Religion & Belief (Alor Pothay) > Allah: My belief
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
Md. Zakaria Khan:
#প্রশ্নঃ কোন ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বলতে হবে না?
============================
#উত্তরঃ ভবিষ্যতের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলা উত্তম। আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَا تَقُولَنَّ لِشَاْيۡءٍ إِنِّي فَاعِلٞ ذَٰلِكَ غَدًا ٢٣﴾ [الكهف: ٢٣]
“কখনই তুমি কোনো বিষয়ে বলোনা, আমি ওটা আগামীকাল করবো। তবে এভাবে বলবে যে, যদি আল্লাহ চান।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ২৩-২৪]
অতীত হয়ে গেছে এমন বিষয়ের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলার দরকার নেই। যেমন, কোনো লোক যদি বলে গত রবিবারে রামাযান মাস এসেছে ইনশাআল্লাহ। এখানে ইনশাআল্লাহ বলার প্রয়োজন নেই। কারণ, তা অতীত হয়ে গেছে। অনুরূপভাবে ইনশাআল্লাহ আমি কাপড় পরিধান করেছি। এখানেও ইনশাআল্লাহ বলার দরকার নেই। কারণ, কাপড় পরিধান করা শেষ হয়ে গেছে। সালাত আদায় করার পর ইনশাআল্লাহ সালাত পড়েছি বলার দরকার নেই; কিন্তু যদি বলে ইনশাআল্লাহ মাকবূল সালাত পড়েছি তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, সালাত কবূল হলো কি না তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
Md. Zakaria Khan:
“আর এটাই হচ্ছে আমার (দেখানো) সহজ সরল পথ, অতএব তোমরা একমাত্র এরই অনুসরণ করো, কখনো ভিন্ন পথ অবলম্বন করো না, কেননা (ভিন্ন পথ অবলম্বন করলে) তা তােমাদেরকে নিয়ে (আল্লাহর) সঠিক পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে । এ সকল বিষয়ে আল্লাহ তোমাদেরকে জোরালোভাবে উপদেশ দিচ্ছেন ৷ আশা করা যায় , তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে৷”
--(সূরা ৬ : আনআম ১৫৩)
Md. Zakaria Khan:
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কারণ ধারণা হচ্ছে নিকৃষ্টতম মিথ্যা। তোমরা আঁড়ি পেতো না, গোপন দোষ অন্বেষণ করো না, স্বার্থের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ো না, হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না, পরস্পর কথাবার্তা বন্ধ করো না, একে অপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিও না, দাম-দস্ত্তরে প্রতারণা করো না এবং নিজের ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের মাঝে ক্রয়-বিক্রয়ের চেষ্টা করো না। হে আল্লাহর বান্দারা! আল্লাহ যেমন আদেশ করেছেন, সবাই তোমরা আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও।’
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫১৪৩, ৬০৬৪, ৬০৬৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৬৩/২৮, ২৯, ৩০ ও ২৫৬৪/৩২, ৩৩
fahad.faisal:
Thanks a lot for sharing Sir. A very nice post indeed.
Md. Zakaria Khan:
জান্নাতিদের সম্পর্কে এক আয়াতে আল্লাহ-তাআলা বলেনঃ-
সেখানে(জান্নাতে) তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে যা তোমরা দাবী কর।🙂🙂
(সূরা হা-মীম সেজদাহ,আয়াত ৩১)
অন্য এক আয়াতে জাহান্নামীদের সম্পর্কে আল্লাহ-তাআলা বলেনঃ-
অতএব যারা কাফের, তাদের জন্যে আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে।ফলে তাদের পেটে যা আছে, তা এবং চর্ম গলে বের হয়ে যাবে।তাদের জন্যে আছে লোহার হাতুড়ি।তারা যখনই যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে। বলা হবেঃ দহন শাস্তি আস্বাদন কর।😥😥
(সূরা হাজ্জ্ব,আয়াত ১৯-২২)
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version