শিশু অধিকার ও লংঘন সংক্রান্ত আইন

Author Topic: শিশু অধিকার ও লংঘন সংক্রান্ত আইন  (Read 12866 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন।
 

যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় ; যেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :

 

ধারা-১। সংক্ষিপ্ত শিরোনামা :

 

এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে।


ধারা-২। সংজ্ঞা :

 

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -

    (ক) " অপরাধ " অর্থ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ;

    (খ) " অপহরণ " অর্থ এই বলপ্রয়োগ বা প্রলুব্ধ করিয়া বা ফুসলাইয়া বা ভুল বুঝাইয়া বা ভীতি প্রদর্শন করিয়া কোন স্থান হইতে কোন ব্যক্তিকে অন্যত্র যাইতে বাধ্য করা ;

    (গ) " আটক " অর্থ কোন ব্যক্তিকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন স্থানে আটকাইয়া রাখা ;

    (ঘ) " ট্রাইব্যুনাল " অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত কোন ট্রাইবু্যনাল ;

    (ঙ) " ধর্ষণ " অর্থ ধারা ৯-এর বিধান সাপেক্ষে, Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর Section 375-  এ সংজ্ঞায়িত rape ;

    (চ) " নবজাতক " শিশু অর্থ অনূর্ধ চল্লিশ দিন বয়সের কোন শিশু;

    (ছ) " নারী " অর্থ যে কোন বয়সের নারী ;

    (জ) " মুক্তিপণ " অর্থ আর্থিক সুবিধা বা অন্য যে কোন প্রকারের সুবিধা ;

    (ঝ) " ফৌজদারী কার্যবিধি " অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) ;

    (ঞ) " যৌতুক " অর্থ কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্ব বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বা বিবাহের পণ হিসাবে, প্রদত্ত অথবা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ, এবং উক্ত শর্ত বা পণ হিসাবে বর বা বরের পিতা, মাতা বা বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক কনে বা কনে পক্ষের কোন ব্যক্তির নিকট দাবিকৃত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ ;

              [ এখানে ২০০৩ সালে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে ]

     

    (ট) " শিশু " অর্থ অনধিক চৌদ্দ বয়সের কোন ব্যক্তি;

     

              [ এখানে ২০০৩ সালে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে ]

     (ঠ) " হাইকোর্ট " বিভাগ অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট-এর হাইকোর্ট বিভাগ।

ধারা-৩। আইনের প্রাধান্য :

 

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে।

 

ধারা-৪। দহনকারী, ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা সংঘটিত অপরাধের শাস্তি:

    (১) যদি কোন ব্যক্তি দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা কোন শিশু বা নারীর মৃত্যু ঘটানো বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন ব্যক্তি দহনকারী, ক্ষয়কারী বা বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা কোন শিশু বা নারীকে এমনভাবে অাহত করেন যাহার ফলে উক্ত শিশু বা নারীর দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি নষ্ট হয় বা শরীরের কোন অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা তাহার শরীরের অন্য কোন স্থান আহত হয়, তাহা হইলে উক্ত শিশুর বা নারীর-

            (ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি , নষ্ট বা মুখমনন্ডল, স্তন বা যৌনাঙ্গ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে যা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;
            (খ) শরীরের অন্য কোন অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার বা শরীরের কোন স্থানে আঘাত পাওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যূন সাত বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৩) যদি কোন ব্যক্তি কোন দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত পদার্থ কোন শিশু বা নারীর উপর নিক্ষেপ করেন বা করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, তাহার উক্তরূপ কার্যের দরুন সংশ্লিষ্ট শিশু বা নারীর শারীরিক, মানসিক বা অন্য কোনভাবে কোন ক্ষতি না হইলেও, অনধিক সাত বত্সর কিন্তু অন্যুন তিন বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৪) এই ধারার অধীন অর্থদন্ডের অর্থ প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী দন্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে বা তাহার বিদ্যমান সম্পদ বা তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যুর সময় রাখিয়া যাওয়া সম্পদ হইতে আদায় করিয়া অপরাধের দরুন যে ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়াছে তাহার উত্তরাধিকারীকে বা ক্ষেত্রমত, যেই ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন, সেই ব্যক্তিকে বা সেই ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, তাহার উত্তরাধিকারীকে প্রদান করা হইবে।

  ধারা-৫। নারী পাচার, ইত্যাদির শাস্তি :

    (১) যদি কোন ব্যক্তি পতিতাবৃত্তি বা বেআইনী বা নীতিবিগর্হিত কোন কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে কোন নারীকে বিদেশ হইতে আনয়ন করেন বা বিদেশে পাচার বা প্রেরণ করেন অথবা ক্রয় বা বিক্রয় করেন বা কোন নারীকে ভাড়ায় বা অন্য কোনভাবে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে হস্তান্তর করেন, বা অনুরূপ কোন উদ্দেশ্যে কোন নারীকে তাহার দখলে, জিম্মায় বা হেফাজতে রাখেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন নারীকে কোন পতিতার নিকট বা পতিতালয়ের রক্ষণাবেক্ষণকারী বা ব্যবস্থাপকের নিকট বিক্রয়, ভাড়া বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা হয়, তাহা হইলে যে ব্যক্তি উক্ত নারীকে অনুরূপভাবে হস্তান্তর করিয়াছেন তিনি, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, উক্ত নারীকে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে বিক্রয় বা হস্তান্তর করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উপ-ধারা (১) -এ উল্লিখিত দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

    (৩) যদি কোন পতিতালয়ের রক্ষণাবেক্ষণকারী বা পতিতালয়ের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি কোন নারীকে কোন নারীকে ক্রয় বা ভাড়া করেন বা অন্য কোনভাবে কোন নারীকে দখলে নেন বা জিম্মায় রাখেন, তাহা হইলে তিনি, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, উক্ত নারীকে পতিতা  হিসাবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ক্রয় বা ভাড়া করিয়াছেন বা দখলে বা জিম্মায় রাখিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উপ-ধারা (১) -এ উল্লিখিত দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-৬। শিশুপাচার, ইত্যাদির শাস্তি :

    (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন বেআইনী বা নীতিবিগর্হিত উদ্দেশ্যে কোন শিশুকে বিদেশ হইতে আনয়ন করেন বা বিদেশ প্রেরণ বা পাচার করেন অথবা ক্রয় বা বিক্রয় করেন বা উক্তরূপ কোন উদ্দেশ্যে কোন শিশুকে নিজ দখলে, জিম্মায় বা হেফাজতে রাখেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন ব্যক্তি কোন নবজাতক শিশুকে হাসপাতাল, শিশু বা মাতৃসদন নার্সিং হোম, ক্লিনিক ইত্যাদি বা সংশ্লিষ্ট শিশুর অভিভাবকের হেফাজত হইতে চুরি করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) -এ উল্লিখিত দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-৭। নারী ও শিশু অপহরণের শাস্তি :

 

যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৫-এ উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুকে অপহরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা অন্যূন চৌদ্দ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।
 

ধারা-৮। মুক্তিপণ আদায়ের শাস্তি :

 

যদি কোন ব্যক্তি মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুকে আটক করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে হইবেন।এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।
 

ধারা-৯। ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি:

    (১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে  দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার নিষেধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-

    (ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;

    (খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে ব্যক্তি অনধিক দশ বত্‍‌সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে নারী ধর্ষিতা হন, তাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তাহারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

     [ এই ধারাটির সাথে ২০০৩ সালে ৯ ক ধারা সংযোজিত করা হয়েছে  এবং কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে ]

ধারা-১০। যৌন পীড়ন, ইত্যাদির দন্ড :

    (১) কোন পুরুষ অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌনাঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ণ।তজ্জন্য উক্ত পুরুষ অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন তিন বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

    (২) কোন পুরুষ অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কোন নারীর শ্লীলতাহানি করিলে বা অশোন অঙ্গভঙ্গি করিলে তাহার এ্ই কাজ হইবে যৌন পীড়ণ এবং তজ্জন্য উক্ত পুরুষ অনধিক সাত বত্সর কিন্তু অন্যূন দুই বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

                   [ এই ধারাটি ২০০৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে ]

 

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ধারা-১১।যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ইত্যাদির শাস্তি :

    যদি কোন নারীর স্বামী অথবা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্নীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, উক্ত নারীকে আহত করেন বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত স্বামী, স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্নীয় বা ব্যক্তি
    (ক) মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদন্ডে ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উভয়  ক্ষেত্রে উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;

    (খ) আহত করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে বা আহত করার চেষ্টা করার জন্য অনধিক চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

     [ এই ধারাটি ২০০৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে ]

ধারা-১২। ভিক্ষাবৃত্তি, ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুকে অঙ্গহানি করার শাস্তি :

    যদি কোন ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির উদ্দেশ্যে কোন শিশুর হাত, পা, চক্ষু বা অন্য কোন অঙ্গ বিনষ্ট করেন বা অন্য কোনভাবে বিকলাঙ্গ বা বিকৃত করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-১৩। ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জণ্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান :

    (১) অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধর্ষনের কারণে কোন সন্তান জণ্মলাভ করিলে -

    (ক) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব ধর্ষণকারী পালন করিবেন ;

    (খ) উক্ত সন্তান জণ্মলাভের পর সন্তানটি কাহার তত্ত্বাবধানে থাকিবে এবং তাহার ভরণ-পোষণ বাবদ ধর্ষণকারী কি পরিমাণ খরচ তত্ত্বাবধানকারীকে প্রদান করিবে তাহা ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে ;

    (গ) উক্ত সন্তান পঙ্গু না হইলে, এই খরচ পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে ২১ বত্সর পর্যন্ত এবং কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে তাহার বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত এবং পঙ্গু সন্তানের ক্ষেত্রে তিনি স্বীয় ভরণ-পোষণের যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত প্রদেয় হইবে।

                        [ এই ধারাটিতে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে ২০০৩ সালে ]                   

 

ধারা-১৪। সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা-নিষেধ :

    (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এইরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তত্সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদপত্রে বা অন্য কোন সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়।

    (২) উপ-ধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বত্সর কারাদন্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

     

ধারা-১৫। ভবষিত্‍ সম্পত্তি হইতে অর্থদন্ড আদায় :

    এই আইনের ধারা ৪ হইতে ১৪ পর্যন্ত ধারাসমূহে উল্লিখিত অপরাধের জন্য ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আরোপিত অর্থদন্ডকে, প্রয়োজনবোধে, ট্রাইব্যুনাল অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে এবং অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দন্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে বা তাহার বিদ্যমান সম্পদ হইতে আদায় করা সম্ভব না হইলে, ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হইবেন সেই সম্পদ হইতে আদায়যোগ্য হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত সম্পদের উপর অন্যান্য দাবি অপেক্ষা উক্ত অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণের দাবি প্রাধান্য পাইবে।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ধারা-১৬৷ অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদ্ধতি :

    এই আইনের অধীনে কোন অর্থদন্ড আরোপ করা হইলে, ট্রাইবু্যনাল সংশ্লিষ্ট জেলার কালেক্টরকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বা অনুরূপ বিধি না থাকিলে, ট্রাইবু্যনাল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অপরাধীর স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয়বিধ সম্পত্তির তালিকা  প্রস্তুতক্রমে ক্রোক ও নিলাম বিক্রয় বা ক্রোক ছাড়াই সরাসরি বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ ট্রাইবু্যনালে জমা দিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং ট্রাইবু্যনাল উক্ত অর্থ অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের ব্যবস্থা করিবে৷

ধারা-১৭। মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দায়ের ইত্যাদির শাস্তি :

    (১) যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান তাহা হইলে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১)-এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করিতে পারিবে।

ধারা-১৮। অপরাধের তদন্ত :

    (১) এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার কর্তৃক, অপরাধটি সংঘটনের তথ্য প্রাপ্তি অথবা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ তদন্তের আদেশ প্রদানের পরবতী ষাট দিনের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে :

    তবে শর্ত থাকে যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি বিশেষ কারণ প্রদর্শন করিয়া, ট্রাইব্যুনালকে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্তের সময়সীমা বৃদ্ধি করা সমীচীন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল তদন্তের সময়সীমা অনধিক ত্রিশ দিন বর্ধিত করিতে পারিবে।

    (২) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১)-এ নির্ধারিত বা বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত না হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত  হওয়ার পর বা মামলার বিচার চলাকালীন যে কোন সময় ট্রাইব্যুনাল কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে বা ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করা বা, ক্ষেত্রমত, তত্সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে তদন্ত বা অধিকতর তদন্ত সমাপ্তির নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৩) উপ-ধারা (২)-এর অধীন নির্দেশিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সমাপ্ত করিতে ব্যর্থ হইলে, ট্রাইব্যুনাল -

    (ক) অন্য কোন কর্মকর্তার দ্বারা অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং

    (খ) এই ধারার অধীন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত করিতে ব্যর্থ তদন্তকারী কর্মকর্তার ব্যর্থতার বিষয়টি অদক্ষতা হিসাবে চিহ্নিত করিয়া উত্ত কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৪) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর যদি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পর্যালোচনা করিয়া এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তদন্ত প্রতিবেদনে আসামী হিসাবে উল্লিখিত কোন ব্যক্তিকে ন্যায়বিচারের স্বার্থে সাক্ষী করা বাঞ্জনীয়, তবে উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী হিসাবে গণ্য করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৫) যদি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তির পর ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে অপরাধের দায় হইতে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে বা তদন্তকার্যে ইচ্ছাকৃত গাফিলতির মাধ্যমে অপরাধটি প্রমাণে ব্যবহারযোগ্য কোন আলামত সংগ্রহ বা বিবেচনা না করিয়া বা উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী করিয়া বা কোন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে পরীক্ষা না করিয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উক্ত কার্য বা অবহেলাকে অদক্ষতা বা, ক্ষেত্রমত, অসদাচরণ হিসাবে চিন্হিত করিয়া ট্রাইব্যুনাল উক্ত কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে তাহার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৬) ট্রাইব্যনাল কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে বা অন্য কোন তথ্যের ভিত্তিতে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তে অন্য কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবে।

     

               [ এই ধারাটিতে সংশোধন আনা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

ধারা-১৯। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি :

    (১) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় (Cognizable) হইবে।

    (২) এই আইনের অধনি সকল অপরাধ অ-জামিনযোগ্য (Cognizable) হইবে।

    (৩) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, অভিযুক্ত বা শাস্তিযোগ্য কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হইবে না, যদি-

     (ক) তাহাকে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে  শুনানির সুযোগ দেওয়া না হয় ; এবং

     (খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হন; অথবা

     (গ) তিনি নারী বা শিশু অথবা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হন এবং তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট না হন।

     

               [ এই ধারাটিতে সংশোধন আনা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

ধারা-২০। বিচার পদ্ধতি :

    (১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার কেবলমাত্র ধারা ২৫-এর অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারযোগ্য হইবে।

    (২) ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি শুরু হইলে উহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা চলিবে।

    (৩) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে একশত আশি দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।

    (৪) উপ-ধারা (৩)-এর অধীন সময়সীমার মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে, ট্রাইব্যুনাল মামলার আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে পারিবে এবং আসামীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া না হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিবে।

    (৫) কোন মামলার বিচারকার্য শেষ না করিয়া যদি কোন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বদলি হইয়া যান, তাহা হইলে তিনি বিচারকার্যের যে পর্যায়ে মামলাটি রাখিয়া গিয়াছেন, সেই পর্যায় হইতে তাহার স্থলাভিষিক্ত বিচারক বিচার করিবেন এবং তাহার পূর্ববতী বিচারক যে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়াছেন সেই সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করার প্রয়োজন হইবে না।

     

    তবে শর্ত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি বিচারক কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করা অপরিহার্য বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হইয়াছে এমন যে কোন সাক্ষীকে তলব করিয়া পুনরায় তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন।

    (৬) ধারা ৯-এর অধীন কোন অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে, কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে, ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে করিলে ধর্ষিতা নারীর বা কোন সাক্ষীর জবানবন্দি রুদ্ধদ্বার কক্ষে গ্রহণ করিতে পারিবে।

    (৭) কোন শিশু  এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ অভিযুক্ত হইলে বা উক্ত অপরাধের সাক্ষী হইলে তাহার ক্ষেত্রে Children Act,1974 [ XXXIX of 1974] -এর বিধানাবলী যতদূর সম্ভব অনুসরণ করিতে হইবে।

     

            [ এই ধারাটিতে কিছু সংযোজন করা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ধারা-২১। আসামীর অনুপস্থিততে বিচার :

 

(১) যদি ট্রাইব্যুনালের এই মর্মে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে,-

    (ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার গ্রেফতার বা তাহাকে বিচারের জন্য সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য পলাতক রহিয়াছেন বা আত্নগোপন করিয়াছেন ; এবং

    (খ) তাহার আশু গ্রেফতারের কোন সম্ভাবনা নাই, তাহা হইলে ট্রাইবু্যনাল অন্তত দুইটি বাংলা দৈনিক খবরের কাগজে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সময়, যাহা ত্রিশ দিনের বেশি হইবে না, এর মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল তাহার অনুপস্থিতিতে বিচার করিতে পারিবে।

    (২) যদি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইবার পর বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর বা তাহাকে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামিনে মুক্তি দেওয়ার পর পলাতক হন, তাহা হইলে তাহার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১)-এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না, এবং সেইক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাহার বিচার সম্পন্ন করিতে পারিবে।

ধারা-২২। ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক যে কোন স্থানে জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা :

     (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের তদন্তকারী কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা তদন্তকারী অন্য কোন ব্যক্তি কিংবা অকুস্থলে কোন আসামীকে ধৃত করার সময় কোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে, ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল বা ঘটনাটি নিজ কক্ষে চক্ষে দেখিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তির জবানবন্দি অপরাধের ত্বরিত বিচারের স্বার্থে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অবিলম্বে লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করিবার জন্য লিখিতভাবে বা অন্য কোনভাবে অনুরোধ করিতে পারিবেন।

     (২) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থলে বা অন্য কোন যথাযথ স্থানে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ করিবেন এবং উক্তরূপে গৃহীত জবানবন্দি তদন্ত প্রতিবেদনের সহিত শামিল করিয়া ট্রাইব্যুনালে দাখিল করিবার নিমিত্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার বা ব্যক্তির নিকট সরাসরি প্রেরণ করিবেন।

    (৩) যদি উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিচার কোন ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় এবং দেখা যায় যে, উপ-ধারা (২)-এর অধীন জবানবন্দি প্রদানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য দিতে অক্ষম বা তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নহে বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে কাম্য হইবে না, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত জবানবন্দি মামলায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিতে পারিবে :

     

              তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।

ধারা-২৩। রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, ইত্যাদির সাক্ষ্য :

    সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কোন চিকিত্সক, রাসায়নিক পরীক্ষক, সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ আংগুলান্ক বিশারদ অথবা আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংক্রান্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কোন বিষয়ে পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ করিয়া প্রতিবেদন প্রদান করিবার পর বিচারকালে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য দিতে অক্ষম বা তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নয় বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে কাম্য হইবে না তাহা হইলে তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এই আইনের অধীন বিচারকালে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা যাইবে :

     

                তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।

ধারা-২৪। সাক্ষীর উপস্থিতি :

    (১) এই আইনের অধীন বর্ণিত কোন অপরাধের বিচারের জন্য সাক্ষীর সমন বা ওয়ারেন্ট কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাক্ষীর সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানা যে থানায় অবস্থিত, সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করিবার দায়িত্ব উক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার থাকিবে।

    (১) উপ-ধারা (১)-এর বিধান সত্ত্বেও সাক্ষীর সমনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সাক্ষীকে এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত, পুলিশ কমিশনারকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সমেত নিবন্ধিত ডাকযোগে প্রেরণ করা যাইবে।

    (৩) এই ধারার অধীন কোন সমন বা ওয়ারেন্ট কার্যকর করিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃত গাফলতি করিলে ট্রাইব্যুনাল উহাকে অদক্ষতা হিসাবে চিহ্নিত করিয়া সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

ধারা-২৫। ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি :

    (১) এই আইন ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং ট্রাইব্যুনাল একটি দায়রা আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধ বা তদনুসারে অন্য কোন অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।

    (২) ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ধারা-২৬। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল :

    (১) এই আইনের অধীন অপরাধ বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে একটি করিয়া ট্রাইব্যুনাল থাকিবে এবং প্রয়োজনে সরকার উক্ত জেলায় একাধিক ট্রাইব্যুনালও গঠন করিতে পারিবে; এইরূপ ট্রাইব্যুনালনারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালনামে অভিহিত হইবে।

    (২) একজন বিচারকের সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে এবং সরকার জেলা ও দায়রা জজগণের মধ্য হইতে উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযুক্ত করিবে।

    (৩) সরকার প্রয়োজনবোধে, কোন জেলা ও দায়রা জজকে তাঁহার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযুক্ত করিতে পারিবে।

    (৪) এই ধারায় জেলা ও দায়রা জজ বলিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজও অন্তর্ভুক্ত।

ধারা-২৭। ট্রাইবুনালের এখতিয়ার :

    (১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন ট্রাইব্যুনাল কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না :

                  তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন ট্রাইব্যুনাল এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, অভিযোগকারী এই উপ-ধারার অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন, সেইক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উত্তরূপ রিপোর্ট ব্যতিরেকে সরাসরি উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণ করিত পারিবে :

                  আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত রিপোর্টে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ বা তত্সম্পর্কে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও, ট্রাইব্যুনাল যথাযথ এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে, সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে।

    (২) যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন অপরাধ বা উহার কোন অংশ সংঘটিত হইয়াছে অথবা যেখানে অপরাধীকে বা, একাধিক অপরাধীর ক্ষেত্রে, তাহাদের যে কোন একজনকে পাওয়া গিয়াছে, সেই স্থান যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন, সেই ট্রাইব্যুনালে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণের জন্য রিপোর্ট বা অভিযোগ পেশ করা যাইবে এবং সেই ট্রাইব্যুনাল অপরাধটি বিচার করিবে।

    (৩) যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটির বিচার এই আইনের অধীন অপরাধের সহিত  এই আইনের বিধান অনুসরণে একই সঙ্গে বা একই ট্রাইব্যুনালে করা যাইবে।

     

             [ এই ধারাটিতে কিছু কিছু সংযোজন করা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

ধারা-২৮। আপীল :

    ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রায় বা আরোপিত দন্ড দ্বারা সংক্ষুদ্ধ পক্ষ, উক্ত আদেশ, রায় বা দন্ডাদেশ, প্রদানের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে, হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন।

ধারা-২৯। মৃত্যুদন্ড অনুমোদন :

    এই আইনের অধীনে কোন ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড প্রদান করিলে সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্র অবিলম্বে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৭৪-এর বিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যাইবে না।

ধারা- ৩০। অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার শাস্তি :

    যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা যোগান এবং সেই প্ররোচনার ফলে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয় বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টা করা হয় বা কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে ঐ অপরাধ সংঘটনের জন্য বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টার জন্য নির্ধারিত দন্ডে প্ররোচনাকারী বা সহায়তাকারী ব্যক্তি দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-৩১। নিরাপত্তামূলক হেফাজত :

    এই  আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার চলাকালে যদি ট্রাইব্যুনাল মনে করে যে, কোন নারী বা শিশুকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখা প্রয়োজনে, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত নারী বা শিশুকে কারাগারের বাহিরে ও সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থানে সরকারী কর্তৃপক্ষের হেফাজতে বা ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায় যথাযথ অন্য কোন ব্যক্তি বা সংস্থার হেফাজতে রাখিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

     

            [ এই ধারাটির পর ৩১ক উপধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে ২০০৩ সালে যা ধারা ৩২ এর জায়গায় বসবে ]

ধারা-৩২।ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষা :

    (১) ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে, ধর্ষণ সংঘটিত হইবার পর যথাশীঘ্য সম্ভব তাহা সম্পন্ন করিতে হইবে৷

    (২) উপ-ধারা (১)-এর অধীন মেডিক্যাল পরীক্ষা যথাশীঘ্র না করা হইলে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিতে পারিবে।

 ধারা- ৩৩৷ বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা :

    সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

ধারা- ৩৪।১৯৯৫ সনের ১৮নং আইনের রহিতকরণ ও হেফাজত :

    (১) নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১৮নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত এতদদ্বারা রহিত করা হইল।

    (২) উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত আইনের অধীন অনিষ্পন্ন মামলা সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে এবং অনুরূপ মামলায় প্রদত্ত আদেশ, রায় বা শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল সংশ্লিষ্ট আদালতে এমনভাবে পরিচালিত ও নিষ্পত্তি হইবে যেন উক্ত আইন রহিত করা হয় নাই।

    (৩) উক্ত আইনের অধীন অপরাধের কারণে যে সমস্ত মামলার রিপোর্ট বা অভিযোগ করা হইয়াছে বা তত্‍প্রক্ষীতে চার্জশীট দাখিল করা হইয়াছে, বা মামলা তদন্তাধীন রহিয়াছে, সেই সমস্ত মামলাও উপ-ধারা (২)-এ উল্লেখিত আদালতে বিচারাধীন মামলা বলিয়া গণ্য হইবে।

    (৪) উক্ত আইনের অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতসমূহ এই আইনের অধীন গঠিত ট্রাইব্যুনাল হিসাবে গণ্য হইবে এবং উপ-ধারা (২) অনুসারে উহাতে উল্লিখিত মামলাসমূহ নিষ্পত্তি করা যাইবে।

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
     

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

ঢাকা,৪ঠা শ্রাবণ,১৪১০/১ঌশে জুলাই,২০০৩

 

সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৪ঠা শ্রাবণ ,১৪১০ মোতাবেক ১ঌ শে জুলাই ,২০০৩ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছেঃ-

 

২০০৩ সনের ৩০ নং আইন

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ এর সংশোধন কল্পে প্রণীত আইন

 

যেহেতু নিম্নবর্ণেত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০(২০০০ সনের ৮ নং আইন) -এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 

যেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-

 

১।  সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন-

 

(১) এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,২০০৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

 

২।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন-
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (২০০০ সনের ৮ নং আইন),অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত ,এর ধারা ২ এর দফা (ঞ) এবং (ট) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঞ) এবং (ট) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

           

            "(ঞ)" 'যৌতুক' অর্থ-

                         

(অ) কোন বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের  সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে বা বৈবাহিক সর্ম্পক বিদ্যমান থাকাকালে ,বিবাহ স্থিও থাকার শর্তে ,বিবাহের পণ হিসেবে বিবাহের কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ ,সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ:

 

অথবা

 

 (আ) কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর  পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বিবাহের সময় বা তত্‌পূর্বে বা বৈবাহিক সর্ম্পক বিদ্যমান থাকাকালে ,বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসবে প্রদত্ত বা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ;

           

                  (ট)  'শিশু' অর্থ অনধিক ষোল বত্সর বয়সের কোন ব্যক্তি ।

 

৩। ২০০০ সনের ৮নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধনঃ-

 

উক্ত ধারা ৯ এর উপধারা (১) এর ব্যাখ্যাতে দুইবার উল্লিখিত ' চৌদ্দ বত্সরের ' শব্দগুলির পরিবর্তে উভয় স্থানে 'ষোল বত্সরের' শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

 

৪। ২০০০ সনের  ৮নং আইনে নূতন ধারা ৯ক এর সন্নিবেশ :-

 

উক্ত আইনের ধারা ৯ এর পর নিম্নরূপ নতুন ধারা ৯ক সন্নিবেশিত হইবে,যথাঃ-

         

       "৯ক"। নারীর আত্নহত্যায় প্ররোচনা,ইত্যাদির শাস্তি :- কোন নারীর সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার

                বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত (willful) কোন কার্য দ্বারা সম্ভমহানি হইবার প্রত্যক্ষ

                কারণে কোন নারী আত্নহত্যা করিলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত নারীকে অনুরূপ কার্য আত্নহত্যা

                করিতে প্ররোচিত করিবার অপরাধে অপরাধী হইবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি

                অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার

                অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডিত হইবেন।

 

৫।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১০ এর প্রতিস্থাপনঃ-
উক্ত আইনের ধারা ১০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ-

     

       "১০"।যৌন পীড়ন ইত্যাদির দন্ডঃ- যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার

               উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ

               বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই

               কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন তিন বছর

               সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

 

৬।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন :-
উক্ত আইনের ধারা ১১ এর

         

         (ক)  "উক্ত নারীকে আহত করেন বা আহত করার চেষ্টা করেন", কমাগুলি এবং শব্দগুলির

               পরিবর্তে "কিংবাউক্ত নারীকে মারাত্মক জখম ( grievous hurt) করেন বা সাধারণ

               জখম (simple hurt) করেন" শব্দগুলি এবং বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

 

         (খ) দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) ও (গ) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

             

                 "(খ) মারাত্নক জখম (grievous hurt) করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে অথবা

                      অনধিক বার বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং

                      উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;

                  (গ) সাধারণ জখম (simple hurt) করার জন্য অনধিক তিন বত্সর কিন্তু  অন্যূন এক

                     বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থ দন্ডেও দন্ডনীয়

                      হইবেন"।

 

৭।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৩ এর প্রতিস্থাপন :-
উক্ত আইনের  ধারা ১৩-এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৩ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ-

     

            "১৩ ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জণ্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান :-

             (১) অন্য কোন আইনে ভিন্নতর

             যাহা কিছুই থাকুক না কেন , ধর্ষণের কারণে কোন সন্তান জণ্মলাভ করিলে-

     

             (ক) উক্ত সন্তানকে তাহার মাতা কিংবা তাহার মাতৃস্থানীয় আত্নীয়স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা

                   যাইবে ;

             (খ) উক্ত সন্তান তাহার পিতা বা মাতা,কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হইবার অধিকারী

                  হইবে;

             (গ) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের ভার রাষ্ট্র বহন করবে;

             (ঘ) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের ব্যয় তাহার বয়স একুশ বত্সর পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত

                  প্রদেয় হইবে, তবে একুশ বত্সরের অধিক বয়স্ক কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে তাহার

                  বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত এবং পঙ্গু সন্তানের ক্ষেত্রে তিনি স্বীয় ভরণপোষণের যোগ্যতা

              অর্জন না করা পর্যন্ত প্রদেয়।

 

     (২) সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ

               প্রদেয় অর্থেও পরিমাণ নির্ধারণ করিবে।

 

     (৩) এই ধারার অধীনে কোন সন্তানকে ভরণপোষণের জন্য প্রদেয় অর্থ সরকার ধর্ষকের নিকট

          হইতে আদায় করিতে পারিবে এবং ধর্ষকের বিদ্যমান সম্পদ হইতে উক্ত অর্থ আদায় করা

          সম্ভব না হইলে,ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হইবেন সেই সম্পদ হইতে

          উহা আদায়যোগ্য হইবে।"

 

৮। ২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৮-এর প্রতিস্থাপনঃ-
উক্ত আইনের ধারা ১৮ এর পরিবর্তে

    নিম্নরূপ ধারা ১৮ প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

 

     "১৮৷ অপরাধের তদন্ত -(১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন ,এই

             আইনের অধীনে কোন অপরাধের তদন্ত --

           (ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতে নাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে বা অন্য

           কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে, তাহার ধৃত হইবার তারিখ

           হইতে পরবর্তী পনের কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; অথবা

      (খ) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতে নাতে ধৃত না হইলে তাহার অপরাধ সংঘটন

           সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য প্রাপ্তি বা ক্ষেত্রমত , সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতা

           প্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা ট্রাইব্যুনালের নিকট হইতে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তিতে তারিখ হইতে

           পরবর্তী ষাট কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে।

           

(২) কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হইলে ,তদন্তকারী কর্মকর্তা কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে অপরাধের তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিবেন এবং তত্সর্ম্পকে কারণ উল্লেখ পূর্বক তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রমত,তদন্তেও আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

 

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময় সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সর্ম্পকে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

 

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সর্ম্পকে অবহিত হইবার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা ,ক্ষেত্রমত, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনাল উক্ত অপরাধের তদন্তভার অন্য কোন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে কোন অপরাধের তদন্তভার হস্তান্তর করা হইলে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -

 

                       (ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতে নাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে

                       বা অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে,তদন্তের

                       আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিবেন;

                       অথবা

               

                       (ক) অন্যান্য ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ত্রিশ কার্যদিবসের

                                               মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে।

       

          (৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্ত কারী কর্মকর্তা উক্ত  সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্ত কার্য সম্পন্ন না হওয়া সর্ম্পকে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা ,ক্ষেত্রমত ,তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

 

        (৬) উপ-ধারা (২) বা উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে কোন তদন্তকার্য সম্পন্ন না করার ক্ষেত্রে ,তত্সর্ম্পকে ব্যাখ্যা  সমন্বিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা,ক্ষেত্রমত,তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনাল যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাই দায়ী,তাহা হইলে উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা ও অসদাচরণ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা ও অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবেএবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

 

        (৭) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর যদি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পর্যালোচনা করিয়া এই

              মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তদন্ত প্রতিবেদনে আসামী হিসেবে উল্লিখিত কোন ব্যক্তিকে ন্যায়

              বিচারের স্বার্থে সাক্ষী করা বাঞ্চনীয়, তবে উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী হিসাবে

              গন্য করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

                             

          (৮) যদি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তির পর ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রতীয়মান হয় যে,এই আইনের

               অধীনে কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে অপরাধের দায় হইতে রক্ষা

               কবারষ উদ্দেশ্যে বা তদন্তকার্যে গাফিলতির মাধ্যমে অপরাধটি প্রমাণে ব্যবহারযোগ্য কোন

               আলামত সংগ্রহ বা বিবেচনা না করিয়া বা মামলার প্রমাণের প্রয়োজন ব্যতিরেকে উক্ত

               ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী করিয়া বা কোন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে পরীক্ষা না করিয়া

               তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন ,তাহা হইলে উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উক্ত

               কার্য বা অবহেলাকে অদক্ষতা বা ক্ষেত্রমত ,অসদাচরণ হিসেবে চিহ্নিত করিয়া ট্রাইব্যুনাল

               উক্ত কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে তাহার বিরূদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহেনর

               নির্দেশ দিতে পারিবে।

 

          (৯) ট্রাইব্যুনাল কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে বা কোন তথ্যের ভিত্তিতে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তার

               পরিবর্তে অন্য কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে

               পারিবে।

 

৯।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৯-এর প্রতিস্থাপনঃ-
উক্ত আইনের ধারা ১ঌ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

   

 "১৯। অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ, ইত্যাদি--(১) এই আইনের অধীন দন্ডনীয় সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় (Cognizable) হইবে।

 

(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে,এই আইনের অধীন দন্ডনীয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটনে জড়িত মূল এবং প্রত্যক্ষভাবে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হইবে না,যদি-

 

           (ক) তাহাকে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া না হয়;এবং

           (খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হন।

 

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কোন ব্যক্তি নারী বা শিশু হইলে কিংবা শারীরিকভাবে অসুস্থ (sick or infirm) হইলে সেই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হইলে তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাইবে।

 

(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ব্যক্তি ব্যতীত এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের  জন্য অভিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া ন্যায়সঙ্গত হইবে মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হইলে তদমর্মে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনাল জামিনে মুক্তি দিতে পারিবে।"

 

 

১০।২০০০সনের ৮নং আইনের ধারা ২০ এর সংশোধন।-
 উক্ত আইনের ধারা ২০ এর -

   

    (ক) উপ-ধারা (৬) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৬) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

       

            "(৬) কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে কিংবা ট্রাইব্যুনাল স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত মনে

               করিলে এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন অপরাধের বিচার কার্যক্রম রুদ্ধদ্বার কক্&

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন।
 

যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় ; যেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :

 

ধারা-১। সংক্ষিপ্ত শিরোনামা :

 

এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে।


ধারা-২। সংজ্ঞা :

 

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -

    (ক) " অপরাধ " অর্থ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ;

    (খ) " অপহরণ " অর্থ এই বলপ্রয়োগ বা প্রলুব্ধ করিয়া বা ফুসলাইয়া বা ভুল বুঝাইয়া বা ভীতি প্রদর্শন করিয়া কোন স্থান হইতে কোন ব্যক্তিকে অন্যত্র যাইতে বাধ্য করা ;

    (গ) " আটক " অর্থ কোন ব্যক্তিকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন স্থানে আটকাইয়া রাখা ;

    (ঘ) " ট্রাইব্যুনাল " অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত কোন ট্রাইবু্যনাল ;

    (ঙ) " ধর্ষণ " অর্থ ধারা ৯-এর বিধান সাপেক্ষে, Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর Section 375-  এ সংজ্ঞায়িত rape ;

    (চ) " নবজাতক " শিশু অর্থ অনূর্ধ চল্লিশ দিন বয়সের কোন শিশু;

    (ছ) " নারী " অর্থ যে কোন বয়সের নারী ;

    (জ) " মুক্তিপণ " অর্থ আর্থিক সুবিধা বা অন্য যে কোন প্রকারের সুবিধা ;

    (ঝ) " ফৌজদারী কার্যবিধি " অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) ;

    (ঞ) " যৌতুক " অর্থ কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্ব বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বা বিবাহের পণ হিসাবে, প্রদত্ত অথবা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ, এবং উক্ত শর্ত বা পণ হিসাবে বর বা বরের পিতা, মাতা বা বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক কনে বা কনে পক্ষের কোন ব্যক্তির নিকট দাবিকৃত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ ;

              [ এখানে ২০০৩ সালে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে ]

     

    (ট) " শিশু " অর্থ অনধিক চৌদ্দ বয়সের কোন ব্যক্তি;

     

              [ এখানে ২০০৩ সালে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে ]

     (ঠ) " হাইকোর্ট " বিভাগ অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট-এর হাইকোর্ট বিভাগ।

ধারা-৩। আইনের প্রাধান্য :

 

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে।

 

ধারা-৪। দহনকারী, ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা সংঘটিত অপরাধের শাস্তি:

    (১) যদি কোন ব্যক্তি দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা কোন শিশু বা নারীর মৃত্যু ঘটানো বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন ব্যক্তি দহনকারী, ক্ষয়কারী বা বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা কোন শিশু বা নারীকে এমনভাবে অাহত করেন যাহার ফলে উক্ত শিশু বা নারীর দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি নষ্ট হয় বা শরীরের কোন অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা তাহার শরীরের অন্য কোন স্থান আহত হয়, তাহা হইলে উক্ত শিশুর বা নারীর-

            (ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি , নষ্ট বা মুখমনন্ডল, স্তন বা যৌনাঙ্গ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে যা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;
            (খ) শরীরের অন্য কোন অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার বা শরীরের কোন স্থানে আঘাত পাওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যূন সাত বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৩) যদি কোন ব্যক্তি কোন দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত পদার্থ কোন শিশু বা নারীর উপর নিক্ষেপ করেন বা করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, তাহার উক্তরূপ কার্যের দরুন সংশ্লিষ্ট শিশু বা নারীর শারীরিক, মানসিক বা অন্য কোনভাবে কোন ক্ষতি না হইলেও, অনধিক সাত বত্সর কিন্তু অন্যুন তিন বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৪) এই ধারার অধীন অর্থদন্ডের অর্থ প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী দন্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে বা তাহার বিদ্যমান সম্পদ বা তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যুর সময় রাখিয়া যাওয়া সম্পদ হইতে আদায় করিয়া অপরাধের দরুন যে ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়াছে তাহার উত্তরাধিকারীকে বা ক্ষেত্রমত, যেই ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন, সেই ব্যক্তিকে বা সেই ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, তাহার উত্তরাধিকারীকে প্রদান করা হইবে।

  ধারা-৫। নারী পাচার, ইত্যাদির শাস্তি :

    (১) যদি কোন ব্যক্তি পতিতাবৃত্তি বা বেআইনী বা নীতিবিগর্হিত কোন কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে কোন নারীকে বিদেশ হইতে আনয়ন করেন বা বিদেশে পাচার বা প্রেরণ করেন অথবা ক্রয় বা বিক্রয় করেন বা কোন নারীকে ভাড়ায় বা অন্য কোনভাবে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে হস্তান্তর করেন, বা অনুরূপ কোন উদ্দেশ্যে কোন নারীকে তাহার দখলে, জিম্মায় বা হেফাজতে রাখেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন নারীকে কোন পতিতার নিকট বা পতিতালয়ের রক্ষণাবেক্ষণকারী বা ব্যবস্থাপকের নিকট বিক্রয়, ভাড়া বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা হয়, তাহা হইলে যে ব্যক্তি উক্ত নারীকে অনুরূপভাবে হস্তান্তর করিয়াছেন তিনি, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, উক্ত নারীকে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে বিক্রয় বা হস্তান্তর করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উপ-ধারা (১) -এ উল্লিখিত দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

    (৩) যদি কোন পতিতালয়ের রক্ষণাবেক্ষণকারী বা পতিতালয়ের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি কোন নারীকে কোন নারীকে ক্রয় বা ভাড়া করেন বা অন্য কোনভাবে কোন নারীকে দখলে নেন বা জিম্মায় রাখেন, তাহা হইলে তিনি, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, উক্ত নারীকে পতিতা  হিসাবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ক্রয় বা ভাড়া করিয়াছেন বা দখলে বা জিম্মায় রাখিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উপ-ধারা (১) -এ উল্লিখিত দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-৬। শিশুপাচার, ইত্যাদির শাস্তি :

    (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন বেআইনী বা নীতিবিগর্হিত উদ্দেশ্যে কোন শিশুকে বিদেশ হইতে আনয়ন করেন বা বিদেশ প্রেরণ বা পাচার করেন অথবা ক্রয় বা বিক্রয় করেন বা উক্তরূপ কোন উদ্দেশ্যে কোন শিশুকে নিজ দখলে, জিম্মায় বা হেফাজতে রাখেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন ব্যক্তি কোন নবজাতক শিশুকে হাসপাতাল, শিশু বা মাতৃসদন নার্সিং হোম, ক্লিনিক ইত্যাদি বা সংশ্লিষ্ট শিশুর অভিভাবকের হেফাজত হইতে চুরি করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) -এ উল্লিখিত দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-৭। নারী ও শিশু অপহরণের শাস্তি :

 

যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৫-এ উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুকে অপহরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা অন্যূন চৌদ্দ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।
 

ধারা-৮। মুক্তিপণ আদায়ের শাস্তি :

 

যদি কোন ব্যক্তি মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুকে আটক করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে হইবেন।এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।
 

ধারা-৯। ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি:

    (১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে  দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার নিষেধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-

    (ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;

    (খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে ব্যক্তি অনধিক দশ বত্‍‌সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে নারী ধর্ষিতা হন, তাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তাহারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

     [ এই ধারাটির সাথে ২০০৩ সালে ৯ ক ধারা সংযোজিত করা হয়েছে  এবং কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে ]

ধারা-১০। যৌন পীড়ন, ইত্যাদির দন্ড :

    (১) কোন পুরুষ অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌনাঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ণ।তজ্জন্য উক্ত পুরুষ অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন তিন বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

    (২) কোন পুরুষ অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কোন নারীর শ্লীলতাহানি করিলে বা অশোন অঙ্গভঙ্গি করিলে তাহার এ্ই কাজ হইবে যৌন পীড়ণ এবং তজ্জন্য উক্ত পুরুষ অনধিক সাত বত্সর কিন্তু অন্যূন দুই বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

                   [ এই ধারাটি ২০০৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে ]

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ধারা-১১।যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ইত্যাদির শাস্তি :

    যদি কোন নারীর স্বামী অথবা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্নীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, উক্ত নারীকে আহত করেন বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত স্বামী, স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্নীয় বা ব্যক্তি
    (ক) মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদন্ডে ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উভয়  ক্ষেত্রে উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;

    (খ) আহত করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে বা আহত করার চেষ্টা করার জন্য অনধিক চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

     

     [ এই ধারাটি ২০০৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে ]

ধারা-১২। ভিক্ষাবৃত্তি, ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুকে অঙ্গহানি করার শাস্তি :

    যদি কোন ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির উদ্দেশ্যে কোন শিশুর হাত, পা, চক্ষু বা অন্য কোন অঙ্গ বিনষ্ট করেন বা অন্য কোনভাবে বিকলাঙ্গ বা বিকৃত করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-১৩। ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জণ্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান :

    (১) অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধর্ষনের কারণে কোন সন্তান জণ্মলাভ করিলে -

    (ক) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব ধর্ষণকারী পালন করিবেন ;

    (খ) উক্ত সন্তান জণ্মলাভের পর সন্তানটি কাহার তত্ত্বাবধানে থাকিবে এবং তাহার ভরণ-পোষণ বাবদ ধর্ষণকারী কি পরিমাণ খরচ তত্ত্বাবধানকারীকে প্রদান করিবে তাহা ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে ;

    (গ) উক্ত সন্তান পঙ্গু না হইলে, এই খরচ পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে ২১ বত্সর পর্যন্ত এবং কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে তাহার বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত এবং পঙ্গু সন্তানের ক্ষেত্রে তিনি স্বীয় ভরণ-পোষণের যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত প্রদেয় হইবে।

                        [ এই ধারাটিতে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে ২০০৩ সালে ]                   

 

ধারা-১৪। সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা-নিষেধ :

    (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এইরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তত্সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদপত্রে বা অন্য কোন সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়।

    (২) উপ-ধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বত্সর কারাদন্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

     

ধারা-১৫। ভবষিত্‍ সম্পত্তি হইতে অর্থদন্ড আদায় :

    এই আইনের ধারা ৪ হইতে ১৪ পর্যন্ত ধারাসমূহে উল্লিখিত অপরাধের জন্য ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আরোপিত অর্থদন্ডকে, প্রয়োজনবোধে, ট্রাইব্যুনাল অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে এবং অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দন্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে বা তাহার বিদ্যমান সম্পদ হইতে আদায় করা সম্ভব না হইলে, ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হইবেন সেই সম্পদ হইতে আদায়যোগ্য হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত সম্পদের উপর অন্যান্য দাবি অপেক্ষা উক্ত অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণের দাবি প্রাধান্য পাইবে।

ধারা-১৬৷ অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদ্ধতি :

    এই আইনের অধীনে কোন অর্থদন্ড আরোপ করা হইলে, ট্রাইবু্যনাল সংশ্লিষ্ট জেলার কালেক্টরকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বা অনুরূপ বিধি না থাকিলে, ট্রাইবু্যনাল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অপরাধীর স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয়বিধ সম্পত্তির তালিকা  প্রস্তুতক্রমে ক্রোক ও নিলাম বিক্রয় বা ক্রোক ছাড়াই সরাসরি বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ ট্রাইবু্যনালে জমা দিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং ট্রাইবু্যনাল উক্ত অর্থ অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের ব্যবস্থা করিবে৷

ধারা-১৭। মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দায়ের ইত্যাদির শাস্তি :

    (১) যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান তাহা হইলে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

    (২) কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১)-এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করিতে পারিবে।

ধারা-১৮। অপরাধের তদন্ত :

    (১) এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার কর্তৃক, অপরাধটি সংঘটনের তথ্য প্রাপ্তি অথবা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ তদন্তের আদেশ প্রদানের পরবতী ষাট দিনের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে :

    তবে শর্ত থাকে যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি বিশেষ কারণ প্রদর্শন করিয়া, ট্রাইব্যুনালকে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্তের সময়সীমা বৃদ্ধি করা সমীচীন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল তদন্তের সময়সীমা অনধিক ত্রিশ দিন বর্ধিত করিতে পারিবে।

    (২) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১)-এ নির্ধারিত বা বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত না হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত  হওয়ার পর বা মামলার বিচার চলাকালীন যে কোন সময় ট্রাইব্যুনাল কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে বা ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করা বা, ক্ষেত্রমত, তত্সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে তদন্ত বা অধিকতর তদন্ত সমাপ্তির নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৩) উপ-ধারা (২)-এর অধীন নির্দেশিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সমাপ্ত করিতে ব্যর্থ হইলে, ট্রাইব্যুনাল -

    (ক) অন্য কোন কর্মকর্তার দ্বারা অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং

    (খ) এই ধারার অধীন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সমাপ্ত করিতে ব্যর্থ তদন্তকারী কর্মকর্তার ব্যর্থতার বিষয়টি অদক্ষতা হিসাবে চিহ্নিত করিয়া উত্ত কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৪) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর যদি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পর্যালোচনা করিয়া এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তদন্ত প্রতিবেদনে আসামী হিসাবে উল্লিখিত কোন ব্যক্তিকে ন্যায়বিচারের স্বার্থে সাক্ষী করা বাঞ্জনীয়, তবে উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী হিসাবে গণ্য করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৫) যদি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তির পর ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে অপরাধের দায় হইতে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে বা তদন্তকার্যে ইচ্ছাকৃত গাফিলতির মাধ্যমে অপরাধটি প্রমাণে ব্যবহারযোগ্য কোন আলামত সংগ্রহ বা বিবেচনা না করিয়া বা উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী করিয়া বা কোন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে পরীক্ষা না করিয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উক্ত কার্য বা অবহেলাকে অদক্ষতা বা, ক্ষেত্রমত, অসদাচরণ হিসাবে চিন্হিত করিয়া ট্রাইব্যুনাল উক্ত কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে তাহার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে।

    (৬) ট্রাইব্যনাল কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে বা অন্য কোন তথ্যের ভিত্তিতে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তে অন্য কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবে।

     

               [ এই ধারাটিতে সংশোধন আনা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

ধারা-১৯। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি :

    (১) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় (Cognizable) হইবে।

    (২) এই আইনের অধনি সকল অপরাধ অ-জামিনযোগ্য (Cognizable) হইবে।

    (৩) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, অভিযুক্ত বা শাস্তিযোগ্য কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হইবে না, যদি-

     (ক) তাহাকে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে  শুনানির সুযোগ দেওয়া না হয় ; এবং

     (খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হন; অথবা

     (গ) তিনি নারী বা শিশু অথবা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হন এবং তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট না হন।

     

               [ এই ধারাটিতে সংশোধন আনা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
ধারা-২০। বিচার পদ্ধতি :

    (১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার কেবলমাত্র ধারা ২৫-এর অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারযোগ্য হইবে।

    (২) ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি শুরু হইলে উহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা চলিবে।

    (৩) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে একশত আশি দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।

    (৪) উপ-ধারা (৩)-এর অধীন সময়সীমার মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে, ট্রাইব্যুনাল মামলার আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে পারিবে এবং আসামীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া না হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিবে।

    (৫) কোন মামলার বিচারকার্য শেষ না করিয়া যদি কোন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বদলি হইয়া যান, তাহা হইলে তিনি বিচারকার্যের যে পর্যায়ে মামলাটি রাখিয়া গিয়াছেন, সেই পর্যায় হইতে তাহার স্থলাভিষিক্ত বিচারক বিচার করিবেন এবং তাহার পূর্ববতী বিচারক যে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়াছেন সেই সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করার প্রয়োজন হইবে না।

     

    তবে শর্ত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি বিচারক কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করা অপরিহার্য বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হইয়াছে এমন যে কোন সাক্ষীকে তলব করিয়া পুনরায় তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন।

    (৬) ধারা ৯-এর অধীন কোন অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে, কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে, ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে করিলে ধর্ষিতা নারীর বা কোন সাক্ষীর জবানবন্দি রুদ্ধদ্বার কক্ষে গ্রহণ করিতে পারিবে।

    (৭) কোন শিশু  এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ অভিযুক্ত হইলে বা উক্ত অপরাধের সাক্ষী হইলে তাহার ক্ষেত্রে Children Act,1974 [ XXXIX of 1974] -এর বিধানাবলী যতদূর সম্ভব অনুসরণ করিতে হইবে।

     

            [ এই ধারাটিতে কিছু সংযোজন করা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

ধারা-২১। আসামীর অনুপস্থিততে বিচার :

 

(১) যদি ট্রাইব্যুনালের এই মর্মে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে,-

    (ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার গ্রেফতার বা তাহাকে বিচারের জন্য সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য পলাতক রহিয়াছেন বা আত্নগোপন করিয়াছেন ; এবং

    (খ) তাহার আশু গ্রেফতারের কোন সম্ভাবনা নাই, তাহা হইলে ট্রাইবু্যনাল অন্তত দুইটি বাংলা দৈনিক খবরের কাগজে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সময়, যাহা ত্রিশ দিনের বেশি হইবে না, এর মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল তাহার অনুপস্থিতিতে বিচার করিতে পারিবে।

    (২) যদি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইবার পর বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর বা তাহাকে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামিনে মুক্তি দেওয়ার পর পলাতক হন, তাহা হইলে তাহার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১)-এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না, এবং সেইক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাহার বিচার সম্পন্ন করিতে পারিবে।

ধারা-২২। ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক যে কোন স্থানে জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা :

     (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের তদন্তকারী কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা তদন্তকারী অন্য কোন ব্যক্তি কিংবা অকুস্থলে কোন আসামীকে ধৃত করার সময় কোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে, ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল বা ঘটনাটি নিজ কক্ষে চক্ষে দেখিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তির জবানবন্দি অপরাধের ত্বরিত বিচারের স্বার্থে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অবিলম্বে লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করিবার জন্য লিখিতভাবে বা অন্য কোনভাবে অনুরোধ করিতে পারিবেন।

     (২) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থলে বা অন্য কোন যথাযথ স্থানে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ করিবেন এবং উক্তরূপে গৃহীত জবানবন্দি তদন্ত প্রতিবেদনের সহিত শামিল করিয়া ট্রাইব্যুনালে দাখিল করিবার নিমিত্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার বা ব্যক্তির নিকট সরাসরি প্রেরণ করিবেন।

    (৩) যদি উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিচার কোন ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় এবং দেখা যায় যে, উপ-ধারা (২)-এর অধীন জবানবন্দি প্রদানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য দিতে অক্ষম বা তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নহে বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে কাম্য হইবে না, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত জবানবন্দি মামলায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিতে পারিবে :

     

              তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।

ধারা-২৩। রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, ইত্যাদির সাক্ষ্য :

    সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কোন চিকিত্সক, রাসায়নিক পরীক্ষক, সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ আংগুলান্ক বিশারদ অথবা আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংক্রান্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কোন বিষয়ে পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ করিয়া প্রতিবেদন প্রদান করিবার পর বিচারকালে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য দিতে অক্ষম বা তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নয় বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে কাম্য হইবে না তাহা হইলে তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এই আইনের অধীন বিচারকালে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা যাইবে :

     

                তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।

ধারা-২৪। সাক্ষীর উপস্থিতি :

    (১) এই আইনের অধীন বর্ণিত কোন অপরাধের বিচারের জন্য সাক্ষীর সমন বা ওয়ারেন্ট কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাক্ষীর সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানা যে থানায় অবস্থিত, সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করিবার দায়িত্ব উক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার থাকিবে।

    (১) উপ-ধারা (১)-এর বিধান সত্ত্বেও সাক্ষীর সমনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সাক্ষীকে এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত, পুলিশ কমিশনারকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সমেত নিবন্ধিত ডাকযোগে প্রেরণ করা যাইবে।

    (৩) এই ধারার অধীন কোন সমন বা ওয়ারেন্ট কার্যকর করিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃত গাফলতি করিলে ট্রাইব্যুনাল উহাকে অদক্ষতা হিসাবে চিহ্নিত করিয়া সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

ধারা-২৫। ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি :

    (১) এই আইন ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং ট্রাইব্যুনাল একটি দায়রা আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধ বা তদনুসারে অন্য কোন অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।

    (২) ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন।

ধারা-২৬। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল :

    (১) এই আইনের অধীন অপরাধ বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে একটি করিয়া ট্রাইব্যুনাল থাকিবে এবং প্রয়োজনে সরকার উক্ত জেলায় একাধিক ট্রাইব্যুনালও গঠন করিতে পারিবে; এইরূপ ট্রাইব্যুনালনারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালনামে অভিহিত হইবে।

    (২) একজন বিচারকের সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে এবং সরকার জেলা ও দায়রা জজগণের মধ্য হইতে উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযুক্ত করিবে।

    (৩) সরকার প্রয়োজনবোধে, কোন জেলা ও দায়রা জজকে তাঁহার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযুক্ত করিতে পারিবে।

    (৪) এই ধারায় জেলা ও দায়রা জজ বলিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজও অন্তর্ভুক্ত।

ধারা-২৭। ট্রাইবুনালের এখতিয়ার :

    (১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন ট্রাইব্যুনাল কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না :

                  তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন ট্রাইব্যুনাল এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, অভিযোগকারী এই উপ-ধারার অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন, সেইক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উত্তরূপ রিপোর্ট ব্যতিরেকে সরাসরি উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণ করিত পারিবে :

                  আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত রিপোর্টে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ বা তত্সম্পর্কে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও, ট্রাইব্যুনাল যথাযথ এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে, সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে।

    (২) যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন অপরাধ বা উহার কোন অংশ সংঘটিত হইয়াছে অথবা যেখানে অপরাধীকে বা, একাধিক অপরাধীর ক্ষেত্রে, তাহাদের যে কোন একজনকে পাওয়া গিয়াছে, সেই স্থান যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন, সেই ট্রাইব্যুনালে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণের জন্য রিপোর্ট বা অভিযোগ পেশ করা যাইবে এবং সেই ট্রাইব্যুনাল অপরাধটি বিচার করিবে।

    (৩) যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটির বিচার এই আইনের অধীন অপরাধের সহিত  এই আইনের বিধান অনুসরণে একই সঙ্গে বা একই ট্রাইব্যুনালে করা যাইবে।

     

             [ এই ধারাটিতে কিছু কিছু সংযোজন করা হয়েছে ২০০৩ সালে ]

ধারা-২৮। আপীল :

    ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রায় বা আরোপিত দন্ড দ্বারা সংক্ষুদ্ধ পক্ষ, উক্ত আদেশ, রায় বা দন্ডাদেশ, প্রদানের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে, হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন।

ধারা-২৯। মৃত্যুদন্ড অনুমোদন :

    এই আইনের অধীনে কোন ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড প্রদান করিলে সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্র অবিলম্বে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৭৪-এর বিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যাইবে না।

ধারা- ৩০। অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার শাস্তি :

    যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা যোগান এবং সেই প্ররোচনার ফলে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয় বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টা করা হয় বা কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে ঐ অপরাধ সংঘটনের জন্য বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টার জন্য নির্ধারিত দন্ডে প্ররোচনাকারী বা সহায়তাকারী ব্যক্তি দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-৩১। নিরাপত্তামূলক হেফাজত :

    এই  আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার চলাকালে যদি ট্রাইব্যুনাল মনে করে যে, কোন নারী বা শিশুকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখা প্রয়োজনে, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত নারী বা শিশুকে কারাগারের বাহিরে ও সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থানে সরকারী কর্তৃপক্ষের হেফাজতে বা ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায় যথাযথ অন্য কোন ব্যক্তি বা সংস্থার হেফাজতে রাখিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

     

            [ এই ধারাটির পর ৩১ক উপধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে ২০০৩ সালে যা ধারা ৩২ এর জায়গায় বসবে ]

ধারা-৩২।ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষা :

    (১) ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে, ধর্ষণ সংঘটিত হইবার পর যথাশীঘ্য সম্ভব তাহা সম্পন্ন করিতে হইবে৷

    (২) উপ-ধারা (১)-এর অধীন মেডিক্যাল পরীক্ষা যথাশীঘ্র না করা হইলে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিতে পারিবে।

 ধারা- ৩৩৷ বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা :

    সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

ধারা- ৩৪।১৯৯৫ সনের ১৮নং আইনের রহিতকরণ ও হেফাজত :

    (১) নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১৮নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত এতদদ্বারা রহিত করা হইল।

    (২) উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত আইনের অধীন অনিষ্পন্ন মামলা সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে এবং অনুরূপ মামলায় প্রদত্ত আদেশ, রায় বা শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল সংশ্লিষ্ট আদালতে এমনভাবে পরিচালিত ও নিষ্পত্তি হইবে যেন উক্ত আইন রহিত করা হয় নাই।

    (৩) উক্ত আইনের অধীন অপরাধের কারণে যে সমস্ত মামলার রিপোর্ট বা অভিযোগ করা হইয়াছে বা তত্‍প্রক্ষীতে চার্জশীট দাখিল করা হইয়াছে, বা মামলা তদন্তাধীন রহিয়াছে, সেই সমস্ত মামলাও উপ-ধারা (২)-এ উল্লেখিত আদালতে বিচারাধীন মামলা বলিয়া গণ্য হইবে।

    (৪) উক্ত আইনের অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতসমূহ এই আইনের অধীন গঠিত ট্রাইব্যুনাল হিসাবে গণ্য হইবে &#