উদ্যোক্তা হওয়ার পথে পা বাড়িয়ে দেখলেন, এ পথে বিস্তর কাঁটা। পদে পদে বাধা। ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো পামওয়েল আমদানী করেন। কিন্তু সেই তেলের মান সামান্য খারাপ ছিল, নতুন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি যেটা বুঝতেই পারেননি। ফল হলো ভয়াবহ। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারেন না। এভাবে প্রায় দুই বছর ধরে তেলের ড্রামগুলো পড়ে থাকল বন্দরে। মোস্তফা কামাল প্রায় পথে বসে গেলেন।ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভাবলেন, পরিবহণ ব্যবসায় নামবেন। অনেক ভেবে চিন্তে গুলিস্তান থেকে মিরপুর-১১ নম্বর রুটে একটি ভক্স ওয়াগন গাড়ি নামালেন। কিন্তু বেশিদিন চালাতে পারলেন না। ড্রাইভার, হেলপারদের দৌরাত্মে পরাজিত হয়ে ব্যবসায় লস করলেন। কিন্তু হাল ছাড়ার মানুষ তো তিনি নন। তাই ঝুঁকলেন শিল্প প্রতিষ্ঠার দিকে।
১৯৭৬ সালে ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু করেছিল মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ। এরপর ১৯৮৯ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন মেঘনা ভেজিটেবল ওয়েল ইন্ডাস্ট্রি। ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকেন ব্যবসার পরিধি। চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবন, আটা, ময়দা, সুজি থেকে শুরু করে নানা ধরণের খাদ্য পণ্য, রাসায়নিক পদার্থ, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, বিদ্যুৎ প্লান্টসহ ৪০টির বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।