নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তাদের মস্তিষ্ক না

Author Topic: নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তাদের মস্তিষ্ক না  (Read 1143 times)

Offline Sabiha15

  • Newbie
  • *
  • Posts: 19
  • Test
    • View Profile
কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একে অন্যকে সহযোগিতা করতে আমরা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করে থাকি। অনেক সময় মতের মিল হয় না। বিশেষত লিঙ্গ প্রশ্ন এলে।

ঢাকা: কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একে অন্যকে সহযোগিতা করতে আমরা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করে থাকি। অনেক সময় মতের মিল হয় না। বিশেষত লিঙ্গ প্রশ্ন এলে।

এর কারণ উঠে এসেছে সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ আলাদা আলাদাভাবে সক্রিয় থাকে। ডা. অ্যালান রেইস বলেন, বিষয়টা এমন নয়- নারী বা পুরুষ একে অন্যকে সহযোগিতা করতে পারে না।
এই গবেষণার জ্যেষ্ঠ স্বত্তাধিকারী এবং স্ট্যাম্পফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপকের মতে, বরং তাদের সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে সামান্য পার্থক্য আছে।

অতীতের গবেষণায় নারী-পুরুষের সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া না গেলেও, নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে- যখন নারী এবং পুরুষ একসঙ্গে সমস্যা সমাধান করতে যান তাদের কৌশলগত কিছু পার্থক্য থাকে। একজন পুরুষ সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্র সামগ্রিকভাবে চিন্তা করে, কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃশ্যকল্পনা তৈরি করে। অন্যদিকে নারীরা সমস্যার একটি একটি বৈশিষ্ট্য ধরে ধরে সমাধান করে এবং তুলনা করে। নারীরা সূত্রের ব্যবহারও বেশি করে থাকে। একজন পুরুষ কৌশল অবলম্বন করার ক্ষেত্রে গাণিতিক নমূনা নির্ধারণ করে ভেন চিত্র তৈরি করে।

রেইস এবং তার সহকর্মীরা মোট ২২ জনকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেন- নারী এবং পুরুষের চিন্তার পার্থক্য খুঁজে বের করতে।  তারা বলেন, “নারী এবং পুরুষের চিন্তায় যে পার্থক্য এটা দেখে বিশ্মিত হওয়ার কিছু নেই। নানা দিক থেকে বিষয়টি খুব স্বাভাবিক”। দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এই গবেষণা খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বিশেষত, বিশেষ শিশুরা যাদের সামাজিক আচরণগত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আরও বড় আকারে এই গবেষণা চালানো হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে।

বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে যেসব শিশুরা জন্ম নেয়, তারা হতাশা, উদ্বিগ্নতাসহ নানা অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ করতে পারে না। সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও তারা সিদ্ধান্তহীনাতায় ভোগে। আরও গভীরভাবে গবেষণা করা হলে, তাদের সঙ্গে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করা যাবে, যোগ করেন রেইস।



http://www.banglanews24.com/health/news/bd/496633.details