Faculty of Science and Information Technology > Environmental Science and Disaster Management
All দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা do not see u 100% miss
Sultan Mahmud Sujon:
দুর্যোগ
দুর্যোগ এমন একটি অসভাবিক ও ভয়াবহ পরিপ্স্থিতি যা ব্যাপকভাবে জীবন ও জীবনধারণের মউলিক বিষয়াবলীর প্রতি হুমকি তইরি করে এবং যা মোকাবেলা করা এককভাবে ব্যক্তি ও সমাজের সামরথের বাইরে চলে যায় ।
অন্য ভাবে বলা যায় দুর্যোগ হচ্ছে আপদ ও বিপদাপন্নতার পরিণতি । আপদ ও বিপদাপন্নতা যেখানে একত্রিত হয় সেখানেই একটি দুর্যোগের জন্ম হয় । অনেক সময় আক্রান্ত মানুষের পক্ষে দুর্যোগের ফলে স্রিষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা অসম্ভব হয়ে পড়ে ।
Sultan Mahmud Sujon:
পরিবেশ রক্ষায় আমাদের করণীয়
চিত্র: বাড়ির চারদিকে গাছপালা বন্যা রোধে সহয়তা করে
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার দু॔যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো সেন্টার
ব্যক্তিগত ও সামজিক পর্যায়ে পরিবেশ রক্ষায় মানুষের করণীয় কি এ ব্যাপারে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা;
পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ব্লিচিং পাউডার সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ;
পরিবেশ রক্ষার জন্য বেশি করে গাছ লাগানো;
বন্যার সময়ে গাছের প্রয়োজনীয়তা
গাছের নাম
উপকারিতা
আম, শিমুল, সিসা, মেহগনি
নৌকা বানানোর কাজে
কলা গাছ
চলাচল (ভেলা), গবাদিপশুর খাবার, জরুরি সময়ে গোয়াল ঘর উঁচু করার কাজে, বন্যার সময় কলাগাছের থোড় খাবার হিসাবে ব্যবহার করা, এছাড়া কলা অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য ৷
কাইসা
ঘরের বেড়া, গবাদিপশুর খাবার, স্রোত ঠেকানোর জন্য ঝড়ট দেয়া, জমিতে পলিমাটি আটকিয়ে রাখা৷
ধৈঞ্চা
গবাদিপশুর খাবার, জ্বালানি, পলি আটকানো
বাঁশ
খুঁটি, জ্বালানি, মাচা ইত্যাদি নানা কাজের জন্য দরকারী৷
সূত্র - বিডিপিসি, ২০০২:৪৪
Sultan Mahmud Sujon:
বন্যা মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি মুদ্রণ ইমেল
বন্যা মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি
বন্যার সময় পানিপ্রবাহ বেশি থাকার কারণে বসতবাড়ি, ক্ষেত-খামারসহ আশপাশ ডুবে যায় এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে৷ বন্যা হওয়া মানেই মানুষ,সম্পদ তথা দেশের জন্য ক্ষতি৷ বন্যা মোকাবিলা ও এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য সর্তক হওয়ার পাশাপাশি আমাদের সচেতন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত৷ আপনি বন্যাপ্রবণ এলাকায় বাস করলে প্রতি বছর বন্যা মৌসুমের আগে নিম্নলিখিত প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করুনঃ
বাড়িঘর তৈরিতে কি করবেন
2.jpg
চিত্র : বাড়ির ভিত উচু করা দরকার
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়াডᐂনেস সেন্টার
উঁচু জায়গায় এবং মজবুত করে বাড়ি তৈরি করুন;
নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেড়ী বাঁধের বাইরে বাড়ি নির্মাণ না করে সব সময় বাঁধের ভিতরে বাড়ি নির্মাণ করুন ;
image9.jpg
চিত্র : বাঁধের ভিতর বাড়ি তৈরি করুন
চিত্রসুত্র: বাংলাদেশ দু॔যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো
নতুন জেগে উঠা চরে বসতবাড়ি নির্মাণ করবেন না কারণ এখানে বন্যা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশন্কা বেশি;
আপনার ভিটেবাড়ি নিচু হলে বন্যার আগেই মাটি দিয়ে উঁচু করুন এবং ঘরের মেঝে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেশি উঁচু করে তৈরি করুন যেন বন্যার পানি ভিটায় বা ঘরে উঠতে না পারে;
বাড়ির চারদিকে বেশি করে কলাগাছসহ অন্যান্য গাছপালা লাগান যা আপনার বাড়িকে বন্যার পানির তোড় থেকে রক্ষা করবে৷
এছাড়া গাছপালা আমাদের ফল দেয়, কাঠ দেয়, পরিবেশ দূষণ রোধ করে এবং বন্যাজনিত মাটির ক্ষয়রোধ করে;
image8.jpg
চিত্র: বাড়ির চারদিকে কলাগাছ লাগান
চিত্রসুত্র: বাংলাদেশ দু॔যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো
বন্যাপ্রবণ এলাকাতে ঘরগুলি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেশি উঁচু করে তৈরি করুন প্রয়োজন হলে বন্যার সময় মাচান বেঁধেকিছু দিন বসবাস করা যাবে;
বন্যাপ্রবণ এলাকায় ঘরের চারপাশ মাটি দিয়ে না করে সম্ভব হলে ইট-সিমেন্ট দিয়ে পাকা করুন যাতে ঘরের ভিত ভেঙ্গে না পড়ে৷ যদি পাকা করা সম্ভব না হয় তাহলে মাটি দিয়ে তৈরি করে ঘন ঘন বাঁশ অথবা শক্ত কাঠের ঘের দিয়ে রাখুন৷ এই ব্যবস্থা ঘরের চারপাশ ভেঙ্গে পড়া রোধ করতে পারে;
শক্ত কাঠের খুঁটি দিয়ে ঘর তৈরি করুন, বন্যার পানিতে যাতে খুঁটির গোড়া পঁচে না যেতে পারে;
খড় ও বাতা দিয়ে ঘর বানান এবং গোড়াগুলি ইট-সিমেন্ট দিয়ে পাকা করুন অথবা শক্ত কাঠ দিয়ে করুন যাতে সেগুলো পানিতে পঁচে না যায়;
ঘর বাঁশের অথবা নরম কাঠের খুঁটি দিয়ে তৈরি হলে মেঝের উপর খুঁটিগুলি শক্ত বাতা দিয়ে যুক্ত করুন৷ তাহলে খুঁটির গোড়াগুলি পঁচে গেলেও সহজে ঘর পড়ে যাবে না;
বিশুদ্ধপানির জন্য কি করবেন
6.jpg
চিত্র: উঁচুস্থানে টিউবওয়েল ও পায়খানা তৈরি করলে বন্যায় ডুবে যাবে না
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়াডᐂনেস সেন্টার
টিউবওয়েল উঁচু স্থানে বসান যাতে বন্যার পানিতে ডুবে না যায়
বন্যার সময় টিউবওয়েল উঁচু করার ব্যবস্থা রাখুন,
বন্যার সময় পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ফিটকিরি/পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি সংগ্রহ করুন৷
পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য করণীয়
উঁচু স্থানে পায়খানা তৈরি করতে হবে সাধারণ বন্যায় যেন ডুবে না যায়;
সমস্ত বাড়ি উঁচু করা সম্ভব না হলে কেবল বাড়ির পায়খানাটি যেন বন্যার পানির উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতায় করা হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন;
সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এবং নিকটস্থ এনজিও-র পরামর্শ এবং সহায়তা নিতে পারেন;
বন্যার পানিতে মল ত্যাগ করা যে ক্ষতিকর সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলুন৷
গবাদিপশু ও হাঁস মুরগীর রক্ষায় কি করবেন
7.jpg
চিত্র ; বন্যার পূবᐂ প্রস্তুতি
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়াডᐂনেস সেন্টার
যে সময়ে সাধারণত বন্যা হয়ে থাকে তখন গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী কম রাখুন;
ঘাস বিচালি ও অন্যান্য পশুখাদ্য সংগ্রহে রাখুন, অনেকে মিলে যৌথভাবে মজুদ করতে পারেন;
কলমি শাক, কলাগাছের কান্ড, পাতা ইত্যাদির মতো পানিতে ভাসে এমন পশুখাদ্য জোগাড় করে রাখুন;
বন্যার সময় বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় এজন্য গবাদিপশুকে টিকা দিন;
অতিরিক্ত গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী বিক্রি করে টাকা ব্যাংকে জমা রাখুন এবং বন্যা মৌসুম শেষে আবার পালন শুরু করুন;
মোরগ-মুরগীর চেয়ে হাঁস বেশি রাখতে পারেন, পায়ে দড়ি বেঁধে এদের পানিতে ভাসিয়ে রাখা যায়;
বন্যার পানি বাড়িতে উঠলে গবাদি পশুকে কোথায় রাখবেন ও কীভাবে এদের রক্ষা করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন৷
কৃষিকাজের জন্য করণীয়
স্বল্প সময়ে উত্পাদন করা যায় এমন উচ্চ ফলনশীল ফসলের চাষ করুন;
বন্যার পর চাষের জন্য ভালোভাবে বীজ সংরক্ষণ করে রাখুন;
কখনো কখনো মৌসুমের পরেও আশ্বিন-কার্তিকে (শরতের বন্যা) আকস্মিক বন্যা ফসলের ক্ষতি করে বিশেষ করে রোপা আমনের ক্ষতি হয়৷ এমন আশন্কা দেখা দিলে নবান্নের আগে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদ করে রাখা যেতে পারে;
বন্যাপ্রবণ এলাকা হলে পুকুরের পাড় উঁচু করতে হবে এবং জাল দিয়ে বেড়া দিতে হবে ৷ বন্যার পানিতে যেন মাছ ভেসে না যায়;
কৃষিকমীᐂদের সাথে পরামর্শ করে জমিতে আবাদ করুন;
খাদ্য সংরক্ষণ
5.jpg
চিত্র: খাদ্য ও গৃহস্থালি সামগ্রী সংরক্ষণ
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়াডᐂনেস সেন্টার
বন্যা মৌসুমের পূর্বে স্থানান্তর যোগ্য আলগা চুলা তৈরি করে রাখুন;
বন্যার মাসগুলিতে বাড়িতে কিছু চাল, ডাল, মুড়ি, চিড়া, গুড়, আটা, ছাতু, বিস্কুট, গুড়া দুধ ইত্যাদি ঘরে রাখুন;
khaddho_shamogri_shongrokkhon.jpg
চিত্র: খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ
চিত্রসুত্র: বাংলাদেশ দু॔যোগব্যবস্থাপনা ব্যুরো
সারা বছর বন্যার সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পাত্রে চাউল, ডাল জমা করে রাখতে পারেন;
বন্যার মাসগুলিতে ঘরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যশস্য না রাখাই ভালো৷ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বিক্রি করে টাকা ব্যাংকে জমা রাখুন:
বস্তা, মাটির পাতিল, কলসি, ডাবর বা জালা, ব্যাগ ইত্যাদিতে জরুরি খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়৷ লক্ষ রাখতে হবে যাতে বন্যার পানিতে খাদ্যগুলো নষ্ট না হয়;
বন্যা আসার আগে কেরোসিন বা স্থানান্তর করা যায় এমন মাটির চুলা বানিয়ে রাখুন;
বন্যার সময় শুকনো কাঠ/ খড়ির অভাব দেখা দেয় তাই বন্যার মাসগুলোর জন্য শুকনো কাঠ সংগ্রহ রাখুন৷
নারীদের করণীয়
দুর্যোগের জন্য আগে থেকেই অর্থ সঞ্চয় করুন;
বন্যার আগেই রান্নাবান্নার জন্য আলগা চুলা ও জ্বালানি জোগাড় করে রাখুন;
ছেলে মেয়েদের সাঁতার শেখান;
10.jpg
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়ার্ডনেস সেন্টার
অতিরিক্ত বন্যায় যাতে বাচ্চারা কষ্ট না পায় সেইজন্য আগে থেকেই নিরাপত্তা আশ্রয় হিসেবে আত্নীয় বা প্রতিবেশীর বাড়ি আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করে রাখুন;
গর্ভবতী নারীর জন্য নিরাপদ আশ্রয় ঠিক করে রাখুন এবং এলাকার ধাই ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন;
9.jpg
চিত্র:বন্যার সময় গভᐂবতী নারীদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়াডᐂনেস সেন্টার
বাড়িতে নিরাপদে সন্তান প্রসবের উপকরণ জোগাড় করে রাখুন;
বন্যার সময়ে সম্ভাব্য মেয়েলি রোগ-ব্যধি প্রতিকারের জন্য বন্যার আগে স্থানীয় পল্লী চিকিত্সক, ডাক্তার, সরকারি, বেসকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিন এবং সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করুন;
চলাফেরার জন্য ছোট ডিংগি নৌকা তৈরি বা কলাগাছের ভেলা তৈরির জন্য বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কলাগাছ লাগান;
নারীদের বন্যাজনিত সমস্যার সমাধানে পুরুষরা যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন৷
আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা
asroy_kendra.jpg
চিত্রসুত্র: বাংলাদেশ দু॔যোগব্যবস্থাপনা ব্যুরো
দুর্যোগের সময় জরুরি ভিত্তিতে সমস্যার সমাধানের জন্য এলাকার মানুষ, সরকারি সংস্থা এবং ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি গঠন করা;
বিগত বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আগামীতে সমস্যার সমাধানে কে কোন ভূমিকা পালন করবেন তা স্থির করা;
এলাকার মানুষকে নিজ নিজ বাড়ি উঁচু করার ব্যাপারে উত্সাহী করা;
এলাকাতে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকলে জরুরি মুহুর্তে বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে কোন্ কোন্ স্থানকে ব্যবহার করা যায় তা চিহ্নিত করে রাখা;
nirapod_sthan_khuje_rakha.jpg
চিত্র : বন্যার আগেই নিরাপদ স্থান খুঁজে রাখা দরকার
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়াডᐂনেস সেন্টার
সামাজিকভাবে আশ্রয় কেন্দ্র তৈরির ব্যবস্থা নেয়া এবং এ ব্যাপারে সরকারি, বেসরকারি অথবা ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্য নেয়া৷
শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষণাবেক্ষণ
যে সমস্ত শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিচু জায়গায় অবস্থিত সেগুলিকে সামাজিক উদ্যোগে উঁচু করা;
নতুন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে এলাকার পূর্বের ইতিহাস অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পানির উচ্চতার রেকর্ড সম্পর্কে জেনে নেয়া এবং সেই উচ্চতার চেয়েও বেশি উচ্চতায় প্রতিষ্ঠানসমুহ নির্মাণ করা;
মাটি যাতে বন্যার পানিতে ভেঙ্গে না যায় তার জন্য গাছ লাগানো;
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে আধুনিক অর্থাত্ নাট-বোল্ট পার্টিশন পদ্ধতিতে জরুরি সময়ে স্থানান্তর যোগ্য শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা;
শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষণাবেক্ষণে সামাজিক কমিটি গঠন করা;
শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষণাবেক্ষণে সামাজিক তহবিল গঠন করা৷
বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ
cyclone-3.gif
চিত্র: বাঁধের দুপাশে পযাᐂপ্ত গাছ লাগাতে হবে
চিত্রসুত্রঃ বি ডি পি সি বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপ্রেয়াডᐂনেস সেন্টার
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষার জন্য ঘাস ও গাছ লাগানো৷ সরকারিভাবে যে ঘাস লাগানো হয় তা যেন নষ্ট না হয়, গরু ছাগল যেন খেয়ে না ফেলে সেদিকে নজর রাখা;
বাঁধের ঘাস ও গাছপালা কেউ নষ্ট করলে তাকে বাধা দেয়া,
এলাকার লোকজনকে বাঁধে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা;
কোন কারণে কেউ বাঁধ কাটলে সবাই মিলে তাকে বাঁধা দেয়া৷ বাঁধ কাটা বেআইনি ও অপরাধ এজন্য সবাইকে সামাজিকভাবে রুখে দাড়াঁতে হবে;
বাঁধের কোথাও ফাটল দেখা দিলে চেয়ারম্যানকে বা সংশ্লিষ্ট কাউকে জানানো এবং দেরি না করে প্রয়োজনে নিজেরাই মেরামতের উদ্যোগ নেয়া৷ বালির বস্তা, বাশেঁর চাঁচ, বাঁশ, ইট, পাথর, কাঠের গুঁড়ি ইত্যাদি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা৷
Sultan Mahmud Sujon:
বাংলাদেশের কোথায় কি ধরনের বন্যা হয় মুদ্রণ ইমেল
বাংলাদেশের কোথায় কি ধরনের বন্যা হয়
ঝটকা / হঠাত্ বন্যা: এধরনের বন্যয় খুব দ্রুত ও হঠাত্ করে পানির স্তর বেড়ে যায়৷ সাধারণত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে আমাদের দেশের উত্তর ও উত্তর-পূবাᐂঞ্চলে এধরনের বন্যা হয়ে থাকে৷ ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় অতি বর্ষণ হলে সেই পানি আমাদের দেশের দিকে নেমে আসে এই পাহাড়ি ঢলে অতি অল্পসময়ে অর্থাত্ কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টায় পানিতে প্লাবিত হয়৷
বৃষ্টির কারণে বন্যা: প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে আমাদের দেশে প্রায় সময়ই বন্যা দেখা দেয়৷ অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট নির্মাণ, খাল, নদীনালা পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা হয়ে বন্যা দেখা দেয়৷
নদীর কারণে বন্যা: অতি বৃষ্টির কারণে দেশের প্রধান তিনটি নদীর পানির স্তর বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করলে বন্যা দেখা দেয়৷ এতে দেশের ৩৫-৭০ ভাগ এলাকা পানির নিচে ডুবে যায়৷ এধরনের বন্যা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অর্থাত্ ১৫-৪৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে৷ আমাদের দেশের অধিকাংশ বন্যা এধরনের৷ এদেশের ১ঌ৮৭, ১ঌ৮৮, ১ঌঌ৮ ও ২০০৪ সালের ভয়াবহ বন্যাগুলো এধরনের ছিলো৷
জলোচ্ছ্বাসের কারণে বন্যা: সাধারণত: দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন ইত্যাদি কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের ফলে এ ধরণের বন্যা হয়ে থাকে৷ এসময় সমুদ্রের পানির স্তর ১০ থেকে ১৫ সেঃ মিঃ পর্যন্ত উপরে উঠে যায় এবং দেশের ১৮,০০০ কিঃ মিঃ দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়৷ ১ঌঌ০ সালের ১০ই নভেম্বর এবং ১ঌঌ১ সালের এপ্রিলে সংঘটিত ভয়াবহ বন্যা এধরণের ছিলো৷ এছাড়াও জুন-সেপ্টেম্বর মাসের দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রবাহের ফলে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয় ও বন্যা হয়৷
জলাবদ্ধতার কারণে বন্যা: বর্তমানে বাংলাদেশের শহর এলাকায় এধরণের বন্যা দেখা দেয়৷ নগরায়নের জন্য নিচু জমি ভরাট করে ফেলা, প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে, পানি নেমে যেতে পারছে না৷ ফলে পানি আটকে থেকে শহর এলাকায় বন্যা দেখা দেয়৷ বড় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ছাড়াও ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রংপুর শহরে জলাবদ্ধতার কারণে এখন বন্যা দেখা দিচ্ছে৷
বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ভয়াবহ বন্যা
১ঌ৭৪ 'র বন্যা: এ বন্যায় ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়, শতকরা ৫৮ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়৷ এ বন্যার পর দুভিᐂক্ষ দেখা দেয় এবং এই দুর্ভিক্ষে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়৷
১ঌ৮৪ 'র বন্যা: এই বছরের বন্যায় ৫২,৫২০ বর্গ কিঃমিঃ এর বেশি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়৷
১ঌ৮৭ 'র বন্যা: এ বন্যায় ৫০,০০০ বর্গ কিঃ মিঃ এর বেশি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয় এবং প্রায় ২০৫৫ জন প্রাণ হারায়৷
১ঌ৮৮ 'র বন্যা: এ বন্যায় শতকরা ৬১ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়, ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ীঘর হারায়, ২০০০-৬৫০০ এর মতো মানুষ মারা যায় ৷
১ঌঌ৮ 'র বন্যা: ১১০০ মানুষ মারা যায়, প্রায় ১ লাখ বর্গ কিঃ মিঃ এর বেশী এলাকা পানিতে প্লাবিত হয় এবং ৫ লাখ বাড়ি নষ্ট হয়৷
২০০৪ 'র বন্যা: শতকরা ৩৮ ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয় এবং প্রায় ৩.৮ মিলিয়নের মতো লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷
তথ্যসূত্র :
* দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বু᐀রো (২০০২): দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল (১ম ও ২য় খন্ড)
* বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার বি ডি পি সি (২০০২): চেইঞ্জ এজেন্ট গাইড (বন্যা মোকাবেলায় পারিবারিক ও সামাজিক প্রস্তুতি সহায়িকা)
* বি ডি পি সি, বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার ( ২০০২): বন্যা মোকাবেলায় পারিবারিক ও সামাজিক প্রস্তুতি
* বি ডি পি সি, বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার ( ২০০২): বন্যা মোকাবেলায় পারিবারিক ও সামাজিক প্রস্তুতি (চেইঞ্জ -এজেন্টদের জন্য ম্যানুয়াল)
* Hossain Akhtar (2004): National Workshop on Options for Flood Risk and Damage Reduction In Bangladesh :“An Overview on Impacts of Flood in Bangladesh & Options for Mitigationâ€
Sultan Mahmud Sujon:
বন্যার বিভিন্ন ধরন সমূহ মুদ্রণ ইমেল
বন্যার বিভিন্ন ধরন সমূহ
ক) ঝটকা / হঠাত্ বন্যা
খ) পাহাড়ি ঢল
গ) প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা
ঘ) বড় বড় নদীর বন্যা
ঙ) জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে প্লাবন/বন্যা
চ) শহরের জলাবদ্ধতা
তথ্যসূত্র :
* দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বু᐀রো (২০০২): দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল (১ম ও ২য় খন্ড)
* বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার বি ডি পি সি (২০০২): চেইঞ্জ এজেন্ট গাইড (বন্যা মোকাবেলায় পারিবারিক ও সামাজিক প্রস্তুতি সহায়িকা)
* বি ডি পি সি, বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার ( ২০০২): বন্যা মোকাবেলায় পারিবারিক ও সামাজিক প্রস্তুতি
* বি ডি পি সি, বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার ( ২০০২): বন্যা মোকাবেলায় পারিবারিক ও সামাজিক প্রস্তুতি (চেইঞ্জ -এজেন্টদের জন্য ম্যানুয়াল)
* Hossain Akhtar (2004): National Workshop on Options for Flood Risk and Damage Reduction In Bangladesh :“An Overview on Impacts of Flood in Bangladesh & Options for Mitigationâ€
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version