বিভিন্ন ধরনের সবজি অথবা শস্যদানা থেকে তৈরি তেল স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্যে উপকারী।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নারিকেল, জলপাই, তিল বা বাদাম ইত্যাদি তেলের নিজস্ব গুণাবলী ও বিশেষত্ব রয়েছে।
কাঠবাদামের তেল: ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই তেল ত্বকে পুষ্টি যোগায়। সব ধরনের ত্বকের জন্য কাঠবাদামের তেল উপযুক্ত। নতুন কোষ গঠণে সাহায্য করে, তাই মুখের যত্নে এই তেলের ব্যবহার তুলনামূলক বেশি। পাশাপাশি ত্বক কোমল করে তুলতে সাহায্য করে। সংবেদনশীল শুষ্ক ত্বকের যত্নে এই তেল বিশেষভাবে কার্যকর।
তিলের তেল: বেশ ঘন হওয়ায় মালিশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই তেল ত্বকে আর্দ্রতা যোগাতে সহায়তা করে। শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বেশি উপযোগী। তাছাড়া ত্বকের জ্বালাভাব বা অন্যান্য সমস্যার জন্যেও এই তেল ব্যবহার বরা যেতে পারে।
জলপাইয়ের তেল: রয়েছে ‘ওলেইক অ্যাসিড’, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। সহজেই জলপাইয়ের তেল শুষে নিতে পারে ত্বক। তাই লোমকূপ বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এছাড়া অন্য যে কোনো এসেনশিয়াল অয়েল বা ভেষজ তেলের সঙ্গে মিশিয়েও জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা যায়।
নারিকেল তেল: সব থেকে বেশি পরিচিত এবং ব্যবহৃত এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান। এছাড়াও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে। চুল বা ত্বকে ব্যবহারের জন্য এই তেল বেশ উপযোগী। অন্যান্য তেলের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মিশে যায় বলে একাধিক তেলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহারের জন্য উপযোগী নারিকেল তেল।