সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র ‘সোয়াম ফরেস্ট’ (জলা-বন) খ্যাত রাতারগুল। ১৯৭৩ সালে এটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে বন বিভাগ। চারদিকে নদী ও হাওরবেষ্টিত এ বনে বেশির ভাগ অংশজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা হিজল-করচগাছ।
‘সিলেটের সুন্দরবন’ খ্যাত রাতারগুল বনে বর্ষাকালে পর্যটকদের ভিড় ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায়। যদিও পর্যটকদের ভিড় একটু কম থাকে।
প্রায় ৩৩১ একর আয়তনের এলাকাজুড়ে এই বন। কিন্তু দুঃখের সংবাদ হলো, পর্যটকদের প্রিয় জলা-বন খ্যাত রাতারগুল বনে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের দ্বারা গাছ কাটা চলছেই। এই চক্র সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে হিজল, করচগাছ নিধন করে সংরক্ষিত বনের ক্ষতি করেই চলেছে।
শুধু নিজেদের লাভের আশায় এই চক্র সামগ্রিকভাবে বনের ক্ষতি করে চলেছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা হিজল-করচগাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এ প্রবণতা বন্ধ না হলে অচিরেই জলা-বন ঝুঁকির মুখে পড়বে। এর ফলে বনে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যেতে পারে। ব্যাহত হতে পারে পর্যটন খাতের বিকাশ। রাতারগুলের পরিবেশ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তাই দেশের বনাঞ্চল এবং পর্যটন খাতের বিকাশে সংঘবদ্ধ চক্রের গাছ কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।