হাতে একটা ছুটির দিন পেয়ে গেছেন? প্রাচীন জিনিসে খুব আগ্রহ? শহরের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি চান???
ঘুরে আসুন বালিয়াটি আর পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি।
যাওয়ার পদ্ধতি একদম ই সোজা। দিনের প্রথম প্রহরে যাত্রা শুরু করাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি রবিবার পূর্ন দিবস আর সোমবার অর্ধ দিবস আর অন্যান্য সরকারি ছুটি যেমন ঈদ, পূজো এসব সময় ও বন্ধ থাকে। যাই হোক। দিনের প্রথম প্রহরে সোজা চলে যাবেন গাবতলি। গাবতলি বিভিন্ন ভাবে যেতে পারেন। চাইলে সদরঘাট থেকে একটা নৌকা নিয়ে ও চলে আসতে পারেন। গাবতলি তে এসবি লিংক এর ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায়। ডাইরেক্ট মানে কিন্তু সিটিং সার্ভিস না। ডাইরেক্ট মানে ইনারা সোজা রাস্তায় বালিয়াটি বুঝিয়েছেন। ভয়ানক লোকাল জিনিস।
এই এসবি লিংক এ সোজা চলে যেতে পারেন সাটুরিয়া/বালিয়াটি। তবে আমার মতে বালিয়াটি যাওয়াটাই ভাল। বালিয়াটি যেতে খরচ পড়বে জনপ্রতি ৮০ টাকা। বালিয়াটি থেকে ৫ টাকা করে ভ্যানে যাওয়া যায়। অথবা রিক্সা ১০ টাকা। আর সাটুরিয়া থেকে রিক্সা বা ভ্যানে ১৫/২০ টাকা নেয়।
জমিদারবাড়ির আসেপাশে ছোটখাট খাওয়ার দোকান আছে ওখানে দুপরের লাঞ্চ করতে পারেন। তবে পাটুরিয়া জমিদারবাড়ি দেখতে গিয়ে ওখানে লাঞ্চ করলেই ভাল। ওদিকের দোকান গুলো এদিকের তুলনায় মোটামুটি খারাপ না।
জমিদারবাড়িতে ঢুকতে ২০ টাকা করে দিতে হয়।
প্রবেশের পর ই চারটি সারিবদ্ধ বিশাল প্রাসাদ দেখা যায়। এর মধ্যে একটি তে জাদুঘর। পিছনে বাড়িগূলোর অন্দরমহল এবং বিশাল দিঘী দেখে সত্যি ই মনে হবে আসা সার্থক।
জমিদার বাড়ি ভ্রমণ শেষ হলে চলে যেতে পারেন পাকুটিয়া। বাস এ অথবা সিএনজি তে যেতে পারেন। সি এন জি তে লোকাল ২০ করে নেয়।
পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি তে কোন টিকেট লাগে না। ওখানের স্থাপনা শৈলী দেখে আপনি সত্যি ই আশ্চর্য হবেন।
এরপর ওখান থেকেই ডাইরেক্ট এসবি লিংক ৯০ করে ডাইরেক্ট ঢাকা পৌছে দেয়।
সময়: এটা নির্ভর জ্যামের উপর। প্রায় ৩ ঘন্টা লাগে আসতে।
সব শেষে একটা সুন্দর স্মৃতি আপনাকে আগামী ব্যাস্ততম দিন গুলোতে আলাদা একটা প্রশান্তি যোগাবে।