পশু কোরবানি ছাড়াই ঈদ পালন করেছে মালদ্বীপবাসী
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলমানদের মতো মালদ্বীপের মুসলমানরাও পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করেছে। তবে অন্যান্য দেশের মতো মালদ্বীপবাসী পশু কোরবানি করেনি। স্থানীয় জনগণ ও সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে মালদ্বীপে একটি পশুও কোরবানি করা হয়নি।
আসন্ন সপ্তদশ সার্ক সম্মেলনের প্রস্তুতিতে নিয়োজিত একজন সরকারি কর্মকর্তা আমির হুসেইন বলেন, ‘আমরা মালদ্বীপবাসী পুরোপুরিই আমদানি করা হিমায়িত মাংসের ওপর নির্ভরশীল। গরু বা ছাগল তো দূরের কথা, আমরা একটি মুরগি পর্যন্ত জবাই করতে পারি না।’ ১০-১১ নভেম্বর ছবির মতো সুন্দর এ দ্বীপটিতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমির হুসেইন জানান, মালদ্বীপের শতভাগ মানুষ মুসলমান। কিন্তু এ দ্বীপ দেশটিতে কোনো পশুপালন করা হয় না, তাই এর অধিবাসীরা পশু কোরবানি দিতে পারে না।’
ফাতিমা নামের মালদ্বীপের এক তরুণী জানান, স্থানীয় চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সম্প্রতি তাঁর পরিবার হিতাডুতে পশু পালনের একটি উদ্যোগ নিয়েছে। রাজধানী মালে থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে হিতাডুর অবস্থান। ওই তরুণী বলেন, আগে শুধু গবাদিপশুর অভাবে কোরবানি করতে পারতেন না, এমন নয়। বরং তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থাও ছিল খারাপ। এ ছাড়া গবাদিপশুর জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় গাছপালা ও অন্যান্য পশুখাদ্যের অভাব ছিল অন্যতম কারণ।
তরুণী আরও জানান, সম্প্রতি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অনেক মালদ্বীপবাসী ঈদের সময় আল্লাহকে খুশি করতে কোরবানি করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা বা ভারত থেকে পশু আমদানি করার কথা ভাবছে। ফাতিমা জানান, মালদ্বীপের কিছু গ্রামীবাসী শখের বশে ও নিজেদের চাহিদা পূরণ করার জন্য হাঁস-মুরগি পালন করে। যখন কোনো ছেলেশিশু জন্মগ্রহণ করে, তখন সেগুলো জবাই করে। কিন্তু মেয়েশিশু জন্মালে কোনো মুরগি জবাই করা হয় না।