পাঁচ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

Author Topic: পাঁচ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র  (Read 1297 times)

Offline tany

  • Faculty
  • Sr. Member
  • *
  • Posts: 401
  • Tajmary Mahfuz,Assistant Professor,Dept of GED
    • View Profile
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে পাঁচ বছরের মধ্যে মানুষ পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা এই সময়ের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদের উল্টোপিঠে চীনের চালানো রোবোটিক মিশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আবার একটা মহাকাশ-কেন্দ্রীক প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছি, ঠিক যেমনটি ছিলাম ১৯৬০ এর দশকে।’ খবর বিবিসির।

চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে আগে থেকেই পরিকল্পনা রয়েছে নাসা'র। কিন্তু পেন্সের ঘোষণার পর এর সময়সীমাকে আরও বেগবান করবে।

অ্যালাব্যামার হান্টসভিলের ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের সভায় দেয়া এক বক্তৃতায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আগামী ৫ বছরের মধ্যে চাঁদে আবারও মার্কিন নভোচারী পাঠানোর বিষয়টি বর্তমান প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতির মধ্যেই রয়েছে। বিশ শতকে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদে পৌঁছতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তেমনই একুশ শতকে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমরাই হব প্রথম জাতি।’

নাসা এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্যবস্তু করবে, যেটি স্থায়ী অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং চ্যালেঞ্জিং একটি অংশ। ওই অংশটি জমাট পানি বা বরফের একটি আধার, যাকে মহাকাশযানের জন্যে জ্বালানীতে রূপান্তর করতে চায় নাসা।

১৯৬৯ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করা প্রথম মানব নীল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘এটা মানুষের জন্য ক্ষুদ্র পদক্ষেপ কিন্তু মানবজাতির জন্য বিশাল এক যাত্রা’। চাঁদের বুকে হেঁটে যাওয়া প্রথম মানুষ নীল আর্মস্ট্রংয়ের সেই কথার পুনরাবৃত্তি করে পেন্স বলেন, ‘পরবর্তী বিশাল পদক্ষেপের এখন এটাই সময়’।

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মার্কিন মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠানোই হলো এই পরবর্তী দীর্ঘ যাত্রা এবং সেখানে মার্কিন নভোচারীদের স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার পর তাদের প্রস্তুতি হবে পরের গন্তব্য- মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে।’

এর জবাবে ইউএস স্পেস এজেন্সির পরিচালক জিম ব্রাইডেনস্টাইন টুইট করে জানিয়েছেন, ‘চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হল। এখন কাজ শুরুর পালা।’

গেটওয়ে নামে একটি স্পেস স্টেশন বানানো হবে প্রথমে চাঁদের কক্ষপথের কাছে ২০২৪ সালের মধ্যে, এরপর ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে নভোচারী পাঠানো হবে চাঁদে- নাসার পরিকল্পনা ছিল এমনটাই। কেউ কেউ মনে করছেন যে, এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং।

এই চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনার জন্যে দরকার একটি বিশাল ভারবহনে সক্ষম রকেট, যা চাঁদের গমন এবং অবতরণের জন্যে যে বিপুল জিনিস প্রয়োজন তা নিয়ে যাবে। নাসা এজন্যে নিজস্ব একটি লঞ্চার নির্মাণ করেছে, যা স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) নামে পরিচিত। কিন্তু প্রকল্পটির বিলম্ব ঘটছে এবং খরচ বেড়ে চলছে।

ব্রাইডেনস্টাইন প্রকল্প এগিয়ে নেবার জন্যে একটি কম শক্তিশালী বাণিজ্যিক রকেটের কথা ভেবেছিলেন। ২০২০ সালের মধ্যে মানববিহীন একটি ক্যাপসুলকে মহাশূন্যে নেবার জন্যে সেটি হতে পারে স্পেস এক্স বা বোয়িং-লকহেড মার্টিন যৌথ অংশীদার ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স দ্বারা নির্মিত রকেট।

কিন্তু মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর নাসার পরিচালক বলছেন, তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে নাসা আগামী বছরের মধ্যে একটি সফল এসএলএস উৎক্ষেপণ দিতে পারবে।

লকহেড মার্টিন নির্মিত অরিয়ন ক্যাপসুল হবে মহাকাশচারীদের চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবার প্রধান মহাকাশযান। কিন্তু সেইসব কিছু বানানোর কাজই এখনো শুরু হয়নি।

মাইক পেন্স কেবল ঘোষণা দিয়েছেন তা নয়, তিনি হুমকিও দিয়েছেন যে, যদি নাসা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে না পারে, তবে বাণিজ্যিক লঞ্চিং সিস্টেম বা অন্য কোনো সহযোগী সন্ধান করা হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো ১১ মিশনে করে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে মানুষের প্রথম সফল অবতরণ ঘটে। যদিও তারপর আর কোনো মানুষকে চাঁদে পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কোনো দেশ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেই এই মিশন আসল নাকি নকল তি নিয়ে বিস্তর সমালোচনা রয়েছে।

source: ঢাকা টাইমস
Tajmary Mahfuz
Assistant Professor
Department of GED

Offline parvez.te

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 335
  • Nothing is impossible...
    • View Profile
Manik Parvez