Religion & Belief (Alor Pothay) > Allah: My belief

আল্লাহর জন্য ভালোবাসা

<< < (24/26) > >>

Md. Zakaria Khan:
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
‘অবশ্যই বিশ্বাসীরা সফল হয়েছে’ (সূরা মুমিনুন-০১)। মুমিন কখনোই হতাশ হতে পারে না। হতাশা মুমিনের কাজ নয়। সব সময় আল্লাহর অনুগ্রহ, করুণা এবং দয়ার যে আলোকধারা মুমিনের ওপর বর্ষিত হচ্ছে তা থেকে আপনি (মুমিন) কীভাবে নিরাশ হবেন? ইহকালীন ব্যর্থতা, পরাজয়ে আপনার কি আসে যায়! আল্লাহর ওপর নির্ভর করে মুমিন কখনো হতাশ হন না। দুনিয়ার অপূর্ণতা তাদের আঘাত দেয় না। বরং তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুনে মহাসফলতার। সেই সফলতা, যার ওয়াদা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। আল্লাহ বলেন, ‘বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা জুমার-৫৩)।

দুনিয়া একটি পরীক্ষাগার। আল্লাহ বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা এবং তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন (সূরা বাকারা-১৫৫)। মুমিনদের জন্য পরীক্ষা আসবেই। পরীক্ষা দিয়েছেন নবি-রাসূলরাও।

আমরা যদি প্রিয় নবি (সা.)-এর পবিত্র জীবনের দিকে তাকাই তাহলে দেখব-তার তিন তিনটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন- সবাই শিশু অবস্থায়ই ইন্তেকাল করেন। তিনি তো হতাশ হননি। যে মক্কাবাসী তাকে আল-আমিন উপাধি দিয়েছিল তারাই তো তাকে শিয়াবে আবু তালেবে বন্দি রেখেছিল তিন তিনটি বছর। তাদের জুলুম নির্যাতন এতটাই তীব্র ছিল যে, শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে আল্লাহর হুকুমে জন্মভূমি থেকে হিজরত করতে হয়েছিল তাকে। তারপরও তো তিনি হতাশ হননি।

আমরা যদি মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন-‘হে আমার প্রভু! আমাকে এক সৎ ছেলেসন্তান দান করুন।’ (সূরা সাফফাত-১০০)। তখন আল্লাহ তাকে সুসংবাদ দিলেন, ‘সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।’ (সূরা সাফফাত-১০১)।

যার নাম ইসমাইল (আ.)। প্রাণাধিক প্রিয় পুত্রসন্তান যখন তার সঙ্গে চলাফেরার বয়সে উপনীত হলেন, তখন তাকে কুরবানি করার নির্দেশ করা হলো। তিনি হতাশ হননি বরং তিনি রবের ওপর ভরসা করে পুত্র ইসমাইলকে স্বপ্নের কথা বললেন। ইসমাইল (আ.) বললেন, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা পালন করুন।

হজরত জাকারিয়া (আ.)-এর ঘটনা আমাদের সবারই জানা, তিনি মারইয়াম (আ.)-এর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি যখনই মারইয়ামের কক্ষে প্রবেশ করতেন তখনই তার কাছে আনসিজনে বিরল খাদ্যদ্রব্য দেখতে পেতেন। তিনি জিজ্ঞেস করতেন, হে মারইয়াম! এসব তুমি কোথায় পেলে? তিনি বলতেন, ‘এসব আল্লাহর কাছ থেকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান করেন’ (সূরা ইমরান-৩৭)।

তখন পর্যন্ত জাকারিয়া (আ.)-এর কোনো সন্তানসন্ততি ছিল না। তিনি মনে মনে ভাবলেন আর বললেন, যে আল্লাহ আনসিজনে ফল দিতে পারেন, সে আল্লাহ বৃদ্ধ বয়সে আমাকে সন্তানও দিতে পারবেন। তখন তিনি হতাশ না হয়ে দোয়া করলেন, ‘হে আমার পালনকর্তা!

তোমার কাছ থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (সূরা ইমরান-৩৮)। আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার কাছে চাইলে তিনি কাউকে কখনো হতাশ করেন না। অতএব, যারা প্রকৃত মুমিন বান্দা তাদের উচিত দুনিয়াতে দুঃখ-কষ্টে কখনো হতাশ হবে না।
( সংগৃহীত )

Md. Zakaria Khan:
‘মা-শা আল্লাহ’ কখন ও কেন বলবেন?
বহুল প্রচলিত একটি বাক্য- ‘মা শা আল্লাহ’। আরবি- مَا شَاءَ الله ‘মা শা আল্লাহ’- শব্দটির অর্থ হলো- ‘আল্লাহ তাআলা যেমন চেয়েছেন’। কিন্তু ব্যাপক প্রচলিত এ কথাটি কখন এবং কেন বলতে হয়। এটি বলার উপকারিতাই বা কী?
প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ কিংবা ভালো যে কোনো কিছু দেখলে বলা- مَا شَاءَ الله
উচ্চারণ : ‘মা শা আল্লাহ’
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা যেমনটি চেয়েছেন’ (মুসলিম)

‘মা শা আল্লাহ’ কখন বলবেন?
সুন্দর কিছু দেখলে- ‘মা শা আল্লাহ’ বলতে হয়।
তবে ইসলামিক স্কলাররা মা শা আল্লাহ বলার তিনটি অবস্থা নির্ধারণ করেছেন। তাহলো-
১. যখন কারও সফলতা দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।
২. যখন কাউকে ভালো কিছু করতে দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।
৩. যখন কারো কোনো সুন্দর জিনিস দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।

‘মা শা আল্লাহ’ কেন বলবেন?
কারো সফলতা, ভালো কাজ ও সুন্দর জিনিস দেখে ‘মা শা আল্লাহ’ বলায় কোন বদ নজর লাগে না। বরং মাশা আল্লাহ বলায় রয়েছে বিশেষ উপকার। যে নিজিস বা যে কাজ দেখে ‘মা শা আল্লাহ’ বলা হয়; সে জিনিস বা কাজ থেকে শয়তানের প্রভাব চলে যায়। শয়তান তাতে আর প্রভাব ফেলতে পারে না।

Md. Zakaria Khan:
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমান :
যার যত বেশী সৎ আমল রয়েছে, সে ব্যক্তি ঈমানের দিক থেকে তত বেশী শক্তিশালী এবং এর ফলশ্রুতিতে জান্নাতেও তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। মহান আল্লাহ বলেন, أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُمْ دَرَجَاتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ ‘তারাই সত্যিকারের ঈমানদার। এদের জন্যেই রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট উচ্চমর্যাদা। আরও রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা’ (আনফাল ৮/৪)।
পাপের কারণে মানুষের অন্তর থেকে ঈমান আস্তে আস্তে চলে যেতে থাকে। এমনকি তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ বলেন,كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ ‘না এটা কখনও নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরের উপর মরিচারূপে জমে গেছে’ (মুতাফফিফীন ৮৩/১৪)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘অবশ্যই কোন মুমিন ব্যক্তি যখন পাপ কাজে পতিত হয় তখন তার অন্তরে কালো দাগ পড়ে যায়। অতঃপর সে পাপ থেকে তওবা-ইস্তেগফার করলে অন্তর থেকে দাগটি উঠিয়ে নেওয়া হয়। ফলে তার অন্তর মসৃণ উজ্জ্বল হয়ে যায়। কালো দাগ বাড়তে থাকলে (পাপ বাড়লে) তার সম্পূর্ণ অন্তর ঘিরে ফেলে। এ মরীচিকা সম্পর্কেই আল্লাহ বলেন, ‘না এটা কখনও নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মরিচারূপে জমে গেছে’ (মুতাফফিফীন ৮৩/১৪)।[21]

Md. Zakaria Khan:
🔰রাগ নিয়ন্ত্রণের পুরস্কার:
🔶 রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি রাগ কার্যকর করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা দমন করে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে আহবান করে সকল মাখলুকের (সৃষ্টি) সামনে আনবেন এবং তাকে তার ইচ্ছামতো যে কোন হুর বেছে নেয়ার ক্ষমতা (স্বাধীনতা) দিবেন।
📜তিরমিযী (তাহকিককৃত): ২৪৯৩

Md. Zakaria Khan:
সুরাঃ ৩৯, যুমার ৫৫-৫৯।
৫৫। অনুসরণ করো তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে উত্তম যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহার, তোমাদের উপর অতর্কিতে তোমাদের অজ্ঞাতসারে শাস্তি আসিবার পূর্বে -
৫৬। যাহাতে কাহাকেও বলিতে না হয়, 'হায়! আল্লাহর প্রতি আমার কর্তব্যে আমি যে শৈথিল্য করিয়াছি তাহার জন্য আফসোস!  আমি তো ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।'
৫৭। অথবা কেহ যেন না বলে,'আল্লাহ আমাকে পথ প্রদর্শন করিলে আমি তো অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম।'
৫৮। অথবা শাস্তি (কিয়ামতের) প্রত্যক্ষ করিলে যেন কাহাকেও বলিতে না হয়, ' আহা, যদি একবার পৃথিবীতে আমার প্রত্যাবর্তন ঘটিত তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হইতাম।'
৫৯। প্রকৃত ব্যাপার তো এই যে, আমার নিদর্শন তোমার নিকট আসিয়াছিল, কিন্তু তুমি এইগুলিকে মিথ্যা বলিয়াছিলে ও অহংকার করিয়াছিলে; আর তুমি তো ছিলে কাফিরদের একজন।
(আল্লাহ তাআলা আমাদের মাফ করুন।)

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version