Religion & Belief (Alor Pothay) > Allah: My belief
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
Md. Zakaria Khan:
আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা গোটা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে প্রেরণ করেন। আল-কোরআনের ২১নং সূরা আম্বিয়ার ১০৭ আয়াতে মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেনঃ “আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত (আশীর্বাদ) স্বরূপ।”
তিনি আরো বলেছেন-“(হে নবী) আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য (জান্নাতের) সুসংবাদদাতা ও (জাহান্নামের) সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।” (সূরা সাবা, আয়াত-২৮)
রাসূল (সাঃ) তাঁর কথা, কাজ ও অনুমোদনের মাধ্যমে অর্থাৎ হাদিসের মাধ্যমে আমাদের ইসলাম পালন করার যেসব নিয়ম-কানুন, বিধি-বিধান, আচার-আচরণ ও রীতি পদ্ধতি জানিয়ে ও শিখিয়ে দিয়ে গেছেন তার নাম হলো ‘সুন্নাতে রসূল’ বা ‘রাসূলের সুন্নাহ্।’
মহান আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়েছেন- “রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তোমরা তা গ্রহণ কর আর যা থেকে তোমাদেরকে বারণ করেন, তা থেকে তোমরা বিরত থাক।” (সূরা হাশর : ৭)
বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন- “আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা তা শক্তভাবে ধারণ করবে, ততদিন তোমরা কিছুতেই পথভ্রষ্ট বা বিভ্রান্ত হবে না; সে দুটি জিনিস হলো “আল্লাহ্র কিতাব” ও তাঁর “রাসূলের সুন্নাহ্।”
“আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি” একথা শুধু মুখে দাবি করলেই চলবেনা, কর্মের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিতে হবে। তবেই মহান আল্লাহ্র দীদার লাভ করার আশা করা যেতে পারে। মহান আল্লাহ্ স্পষ্টভাবে বলেছেন-
‘(হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।” (সূরা আলে ইমরান-৩১)
অসীম দয়াময়, প্রেমময় প্রভু আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, ইহকাল ও পরকালে মহা-সাফল্য অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
Md. Zakaria Khan:
হযরত বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, "বিচারক তিন শ্রেণীর, তার মধ্যে দু'শ্রেণীর বিচারক জাহান্নামী এবং এক শ্রেণীর বিচারক
হবে জান্নাতী।
১.প্রথম প্রকার বিচারক তাঁরা, যারা সত্যকে জানে এবং সত্যের সাথেই বিচার
ফায়সালা করে, তাঁরা জান্নাতী।
২.দ্বিতীয় প্রকার সেসব বিচারক, যারা সত্যকে জানে কিন্তু তদানুযায়ী বিচার-ফায়সালা করে না বরং জুলুম করে, তারা জাহান্নামী।
৩.তৃতীয় প্রকার বিচারক তারা, যারা সত্যকে জানেও না এবং সে অজ্ঞতা নিয়েই
মানুষের বিচার-ফায়সালা করে, তারা জাহান্নামী।"
(সুনানে আবু দাউদ; বুলুগুল মারাম, হাদীস নং-১৪০১)
Md. Zakaria Khan:
পবিত্র আল- কুরআনে মহান আল্লাহর ঘোষণা-
مِنْ أَجْلِ ذَٰلِكَ كَتَبْنَا عَلَىٰ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّهُ مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا ۚ وَلَقَدْ جَاءَتْهُمْ رُسُلُنَا بِالْبَيِّنَاتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم بَعْدَ ذَٰلِكَ فِي الْأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ﴾
এ কারণেই বনী ইসরাঈলের জন্য আমি এ ফরমান লিখে দিয়েছিলাম, নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোন কারণে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে হত্যা করলো৷ আর যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করলো। কিন্তু তাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, রসূলগণ একের পর এক সুস্পষ্ট হেদায়াত নিয়ে তাদের কাছে এলো, তারপরও তাদের বিপুল সংখ্যক লোক পৃথিবীতে সীমালংঘনকারীই থেকে গেলো৷
(সূরা মায়েদাঃ ৩২)
Md. Zakaria Khan:
কে কে প্রবেশ করতে চান "রাইয়ান" দিয়ে ??
.
.
রোযা জান্নাত লাভের পথঃ
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«إِنَّ فِى الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ يَدْخُلُ مَعَهُمْ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَدْخُلُونَ مِنْهُ فَإِذَا دَخَلَ آخِرُهُمْ أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ»
‘‘জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে বলা হয় ‘রাইয়ান’ - কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না..... রোযাদারগণ প্রবেশ করলে এ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’’
-সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৭ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৬
Md. Zakaria Khan:
হযরত মুসলিম তামিমি (রা) বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন- ''যখন তুমি মাগরিবের নামায শেষ কর তখন কারো সাথে কথা বলার আগেই এই দু'আ সাত বার পাঠ করো- ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺟِﺮْﻧِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
''আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার''
অর্থ :হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।
যদি তুমি তা পড়, আর ঐ রাতেই তোমার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে "মুক্তি" লেখে দেওয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও যদি অনুরূপ (কারো সাথে কথা বলার আগেই) এই দু'আ পড়, আর ঐ দিনই তোমার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে 'মুক্তি' লেখে দেওয়া হয়।
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version