরে প্রদত্ত হইবে৷ সকল কল্যাণ অবিবাহিত অবস্থায় মারা যায়৷ প্রত্যেক কন্যার প্রতিনিধিগণ অবশিষ্ট অংশের ভাগ পাইবে৷

(আ) ''ক'' তাহার কন্যার জন্য কিছু অর্থ তুলতে তাহার ট্রাস্টিদের নির্দেশ দেয় এবং পরে সে এরূপ নির্দেশ দেয় যে তাহারা তহবিল বিনিয়োগ করিবে এবং উহা হইতে আয় তাহার জীবদ্দশায় তাহাকে প্রদান করিবে এবং তাহার মৃত্যুর পর প্রধান অংশ তাহার সন্তানদের মধ্যে ভাগ করিয়া দিবে৷ কন্যা কোন সন্তান না রাখিয়া মারা গেল৷ তাহার প্রতিনিধি তহবিলের অধিকারী হইবে৷

 

ধারা-১৪০৷ কতিপয় উদ্দেশ্যে তহবিলের দান যাহার কিছু অংশ পূরণ করা যায় না৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী কোন তহবিল চূড়ান্তভাবে তাহার ভূ-সম্পত্তি হইতে বিচ্ছিন্ন হইবে এমনভাবে দান করে না কিন্তু কতিপয় উদ্দেশ্যে উহা দিয়া থাকে এবং উক্ত উদ্দেশ্যের অংশ পূরণ করা যায় না, সেক্ষেত্রে উক্ত তহবিল অথবা উইলের মাধ্যমে উহার যতখানি অংশ নিশেষিত হইয়াছে ততখানি উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অংশ থাকে৷

 

উদাহরণ

(অ) কোন বিশেষভাবে ট্রাস্টিগণ কিছু অর্থ বিনিয়োগ করিবে এবং উহার স্বার্থ ''ক'' এর সন্তানকে প্রদান করিবে এবং তাহার মৃত্যুতে প্রধান অংশ তাহার সন্তানদের মধ্যে ভাগ হইবে৷ পুত্র কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যায়৷ সন্তানের মৃত্যুর পর তহবিল উইলকারীর ভূ-সম্পত্তিভুক্ত হইবে৷

(আ) ''ক'' তাহার কন্যাগণের মধ্যে সমান ভাগে বণ্টিত হইবে এই মর্মে এবং এই নির্দেশ দেয়া তাহার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্ট দান করে যে কেবলমাত্র তাহাদের জীবদ্দশায় তাহাদের স্বার্থ থাকিবে এবং তাহাদের মৃত্যুর পরে তহবিল তাহাদের সন্তানগণ পাইবে৷ কন্যাদের কোন সন্তান নাই৷ তহবিল উইলকারীর ভূ-সম্পত্তি ভূক্ত হইবে৷

 

অধ্যায় -তের

নির্বাহকের বরাবরে দান সম্পর্কে

 

ধারা-১৪১৷ উত্তরদায়গ্রহীতা নির্বাহক হিসাবে কার্য করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত না করিলে তিনি নির্বাহক হিসাবে নাম দিতে পারিবেন না৷- যদি কোন উত্তরদায় উইলের নির্বাহক হিসাবে নাম দিতে চায় এমন কোন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয়, তাহা হইলে তিনি উইল প্রমাণ করিতে না পারিলে কিংবা অন্য কোনভাবে নির্বাহক হিসাবে কাজ করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত না করিলে, তিনি উত্তরদায়টি গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷

 

উদাহরণ

নির্বাহক হিসাবে নাম দিয়াছেন এমন ব্যক্তি ''ক'' কে একটি উত্তরদায় দান করা হয়৷ ক উইলের নির্দেশ মোতাবেক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আদেশ দেন এবং উইল প্রমাণ না করিয়া উইলকারীর কিছু দিন পরে মারা যায়৷ ''ক'' নির্বাহক হিসাবে কাজ করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়াছিল৷