যুগান্তর ডেস্ক ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
লবণ ক্ষতিকর, নুডলস মোটা করে অথবা ডিম কোলোস্টরেলের মাত্রা বাড়ায় কিংবা স্যাকারিন চিনি চেয়ে ভালো -এরকম কিছু ভুল ধারণা অনেকেরই রয়েছে৷ জেনে নিন এসম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন৷
লবণের ভালো-মন্দ
অতিরিক্ত লবণ খেলে স্ট্রোক করা এবং কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ে, তা সত্যি৷ তবে এ কথা ভেবে অনেকেই খাবারে লবণের পরিমাণ একদম কমিয়ে দেন, যা ঠিক নয়৷ কারণ, শরীরে লবণের পরিমাণ কম হলে স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন বেড়ে যায়৷ তাছাড়া লবণ নার্ভ সিস্টেমকে ঠিক রাখতে সিমপ্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে৷ তাছাড়া পেশির ব্যথা প্রতিরোধে লবণের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি লো ব্লাড প্রেশারের ক্ষেত্রেও লবণ উপকারী৷
নুডলস মোটা করে
নুডলস মোটা করে কিনা তা নির্ভর করে আপনি কোন আটার তৈরি নুডলস খাচ্ছেন, তার ওপর৷ সাদা আটা বা ময়দা যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা আজকাল স্বাস্থ্যসচেতন প্রায় সকলেই জানেন৷ আপনি যদি শস্যদানা থেকে করা আটার তৈরি নুডলস খান, তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা৷ অর্থাৎ, সব নুডলস এক নয়!
ডিম কোলোস্টরেল বাড়ায়?
ডিম খেলে প্রতিটি মানুষেরই যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাবে, তা ভাবা একেবারেই ঠিক নয়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৫০,০০০ মানুষকে নিয়ে করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, হৃদপিণ্ডে ডিম খাওয়ার নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি, বরং তাদের শতকরা ১২ ভাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমেছে৷ তবে ডিমের পুরোপুরি পুষ্টিগুণ থাকে কেবলমাত্র ‘অর্গানিক’ ডিমে৷
স্যাকারিন স্বাদ কেড়ে নেয়
যদি ক্যালোরির হিসেব করা হয়, তাহলে অবশ্যই স্যাকারিন ভালো৷ অন্যদিকে কিন্তু স্যাকারিন খিদে বাড়ায়৷ তাছাড়া যারা নিয়মিত স্যাকারিন খান, তারা চিনির আসল স্বাদ প্রায় ভুলেই যান৷
চর্বি
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিট মানুষের শরীরে প্রয়োজন উঁচুমানের তেল৷ বিশেষ করে স্যামন মাছের চর্বি বা তেল কার্ডিওভাসকুলারের ঝুঁকি কমায়, যা গবেষণায় প্রমাণিত৷ তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন বাদামের তেল, যা শরীরে ভিটামিন ‘ই’-এর জোগান দেয়৷
লাল মাংস কি অস্বাস্থ্যকর?
মাংসে রয়েছে উঁচুমানের প্রোটিন এবং ভিটামিন বি ১২, যা সকলেরই প্রয়োজন৷ এই প্রোটিন কোনো উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায় না৷ যদিও শোনা যায়, মুরগির মাংস নাকি লাল মাংসের চেয়ে ভালো৷ এখানেও বলা যেতে পারে যে, বাছুরের মাংস খুব সহজে হজম হয় এবং ভেড়ার মাংসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ৷
ফল খাওয়া
যারা ফল খেতে চান না বা ফলে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের ফল না খেলেও চলবে, যদি তারা যথেষ্ট পরিমাণে সবজি খান৷ ফলের মধ্যে যেসব খাদ্যগুণ রয়েছে, সেগুলো কিন্তু সবজিতেও আছে৷ তাই সমস্যা হলে বা খেতে ইচ্ছে না করলেও যে ফল খেতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই৷