আমরা নিশ্চয় আবু তালহার কথা ভুলে যায়নি। গত বছরের ৮ অক্টোবর, ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে সে আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য বের হয়
এবং ছিনতাইকারীর হাত থেকে প্রতিবেশীকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারায় ।
মানুষের প্রতি সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে কোনো ব্যক্তির অনন্য সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ফারাজ হোসেন সাহসিকতা’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
ফারাজ আইয়াজ হোসেন স্মরণে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেছে পেপসিকো গ্লোবাল। পেপসিকো ২০ বছর পুরস্কারটি প্রদান করবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত
ব্যক্তিরা স্বীকৃতি সনদের পাশাপাশি পান ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অসীম সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালে মিরাজ সরদার এবং ২০১৭
সালে খন্দকার আবু তালহা (মরণোত্তর) পুরস্কারটি পেয়েছেন।
২০১৬ সাল থেকে কোনো ব্যক্তির অনন্য সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী
প্রস্তাবিত তরুণ বা তরুণীদের মধ্য থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেন।
আবু তালহার স্মৃতি ধরে রাখতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মিলে তাঁর নামে একটা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করার কাজ চলছে।
এই ফাউন্ডেশন থেকে সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করা হবে।
তাঁর বাবা আবু রিয়াজ বললেন, "ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না। তার নামে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করে সাহসী মানুষদের পুরস্কৃত করতে চাই।
এই সাহসীদের মধ্যেই তো ছেলেকে খুঁজে পাব।"
সুত্রঃ প্রথম আলো