Faculty of Humanities and Social Science > Law

নারী অধিকার ও লংঘন সংক্রান্ত আইন

(1/6) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
বিবাহ ও ভরণপোষণ সংক্রান্ত[/color]

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১ঌ২ঌ

[ ১ঌ২ঌ সনের ১ঌ নং আইন]

বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান নিবারণ করিবার জন্য আইন: যেহেতু বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান প্রতিরোধ করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় ;সেহেতু এই আইন  প্রনয়ন করা হল :


ধারা

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, এলাকা ও প্রয়োগ :

(ক) এই আইনকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১৯২৯ নামে অভিহিত করা হবে।

(খ) সমগ্র বাংলাদেশ এর আওতাভুক্ত এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের উপরই, তাহারা যেখানেই থাকুক না কেন, ইহা প্রযোজ্য হবে।

(গ) ১৯৩০ সনের এপ্রিলের প্রথম দিন হতে এই আইন বলবত্‍ হবে।
 

ধারা

২। সংজ্ঞা :

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকলে, এই আইনে -

    (ক) শিশু বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝায়, যার বয়স পুরুষ হলে একুশ বত্রের নিচে এবং নারী হইলে আঠার বত্সরের নিচে।
    (খ) “বাল্যবিবাহ” বলতে ঐ বিবাহকে বুঝায় যার চুক্তিবদ্ধ পক্ষগণের যেকোন একপক্ষ শিশু ;

    (গ) বিবাহের চুক্তি পক্ষ বলতে পক্ষগণের যেকোন এক পক্ষকে বুঝায় যার বিবাহ তদ্দরা অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত ;

    (ঘ) “নাবালক” বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝায় যার বয়স পুরুষ হলে একুশ বত্সরের নিচে এবং নারী হলে আঠার বত্সরের নিচে ;

    (ঙ) “মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন” বলতে ১ঌ৮২ সনের চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অধ্যাদেশ (১ঌ৮২ সনের ৩৫ নং আইন) বা ১ঌ৮৩ সনে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ (১ঌ৮৩ সনের ৪০নং আইন) বা ১ঌ৮৪ সনের খুলনা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশের অধীন গঠিত কর্পোরেশনকে বুঝায় যার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত

    (চ) “পৌরসভা” বলতে ১ঌ৭৭ সনের পৌরসভা অধ্যাদেশের (১ঌ৭৭ সনের ২৬ নং আইন) অধীনে গঠিত পৌরসভাবে বুঝায় যার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত ; এবং

    (ছ) “ইউনিয়ন পরিষদ” বলতে ১ঌ৮৩ সনের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশের (১ঌ৮৩ সনের ৫১ নং আইন) অধীনে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদকে বুঝায় যার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত।

ধারা

৩। শিশু বিবাহকারী একুশ বত্সর বয়সের নিচে পুরুষ লোকের শাস্তি বালিত করা হয়েছে।

...

ধারা

৪। শিশু বিবাহকারীর শাস্তি:
যে কেউ একুশ বত্‍সর বয়সোর্ধ্ব পুরুষ বা আঠারো বয়সোর্ধ্ব মহিলা হয়ে কোন বাল্যবিবাহের চুক্তি করলে, একমাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাবাসে বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধ শাস্তিযোগ্য হবে।

ধারা

৫। বাল্যবিবাহ সম্পন্নকারীর শাস্তি :
যে কেউ যেকোন বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান, পরিচালনা বা নির্দেশ করলে তিনি এক মাস পর্যন্ত  বিনাশ্রম কারাবাসে, এক হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধ দন্ডে শাস্তিযোগ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করেন যে, তার বিশ্বাস করার কারণ ছিল যে, উক্ত বিবাহ কোন বাল্যবিবাহ ছিল না।


ধারা

৬। বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতার বা অভিভাবকদের জন্য শাস্তি :
যেক্ষেত্রে কোন নাবালক কোন বাল্যবিবাহের চুক্তি করে, সেক্ষেত্রে ঐ নাবালকের ভারপ্রাপ্ত যেকোন ব্যক্তি, পিতা-মাতা হইক বা অভিভাবক হইক বা অন্য কোন সামর্থ্যে হউক, আইনসম্মত হউক বা বেআইনী হউক যদি উক্ত বিবাহে উত্সাহ প্রদানের কোন কাজ করেন, অথবা উহা অনুষ্ঠিত হওয়া হতে নিবারণ করতে অবহেলার দরুন ব্যর্থ হন, তিনি এক মাস পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য বিনাশ্রম কারাবাসে বা একহাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধ দন্ডে শাস্তিযোগ্য হবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলাই কারাবাসে শাস্তিযোগ্য হবে না।

এই ধারার উদ্দেশ্যে যদি না এবং যতক্ষণ না বিপরীত কিছূ প্রমাণিত হয়, এই অনুমান করতে হবে যে, যেক্ষেত্রে কোন নাবালকের বাল্যবিবাহের চুক্তি করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে উক্ত নাবালকের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ঐ বিবাহ অনুষ্ঠিত হওয়া হতে নিবারণ করতে অবহেলার দরুণ ব্যর্থ হয়েছেন।

ধারা

৭। ৩ ধারা অধীনে অপরাধের জন্য কারাবাস প্রদান করা হবে না :
১৮ঌ৭ সনের সাধারণ দফা আইনের ২৫ ধারায় অথবা দন্ডবিধির ৪ ধারায় অন্তর্ভূক্ত যেকোন কিছু থাকা সত্ত্বেও ৩ ধারার অধীনে কোন অপরাধীকে দন্ডদানকারী আদালত (এই মর্মে) নির্দেশ দান করবে না যে, আরোপিত জরিমানা অনাদায়ে তাকে যেকোন মেয়াদের কারাবাস ভোগ করতে হবে।

 

ধারা

৮। এই আইনের অধীনে এখতিয়ার :
১৮ঌ৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি কোডের ১ঌ০ ধারায় অন্তভুক্ত যে কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত ব্যতীত কোন আদালতই এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অধিগ্রহণ বা বিচার করবে না।

ধারা

৯। অপরাধের বিচারার্থে অধিগ্রহণ করিবার পদ্ধতি :
কোন আদালতই ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক অথবা যদি উক্ত এলাকায় কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন না থাকে, তা হলে সরকার এতদপক্ষে নির্ধারণ করতে পারেন এমন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আনীত অভিযোগের ভিত্তি ব্যতীত এই আইনের কোন অপরাধের বিচারার্থে অধিগ্রহণ করবেন না, এবং ঐরূপ অধিগ্রহণ কোন ক্ষেত্রেই যে তারিখে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বলা হয়, সেই তারিখ হতে এক বত্সর অতিবাহিত হওয়ার পর করা হবে না।

ধারা

১০। এই আইনের অধীন অপরাধের প্রারম্ভিক অনুসন্ধান :
এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচারার্থে অধিগ্রহণকারী আদালত ১ঌঌ৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি কোডের ২০৩ ধারা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ খারিজ না করলে, হয় ঐ কোডের ২০২ ধারা মোতাবেক স্বয়ং অনুসন্ধান করবে, অথবা উহার অধঃস্তন কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে ঐরূপ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিবে।

ধারা

১১। অভিযোগকারীর নিকট হইতে জামানত গ্রহণের ক্ষমতা বাতিল করা হয়েছে।

...

ধারা

১২। এই আইন অমান্য করিয়া নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষমতা :
(১) এই আইনে অন্তর্গত বিপরীত কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও আদালত এই আইন লংঘনক্রমে বাল্য বিবাহ ব্যবস্থিত হয়েছে বা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত, এই মর্মে কোন অভিযোগের মাধ্যমে বা অন্যভাবে উহার নিকট উপস্থাপিত তথ্য হতে সন্তুষ্ট করে ঐরূপ বিবাহ নিষিদ্ধ করে এই আইনের ২, ৪, ৫ ও ৬ ধারায় উল্লিখিত যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।

(২) উপধারা (১) মোতাবেক কোন নিষেধাজ্ঞাই কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে জারি করা যাবে না, যদি না আদালত ঐরূপ ব্যক্তিকে পূর্বাহ্নে নোটিস প্রদান করে এবং তাহাকে নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেয়।

(৩) আদালত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েছে বা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে (১) উপধারা মোতাবেক প্রদত্ত যেকোন আদেশ প্রত্যাহার করতে বা পরিবর্তন করতে পারে।

(৪) যেক্ষেত্রে এইরূপ আবেদনপত্র পাওয়া যায়, সেইক্ষেত্রে আদালত উহার সমক্ষে ব্যক্তিগতভাবে অথবা উকিল মারফত আবেদনকারীকে একটি আগ-শুনানির সুযোগ দিবেন এবং যদি আদালত আবেদনপত্র বা আংশিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন, তা হলে এইরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।

(৫) যে কেউ এই ধারার (১) উপধারা অনুসারে তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, তাহা হলে তাকে তিনমাস পর্যন্ত মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত করা যাবে।

    তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলাকে কারাদন্ডে দন্ডিত করা যাবে না।

Sultan Mahmud Sujon:
মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত)

প্রয়োগ আইন, ১৯৩৭

[১৯৩৭ সালের ২৬নং আইন]

------------------------------------------------------------------

 

বাংলাদেশের মুসলিমগণের বেলায় মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত) প্রয়োগের বিধান করার জন্য আইন । যেহেতু বাংলাদেশের মুসলিমগণের বেলায় মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত) প্রয়োগের বিধান করা যুক্তিযুক্ত; সেইহেতু এতদ্বারা ইহা নিম্নলিখিতরূপে বিধিবদ্ধ করা গেলঃ

 

ধারা-১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রয়োগক্ষেত্র )

(১) অত্র আইনকে মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত) প্রয়োগ আইন, ১৯৩৭ নামে অভিহিত করা যায় ।

(২) ইহার প্রয়োগক্ষেত্র সমগ্র বাংলাদেশ ।

 

ধারা-২ (মুসলিমগণের বেলায় ব্যক্তিগত আইনের প্রয়োগ )

বিপরীত কোনো প্রথা অথবা রীতি থাকা সত্ত্বেও উইলবিহীন উত্তরাধিকার, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বা চুক্তি অথবা দান অথবা ব্যক্তিগত আইনের অপর কোনো বিধান মোতাবেক অর্জিত ব্যক্তিগত সম্পত্তিসহ নারীগণের বিশেষ সম্পত্তি, বিবাহ, তালাক, ইলা, যিহার, লিয়ান, খুলা এবং মুবারাতসহ, বিবাহবিচ্ছেদ, ভরণপোষণ, দেনমোহর, অভিভাবকত্ব দান, অছি, অছি, সম্পত্তি এবং (দাতব্যালয় এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং দাতব্য ও ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যতিত) ওয়াকফ সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্ন (কৃষি ভূমি সম্বন্ধীয় প্রশ্ন ব্যতিত) যে সকল মোকদ্দমায় পক্ষসমূহ মুসলিম সেই সকল মোকদ্দমার সিদ্ধান্ত-বিধি মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত) হইবে ।

 

ধারা-৩ ( ঘোষণা দেওয়ার ক্ষমতা )

(১) যে ব্যক্তি নির্ধারিত কতৃর্পক্ষকে এই মর্র্মে সন্তুষ্ট করে যে-

(ক) সে একজন মুসলমান এবং (খ) সে ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ১১ ধারা অনুযায়ী চুক্তি করার যোগ্য ও (গ) সে বাংলাদেশের একজন বসবাসকারী, তবে সে নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত কতৃর্পক্ষের নিকট দাখিলকৃত ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে এই মর্মে ঘোষণা করিতে পারে যে, সে এই ধারার বিধানসমূহের সুবিধালাভে ইচ্ছুক এবং তত্পর ২ ধারার বিধানসমূহ ঘোষণাকারী এবং তাহার সকল নাবালক সন্তান এবং তাহার বংশধরদের বেলায় প্রযোজ্য হইবে; যেন তথায় ক্রমোল্লিখিত বিষয়সমূহ ব্যতীত দত্তক গ্রহণ, ইচ্ছাপত্র এবং উত্তরদায়ও উল্লেখিত ছিল ।

 

ধারা -৪ ( রুল (বিধি) প্রণয়ন করার ক্ষমতা )

(১) এই আইনের উদ্দেশ্যসমূহ কার্যকর করার জন্য সরকার বিধি প্রণয়ন করিতে পারেন ।

(২) বিশেষ করিয়া ও পূর্ববর্তী ক্ষমতার সাধারণত্বের হানি না ঘটাইয়া উক্ত বিধিসমূহ নিম্নরূপ বিষয়সমূহের সবগুলি অথবা যেকোনোটির নিমিত্ত বিধান করিতে পারে; যথাঃ

(ক) যেই কতৃর্পক্ষের নিকট এবং যেই ফরমে এই আইন মোতাবেক ঘোষণা করিতে হইবে উহা নির্ধারণের জন্য;

(খ) ঘোষণাপত্র দাখিল করার জন্যও এই আইন অনুযায়ী কর্তব্য পালনরত কোনো ব্যক্তির বেসরকারী আবাসে হাজিরার জন্য প্রদেয় ফী নির্ধারণের জন্য; এবং যে সময়ে উক্ত ফী প্রদেয় হইবে ও যেভাবে উহা ধার্য করা হইবে উহা নির্ধারণের জন্য ।

(৩) এই ধারার বিধানসমূহ অনুযায়ী প্রণীত বিধিসমূহ সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত হইবে ও ইহার ফলে উহা এমনভাবে কার্যকর হইবে যেন উহা এই আইনে বিধিবদ্ধ করা হইয়াছে ।

 

ধারা -৫ ( কোন কোন পরিস্থিতিতে আদালত কতৃর্ক বিবাহ ভঙ্গ )

বাতিল ।

 

ধারা-৬ ( বাতিল )

নিম্নে উল্লেখিত আইন এবং প্রবিধানের নিম্নে উল্লেখিত বিধানসমূহ যতখানি পর্যন্ত এই আইনের বিধানসমূহের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ ততখানি পর্যন্ত নিরসন করা হইবে; যথা

(১) ১৯২৭ সালের (চতুর্থ) বোম্বে প্রবিধানের ২৬ ধারা;

(২) বাতিল;

(৩) বাতিল;

(৪) নিরসন করা হইয়াছে;

(৫) ১৮৭২ সালের পাঞ্জাব আইনের ৫ ধারা; এবং

(৬) বাতিল।

 

তথ্য সূত্র : জনগূরুত্বপূর্ণ  আইন

Sultan Mahmud Sujon:
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১

(১৯৬১ সনের ৮নং অধ্যাদেশ)
 

বিবাহ এবং পারিবারিক আইন কমিশনের কতিপয় সুপারিশ কার্যকর করার জন্য প্রণীত অধ্যাদেশ৷

যেহেতু, বিবাহ এবং পারিবারিক আইন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা দরকার ও সমীচীন৷ সেহেতু, ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবরের ঘোষণা দ্বারা রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত ক্ষমতা বলে, নিম্নলিখিত অধ্যাদেশটি প্রণয়ন ও জারী করলেন:

১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, সীমা, প্রয়োগ ও বলবতের সময় (Short title, extent, application and commencement):

এই অধ্যাদেশকে ১৯৬১ সনের 'মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ' নামে অভিহিত করা হবে।

ইহা সমগ্র বাংলাদেশে এবং যে যেখানেই থাকুক না কেন, বাংলাদেশের সকল মুসলিম নাগরিকের উপর প্রযোজ্য হবে।

সরকার, সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি মারফত যে তারিখ নির্ধারণ করবেন, সেই তারিখ হতে উহা কার্যকর হবে।

(উল্লেখ্য যে, ১৯৬১ সনের ১৫ই জুলাই তারিখ হতে এই অধ্যাদেশটি বলবত হয়েছে)

২৷ সংজ্ঞাসমূহ (Definitions): এই অধ্যাদেশে, বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গ হতে বিপরীত কিছু প্রতীয়মান না হলে-

(ক) 'সালিসী পরিষদ' (Arbitration Council) বলতে চেয়ারম্যান এবং এই অধ্যাদেশে উল্লিখিত কোন বিষয়ের সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের প্রত্যেকের একজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত পরিষদকে বুঝাবে। তবে শর্ত থাকে যে, কোন পক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে ব্যর্থ হলে অনুরূপ প্রতিনিধি ছাড়া গঠিত পরিষদই সালিসী পরিষদ হবে।

(খ) চেয়ারম্যান (Chairman) বলতে বুঝাবে-

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান;

পৌরসভার চেয়ারম্যান;

মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মেয়র বা প্রশাসক;

সেনানিবাস এলাকায় অত্র অধ্যাদেশ অনুযায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি;

কোন ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন বাতিল করা হলে সেক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অত্র অধ্যাদেশের অধীনে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত ব্যক্তি।

তবে শর্ত থাকে যে,যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভার চেয়ারম্যান একজন অমুসলমান অথবা তিনি নিজেই সালিসী পরিষদের নিকট কোন দরখাস্ত করতে চাহেন এমন হলে,অথবা অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে, উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা উহার একজন মুসলমান সদস্যকে এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্যাবলী পূরণকল্পে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

(গ) 'মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন' (Municipl Corporation) বলতে ১৯৮২ সালের চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ (১৯৮২ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) অথবা ১৯৮৩ সালের ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ (১৯৮৩ সনের ৪০নং অধ্যাদেশ), অথবা ১৯৮৪ সালের খুলনা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ (১৯৮৪ সনের ৭২ নং অধ্যাদেশ) অনুযায়ী গঠিত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বুঝাবে এবং নির্ধারিত এখতিয়ার সম্পন্ন হবে।

(ঘ) 'পৌরসভা' (Paurashava) বলতে ১৯৭৭ সালের পৌরসভা অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ২৬ নং অধ্যাদেশ) অনুযায়ী গঠিত পৌরসভা বুঝাইবে এবং নির্ধারিত এখতিয়ার বুঝায়।

(ঙ) 'নির্ধারিত' (Prescribed) বলতে ১১ ধারার অধীনে প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত বুঝায়।

(চ) 'ইউনিয়ন পরিষদ' (Union Parishad) বলতে ১৯৮৩ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশের (১৯৮৩ সনের ৫১ নং অধ্যাদেশ) এর অধীনে গঠিত এবং উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত এখতিয়ার সম্পন্ন ইউনিয়ন পরিষদকে বুঝায়।

৩৷ অত্র অধ্যাদেশ অন্যান্য আইনের উপর প্রাধান্য লাভ করবে (Ordinance to override other laws):

অপর কোন আইন, বিধি অথবা প্রচলিত রীতিতে যাই থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী কার্যকর হবে।

সন্দেহ দূরীকরণের উদ্দেশ্যে, এতদ্বারা ইহা ঘোষণা করা যাচ্ছে যে, ১৯৪০ সালের সালিসী আইন, ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি এবং আদালতের কার্যধারা নিয়ন্ত্রণকারী অপর কোন আইনের কোন ব্যবস্থা সালিশী পরিষদে প্রযোজ্য হবে না।

 

৪৷ উত্তরাধিকার (Succession): যাহার সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে বন্টিত হবে, তার পূর্বে তার কোন পুত্র বা কন্যা মারা গেলে এবং উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি বন্টনের সময় উক্ত পুত্র বা কন্যার কোন সন্তানাদি থাকলে, তারা প্রতিনিধিত্বের হারে সম্পত্তির ঐ অংশ পাবে, যা তাদের পিতা অথবা মাতা জীবিত থাকলে পেতো।

 

৫৷ [বাতিল এই ধারাটি ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রেশন আইন দ্বারা বাদ দেওয়া হয়েছে]

 

৬৷ বহু বিবাহ (Polygamy):

(১) সালিশী পরিষদের লিখিত পূর্বানুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তি একটি বিবাহ বলবত থাকলে আরেকটি বিবাহ করতে পারবে না এবং পূর্ব অনুমতি গ্রহণ না করে এই জাতীয় কোন বিবাহ হলে তা মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ (১৯৭৪ সনের ৫২নং আইন) অনুসারে রেজিষ্ট্রি হবে না।

(২) (১) উপ-ধারায় বর্ণিত অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফিসসহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে এবং আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত বিবাহের কারণ এবং বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের সম্মতি নেওয়া হয়েছে কিনা, তা উল্লেখ করতে হবে।

(৩) উপরোক্ত (২) উপ-ধারা মোতাবেক আবেদনপত্র পাওয়ার পর চেয়ারম্যান আবেদনকারী এবং বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের প্রত্যেককে একজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে বলবেন এবং এইরূপে গঠিত সালিশী পরিষদ যদি মনে করেন যে, প্রস্তাবিত প্রয়োজন এবং ন্যায়সঙ্গত, তা হলে কোন শর্ত থাকলে উহা সাপেক্ষে, প্রার্থিত বিবাহের অনুমতি মঞ্জুর করতে পারেন।

(৪) আবেদনটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সালিশী পরিষদ সিদ্ধান্তের কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করবেন এবং যে কোন পক্ষ, নির্দিষ্ট ফিস জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট মুন্সেফের নিকট রিভিশনের (Revision) জন্য আবেদন দাখিল করতে পারবেন এবং সালিসী পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং কোন আদালতে উহার বৈধতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

(৫) সালিশী পরিষদের অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তাকে-

(ক) অবিলম্বে তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের "তাত্ক্ষণিক" অথবা "বিলম্বিত" দেনমোহরের (Prompt or deferred dower) যাবতীয় টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং উক্ত টাকা পরিশোধ করা না হলে উহা বকেয়া ভূমি রাজস্বের ন্যায় আদায়যোগ্য হবে।

(খ) অভিযোগক্রমে দোষী সাব্যস্ত হলে সে এক বত্সর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।

 

৭৷ তালাক (Talaq):

(১) কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে, তিনি যে কোন পদ্ধতির তালাক ঘোষণার পর যথাশীঘ্র সম্ভব চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে নোটিশ দিবেন এবং স্ত্রীকে উক্ত নোটিশের একটি অনুলিপি (নকল) প্রদান করবেন।

(২) কোন ব্যক্তি (১) উপ-ধারার বিধান লংঘন করলে তিনি এক বত্সর বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ডনীয় হবেন।

(৩) নিম্নের (৫) উপধারার বিধান অনুসারে প্রকাশ্যে বা অন্য কোনভাবে তালাক, আগে প্রত্যাহার করা না হয়ে থাকলে, (১) উপধারা মোতাবেক চেয়ারম্যানের কাছে নোটিশ প্রদানের তারিখ হতে নব্বই দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকরী হবে না।

(৪) উপরোক্ত (১) উপধারা অনুযায়ী নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পুনর্মিলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে একটি সালিশী পরিষদ গঠন করবেন এবং উক্ত সালিসী পরিষদ এই জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(৫) তালাক ঘোষণার সময় স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে, (৩) উপধারায় বর্নিত সময়কালে অথবা গর্ভাবস্থা, যেটি পরে শেষ হয়, অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক বলবত হবে না।

(৬) অত্র ধারা অনুযায়ী  তালাক দ্বারা যে স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে সেই স্ত্রী, এই জাতীয় তালাক তিনবার এইভাবে কার্যকরী না হলে, কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে বিবাহ না করে পুনরায় একই স্বামীকে বিবাহ করতে পারবে।

 

৮৷ তালাক ছাড়া অন্যভাবে বিবাহ-বিচ্ছেদ (Dissolution of marriage otherwise than by talaq):

যেক্ষেত্রে তালাক দেয়ার অধিকার যথাযথভাবে স্ত্রীকে অর্পণ করা হয়েছে এবং স্ত্রী সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে ইচ্ছুক বা স্ত্রী তালাক ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটাতে চাহে, সেক্ষেত্রে ৭ ধারার বিধানাবলী প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ যথাসম্ভব প্রযোজ্য হবে।

 

৯৷ ভরণ-পোষণ (Maintenance):

(১) কোন স্বামী তার স্ত্রীকে পর্যাপ্ত ভরণ-পোষণ বা খোরপোষ দানে ব্যর্থ হলে বা একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে তাহাদিগকে সমভাবে খোরপোষ না দিলে, স্ত্রী বা স্ত্রীগণ কেহ, অন্য কোন আইনানুগ প্রতিকার প্রার্থনা ছাড়াও চেয়ারম্যানের নিকট দরখাস্ত করতে পারেন। এইক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য সালিশী পরিষদ গঠন করবেন এবং ঐ পরিষদ স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ বাবদ প্রদানের জন্য টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে সার্টিফিকেট জারী (ইস্যু) করতে পারবেন।

(২) কোন স্বামী বা স্ত্রী নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে এবং নির্দিষ্ট ফি প্রদান পূর্বক ঐ ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট খানা পুর্নবিবেচনা জন্য সংশ্লিষ্ট মুন্সেফের নিকট আবেদন করতে পারবেন এবং তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং কোন আদালতে এই সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

(৩) উপরের (১) অথবা (২) উপ-ধারা মোতাবেক দেয় কোন টাকা যথাসময়ে বা সময়মত পরিশোধ করা না হলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে আদায় করা চলবে।

 

১০৷ দেনমোহর (Dower):

নিকাহনামা বা বিবাহের চুক্তিতে দেনমোহর পরিশোধের পদ্ধতি নির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত না থাকলে, দেনমোহরের সমগ্র অর্থ চাহিবামাত্র পরিশোধযোগ্য (দেয়) বলে ধরে নিতে হবে।

 

১১৷ বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা (Power to make rules):

(১) এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য কার্যে পরিণত করার জন্য সরকার বিধিমালা (নিয়মকানুন) প্রণয়ন করতে পারবেন।

(২) এই ধারায় বিধিমালা প্রণয়নের সময় সরকার এইরূপ বিধান রাখতে পারেন যে, বিধিমালার কোনটি   ভঙ্গের জন্য এক মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় প্রকার দণ্ড হতে পারে।

(৩) অত্র ধারা অনুসারে প্রণীত বিধিমালা সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হবে এবং অতঃপর তা এই অধ্যাদেশে বিধিবদ্ধ হয়েছে বলে গণ্য হবে।

 

১১ ক৷ বিচারের স্থান (Place of trial):

বর্তমানে প্রচলিত অন্য যে কোন আইনে যাই থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশের অধীনে কোন অপরাধের বিচার হবে সেই আদালতে যে আদালতের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে-

(ক) অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে; অথবা

(খ) অভিযোগকারী (বাদী) অথবা আসামী (বিবাদী) বসবাস করেন অথবা সর্বশেষ বসবাস করছিল।

 

১২৷ ১৯২৯ সনের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের সংশোধন (Amendmeent of the Dissolution of Muslim Marriage Act, ১৯২৯):

১ঌ২ঌ সনের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের -

(১) ২ ধারায় -

(ক) দফা (ক) তে 'চৌদ্দ' শব্দটির স্থলে 'ষোল' শব্দটি বসবে;

(খ) (গ) দফায় 'এবং' শব্দটি বাদ যাবে; এবং

(গ) (ঘ) দফার শেষের দিকে দাড়ির পরিবর্তে কমা বসবে এবং এরপর নিম্নলিখিত নুতন দফা (ঙ), (চ) এবং (ছ) যোগ হবে৷ যথা-

(ঙ) 'মিউনিসিপ্যাল করর্পোরেশন' বলতে ১৯৮২ সালের চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ (১৯৮২ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) অথবা ১৯৮৩ সনের ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ). (১৯৮৩ সনের ৪০ নং অধ্যাদেশ) বা ১৯৬৮৪ সালের খুলনা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ (১৯৮৪ সনের ৭২ নং অধ্যাদেশ)-এর অধীনে গঠিত মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনকে বুঝাবে যার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্য-বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার উপক্রম হয়েছে;

(চ) 'পৌরসভা' বলতে ১৯৭৭ সনের পৌরসভা অধ্যাদেশের (১৯৭৭ সনের ২৬নং অধ্যাদেশ) অধীনে গঠিত পৌরসভাবে বুঝাবে, যাহার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্যবিবাহ হয়েছে বা হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

(ছ) 'ইউনিয়ন পরিষদ' বলতে ১৯৮৩ সনের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ (১৯৮৩ সনের ৫১ নং অধ্যাদেশ) অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদ, যা এখতিয়ারে মধ্যে কোন বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার উপক্রম হয়েছ।

(২) ৩ ধারাটি বাদ যাবে।

(৩) ৪ ধারায় 'একুশ' শব্দের পরিবর্তে 'আঠার' শব্দটি বসবে।

(৪) ৯ ধারায় …'অত্র আইনানুসারে'  শব্দগুলির পর 'ইউনিয়ন পরিষদ' অথবা সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা না থাকলে সরকার কর্তৃক উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ব্যতীত কোন অবস্থায় এইরূপ মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করা যাবে না৷ শব্দগুলি যুক্ত হবে; এবং

(৫) ১১ ধারাটি বাদ যাবে ।

 

১৩ ৷ ১৯৩৯ সনের মুসলিম বিবাহ-বিচ্ছেদ আইনের ( ১৯৩৯ সালের ৮ নং আইনের) সংশোধন:

১৯৩৯ সনের মুসলিম বিবাহ-বিচ্ছেদ আইনের (১৯৩৯ সালের ৮ নং আইন) এর ২ ধারায়-

(ক) দফা (ii)-এর পর নিম্নলিখিত নুতন উপ-দফা ( ii-ক) যুক্ত হবে, যথা:

(ii-ক) যেহেতু স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ব্যবস্থাবলী লংঘন করা একজন অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করেছে; এবং

(খ) (vii) দফায় 'পনের'  শব্দটির পরিবর্তে 'ষোল' শব্দটি বসবে।

Sultan Mahmud Sujon:
মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা, ১৯৬১

------------------------------------------------------------------

 

১৯৬১  সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ১১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন; যথা

 

বিধি -১ :  অত্র বিধিমালা ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা নামে অভিহিত হইবে ।

 

বিধি -২ : অত্র বিধিমালার বিষয়ে অথবা প্রসঙ্গে বিপরীত কোনো কিছু বর্তমানে থাকিলে-

(ক) ''চেয়ারম্যান'' বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে সেইরূপ একই অর্থ বুঝাইবে;

(খ) ''ফরম'' বলিতে অত্র বিধিমালার সহিত সংযুক্ত ফরমকে বুঝাইবে;

(গ) ''স্থানীয় এলাকা'' বলিতে কোনো পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকাকে বুঝাইবে;

(ঘ) ''মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন'' বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে তেমন একই অর্থ বুঝাইবে;

(ঙ) ''অধ্যাদেশ'' বলিতে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (১৯৬১ সালের ৮নং আইন)-কে বুঝাইবে;

(চ) ''পৌরসভা'' বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে তেমন একই অর্থ বুঝাইবে;

(ছ) ''ধারা'' বলিতে অধ্যাদেশে কোন ধারাকে বুঝাইবে; এবং

(জ) ''ইউনিয়ন পরিষদ'' বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে সেইরূপ একই অর্থ বুঝাইবে ।

 

বিধি-৩ : ধারার গ, ঘ অথবা চ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যে কথিত বিষয়ে যে পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের আওতা বা এখতিয়ার থাকিবে তাহা নিম্নবর্ণিত রূপ হইবে :

(ক) ৬ ধারার ২ উপধারার দরখাস্তের বেলায় ইহা সেই পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হইবে যেখানে বর্তমান স্ত্রী অথবা যেক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রী বর্তমান, সেইক্ষেত্রে যে স্ত্রীর সহিত স্বামী সর্বশেষে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছিল সেই স্ত্রী স্বামীর দরখাস্ত দাখিলের সময় বসবাস করিতেছে ।

(খ) ৭ ধারার ১ উপধারার নোটিশের বেলায় ইহা সেই পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হইবে যেখানে যেই স্ত্রী সম্বন্ধে তালাক উচ্চারণ করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তালাক উচ্চারণ করার সময় বসবাস করিতেছিল এবং

(গ) ৯ ধারার দরখাস্তের বেলায় ইহা সেই পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হইবে যেখানে স্ত্রী তাহার দরখাস্ত দাখিলের সময় বসবাস করিতেছে ও যদি একাধিক স্ত্রী উক্ত ধারায় দরখাস্ত দেয় তবে উহা সেই পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হইবে যেখানে সর্বপ্রথম দরখাস্তকারিণী স্ত্রী তাহার দরখাস্ত দাখিলের সময় বসবাস করিতেছে ।

 

বিধি-৪ : (১) যদি কোনো পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরূপে কোনো অমুসলিম, নির্বাচিত হয় তবে সেইক্ষেত্রে উক্ত কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ যত শীঘ্র সম্ভব হইতে পারে তত শীঘ্র অধ্যাদেশের কার্যকারিতার্থে ইহার কোনো মুসলিম সদস্যকে চেয়ারম্যানরূপে নির্বাচিত করিবেন ।

(২) সালিশী পরিষদের কার্যক্রমে কোনো পক্ষ চেয়ারম্যানকে অপর পক্ষের অনুকূলে স্বার্থান্বিত বলিয়া মনে করিলে অন্য কাহাকেও চেয়ারম্যান নিযুক্তির নিমিত্ত লিখিতভাবে রেকর্ডতব্য হেতুসমূহসহ যেমন নির্ধারিত হইতে পারে তেমন ব্যক্তির নিকট দরখাস্ত করিতে পারেন যিনি যথাযথ মনে করিলে উক্ত কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের অপর কোনো সদস্যকে অধ্যাদেশের কার্যকারিতার্থে হিসাবে নিযুক্ত করিতে পারে এবং এইরূপ নির্ধারিত ব্যক্তি উক্ত দরখাস্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সালিশী পরিষদের কার্যক্রম স্থগিত রাখিবেন ।

 

বিধি-৫ : (১) সালিশী পরিষদে আনীত কার্যব্যবস্থা চেয়ারম্যান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিচালনা করিবেন ।

(২) কোনো ব্যক্তির প্রতিনিধি মনোনয়নে ব্যর্থতার দরুন অথবা অন্য কোনোভাবে সালিশী পরিষদে কোনো পদ খালি হওয়ার কারণে এইরূপ কার্যক্রম ত্রুটিযুক্ত হইবে না ।

(৩) যদি মনোনয়ন প্রদানে ব্যর্থতার কারণ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে পদশূন্য হয় তবে সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান নুতন মনোনয়ন দাবি করিবেন ।

(৪) সালিশী পরিষদের কার্যক্রমের কোনো পক্ষই উক্ত পরিষদের সদস্য হইতে পারিবে না ।

(৫) সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সালিশী পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং যদি কোনো সিদ্ধান্তই সালিশী পরিষদের সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য হইবে ।

 

বিধি-৬ : (১) ৬ ধারার ২ উপধারায় অথবা ৯ ধারার ১ উপধারায় কোনো দরখাস্ত বা ৭ ধারার ১ উপধারায় কোনো নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের ভিতর চেয়ারম্যান লিখিত আদেশ মাধ্যমে পক্ষগণের প্রত্যেককে তাহার প্রতিনিধি মনোনয়ন করিতে নির্দেশ দিবেন ও এইরূপ প্রত্যেক পক্ষ উক্ত আদেশ প্রাপ্তির সাত দিনের ভিতর লিখিতভাবে তাহার একজন প্রতিনিধি মনোনয়ন করিবে ও চেয়ারম্যানের নিকট মনোনয়ন দাখিল করিবে বা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে চেয়ারম্যানকে ইহা পাঠাইবে ।

(২) যদি কোনো পক্ষের মনোনীত প্রতিনিধি মৃত্যুমুখে পতিত হয় বা অসুস্থতা বা অন্যবিধ কারণে সালিশী পরিষদের মিটিং-এ অনুপস্থিত থাকেন বা সংশ্লিষ্ট পক্ষের অনাস্থাভাজন হন তবে এইরূপক্ষেত্রে পক্ষটি চেয়ারম্যানের লিখিত পূর্বানুমতিক্রমে মনোনয়নটি প্রত্যাহার করিতে পারেও চেয়ারম্যান যে সময় মঞ্জুর করিতে পারেন সেই সময়ের ভিতর নূতন মনোনয়ন প্রদান করিতে হইবে ।

(৩) যদি ২ উপধারা অনুযায়ী নূতন মনোনয়ন প্রদান করা হয় তবে চেয়ারম্যান লিখিতভাবে রেকর্ডকৃতব্য কারণে ভিন্নরূপ নির্দেশ প্রদান না করিলে সালিশী পরিষদ উহার কার্যক্রম নূতনভাবে শুরু করার প্রয়োজন পড়িবে না ।

 

বিধি  ৭-১৩ ( বাতিল ।)

 

বিধি -১৪ : বহুবিবাহঃ একটি বর্তমান বিবাহ বলবত থাকাকালীন অন্য একটি প্রস্তাবিত বিবাহ ন্যায়সঙ্গত এবং প্রয়োজনীয় কিনা তাহা বিবেচনার সময় সালিশী পরিষদ ইহার সাধারণ ক্ষমতার ক্ষতি না করিয়া অন্যান্যের সহিত নিম্নলিখিত পরিস্থিতিগুলির দিকে নজর রাখিবেন-

কোনো বর্তমান স্ত্রীর বেলায় বন্ধাত্ব দৈহিক দৌর্বল্য, দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে দৈহিক অনুপযুক্ততা, দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধারের নিমিত্ত একটি ডিক্রি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়াইয়া চলা অথবা বর্তমান স্ত্রীর অপ্রকৃতিস্থতা ।

 

বিধি -১৫ : একটি বর্তমান বিবাহ বলবত্‍ থাকাকালীন অন্য একটি বিবাহ চুক্তি করার অনুমতি প্রদানের নিমিত্ত ৬ ধারার ১ উপধারায় কোনো দরখাস্ত লিখিতভাবে করিতে হইবে, ইহাতে বর্তমান স্ত্রী অথবা স্ত্রীগণের সম্মতি নেওয়া হইয়াছে কিনা উহা বর্ণনা করিতে হইবে, যে কারণসমূহের ভিত্তিতে নূতন বিবাহটি ন্যায়সঙ্গত এবং প্রয়োজনীয় বলা হইয়াছে সেইগুলি সংক্ষিপ্তভাবে দরখাস্তে বর্ণনা করিতে হইবে । দরখাস্তকারীর দস্তখত উহাতে থাকিতে হইবে এবং পঁচিশ টাকার ফী তত্সঙ্গে যুক্ত করিতে হইবে ।

 

বিধি -১৬ :রিভিশনঃ (১) ৬ ধারার ৪ উপধারায় প্রদত্ত সালিশী পরিষদের সিদ্ধান্ত বা ৯ ধারার ২ উপধারায় প্রদত্ত কোনো সার্টিফিকেট রিভিশনের নিমিত্ত কোনো দরখাস্ত সিদ্ধান্তটি অথবা সার্টিফিকেট, সে যাহাই হউক প্রদানের ত্রিশ দিনের ভিতর দাখিল করিতে হইবে ও তত্সহ দুই টাকার ফী সংযুক্ত করিতে হইবে ।

(২) দরখাস্তখানা লিখিত হইতে হইবে এবং যে সকল কারণসমূহের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি অথবা সার্টিফিকেটটির রিভিশন চাওয়া হয় উহা বর্ণনা করিতে হইবে ও ইহাতে দরখাস্তকারীর দস্তখত থাকিতে হইবে ।

 

বিধি -১৭ : গোপন কার্যক্রমঃ চেয়ারম্যান অন্যরূপ নির্দেশ প্রদান না করিলে সালিশী পরিষদের সকল কার্যক্রম গোপনে অনুষ্ঠিত হইবে ।

 

বিধি -(১৮ - ২০ ) বাতিল ।
 

তথ্য সূত্র : জনগূরুত্বপূর্ণ  আইন

Sultan Mahmud Sujon:
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫

[১৯৮৫ সালের ১৮ নং আইন]

পারিবারিক আদালত গঠনের ব্যবস্থাকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ, যেহেতু পারিবারিক আদালত স্থাপন এবং এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন; সেহেতু ১৯৮২ সনের ২৪শে মার্চের ফরমান অনুসারে ও এই সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে সক্ষমকারী সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগক্রমে তিনি নিম্নোক্ত অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিতে মর্জি করিয়াছেন:

ধারা

১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা এবং প্রবর্তন:

 (১) অত্র অধ্যাদেশ "পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫" নামে অভিহিত হইবে ৷

 (২) ইহা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাসমূহ ব্যতীত সমস্ত বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে ৷

 (৩) সরকার সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে তারিখ ধার্য্য করিবে সেই তারিখ হইতে ইহা কার্যকর হইবে ৷

ধারা

২৷ সংজ্ঞা সমূহ:

 (১) বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছুর অবর্তমানে, অত্র অধ্যাদেশে -

(ক) 'বিধি' (Code) বলিতে ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধি (১৯০৮ সনের ৫ নং আইন)-কে   বুঝাইবে৷

(খ) 'পারিবারিক আদালত' বলিতে অত্র অধ্যাদেশের অধীনে স্থাপিত পারিবারিক আদালতকে

(গ) 'নির্ধারিত' বলিতে অত্র অধ্যাদেশের অধীনে প্রণীত বিধিসমূহ কর্তৃক নির্ধারিত বুঝাইবে৷

 (২) সংজ্ঞায়িত নহে অথচ অত্র অধ্যাদেশে ব্যবহৃত এমন শব্দ এবং শব্দসমষ্টি যথাক্রমে বিধিতে উল্লেখিত শব্দ এবং শব্দসমষ্টির অনুরূপ অর্থবহ হইবে৷

ধারা

৩৷ অন্যান্য আইনের উপর অত্র অধ্যাদেশের প্রাধান্য (কার্যকারিতা):

বর্তমান বলবত অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, অত্র অধ্যাদেশের বিধানসমূহ কার্যকর হইবে৷

ধারা

৪৷ পারিবারিক আদালত স্থাপন:

 (১) যতগুলো সহকারী জজ আদালত আছে ততগুলো পারিবারিক আদালত থাকিবে৷

 (২) অত্র অধ্যাদেশের উদ্দেশ্যসমূহ সাধনার্থে সকল সহকারী জজ আদালত পারিবারিক আদালত হিসাবে গণ্য হইবে৷

সকল সহকারী জজ পারিবারিক আদালতের বিচারক হইবেন৷

ধারা

৫৷ পারিবারিক আদালতের এখতিয়ার:

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ (১৯৬১ সনের ৮নং অধ্যাদেশ)- এর বিধানাবলী সাপেক্ষে কোন পারিবারিক আদালতের পাঁচটি বিষয়াদির সকল অথবা যেকোনটির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে যেকোন মামলা গ্রহণ, বিচার এবং নিষ্পত্তি করার একক এখতিয়ার থাকবে ৷ বিষয়গুলো হলো:

(ক) বিবাহবিচ্ছেদ, (খ) দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, (গ) মোহরানা, (ঘ) ভরণপোষণ ও (ঙ) সন্তান-সন্ততিগণের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান ৷

ধারা

৬৷ মামলা দায়েরকরণ:

(১) এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রত্যেক মোকদ্দমা সেই পারিবারিক আদালত আরজি উপস্থাপনের মাধ্যমে দায়ের করিতে হইবে যাহার স্থানীয় এখতিয়ারের মধ্যে  -

    (ক) নালিশের কারণটি সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে উদ্ভূত হইয়াছে; অথবা

    (খ) পক্ষগণ বসবাস করেন অথবা সর্বশেষ একসঙ্গে বসবাস করিয়াছিলেন৷

শর্ত থাকে যে, বিবাহবিচ্ছেদ, দেনমোহর অথবা ভরণপোষণের নিমিত্ত মামলার ক্ষেত্রে যে এলাকায় স্ত্রী সাধারণতঃ বসবাস করিতেছে সেই এলাকার আদালতেরও এখতিয়ার থাকিবে ৷

(২) যেক্ষেত্রে এখতিয়ারবিহীন কোন আদালত আরজি দাখিল করা হয় সেইক্ষেত্রে -

   (ক) আরজিটি যে আদালতে দাখিল করা উচিত ছিল সেই আদালতে উপস্থাপনের জন্য ফেরত দেওয়া হইবে;

  (খ) আরজি ফেরতদানকারী আদালত, তত্‍বরাবরে আরজি উপস্থাপনের ও ইহার প্রত্যর্পণের তারিখ, আরজি দাখিলকারী পক্ষের নাম ও প্রত্যর্পণের কারণসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ আরজির উপর লিপিবদ্ধ করিবেন৷

(৩)  আরজিতে বিরোধ সম্বন্ধীয় প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যাবলী অন্তর্ভুক্ত থাকিবে ও একটি তফসিল অবশ্যই আরজির অন্তর্ভুক্ত থাকিবে যাহাতে আরজির সমর্থনে যে সকল সাক্ষীকে ডাকিতে ইচ্ছুক তাহাদের নাম ও ঠিকানাসমূহও থাকিবে৷

শর্ত থাকে যে, বাদী আদালতের অনুমতিক্রমে পরবর্তী যেকোন স্তরে যেকোন ডাকিতে পারে - যদি আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্তরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ সমীচীন মনে করেন ৷

(৪) আরজিতে নিম্নোক্ত বিবরণসমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে; যথা:

    (ক) যেই আদালতে মামলা দায়ের করা হইল উহার নাম;

    (খ) বাদীর নাম, বর্ণনা এবং বাসস্থান;

    (গ) বিবাদীর নাম, বর্ণনা এবং বাসস্থান;

    (ঘ) যেক্ষেত্রে বাদী অথবা বিবাধী নাবালক কিংবা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি হয় সেইক্ষেত্রে উক্ত মর্মে বর্ণনা

   (ঙ) নালিশের কারণঘটিত তথ্যসমূহ ও যেই স্থানে এবং যেই তারিখ নালিশের কারণের উদ্ভব হইয়াছে সেই স্থান এবং তারিখ;

   (চ) আদালতের এখতিয়ার প্রদর্শনকারী তথ্যসমূহ;

   (ছ) বাদী কর্তৃক প্রার্থিত প্রতিকার ৷

(৫) বাদী তাহার দাবির সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে তাহার দখলাধীন অথবা ক্ষমতা কোন দলিলের উপর নির্ভর করিলে তিনি আরজি উপস্থাপনকালে আদালত উহা পেশ করিবেন ও একই সঙ্গে উক্ত দলিল অথবা উহার অবিকল বা ফটোকৃত প্রতিলিপি আরজির সহিত নথিভুক্তির জন্য একটি লিস্টভুক্ত করিবেন ৷

(৬) যেক্ষেত্রে বাদী তাহার দাবির সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে তাহার স্বীয় দখল বা আয়ত্তাধীন এমন কোন দলিলের উপর নির্ভর করেন সেইক্ষেত্রে তিনি উক্ত দলিলটি আরজির সহিত সংযোজন করণার্থে একটি ফিরিস্তিভুক্ত করতঃ সংশ্লিষ্ট দলিলটি কাহার দখলে অথবা আয়ত্তাধীনে রহিয়াছে তাহা বর্ণনা করিবেন ৷

(৭) মামলার বিবাদীগণের উপর জারি করার নিমিত্ত বিবাদীগণের সংখ্যার দ্বিগুণ সংখ্যক তফসিলসহ আরজির সত্যায়িত প্রতিলিপি এবং ৫ ও ৬ নং উপধারায় বর্ণিত দলিলের তালিকা দ্বিগুণ পরিমাণ আরজির সহিত থাকিবে ৷

(৮) নিম্নলিখিত কারণে আরজি অগ্রাহ্য বা নাকচ হইবে -

 (ক) ৭ উপধারা অনুযায়ী যেক্ষেত্রে আরজির সঙ্গে তফসিলও দেওয়া হয় ;

 (খ) যেক্ষেত্রে ৭(৫) ধারা অনুযায়ী সমন জারির খরচ এবং নোটিসের জন্য পোস্টাল খরচ পরিশোধ না   করা হয়;   (গ) যেক্ষেত্রে আরজি উপস্থাপনের সময় ২২ ধারা অনুযায়ী ফী পরিশোধ না করা হয়৷

(৯) যেক্ষেত্রে আরজি উপস্থাপনের সময় বাদী আদালতে কোন দলিল দাখিল করা উচিত অথবা উহা আরজির সহিত সংযুক্ত করার জন্য কোন লিস্টভুক্ত করা উচিত এবং যদি উহা উক্তরূপে দাখিল বা লিস্টভুক্ত না করা হয় তবে মামলার শুনানির সময় আদালতের অনুমতি ব্যতীত উহা আর তাহার পক্ষে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে না৷

 শর্ত থাকে যে, বিশেষ অবস্থা ব্যতীত আদালত ঐরূপ অনুমতি প্রদান করিবেন না ৷

ধারা

৭৷ সমন ও নোটিসসমূহ ইস্যুকরণ:

(১) পারিবারিক আদালতে আরজি উপস্থাপন করা হইলে পর আদালত -

(ক) সাধারণভাবে অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে বিবাদীর হাজির হওয়ার নিমিত্ত একটি তারিখ ধার্য্য করিবেন ;

(খ) বিবাদীর প্রতি নির্ধারিত তারিখে হাজির হওয়ার এবং উপস্থাপিত দাবির জবাব দানের নিমিত্ত সমন জারি করিবেন ;

(গ) বিবাদীর নিকট প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসহ রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে মামলার নোটিস প্রেরণ করিবেন ৷

 (২) (১) ১নং উপধারা অনুযায়ী ইস্যুকৃত প্রত্যেকটি সমন ও প্রেরিত প্রত্যেকটি নোটিসের সহিত আরজির নকল এবং ৬(৫) ও ৬(৬) ধারায় বর্ণিত দলিলসমূহের তালিকাসমূহ সংযোজিত থাকিবে৷

(৩) ১নং উপধারার খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেরিত সমন দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৫নং আদেশের ৯, ১০, ১১, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯-ক, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮ এবং ২৯ নং রুলসমূহে বর্ণিত উপায়ে জারি করা হইবে ; ও অনুরূপে জারিকৃত সমন বিবাদীর উপর যথোচিত জারি বলিয়া গণ্য হইবে৷

 (৪) ১ নং উপধারার গ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেরিত নোটিস বিবাদীর উপর যথোচিতভাবে জারিকৃত বলিয়া গণ্য হইবে যখন বিবাদী কর্তৃক স্বাক্ষরিত বলিয়া প্রকাশকারী প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি আদালত গৃহীত হয় বা আদালত নোটিস বহনকারী ডাকটি ডাক কর্মচারীর এই মমেᐂ লিখিত মন্তব্যসহ ফেরত পায় যে, বিবাদীর গ্রহণাথেᐂ প্রেরিত বহনকারী ডাকটি তত্‍বরাবরে অপᐂণ করিলে পর তিনি উহা গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিয়াছেন৷

শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে নোটিসটি সঠিক ঠিকানাযুক্ত, ডাকমাশুল পরিশোধিত এবং প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসহ রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে যথোচিতভাবে প্রেরিত হইয়াছিল সেক্ষেত্রে নোটিস প্রেরণের তারিখ হইতে ত্রিশদিন অতিবাহিত হইলে পর প্রাপ্ত স্বীকারপত্রটি  হারাইলে বিপথে চালিত হইলে বা অন্যবিধ যেকোন কারণে উক্ত সময় মধ্যে আদালত ফেরত না আসিলেও উহা যথোচিতভাবে জারি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) ১ নং  উপধারার খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেরিত সমন জারি খরচ দেওয়ানী কার্যবিধি আইনে এইরূপ সমনের জারি খরচের সমান হইবে ও ১নং উপধারার গ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেরিত নোটিসের জন্য ডাক খরচ আরজি দাখিলকালে বাদী কর্তৃক প্রদত্ত হইবে৷

 সমন এবং নোটিস জারির উপায়: ইহা দুইভাবে জারি করা যাইবে:

(ক) বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি এবং (খ) ডাকযোগে পত্র প্রেরণ করিয়া নোটিস জারি৷

(ক) বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি : ব্যক্তিগতভাবে সমন জারির পদ্ধতি দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৫নং আদেশের ৯-১৯ নিয়মে বর্ণিত আছে ৷ বিবাদী আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে বসবাস করিলে অথবা বিবাদী পক্ষে উক্ত এলাকায় সমন গ্রহণ করিবার মত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি থাকিলে আদালতের পদাতিক বাদীর খরচে তাহার উপর সমন জারি করিতে হইবে ৷ শুধু তাহাই নহে, একাধিক বিবাদী থাকিলে প্রত্যেকের উপর সমন জারি করিতে হইবে৷ সংশ্লিষ্ট মামলার বিবাদীকে না পাওয়া গেলেও তাহার পক্ষে সমন গ্রহণের মত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি না থাকিলে বিবাদীর সহিত বসবাসকারী এক পরিবারভুক্ত যেকোন সাবালক পুরুষ ব্যক্তির উপর বিবাদীর পক্ষে সমন জারি করা যাইতে পারে ৷ স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পরিবারের কোন ভৃত্যকে পরিবারের লোক হিসাবে  গণ্য করা যাইবে না ৷

সমন জারিকারক সমন প্রদান করিবার সময় সমনের প্রাপ্তিস্বীকার স্বরূপ মূল সমনের উপর বিবাদীর বা তাহার প্রতিনিধির স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন ৷ উক্তরূপ স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে অথবা বিবাদীর বাসস্থানে উপস্থিত হইয়া সকল চেষ্টা সত্ত্বেও বিবাদীকে না পাওয়া গেলে অথবা যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে তাহার ফিরিবার সম্ভাবনা না থাকিলেও তাহার পক্ষে সমন গ্রহণের কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সহিত ও সাক্ষাত্‍ না পাওয়া গেলে, জারিকারক যে গৃহে বিবাদী সাধারণতঃ বসবাস করে অথবা ব্যবসা করে সেই গৃহের বহির্দ্বারে অথবা গৃহের অন্য কোন প্রকাশ্য অংশে সমন লটকাইয়া জারি করিতে পারেন ৷ এইক্ষেত্রে যেই ব্যক্তি উক্ত গৃহ শনাক্ত করিয়াছে ও যাহাদের উপস্থিতিতে এইরূপভাবে সমন জারি করা হইয়াছে তাহাদের নাম ও ঠিকানা মূল সমনের পৃষ্ঠে লিখিত হইবে এবং সম্ভব হইলে তাহাদের স্বাক্ষর মূল সমনের পৃষ্ঠে গ্রহণ করিতে হইবে ৷ তত্‍পর জারিকারক এফিডেফিট সম্বলিত বিবৃতিসহ উহা আদালতে ফেরত দিতে হইবে৷

(খ) ডাকযোগে পত্র প্রেরণ করিয়া নোটিস জারি: ডাকযোগে সমন জারির পদ্ধতি দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৫নং আদেশের ৫নং আদেশের ৫নং আদেশের ২১-৩০ নিয়মে বর্ণিত আছে৷ বিবাদী কারাগারে আটক থাকিলে কারাগারের কর্মচারীর মাধ্যমে অথবা ডাকযোগে সমন জারি করা যাইতে পারে৷ কোন বিবাদী বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করিলে এবং দেশে তাহার কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি না থাকিলে তাহার বিদেশস্থিত ঠিকানায় ডাকযোগে সমন প্রেরণ করা যাইতে পারে৷

বিবাদী কোন সৈনিক, বৈমানিক বা নাবিক হইলে আদালত ঐ সমন এবং ইহার একটি নকল বিবাদীকে প্রদান করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ডাকযোগে পাঠাইবেন৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উহা বিবাদীর উপর জারি করিয়া ও সম্ভব হইলে বিবাদীর লিখিত প্রাপ্তিস্বীকারসহ ঐ সমন জারিকারক আদালতে পাঠাইবেন৷ বিবাদী কোন সরকারী কর্মচারী, রেল কর্মচারী, অথবা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, হইলে সমন ও ইহার একটি নকল বিবাদীর উপর জারি করার অনুরোধপত্রসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অথবা অফিস প্রধানের নিকট ডাকযোগে পাঠাইবেন৷ উক্ত কর্তৃপক্ষ বা অফিস প্রধান উক্তরূপে উহা জারি করিয়া উহা আদালতে ফেরত পাঠাইবেন৷

ধারা:

৮৷ লিখিত জবাব:

(১) বিবাদীর হাজিরার নিমিত্ত নির্ধারিত তারিখে বাদী এবং বিবাদী পারিবারিক আদালতে হাজির হইবেন ও বিবাদী আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত জবাব উপস্থাপন করিবেন৷

তবে শর্ত থাকে যে, বিবাদী প্রার্থনা করিলে এবং উপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করিলে আদালত অনধিক ২১ দিন পর জবাব দেওয়ার জন্য অন্য একটি তারিখ ধার্য্ করিতে পারেন৷

(২) লিখিত জবাবে উক্ত আত্মরক্ষার সমর্থনে হাজির করা হইবে এমন সাক্ষীগণের নাম এবং ঠিকানাসমূহ লিখিত জবাবের অন্তর্ভুক্ত থাকিবে৷

শর্ত থাকে যে, বিবাদী আদালতের অনুমতিক্রমে পরবর্তী যেকোন স্তরে যেকোন সাক্ষী ডাকিতে পারেন; যদি ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত উক্তরূপ সাক্ষ্যগ্রহণ সমীচীন মনে করেন ৷

(৩) বিবাদী তাহার লিখিত জবাবের সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে তাহার দখলাধীন অথবা আয়ত্তাধীন কোন দলিলের উপর নির্ভর করিলে তিনি লিখিত জবাব উপস্থাপনকালে আদালতে পেশ করিবেন এবং একই সময় উক্ত দলিল অথবা উহার অবিকল বা ফটোস্ট্যাট প্রতিলিপি লিখিত জবাবের সহিত নথিভুক্তির জন্য একটি লিস্টভুক্ত করিবেন৷

(৪) যেক্ষেত্রে বিবাদী তাহার লিখিত জবাবের সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে তাহার স্বীয় দখলাধীনে অথবা আয়ত্তাধীনে নাই এমন কোন দলিলের উপর নির্ভর করেন সেক্ষেত্রে তিনি উক্ত দলিলের বিষয়টি লিখিত জবাবের সহিত সংযোজন করণার্থে একটি তালিকাভুক্ত করতঃ দলিলটি কাহার দখলে অথবা আয়ত্তাধীনে রহিয়াছে তাহা বর্ণনা করিবেন৷

(৫) মামলায় যতজন বাদী রহিয়াছে তফসিলসহ লিখিত জবাবের ততগুলো অবিকল নকল তত্সহ ৩ ও ৪ নং উপধারায় বর্ণিত দলিলের ফিরিস্তির ততগুলো অবিকল নকল লিখিত জবাবের সহিত থাকিবে৷

 (৬) ৫ নং উপধারায় বর্ণিত তফসিলসহ লিখিত জবাব, দলিলসমূহ এবং দলিলসমূহের তালিকায় নকল আদালতে উপস্থিত বাদীকে অথবা তাহার প্রতিনিধি অথবা এডভোকেটকে প্রদান করিতে হইবে৷

 যেক্ষের(৭) যেক্ষেত্রে জবাব উপস্থাপনের সময় বিবাদী আদালতে কোন দলিল দাখিল করা উচিত অথবা উহা জবাবের সহিত সংযুক্ত করিবার জন্য কোন লিস্টভুক্ত করা উচিত এবং যদি উহা উক্তরূপে দাখিল বা লি

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version