দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে

Author Topic: দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে  (Read 1462 times)

Offline aniruddha.cse

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 68
  • Test
    • View Profile
সে কী চমৎকার পাহাড়ি উপত্যকা—প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে হারানোর মুহূর্ত; তবু পথে যেতে যেতে স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা দেখে মনের কোণে মেঘ জমে উঠত। তাই ইথিওপিয়ার দক্ষিণাঞ্চল মনের ভেতর বেশ দাগ কেটে গেছে। প্রায় শুকনো নদী থেকে হলুদ প্লাস্টিকের বোতলে করে পানি তুলে আনার দৃশ্য, পথের পাশে দাঁড়িয়ে প্রচণ্ড রোদে কয়লা বিক্রি, পাহাড় থেকে শুকনো খড়ি বয়ে আনা সেই পাহাড়ি মা আর ছোট মেয়েটির চাহনি—সবই এখন ভেসে আসছে দুচোখের পাতাজুড়ে। জীবনের ভিন্নতা মানুষে মানুষে, কিন্তু কোথাও যেন একই সুরে গাথা এই জীবন।

১৪ মে। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার ভোরের পাখির ডাকে চোখ খুলল। চোখ মেলেই দেখি সকাল ছয়টা। আরবা মিঞ্চের দিকে যাত্রীবাহী বাস ততক্ষণে ছেড়ে গেছে। হা–হুতাশ না করে একটা ভিন্নধর্মী অ্যাডভেঞ্চারের চিন্তা করলাম। হাত-মুখ ধুয়ে একটা লোকাল বাসে রওনা দিলাম ‘মিস্ট্রিজ অব সাউথ ইথিওপিয়া’খ্যাত আরবা মিঞ্চের দিকে। বাসটি আরামদায়ক না হলেও খুব একটা খারাপ ছিল না। ভিনদেশি দেখে যাত্রীরা খুব যত্ন করে বসাল। পাশের আসনে বসলেন তরুণ এক ইথিওপীয় চিকিৎসক। হাসিমুখেই জানতে চাইলেন বাংলাদেশের কথা। তাঁর পাশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করা এক ছাত্র। প্রায় ৮ ঘণ্টা পথ চলতে চলতে অনেক কথা হলো।

বাস বদলাতে হলো। আবারও পাঁচ ঘণ্টার পথ। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে আরবা মিঞ্চ শহরে। বাসে পরিচয় হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ফেইথের সঙ্গে। পিস অ্যান্ড কোর নামে এক সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই নারী এসেছিলেন দক্ষিণ ইথিওপিয়ায়, এই পাহাড়ি উপত্যকার গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করছেন।

রাত নয়টায় পৌঁছালাম আরবা মিঞ্চে। শহরটাকে আমার খুবই আপন মনে হলো। এই শহরের গল্প আমার জানা লোলার জন্য। সে আমার বন্ধু। তার বাসাতেই থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। যদিও লোলা এখন দক্ষিণ কোরিয়ায়। তার ভাই ভেলাই আর বোন জেনেট আমাকে অভ্যর্থনা জানাল।
আমার আসা উপলক্ষে বাসায় ইথিওপিয়ার জনপ্রিয় ‘বুনা তেতু পার্টি’ হলো। বুনা মানে কফি পান করা। কফির বীজকে ধুয়ে, পুড়িয়ে, পিষে পাউডার করে সেটাকে কয়লার ছোট্ট চুলার মধ্যে একটা মাটির পাত্র বসিয়ে কফির পাউডার ঢেলে পানি দিয়ে কফি বানানো হয়। ওই বানানো মুহূর্তটি খুবই চমৎকার। শুধু তা-ই নয়, এক ধরনের লম্বা পাতা ঘাস কেটে তারা ডাইনিং হল রুমে সেটা ছিটিয়ে দিয়ে তার ওপর বসে কফি বানায়। পান করলাম ইথিওপিয়া ও পৃথিবী বিখ্যাত সেই কফি। চমৎকার স্বাদ। এককথায় এ যেন কফিপূজা।


ঘুরতে ঘুরতে ইচ্ছে হয় পাহাড়ি প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যেতে। ছবি: লেখক
ঘুরতে ঘুরতে ইচ্ছে হয় পাহাড়ি প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যেতে। ছবি: লেখক
সে কী চমৎকার পাহাড়ি উপত্যকা—প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে হারানোর মুহূর্ত; তবু পথে যেতে যেতে স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা দেখে মনের কোণে মেঘ জমে উঠত। তাই ইথিওপিয়ার দক্ষিণাঞ্চল মনের ভেতর বেশ দাগ কেটে গেছে। প্রায় শুকনো নদী থেকে হলুদ প্লাস্টিকের বোতলে করে পানি তুলে আনার দৃশ্য, পথের পাশে দাঁড়িয়ে প্রচণ্ড রোদে কয়লা বিক্রি, পাহাড় থেকে শুকনো খড়ি বয়ে আনা সেই পাহাড়ি মা আর ছোট মেয়েটির চাহনি—সবই এখন ভেসে আসছে দুচোখের পাতাজুড়ে। জীবনের ভিন্নতা মানুষে মানুষে, কিন্তু কোথাও যেন একই সুরে গাথা এই জীবন।

১৪ মে। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার ভোরের পাখির ডাকে চোখ খুলল। চোখ মেলেই দেখি সকাল ছয়টা। আরবা মিঞ্চের দিকে যাত্রীবাহী বাস ততক্ষণে ছেড়ে গেছে। হা–হুতাশ না করে একটা ভিন্নধর্মী অ্যাডভেঞ্চারের চিন্তা করলাম। হাত-মুখ ধুয়ে একটা লোকাল বাসে রওনা দিলাম ‘মিস্ট্রিজ অব সাউথ ইথিওপিয়া’খ্যাত আরবা মিঞ্চের দিকে। বাসটি আরামদায়ক না হলেও খুব একটা খারাপ ছিল না। ভিনদেশি দেখে যাত্রীরা খুব যত্ন করে বসাল। পাশের আসনে বসলেন তরুণ এক ইথিওপীয় চিকিৎসক। হাসিমুখেই জানতে চাইলেন বাংলাদেশের কথা। তাঁর পাশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করা এক ছাত্র। প্রায় ৮ ঘণ্টা পথ চলতে চলতে অনেক কথা হলো।

দক্ষিণ ইথিওপিয়ায় লেখক
দক্ষিণ ইথিওপিয়ায় লেখক
বাস বদলাতে হলো। আবারও পাঁচ ঘণ্টার পথ। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে আরবা মিঞ্চ শহরে। বাসে পরিচয় হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ফেইথের সঙ্গে। পিস অ্যান্ড কোর নামে এক সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই নারী এসেছিলেন দক্ষিণ ইথিওপিয়ায়, এই পাহাড়ি উপত্যকার গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করছেন।

রাত নয়টায় পৌঁছালাম আরবা মিঞ্চে। শহরটাকে আমার খুবই আপন মনে হলো। এই শহরের গল্প আমার জানা লোলার জন্য। সে আমার বন্ধু। তার বাসাতেই থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। যদিও লোলা এখন দক্ষিণ কোরিয়ায়। তার ভাই ভেলাই আর বোন জেনেট আমাকে অভ্যর্থনা জানাল।

ঘরটা যেন প্রকৃতিরই অংশ
ঘরটা যেন প্রকৃতিরই অংশ
আমার আসা উপলক্ষে বাসায় ইথিওপিয়ার জনপ্রিয় ‘বুনা তেতু পার্টি’ হলো। বুনা মানে কফি পান করা। কফির বীজকে ধুয়ে, পুড়িয়ে, পিষে পাউডার করে সেটাকে কয়লার ছোট্ট চুলার মধ্যে একটা মাটির পাত্র বসিয়ে কফির পাউডার ঢেলে পানি দিয়ে কফি বানানো হয়। ওই বানানো মুহূর্তটি খুবই চমৎকার। শুধু তা-ই নয়, এক ধরনের লম্বা পাতা ঘাস কেটে তারা ডাইনিং হল রুমে সেটা ছিটিয়ে দিয়ে তার ওপর বসে কফি বানায়। পান করলাম ইথিওপিয়া ও পৃথিবী বিখ্যাত সেই কফি। চমৎকার স্বাদ। এককথায় এ যেন কফিপূজা।

এক নিভৃত গ্রামে
এক নিভৃত গ্রামে
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের গ্রামে

দুই দিন পর আরেক অভিযাত্রা। বের হলাম খুবই দুর্গম এক গ্রামে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ থাকে এখানে। আরব মিঞ্চ থেকে কনসটে গিয়ে থামলাম। যেতে যেতে পথে কোনো সুন্দর পাহাড়ি দৃশ্য বা গ্রাম দেখলেই আমরা দাঁড়িয়ে যেতাম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলত জেনেট। তারপর আমাকে বুঝিয়ে দিত। পাহাড়ি প্রকৃতির মধ্যে ওদের জীবন খুবই কঠিন। তবু তাদের বেঁচে থাকার শুদ্ধতা অপূর্ব। পাহাড়ের কোলে ফসল ফলানো, গবাদিপশু লালন-পালন, মেয়েরা পাহাড় থেকে মাথায় করে কাঠখড়ি বয়ে আনে, দূরের কোনো শুকিয়ে যাওয়া নদী থেকে একটুখানি পানি হলুদ প্লাস্টিক বোতলে করে বয়ে আনার সেই দৃশ্য যেন বেঁচে থাকার এক কঠিন জীবনকে চিনিয়ে দেয়

Offline sheikhabujar

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 273
  • Life is Coding !
    • View Profile
    • Sheikh Abujar Personal Profile
Re: দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে
« Reply #1 on: July 03, 2018, 07:22:31 PM »
Thanks for good sharing
Sheikh Abujar
Lecturer, Department of CSE
Daffodil International University
Cell: +8801673566566
Email: sheikh.cse@diu.edu.bd
Site: http://www.sheikhabujar.ml

Offline rakib.cse

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 92
  • Test
    • View Profile
Re: দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে
« Reply #2 on: July 03, 2018, 08:55:21 PM »
nice post.

Offline Nusrat Jahan Bristy

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 482
  • Test
    • View Profile
Re: দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে
« Reply #3 on: July 04, 2018, 11:32:23 AM »
 :)
Lecturer in GED

Offline sisyphus

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 424
  • RAM
    • View Profile
Re: দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে
« Reply #4 on: July 04, 2018, 06:20:51 PM »
চমৎকার
Mr. Rafi Al Mahmud
Sr. Lecturer
Department of Development Studies
Daffodil International University

Offline rezwana

  • Newbie
  • *
  • Posts: 35
  • Know Yourself
    • View Profile
Re: দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে
« Reply #5 on: July 04, 2018, 06:25:27 PM »
bah..  ;D
Rezwana Sultana
Lecturer,
Department of CSE, FSIT, DIU.

Offline Raisa

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 908
  • Sky is the limit
    • View Profile
Re: দক্ষিণ ইথিওপিয়ার পথে পথে
« Reply #6 on: July 05, 2018, 12:12:25 PM »
nice one
:)