বেপরোয়া গাড়ির গতি আর মানুষের মৃত্যু এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তিন হাজার ২৬ জন। আহত হয়েছে আট হাজার ৫২০ জন। এ ছয় মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮৬০টিরও বেশি। এভাবে প্রতিদিন কোনো না কোনো সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। এ সড়ক দুর্ঘটনা আর বেপরোয়া গাড়ি চালানো নিয়ে সব পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে এবং হচ্ছেও। সড়ক নয় যেন নরক, সব অনিয়ম, নৈরাজ্যের শীর্ষে গণপরিবহন, দুর্ঘটনা নয় যেন হত্যাকাণ্ড চলছে। আর কত রাজীবকে প্রাণ দিতে হবে, আমরা জানি না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি এভাবেই চলছে প্রতিদিন। কোনো প্রতিকারও হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা চলছে নিয়মিতভাবে। গাড়ির মরণগতিও থামছে না। আর মনে হয় না থামবে। গাড়িচালকের আচরণ দেখলে মনে হয়, এসব চলছে আর চলবে। এটা তাদের জন্মগত অধিকার। তারা অধিকার রক্ষা করার জন্যই সড়কে নামে। তারা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে থাকে। এতে তাদের কিছুই হবে না। কিছুই হয়ও না, তা সত্যি। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মামলাও কম হয়নি। কাজ হয়নি। দুর্ঘটনার পর দায়ী চালকদের বড় অংশই পার পেয়ে যায় পুলিশ ও যানবাহন মালিকদের গোপন সমঝোতায়। উপযুক্ত আইন করে সঠিকভাবে তা বাস্তবায়িত হলে চালকদের বেপরোয়া গতি এবং সড়কে মৃত্যু মিছিল কমবে। এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা। দেশের মানুষের জন্যই সরকার। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার জন্যই ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করে জনগণ। সেই জনগণ সড়কে প্রাণ হারালে তার দায়ভার সরকারের নিতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে ভাবতে হবে। এ বিষয়ে জরুরি সমাধান আশা করছি।
আজহার মাহমুদ