পাকাচুল এখন আর বয়স বাড়ার লক্ষণ নয়। যেকোনও বয়সেই মাথায় উঁকি দিতে পারে রুপালি রেখা। অনেকসময়েই দেখা যায়, তিরিশের কোঠাতেই মাথার চুল অর্ধেকের বেশি পেকে গিয়েছে
পাকাচুল এখন আর বয়স বাড়ার লক্ষণ নয়। যেকোনও বয়সেই মাথায় উঁকি দিতে পারে রুপালি রেখা। চুলের অকালপক্বতার মূল কারণ জিনগত। কোনও পরিবারের সদস্যদের চুল তাড়াতাড়ি পাকতে শুরু হওয়ার ধারা থাকলে প্রতি প্রজন্মেই সেই ট্রেন্ড বহাল থাকতে পারে। এর পাশাপাশি আধুনিক চাকরির অত্যধিক স্ট্রেস, পরিবেশ দূষণ, ডায়েটে অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড-সহ নানা কারণে অল্প বয়সেই চুল পেকে যায়। অনেক সময়েই দেখা যায়, কারও কারও তিরিশের কোঠাতেই মাথার চুল অর্ধেকের বেশি পেকে গিয়েছে।
একবার চুল সাদা হয়ে গেলে তা আর স্বাভাবিক ভাবে কোনওদিন কালো হবে না। তা ছাড়া এক বার চুল পাকতে শুরু করলে খুব দ্রুত মাথার বাকি অংশও সাদা হতে থাকে। তাই মাথায় সাদা চুল দেখা গেলেই সতর্ক হন। এমন কিছু টিপস মেনে চলুন যাতে সাদা হয়ে যাওয়া চুল কালো হয়ে যায়। আবার বাকি চুলেরও পুষ্টিসাধন হয়। বেছে নিন ঘরোয়া পদ্ধতি। এমনকিছু পদ্ধতি, যাতে চুলের রঙ এবং স্বাস্থ্য দুইই বজায় থাকে।
হেনা: প্রাকৃতিকভাবে চুল রাঙাতে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হেনার জুড়ি নেই। যেদিন হেনা করবেন, তার আগেরদিন হেনার গুঁড়ো ভিজিয়ে রাখুন। শুধুমাত্র বড় ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত হেনাই ব্যবহার করবেন। চুলে লালচে ভাব আনতে হলে হেনা ভেজাবেন লোহার পাত্রে। আর শুধু কন্ডিশনিং করতে হলে যে কোনও পাত্রেই ভেজাতে পারেন। পরেরদিন চায়ের লিকার বানান। কিছুক্ষণ চা পাতা ভিজতে দিন পানিতে। তবে কিছুক্ষণই। বেশিক্ষণ কিন্তু ভিজিয়ে রাখবেন না। ঠাণ্ডা লিকারে মেশান ভেজানো হেনা। মাথায় খুসকির সমস্যা থাকলে এতে মেশান লেবুর রস। এবার হেনার পেস্ট তৈরির পালা। খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্যাক বেশি তরল না হয়ে যায়। তাই থকথকে প্যাক বানিয়ে নিন। ব্রাশ দিয়ে মাথায় ভাল করে লাগিয়ে ফেলুন। স্ক্যাল্পে যেন হেনা না লাগে, খেয়াল রাখবেন। অন্তত একঘণ্টা হেনাপ্যাক লাগিয়ে রাখুন। তারপর মৃদু গরম পানিতে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু সালফেটমুক্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। প্রতিমাসে একবার করে হেনা করতে থাকুন। কয়েকমাসে পরে নিজেই দেখবেন চুলের পরিবর্তন।
কালো কফি: গরম পানিতে কফি দিয়ে মিশ্রণ বানান। মিশ্রণ ঠাণ্ডা হলে সেটি চুলে ভাল করে মাখিয়ে নিন। অন্তত ২০ মিনিট ওইভাবেই চুল রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে নিয়মিতভাবে দুই থেকে তিনদিন এটা করতে থাকুন। চুলে বাদামি আভাস চলে আসবে।
আমলা: আমলা বা আমলকি চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে আদিকাল থেকে। নারকেল তেলের সঙ্গে আমলাগুঁড়ো মিশিয়ে গরম করতে হবে। তারপর সেটা ছেঁকে চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি লাগিয়ে নিন। রাতভর মাথায় রাখুন। তারপর সকালে হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন।
পেঁয়াজ: অকালে চুল পাকা রোধে পেঁয়াজও খুব কার্যকর। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে অপেক্ষা করুন আধঘণ্টা। তারপর মৃদু গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন চুল।