Faculty of Humanities and Social Science > Law
নারী অধিকার ও লংঘন সংক্রান্ত আইন
Sultan Mahmud Sujon:
পারিবারিক আদালত বিধিমালা, ১৯৮৫
------------------------------------------------------------------
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশের ২৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন; যথাঃ
বিধি -১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম )
এই বিধিমালা 'পারিবারিক আদালত বিধিমালা, ১৯৮৫' নামে অভিহিত হইবে ।
বিধি-২ ( সংজ্ঞাসমূহ )
অত্র বিধিমালা বিষয়ে অথবা প্রসঙ্গে বিপরীত কিছু না থাকিলে-
(ক) 'ফরম' বলিতে অত্র বিধিমালার সঙ্গে সংযুক্ত ফরমকে বুঝাইবে ।
(খ) 'অধ্যাদেশ' বলিতে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ১৮নং আইন)-কে বুঝাইবে ।
বিধি -৩ (মামলার রেজিস্ট্রি বই)
কোনো আপিল জেলা জজের আদালতে দায়ের করা হইলে উহার বিবরণ 'খ' ফরমে রক্ষিতব্য রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি-৪ (আপীলের রেজিস্ট্র বই )
কোনো আরজি পারিবারিক আদালতে দায়ের করা হইলে উহার বিবরণ খ ফরমে রক্ষতব্য রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি -৫ ( ডিক্রির ফরম )
অত্র অধ্যাদেশের প্রত্যেক মামলার রায় প্রদানান্ত 'গ' ফরমে ডিক্রি লিখিতে হইবে ও ভারপ্রাপ্ত জজ উহাতে দস্তখত দিতে হইবে ও ডিক্রি পারিবারিক আদালতের সীলমোহর যুক্ত হইবে ।
বিধি-৬ (জরিমানার রসিদের ফরম)
যেক্ষেত্রে অত্র অধ্যাদেশের ১৮ অথবা ১৯ ধারা মোতাবেক কোনো জরিমানা প্রদান করা হয় বা অত্র অধ্যাদেশের আওতায় পারিবারিক আদালত কোনো অর্থ অথবা সম্পত্তি জমা নেয় অথবা আদায় করে সেক্ষেত্রে 'ঘ' ফরমে রসিদ প্রদান করিতে হইবে এবং উহা ক্রমিক নম্বর যুক্ত হইতে হইবে ও উহার চেকমুড়ি পারিবারিক আদালতে রক্ষিত হইবে ।
বিধি -৭ (জরিমানা ইত্যাদির রেজিস্ট্রি বই )
পারিবারিক আদালত কতৃর্ক জমা নেওয়া অথবা আদায়কৃত এবং ব্যয়কৃত সমস্ত জরিমানা, অর্থ অথবা সম্পত্তি 'ঙ' ফরমে কোনো রেজিস্ট্রি হইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি -৮ (পক্ষের উপর নোটিশ )
যদি পারিবারিক আদালত কোনো পক্ষের প্রাপ্য কোনো অর্থ গ্রহণ করেন তবে পারিবারিক উহা পাওয়ার পক্ষের প্রতি নোটিশ জারি করাইবেন ও উক্ত পক্ষকে উহা গ্রহণের নিমিত্ত তাহার দরখাস্তের ৭ দিনের ভিতর উহা প্রদান করিবেন ।
বিধি -৯ (পারিবারিক আদালতের রেকর্ডসমূহ এবং রেজিস্ট্রি বই )
দেওয়ানী আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুপ্রীম কোর্টের বিধিসমূহ অনুযায়ী যথাবিধানকৃত সময়ের নিমিত্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে ।
বিধি -১০ (রেকর্ডসমূহ ও উহা পরিদর্শন)
(১) বিরোধের কোনো পক্ষের দরখাস্তের ভিত্তিতে পারিবারিক আদালত চল্লিশ পয়সা ফী প্রদানের পর বিরোধ বিষয়ক পারিবারিক আদালতের রেকর্ডসমূহ পরিদর্শনের অনুমতি দিবেন ।
(২) মামলার কোনো পক্ষের দরখাস্তের ভিত্তিতে প্রতি একশত চল্লিশ অথবা উহার অংশবিশেষ শব্দের নিমিত্ত চল্লিশ পয়সা হারে ফী প্রদানের পর পারিবারিক আদালত উহার রায়, ডিক্রি অথবা আদেশের অথবা অপরাপর কার্যক্রমের অথবা অত্র বিধিসমূহ অনুযায়ী রক্ষিত কোনো রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্তির অথবা ইহাদের কোনো অংশ বিশেষের প্রত্যায়িত প্রতিলিপি সরবরাহ করিতে হইবে ।
বিধি-১১ ( পারিবারিক আদালতের সীলমোহর )
(১) প্রতিটি পারিবারিক আদালতের অফিসে উক্ত আদালতের সীলমোহর রাখিতে হইবে এবং উহা আকারে বৃত্তাকারে হইবে ও পারিবারিক আদালত এবং স্থানের নাম থাকিবে ।
(২) অত্র অধ্যাদেশ অথবা বিধিমালার অধীনে দেওয়া সমস্ত সমন, আদেশ, ডিক্রি প্রতিলিপি এবং অপরাপর কাগজপত্রে পারিবারিক আদালতের সীলমোহর ব্যবহার করিতে হইবে ।
তথ্য সূত্র : জনগূরুত্বপূর্ণ আইন
Sultan Mahmud Sujon:
মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন, ১৯৬১
[১৯৩৯ সালের ৮নং আইন]
------------------------------------------------------------------
ধারা -১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রয়োগযোগ্যতার সীমা )
(১) অত্র আইন মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন, ১৯৩৯ নামে পরিচিত হইবে ।
(২) ইহা সমস্ত বাংলাদেশে কার্যকর হইবে ।
(৩) বিবাহবিচ্ছেদ ও ডিক্রি লাভের কারণসমূহঃ মুসলিম আইন অনুসারে কোনো বিবাহিতা স্ত্রীলোক নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কারণে তাহার বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রি পাওয়ার অধিকারণী হইবে ।যথাঃ
(১) চার বত্সরকাল পর্যন্ত স্বামী নিখোঁজ;
(২) দুই বত্সরকাল পর্যন্ত স্বামী তাহাকে ভরণপোষণ প্রদানে অবহেলা করিয়াছে বা ব্যর্থ হইয়াছে ।
ধারা-২ (বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রির কারণসমূহ )
(১) ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের বিধান অমান্য করিয়া স্বামী অপর কোনো স্ত্রী গ্রহণ করিয়াছে;
(২) সাত বত্সর বা ততোধিক সময়ের জন্য স্বামী কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছে;
(৩) যুক্তসঙ্গত কারণ ব্যতীত স্বামী তিন বত্সরকাল যাবত তাহার বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইয়াছে;
(৪) বিবাহের সময় স্বামী পুরুষত্বহীন ছিল এবং তাহার ঐরূপ অবস্থা অব্যাহত আছে;
(৫) দুই বত্সর পর্যন্ত স্বামী অপ্রকৃতিস্থ রহিয়াছে বা কুষ্ঠরোগ অথবা মারাত্মক যৌন রোগে ভুগিতে থাকে;
(৬) বয়স ১৬ বত্সর পূর্ণ হইবার আগে তাহাকে তাহার বাবা অথবা অন্য কোনো অভিভাবক বিবাহ দিয়াছে ও বয়স ১৮ বত্সর পূর্ণ হইবার আগে সে (স্ত্রীলোক) উক্ত বিবাহ নাকচ করিয়াছে । শর্ত থাকে যে, বিবাহে যৌনমিলন ঘটে নাই ।
(৭) স্বামী-স্ত্রীর সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করে; যেমন-
(ক) তাহাকে স্বভাবতঃই আক্রমণ করে বা নিষ্ঠুর আচরণের মাধ্যমে তাহার জীবন দুর্বিসহ করিয়া তোলে যদি ঐরূপ আচরণ শারীরিক নির্যাতন নাও হয়; বা
(খ) খারাপ চরিত্রের নারীগণের সঙ্গে থাকে অথবা ঘৃণ্য জীবনযাপন করে; বা
(গ) তাহাকে নৈতিকতাহীন জীবনযাপনে বাধ্য করিতে চেষ্টার করে; বা
(ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করে বা উক্ত সম্পত্তিতে তাহার আইনসঙ্গত অধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে; বা
(ঙ) তাহাকে তাহার ধর্ম বিশ্বাস অথবা ধর্ম চর্চায় বাধা প্রদান করে; বা
(চ) যদি তাহার একাধিক স্ত্রী থাকে তবে কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী সে তাহার সহিত ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যবহার না করে;
(৮) মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের নিমিত্ত বৈধ বলিয়া স্বীকৃত অপর কোন কারণে শর্ত থাকে যে-
(ক) কারাদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩নং উপধারায় বর্ণিত কারণে ডিক্রি দেওয়া হইবে না;
(খ) ১নং উপধারায় বর্ণিত কারণে উহার তারিখ হইতে ছয় মাস কাল পর্যন্ত কার্যকর হইবে না; এবং স্বামী যদি উক্ত সময় মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হইয়া আদালতকে সন্তোষজনক উত্তর দেয় যে সে দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত আছে তবে আদালত উক্ত ডিক্রি নাকচ করিবেন;
(গ) ৫নং উপধারায় বর্ণিত কারণে ডিক্রি দেওয়ার আগে আদালত স্বামীর আবেদনক্রমে তাহাকে আদেশ প্রদান করিতে পারেন যে, অত্র আদেশের তারিখ হইতে ১ বত্সরকালের মধ্যে সে আদালতের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণ করিতে হইবে যে, সে পুরুষত্বহীনতা হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছে; এবং যদি স্বামী উক্ত সময় মধ্যে ঐরূপে আদালতকে সন্তুষ্ট করিতে পারে তবে উক্ত কারণে কোনো ডিক্রি দেওয়া হইবে না ।
ধারা-৩ (নিরুদ্দেশ স্বামীর উত্তরাধিকারদের উপর নোটিশ প্রদান )
২নং ধারার ১নং উপধারার প্রযোজ্য মামলায়-
(ক) আরজি দাখিল করিবার তারিখে স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটিত তবে মুসলিম আইন অনুসারে যাহারা তাহার উত্তরাধিকারী হইতে তাহাদের নাম, ঠিকানা আরজিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে;
(খ) ঐরূপ ব্যক্তিগণের উপর মামলার নোটিশ জারি করিতে হইবে; এবং
(গ) উক্ত মামলার শুনানিতে তাহাদের বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে;
শর্ত থাকে যে, যদি স্বামীর কোনো চাচা এবং ভাই থাকে তবে সে অথবা তাহারা উত্তরাধিকারী না হইলেও মামলায় পক্ষভুক্ত হইবে ।
ধারা -৪ ( অন্য ধর্ম গ্রহণের পরিণতি )
বিবাহিতা মুসলিম মহিলা ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ অথবা উক্ত ধর্ম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করিলে সেইজন্য তাহার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে না ।
শর্ত থাকে যে, ঐরূপ ধর্ম ত্যাগ অথবা অন্য ধর্ম গ্রহণ করিবার পর উক্ত নারী ২ ধারায় উল্লেখিত যেকোন কারণে বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রি পাওয়ার অধিকারিণী হইবে ।
আরও শর্ত থাকে যে, কোনো বিধর্মী মহিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিবার পর পুনরায় তাহার পূর্বে ধর্মে ফিরিয়া আসিলে অত্র ধারার বিধানসমূহ তাহার প্রতি প্রযোজ্য হইবে না ।
ধারা-৫ ( দেনমোহরের অধিকার খর্ব করিবে না )
অত্র আইনে বর্ণিত কোনো কিছু মুসলিম আইন অনুসারে বিবাহিতা কোনো মহিলার প্রাপ্য দেনমোহর অথবা উহার কোনো অংশের অধিকার তাহার বিবাহবিচ্ছেদ কতৃর্ক প্রভাবিত হইবে না ।
ধারা-৬ (১৯৩৭ সালের ১৬নং আইনের ৫ ধারা বাতিল )
১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারা বাতিল ।
তথ্য সূত্র : জনগূরুত্বপূর্ণ আইন
Sultan Mahmud Sujon:
রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রীকরণ)
আইন, ১ঌ৭৪
(১ঌ৭৪ সনের ৫২ নম্বর অধ্যইন)
[ মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করিবার জন্য আইন ]
যেহেতু মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করা সমীচীন;
সেহেতু উহা এতদ্বারা নিম্নরূপ বিধিবদ্ধ করা হইলঃ
১। সংক্ষিপ্ত শিরোণাম ও প্রয়োগ :
(১) এই আইন মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রীকরণ) আইন, ১ঌ৭৪ বলিয়া অভিহিত করা যাইতে পারে।
(২) বাংলাদেশের সকল মুসলিম নাগরিকদের উপর যেখানেই তাহারা থাকুক না কেন, ইহা প্রযোজ্য হইবে।
২। সংজ্ঞা সমূহ : এই আইনে যদি বিষয়ে বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কোন কিছু না থাকে তাহা হইলেঃ-
(ক) মহা-নিবন্ধন পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রশন) ও নিবন্ধক (রেজিষ্টার) বলিতে যথাক্রমে ১ঌ০৮ সনের রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৯০৮ সনের ১৬) অধীনে ঐরূপ পদনামযুক্ত ও নিযুক্ত অফিসারদেরকে বুঝায়।
(খ) নির্ধারিত বলিতে এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত বুঝায়।
৩। বিবাহ রেজিষ্ট্রীকরণ : অন্য যে কোন আইন, প্রথা বা রীতিতে যে কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও মুসলিম আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত প্রত্যেক বিবাহ এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী রেজিষ্ট্রী করতে হবে।
৪। নিকাহ নিবন্ধক : এই আইনের অধীন বিবাহসমূহ রেজিষ্ট্রীকরণের উদ্দেশ্যে সরকার যেরূপ বিধিনির্দিষ্ট করিতে পারেন সেরূপ এলাকার জন্য যেরূপ প্রয়োজনীয় গণ্য করিতে পারে সেরূপ সংখ্যক নিকাহ নিবন্ধক বলিয়া অভিহিত ব্যক্তিকে অনুজ্ঞাপত্র মঞ্জুর করিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে অনধিক একজন নিকাহ নিবন্ধক যে কোন একটি এলাকার জন্য অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত হইবে।
৫। নিকাহ নিবন্ধকগণ কর্তৃক অনানুষ্ঠিত বিবাহ সম্পর্কে তাহাদের নিকট প্রতিবেদন করিতে হইবে :
(১) নিকাহ নিবন্ধক কর্তৃক অনানুষ্ঠিত প্রত্যেক বিবাহ এই আইনের অধীনে রেজিষ্ট্রীকরণের উদ্দেশ্যে তাহার নিকট এইরূপ বিবাহ অনুষ্ঠিত করিয়াছেন এমন ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিবেদন পেশ করিতে হইবে।
(২) যে কেহ (১) উপ-ধারার বিধান লংঘন করিলে সে তিন মাস পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম কারাবাসে বা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধে শাস্তিযোগ্য হইবেন।
৬। তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ :
(১) কোন নিকাহ নিবন্ধক এখতিয়ারের মধ্যে মুসলিম আইন অনুযায়ী কার্যকরীকৃত তালাক রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য তাহার নিকট পেশকৃত আবেদন পত্রের ভিত্তিতে উহা রেজিষ্ট্রী করিতে পারেন।
(২) তালাক রেজিষ্ট্রিকরণের জন্য আবেদন তালাক কার্যকরী করিয়াছেন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ কর্তৃক মৌখিকভাবে পেশকৃত হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, যদি মহিলা পর্দানশীল হন তাহা হইলে ঐরূপ আবেদন তাহার যথাযথভাবে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত উকিল কর্তৃক পেশ করা যাইতে পারে।
(৩) ১ঌ০৮ সনের রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৯০৮ সনের ১৬) অধীনে রেজিষ্ট্রীকৃত যে দলিলমুলে স্বামী স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা অর্পণ করিয়াছিল উক্ত দলিল অথবা ঐরূপ অর্পন করা হইয়াছে বলিয়া বিবাহ রেজিষ্ট্রী খাতায় অন্তভুক্তির সত্যায়িত প্রতিলিপি দাখিলকরণের ভিত্তিতে ব্যতীত নিকাহ নিবন্ধক তালাক-ই-তৌফিজ হিসাবে পরিচিত ধরনের কোন তালাক রেজিষ্ট্রী করিবেন না।
(৪) যেক্ষেত্রে নিকাহ নিবন্ধক কোন তালাক রেজিষ্ট্রী করিতে অস্বীকার করেন, সেক্ষেত্রে ঐরূপ রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য আবেদন করিয়াছিল এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ উক্ত অস্বীকৃতির ত্রিশ দিনের মধ্যে নিবন্ধকের নিকট আপীল পেশ করিতে পারেন এবং উক্ত আপীলের উপর নিবন্ধক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত (বলিয়া গণ্য) হইবে।
৭। রেজিষ্ট্রীকরণের পদ্ধতি : নিকাহ নিবন্ধক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন বিবাহ বা তালাক রেজিষ্ট্রী করিবেন।
৮। রেজিষ্ট্রী খাতা : প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক নির্ধারিত ফরমে বিবাহ ও তালাকের পৃথক রেজিষ্ট্রী খাতা রাখিবেন এবং ঐরূপ প্রত্যেক রেজিষ্ট্রী খাতায় প্রত্যেক বত্সরের শুরুতে নতুন সারির সূচনা ক্রমে সকল ভুক্তি ক্রমিক সারিতে সংখ্যাযুক্ত (করিতে) হইবে।
৯। পক্ষগণকে ভুক্তির প্রতিলিপি দিতে হইবে : কোন বিবাহ বা তালাকের রেজিষ্ট্রীকরণ সম্পূর্ন হওয়ার পর নিকাহ নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে খাতায় ভুক্তির সত্যায়িত প্রতিলিপি অর্পণ করিবেন এবং ঐরূপ প্রতিলিপির জন্য কোন খরচ আদায় করা হইবে না।
১০। নিয়ন্ত্রন ও তত্ত্বাবধান :
(১) প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক তাহার অফিসের কর্তব্যাবলী নিবন্ধকের অধীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে পালন করিবেন।
(২) মহা-নিবন্ধন পরিদর্শক সকল নিকাহ নিবন্ধকগণের অফিসের উপর সাধারণ অধীক্ষণ চালাইবেন।
১১। অনুজ্ঞাপত্রের সংহরণ ও নিলম্বন : যদি সরকার বিশ্বাস করেন যে, নিকাহ নিবন্ধক তাহার কর্তব্যাবলী পালনে কোন অসদাচনের জন্য দোষী অথবা তাহার কর্তব্যাবলী পালনে অনুপযুক্ত বা দৈহিকভাবে অক্ষম, তাহা হইলে সরকার লিখিত আদেশবলে তাহার অনুজ্ঞাপত্র সংহরণ করিতে পারেন, অথবা আদেশের যেরূপ বিনির্দিষ্ট করা হইতে পারে সেরূপ অনধিক দুই বত্সর মেয়াদের জন্য তাহার অনুজ্ঞাপত্র নিলম্বিত করিতে পারেন।
তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোন আদেশ প্রদান করা হইবে না যদি নিকাহ নিবন্ধককে কেন ঐরূপ আদেশ প্রদান করা হইবে না উহার কারণ প্রদর্শনের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করা হয়।
১২। রেজিষ্ট্রী খাতাসমূহের হেফাজত : প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক ৮ ধারা অনুযায়ী তত্কর্তৃক রক্ষিত প্রত্যেকটি রেজিষ্ট্রী খাতা নিরাপদে রাখিবেন যতক্ষণ না উহা সম্পূর্ণ হয় এবং তিনি সংশ্লিষ্ট জিলা ত্যাগ করিলে বা অনুজ্ঞাপত্র ধারণ করা বন্ধ করিলে তখনই বা তত্পূর্বে নিরাপদ হেফাজতের জন্য নিবন্ধকের নিকট উহা হস্তান্তর করিবেন।
১৩। রেজিষ্ট্রী খাতাসমূহ পরিদর্শন : যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত ফি, যদি থাকে, প্রদানক্রমে নিকাহ নিবন্ধকের বা নিবন্ধকের অফিসে সেখানে রক্ষিত যে কোন রেজিষ্ট্রী খাতা পরিদর্শন করিতে পারেন অথবা উহাতে কোন ভুক্তির প্রতিলিপি পাইতে পারেন।
১৪। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা :
(১) সরকার অফিসিয়াল গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আইনের উদ্দেশ্যাবলী কার্যকরী করিবার জন্য বিধি প্রণয়ন করিতে পারেন।
(২) বিশেষ করিয়া এবং পূর্ববর্তী ক্ষমতার সাধারণত্বের হানি না করিয়া উক্ত বিধিমালা-
(ক) যে ব্যক্তিদেরকে ৪ ধারার অধীনে অনুজ্ঞাপত্র মঞ্জুর করা যাইতে পারে তা যাদের জন্য আবশ্যক যোগ্যতা সম্পর্কে,
(খ) বিবাহ বা তালাক রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য নিকাহ নিবন্ধককে প্রদেয় কি সম্পর্কে,
(গ) বিধি প্রণয়ন আবশ্যক এমন অন্য যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিধান করিতে পারে।
১৫। ১ঌ৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের (১ঌ৬১ সনের ৮অর্ডিন্যান্স) সংশোধন :
১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের,
(ক) ৩ ধারার (১) উপ-ধারায় কমা ও শব্দাবলী এবং মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রীকরণ শুধুমাত্র ঐ সকল বিধানাবলী অনুযায়ী সংঘটিত হইবে বাদ যাইবে।
(খ) ৫ ধারা বাদ যাইবে।
(গ) ৬ ধারার (১) উপ-ধারায় এই আইনের অধীন শব্দসমূহের পরিবর্তে ১ঌ৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রীকরণ) আইনের (১ঌ৭৪ সনের ৫২ নম্বর আইন) অধীন শব্দসমূহ, কমা, অংক ও বন্ধকী বসিবে।
১৬। নিরসন :
১৮৭৬ সনের মুসলিম তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৮৭৬ সনের ১ নং বেঙ্গল আইন) এতদ্বারা নিরসন করা হইল।
১৭। বিদ্যমান নিকাহ নিবন্ধকগণ সম্পর্কিত বিধান :
এই আইনের প্রারম্ভের পূর্বে ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের (১৯৬১ সনের ৮) অধীনে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত সকল নিকাহ নিবন্ধকগণ এই আইনের অধীনে নিকাহ নিবন্ধক হিসাবে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
Sultan Mahmud Sujon:
তালাক সংক্রান্ত
সিলম বিবাহ আইন
(১৯৩৯ সালের ৮নং আইন)
[ ১৯৩৯ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে গভর্ণর-জেনারেলের সম্মতিপ্রাপ্ত ]
[ মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আণীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থাবলীর একত্রীকরণ ও পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে প্রণীত এাক্ট ]।
যেহেতু, মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আনীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থা একত্রীকরণ ও উহাদের পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে, এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুভব করা যাইতেছে, সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নলিখিত আইন পাশ করা হইতেছে :
১। (ক) সংক্ষিপ্ত শিরোনামঃ অত্র আইনকে ১৯৩৯ সালের মুসলমান বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নামে অভিহিত করা যাইতে পারে।
(খ) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।
২। বিবাহ বিচ্ছেদের ডিক্রির হেতুবাদঃ নিম্নলিখিত যে কোন এক বা একাধিক হেতুবাদে মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা কোন মহিলা তাহার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ডিক্রি লাভের অধিকারিণী হইবেন, যথাঃ
i) চার বত্সর যাবত্ স্বামী নিরুদ্দেশ হইলে;
ii) স্বামী দুই বত্সর যাবত্ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দানে অবহেলা প্রদর্শন করিলে অথবা ব্যর্থ হইলে;
ii-ক) স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ব্যবস্থা লঙ্খন করিরা অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে;
iii) স্বামী সাত বত্সর বা তদুর্ধ্ব সময়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হইলে;
iv) স্বামী কোন যুক্তসঙ্গত কারণ ব্যতীত তিন বত্সর যাবত্ তাহার দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইলে;
v) বিবাহকালে স্বামীর পুরুষত্বহীনতা থাকিলে এবং উহা বর্তমানেও চলিতে থাকলে;
vi) দুই বত্সর যাবত্ স্বামী পাগল হইয়া থাকিলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিতে কিংবা ভয়ানক ধরণের উপদংশ রোগে ভুগিতে থাকলে;
vii) আঠার বত্সর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তাহাকে তাহার পিতা অথবা অন্য অভিভাবক বিবাহ করাইয়া থাকিলে এবং উণিশ বত্সর বয়স পূর্ণ হইবার পূর্বেই সে উক্ত বিবাহ অস্বীকার করিয়া থাকিলে; তবে, অবশ্য ঐ সময়ের মধ্যে যদি দাম্পত্য মিলন অনুষ্ঠিত না হইয়া থাকে;
viii) স্বামী তাহার (স্ত্রীর) সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করিলে, অর্থাত্
ক) অভ্যাসগতভাবে তাহাকে আঘাত করিলে বা নিষ্ঠুর আচরণ দ্বারা, উক্ত আচরণ দৈহিক পীড়নের পর্যায়ে না পড়িলও, তাহার জীবন শোচনীয় করিয়া তুলিয়াছে এমন হইলে;.
খ) স্বামীর দূর্নাম রহিয়াছে বা কলঙ্কিত জীবন যাপন করে এমন স্ত্রীলোকদের সহিত মেলামেশা করিলে, অথবা
গ) তাহাকে দূর্ণীত জীবন যাপনে বাধ্য করিবার চেষ্টা করিলে, অথবা
ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করিলে অথবা উহার উপর তাহার বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান করিলে, অথবা
ঙ) তাহার ধর্মীয় কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করিলে, অথবা
চ) একাধিক স্ত্রী থাকিলে, সে কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী ন্যায়পরায়নতার সহিত তাহার সঙ্গে আচরণ না করিলে;
ix) মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য বৈধ হেতু হিসাবে স্বীকৃত অন্য যে কোন কারণেঃ
তবে অবশ্য-
ক) কারাদন্ডাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩ নং হেতু বাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না,
খ) ১ নং হেতুবাদে প্রদত্ত ডিক্রিটি উহার প্রদানের তারিখ হইতে ৬ মাস পর্যন্ত কার্যকরী হইবে না এবং স্বামী উক্ত সময়ের মধ্যে স্বয়ং অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কো এজেন্টের মাধ্যমে উপস্থিত হইয়া এই মর্মে যদি আদালতকে খুশী করিতে পারে যে, দাম্পত্য কর্তব্য পালনে প্রস্তুত রহিয়াছে, তাহা হইলে আদালত ডিক্রিটি রদ করিবেন; এবং
গ) ৫ নং হেতুবাদে ডিক্রি প্রদানের পূর্বে, স্বামীর আবেদনক্রমে আদালতের আদেশের এক বত্সরের মধ্যে যে পুরুষত্বহীনতা হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছে বা তাহার পুরুষত্বহীনতার অবসান ঘটিয়াছে এই মর্মে আদালতকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য আদালত তাহাকে আদেশ দান করিতে পারেন এবং যদি সে উক্ত সময়ের মধ্যে আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারে, তাহা হইলে উক্ত হেতুবাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না।
৩। স্বামীর ঠিকানা জানা না থাকিলে তাহার উত্তরাধিকারীগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে
যে মামলায় ২ ধারায় (১) উপ-ধারা প্রযোজ্য, সেখানে-
ক) আর্জিতে ঐ সমস্ত লোকের নাম-ঠিকানা লিখিতে হইবে যাহারা আর্জি পেশ করিবার সময় স্বামী মারা গেলে মুসলিম আইনে স্বামীর উত্তরাধিকারী হইতেন;
খ) ঐ ধরণের ব্যক্তিগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে, এবং
গ) উক্ত মামলায় ঐ সকল ব্যক্তির বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে।
তবে অবশ্য ম্বামীর চাচা ও ভাই থাকিলে উহারা উত্তরাধিকারী না হইলেও উহাদিগকে অবশ্যই পক্ষভূক্ত করিতে হইবে।
৪। ধর্মান্তরের ফলঃ
কোন বিবাহিতা মুসলমান মহিলা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিলে অথবা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহন করিলে উহাতেই তাহা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিবে না।
তবে, অবশ্য এই জাতীয় ধর্ম ত্যাগ বা অন্য ধর্ম গ্রহণের পর মহিলাটি ২ ধারায় বর্ণিত অন্য কোন হেতুবাদে তাহার বিবাহ বিচ্ছিদের জন্য ডিক্রি গ্রহণের অধিকারিণী হইবেনঃ
আরও এই যে, অত্র ধারার ব্যবস্থাবলী ঐ মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যে কোন ধর্ম হইতে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হইয়াছিল এবং বর্তমানে স্বীয় পুরাতন ধর্মে পুনরায় দীক্ষা গ্রহণ করিল।
৫। দেহমোহরের অধিকার ক্ষুন্ন হইবে নাঃ
অত্র আইনে সন্নিবেশিত কোন কিছুই কোন বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে মুসলিম আইন অনুযায়ী তাহার প্রাপ্ত দেনমোহর অথবা উহার কোন অংশের উপর তাহার কোন অধিকারকেই ক্ষুন্ন করিবে না।
৬। ১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারাটিকে এতদ্বারা বাতিল ঘোষণা করা হইল [ ১৯৪২ সালের ২৫ নং এ্যাক্ট দ্বারা বাতিল ঘোষিত হয় ]
Sultan Mahmud Sujon:
অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত
অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮ঌ০
The Guardians and Wards Act, 1890
(১৮ঌ০ সনের ৮নং আইন)
অভিভাবক এবং প্রতিপাল্য সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করার আইন। যেহেতু অভিভাবক এবং প্রতিপাল্য সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করা সমীচীন; সেহেতু উহা এতদ্বারা নিম্নরূপ বিধিবদ্ধ করা হল।
১ম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
ধারা-১। শিরোনাম, আওতা ও প্রারম্ভ :
(১) এই আইনকে অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০ নামে অভিহিত করা যেতে পারে,
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য, এবং
(৩) ১৮৯০ সনের ১ জুলাই হতে ইহা কার্যকর হবে।
ধারা-২। ১৯৩৮ সনের ১নং আইন দ্বারা বাতিল করা হয়েছে।
ধারা-৩। ১৯৭৩ সনের ৮নং আইনের ২ ধারা দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
ধারা-৪। সংজ্ঞা :
এই আইনের বিষয়ে বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কিছু না থাকলে-
(১) "নাবালক" বলতে ১৮৭৫ সালের (১৮৭৫ সনের ৯নং আইন) সাবালকত্ব মর্ম মতে যে এখনো সাবালকত্ব লাভ করে নাই তাকে বুঝায়।
(২) "অভিভাবক" বলতে যে ব্যক্তি কোন নাবালকের শরীর অথবা সম্পত্তি অথবা সম্পত্তি ও শরীর উভয়ের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত তাকে বুঝায়।
(৩) "প্রতিপাল্য" বা "ওয়ার্ড" বলতে একজন নাবালক যার শরীর বা সম্পত্তি অথবা শরীর এবং সম্পত্তির জন্য একজন অভিভাবক আছে তাকে বুঝায়।
(৪) জেলা আদালত বলতে দেওয়ানী কার্যবিধিতে (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) যে অর্থ বুঝান হয়েছে তা বুঝায় এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের সাধারণ মূল দেওয়ানী অধিক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করে;
(৫) "আদালত" বলতে-
(ক) এই আইনে কোন ব্যক্তিকে অভিভাবক নিযুক্ত অথবা ঘোষণা করার জন্য দরখাস্ত গ্রহণ করার বৈধ কর্তৃত্বসম্পন্ন জেলা আদালতকে বুঝায়, অথবা
(খ) যেখানে এরূপ কোন দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করা হয়েছে-
(i) আদালত অথবা ঐ কর্মকর্তার আদালত যিনি অভিভাবক নিয়োগ অথবা ঘোষণা করেছেন অথবা এই আইনে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করেছেন বলে মনে করা হয়, অথবা
(ii) নাবালকের শরীর সম্বন্ধে যেকোন ব্যাপারে নাবালক কিছু সময়ের জন্য সাধারণত যেখানে বসবাস করে সে এলাকার জেলা আদালত, অথবা
(গ) ৪ক ধারায় বদলিকৃত কোন মামলা ঐ কর্মকর্তার আদালতে যার নিকট উক্ত মামলা বদলি উক্ত মামলা বদলি করা হয়েছে।
(৬) "কালেক্টর" বলতে কোন জেলার রাজস্ব প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তাকে বুঝায় এবং সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নামে বা পদ মর্যাদার বলে কাকে কোন স্থানীয় এলাকার জন্য বা এই আইনের সকল বা কোন উদ্দেশ্যে কোন শ্রেণীর লোকের জন্য কালেক্টর নিযুক্ত করলে তাও অন্তর্ভুক্ত করবে;
(৭) ১৯৭৩ সনের ৮নং আইনের ৩ ধারা, ২য় তফশিল দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে
(৮) "নির্ধারিত" বলতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক নির্ধারিত কোন বিধিকে বুঝায়।
ধারা-৪ক। অধ:স্তন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার উপর কর্তৃত্ব আরোপ করার এবং মামলা বদলি করার ক্ষমতা :
(১) হাইকোর্ট ডিভিশন সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা মূল দেওয়ানী কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে জেলা আদালতের অধ:স্তন এমন কোন কর্মকর্তাকে বা কোন জেলা আদালতের জজকে তার অধ:স্তন কোন কর্মকর্তাকে তার নিকট বদলিকৃত যেকোন মামলা এই ধারা অনুসারে নিষ্পত্তি করবার জন্য ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন।
(২) কোন জেলা আদালতের জজ লিখিত আদেশ দ্বারা নিষ্পত্তির জন্য তাঁর আদালতে অপেক্ষমান এই আইনের যেকোন মামলা (১) উপ-ধারার ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার অধ:স্তন যেকোন আদালতে বদলি করতে পারেন।
(৩) কোন জেলা আদালতের জজ (১) উপ-ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার অধ:স্তন যে কোন আদালতে বা এমন ধরনের অন্য কোন অধ:স্তন কর্মকর্তার আদালতে অপেক্ষমান এই আইনের কোন মামলা তার নিজ আদালতে বা এমন ধরনের অন্য কোন অধ:স্তন কর্মকর্তার আদালতে বদলি করতে পারেন।
(৪) অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষিত হয়েছে এমন ধরনের এই আইনের কোন মামলা বদলি করা হলে জেলা আদালতের জজ লিখিত আদেশ দ্বারা ঘোষণা করতে পারেন যে, সেখানে এমন ধরনের মামলা বদলি হয়েছে তেমন জজের আদালত বা অফিসকে এই আইনের কোন বা সব উদ্দেশ্য অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষিত হওয়ার আদালত মনে করা হবে।
২য় অধ্যায়
অভিভাবক নিয়োগ ও ঘোষণা
ধারা-৫। ১৯৭৩ সনের ৮নং আইন, ৩ ধারা ও ২য় তফশিল দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
ধারা-৬। অন্যক্ষেত্রে নিয়োগ ক্ষমতার ব্যতিক্রম:
এই ধারার কোন কিছু দ্বারাই কোন নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির অভিভাবক নিয়োগের ক্ষমতা যা আইনে বৈধ তা নিয়ে যাওয়া বা কমিয়ে দেয়া ব্যাখ্যা করা যাবে না।
ধারা-৭। অভিভাবকত্বের ব্যাপারে আদেশ প্রদানে আদালতের ক্ষমতা:
(১) যেখানে আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে নাবালকের মঙ্গলের জন্য আদেশ প্রদান করা প্রয়োজন-
(ক) তার শরীর অথবা সম্পত্তি অথবা উভয়ের ব্যাপারে একজন অভিভাবক নিযুক্ত করে, অথবা
(খ) কোন ব্যক্তিকে তেমন অভিভাবক ঘোষণা করে আদালত তদানুসারে আদেশ প্রদান করতে পারেন;
তবে শর্ত এই যে নাবালক বাংলাদেশের নাগরিক হলে বাংলাদেশী নাগরিক ছাড়া অন্য কাকেও তার অভিভাবক নিযুক্ত করা যাবে না।
(২) উইল বা অন্য কোন দলিল দ্বারা নিযুক্ত না হলে অথবা কর্তৃক ঘোষিত না হলে এই ধারাবলে কোন আদেশ কোন অভিভাবকের অপসারণ বুঝাবে।
(৩) যেক্ষেত্রে কোন অভিভাবক উইল বা অন্য দলিল দ্বারা অথবা আদালত কর্তৃক নিযুক্ত বা ঘোষিত হয়েছে সেক্ষেত্রে এ ধারায় অন্য কোন ব্যক্তিকে তার পরিবর্তে অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষণা করা যাবে না যে পর্যন্ত না উক্তভাবে নিযুক্ত বা ঘোষিথ অভিভাবক এই আইন অনুসারে দায়িত্ব পালন বন্ধ করেছে।
ধারা-৮। আদেশ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে যারা স্বত্ববান:
শেষোক্ত ধারাগুলির অধীনে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গের দরখাস্ত ছাড়া কোন আদেশ দেয়া হবে না-
(ক) যে ব্যক্তি অভিভাবক হতে ইচ্ছুক বা অভিভাবক হবার দায়ী করে, অথবা
(খ) নাবালকের কোন আত্নীয় বা বন্ধু, অথবা
(গ) জেলা কালেক্টর বা অন্য স্থানীয় এলাকার যেখানে নাবালক সাধারণত বসবাস করে অথবা যেখানে তার সম্পত্তি আছে, অথবা
(ঘ) নাবালক যেই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সেই শ্রেণীর উপর কর্তৃত্ব আছে এমন কালেক্টর।
ধারা-৯। দরখাস্ত গ্রহণ করায় আদালতের এখতিয়ার :
(১) যদি দরখাস্ত নাবালকের বা প্রতিপাল্যের শরীরের অভিভাবকত্বের ব্যাপারে হয় তা হলে নাবালক সাধারণত যেখানে বসবাস করে সে এলাকার জেলা আদালতে তা দাখিল করতে হবে।
(২) যদি দরখাস্ত নাবালকের বা প্রতিপাল্যের সম্পত্তির অভিভাবকত্বের ব্যাপারে হয় সে ক্ষেত্রে উহা এক হয় নাবালক যেখানে সাধারণত বসবাস করে বা যেখানে তার সম্পত্তি আছে সেই এলাকার জেলা আদালতে দাখিল করতে হবে।
(৩) নাবালকের বা প্রতিপাল্যের সম্পত্তির অভিভাবকত্বের ব্যাপারে নাবালক যেখানে সাধারণত বাস করে সে এলাকার জেলা আদালত ছাড়া অন্য আদালতে দরখাস্ত করলে, উক্ত আদালত এখতিয়ার সম্বলিত অন্য জেলা আদালত কর্তৃক উক্ত দরখাস্ত আরো ন্যায়ত ও সুবিধাজনকভাবে নিষ্পত্তি হবে বিবেচনা করলে উক্ত দরখাস্ত ফেরত দিতে পারবেন।
ধারা-১০। দরখাস্তের ধরন:
(১) যদি কালেক্টর দরখাস্ত না দেন তা হলে দেওয়ানী কার্যবিধিতে (১৯৮০ সনের ৫নং আইন) আরজি দরখাস্ত ও প্রতিপাদনের জন্য নির্ধারিত নিয়মে ঐ দরখাস্তেও স্বাক্ষর ও প্রতিপাদন হতে এবং যতদূর পর্যন্ত নির্ণয় করা যায়-
(ক) নাবালকের নাম, লিঙ্গ, জণ্ম তারিখ এবং তাহার সাধারণ বাসস্থান;
(খ) নাবালক স্ত্রীলোক হলে সে বিবাহিতা কিনা এবং সেক্ষেত্রে তার স্বামীর নাম এবং বয়স;
(গ) নাবালকের সম্পত্তির রকম, অবস্থান এবং আনুমানিক মূল্য, যদি থাকে;
(ঘ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির জিম্মাদার বা দখলকারের নাম এবং বাসস্থান;
(ঙ) নাবালকের নিকট আত্নীয় কারা এবং তাদের বাসস্থান;
(চ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির বা উভয়ের অভিভাবক নিয়োগ দানে স্বত্বাধিকারী বা আইনগত নিযুক্তি দিতে অধিকারী বলে দাবীকারী কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছে কি না;
(ছ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির বা উভয়ের অভিভাবকত্বের জন্য কোন সময়ে কোন আদালতে দরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা এবং সেক্ষেত্রে কোন আদালতে এবং কি ফলাফল;
(জ) দরখাস্ত নাবালকের শরীর বা সম্পত্তি বা উভয়ের অভিভাবক নিয়েগ বা ঘোষণার জন্য কি না;
(ঝ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির বা উভয়ের জন্য অভিভাবক নিযুক্তি বা ঘোষণার জন্য আবেদন কি না;
(ঞ) অভিভাবকের নিযুক্তির আবেদন হলে প্রস্তাবিত অভিভাবকের যোগ্যতাসমূহ;
(ট) কোন ব্যক্তিকে অভিভাবক ঘোষণার দরখাস্ত হলে উক্ত ব্যক্তির দাবীর ভিত্তিসমূহ;
(ঠ) দরখাস্ত করার কারণসমূহ; এবং
(ড) অন্যান্য বিবরণ যদি নির্ধারিত থেকে থাকে অথবা দরখাস্তের প্রকৃতির জন্য প্রয়োজন হয়, তা বর্ণনা করবেন।
(২) কালেক্টর কর্তৃক উক্ত দরখাস্ত করা হলে চিঠির আকারে আদালতে প্রেরণ করতে হবে এবং ডাক বা সুবিধাজনক মনে করা তেমন কোন উপায়ে পাঠাতে হবে এবং দরখাস্তে (১) উপধারায় বর্ণিত বিবরণগুলি যতদূর সম্ভব দিতে হবে।
(৩) দরখাস্তে প্রস্তাবিত অভিভাবকের কাজ করার ইচ্ছামুক্ত ঘোষণা থাকতে হবে এবং ঐ ঘোষণা তার স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং দু'জন স্বাক্ষী দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
ধারা-১১। দরখাস্ত গ্রহণের পর পদ্ধতি:
(১) যদি আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে দরখাস্তটি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার যথে কারণ আছে তা হলে উহা শুনানির জন্য একটি দিন ঠিক করবেন এবং দরখাস্ত ও শুনানির তারিখের নোটিশ দিবেন-
(ক) দেওয়ানী কার্যবিধিতে নির্দেশিত মতে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের উপর জারি করাতে হবে।
(১) নাবালকের মাতাপিতা যদি তারা বাংলাদেশ বাস করে;
(২) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তি জিম্মাদার বা দখলদার হিসাবে দরখাস্তে বা পত্রে কারো নাম উল্লেখ করা হয়ে থাকলে;
(৩) উক্ত ব্যক্তি নিজে দরখাস্তকারী হয়ে থাকলে দরখাস্ত বা পত্রে যাকে অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে; এবং
(খ) আদালতের কোন সুপ্রকাশ্য স্থানে এবং নাবালকের বাসস্থানে নোটিশ টাঙ্গাতে হবে এবং এই আইন অনুসারে সুপ্রীম কোর্টের কোন বিধি সাপেক্ষে আদালত যেভাবে উপযুক্ত মনে করে সেভাবে প্রচার করতে হবে।
(২) ১০ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী দরখাস্তে উল্লিখিত কোর্ট অব ওয়ার্ডস তত্ত্বাবধান গ্রহণ করতে পারে এই মর্মে সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দিতে পারে আদালত ও যে কালেক্টরের এলাকায় সাধারণত বসবাস করে এবং সব কালেক্টরের উপর যাদের জেলায় সম্পত্তির অংশবিশেষ অবস্থিত তাদের উপর উপরোল্লিখিত উপায়ে নোটিশ জারি করবেন, কালেক্টরও যেভাবে উপযুক্ত মনে করেন সেভাবে নোটিশ জারি করতে পারবেন।
(৩) (২) উপ-ধারা অনুযায়ী কোন নোটিশ জারির জন্য বা প্রচারের জন্য আদালত বা কালেক্টর কোন খরচ ধার্য করবেন না।
ধারা-১২। নাবালকের উপস্থাপনের জন্য এবং সম্পত্তি বা শরীরের মধ্যকালীন সংরক্ষণের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদানের ক্ষমতা:
(১) প্রতিপাল্য বা নাবালককে কোন নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে নিযুক্ত ব্যক্তির সম্মুখে উপস্থিত করা বা করানোর জন্য তার জিম্মাদার কেহ থেকে থাকলে আদালত তাকে নির্দেশ দিতে পারবেন এবং নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির অস্থায়ী জিম্মা সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করলে আদেশ দিতে পারবেন।
(২) যদি নাবালক "মেয়ে" হয় যাকে জনসম্মুখে উপস্থিত করান উচিত নয় সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত প্রথা ও রীতিনীতি অনুসারে তাকে উপস্থিত করবার জন্য (১) উপধারা মোতাবেক আদেশ প্রদান করতে হবে।
(৩) এই ধারার কোন কিছুই ক্ষমতা প্রদান করবে না-
(ক) স্বামী হওয়ার কারণে অভিভাবক হিসাবে দাবী করে এমন ব্যক্তির জিম্মায় কোন নাবালক মেয়েকে দেয়া যাবে না যদি না ইতোপূর্বেই তার পিতামাতার (যদি থেকে থাকে) সম্মতিতে সে তার জিম্মায় থেকে থাকে; অথবা
(খ) কোন নাবালকের অস্থায়ী জিম্মাদার এবং সম্পত্তির সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি আইন অধীনে ছাড়া অন্যভাবে কোন সম্পত্তির দখলদারকে বেদখল করবার।
ধারা-১৩। আদেশের পূর্বে সাক্ষ্য গ্রহণ:
দরখাস্ত শুনানীর দিন অথবা যথাশীঘ্র সম্ভব তত্পরে দরখাস্তের পক্ষে বিপক্ষে দেয়া সাক্ষ্যসমূহ আদালত শুনবেন।
ধারা -১৪। বিভিন্ন আদালতে যুগপত কার্যাবলী (প্রসিডিং):
(১) অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণার মামলা একাধিক আদালতে চলতে থাকলে প্রত্যেক আদালত অন্য আদালত বা আদালত সমূহের মামলার ব্যাপারে অবগত হওয়ার পর নিজ আদালতের মামলা স্থগিত রাখবেন।
(২) এরূপ উভয় বা সকল আদালত একই হাইকোর্ট ডিভিশনের অধস্তন হলে প্রত্যেক আদালত উক্ত মামলার ব্যাপারে হাইকোর্ট ডিভিশনের প্রতিবেদন দাখিল করবে এবং হাইকোর্ট ডিভিশন নাবালকের অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা সম্পর্কে উক্ত মামলা কোন আদালতে চলবে তা সিদ্ধান্ত নিবেন।
(৩) (১) উপধারা মোতাবেক স্থগিত মামলার ব্যাপারে আদালতগুলি সরকারের নিকট প্রতিবেদন দিবেন এবং এ ব্যাপারে স্ব স্ব সরকারের প্রদত্ত আদেশ অনুসারে পরিচালিত হবেন।
ধারা-১৫। বহু অভিভাবক নিযুক্তি বা ঘোষণা:
(১) নাবালক যে আইনের অধীন উক্ত আইন যদি তার শরীর, সম্পত্তি অথবা উভয়ের জন্য দুই বা ততোধিক যুগ্ন অভিভাবক অনুমোদন করে আদালত উপযুক্ত মনে করলে তাদেরকে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করতে পারেন।
(২) ও (৩) উপধারা ১ঌ৭৩ সনের ৮নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
(৪) নাবালকের শরীর ও সম্পত্তির জন্য ভিন্ন অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষণা করা যায়।
(৫) নাবালকের অনেক সম্পত্তি থাকলে আদালত উপযুক্ত মনে করলে উক্ত সম্পত্তির প্রত্যেকটির বা অনেকটির জন্য ভিন্ন ভিন্ন অভিভাবক নিযুক্ত করতে পারেন।
ধারা-১৬। আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত সম্পত্তির অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা:
কোন আদালত উহার স্থানীয় এখতিয়ার বহির্ভূত সম্পত্তির জন্য কোন অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করলে যে আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে সম্পত্তি অবস্থিত উক্ত আদালত অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণার জাবেদা নকল উপস্থাপনের পর উক্ত অভিভাবককে বৈধভাবে নিযুক্ত বা ঘোষিত অ
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version