ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম এবং সম্ভাবনাময় ২০৪০ সাল

Author Topic: ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম এবং সম্ভাবনাময় ২০৪০ সাল  (Read 923 times)

Offline sanzid.swe

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 54
  • Hi, this is Sanzid, learning to learn!
    • View Profile
    • Sanzid's Cloud
২০৪০ সাল! ঢাকা শহরের ভাঙ্গুরী পট্ট্রি গুলিস্থান আর আগের মত নাই। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে Tesla, PSA, Toyota, Ubar, Nissan এর মত নামিদামি সব কম্পানিগুলো। গুলিস্থানকে এখন ঢাকা শহরের সিলিকন ভ্যালি বলা চলে..
 
এইসকল কোম্পানির বর্তমান কালের প্রতিটি গাড়ীর পেছনে হলফ করে লেখা থাকে “Certified By BRTA (Bangladesh Road Transport Authority)”। এই গাড়ীগুলোই চিটাগং পোর্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত রপ্তানি হচ্ছে বাইরের দেশগুলোতে…
 
এতদিনে অটো ড্রাইভিং কারগুলো বিশ্বব্যাপী এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে তা বলার মত না! মোশাররফ সাহেবের স্ত্রী তো প্রথম প্রথম বিশ্বাসই করতে পারতেন না এই অটো ড্রাইভিং কারগুলোকে, আস্থা কি রাখবেন? তাই তিনি বেশ কিছুদিন আগের পুরনো গাড়ি নিয়েই যাতায়াত করতেন। পরে অবশ্য পাশের বাসার হালিমা আপাকে দেখে মোটামুটি আস্থা পেয়েছেন..
 
আক্কাস মিয়ার বড় ছেলে আব্বাস আলী গত মাসে তার তিন ছেলে এবং দুই মেয়ের জামাইকে একটা করে অটো ড্রাইভিং কার কিনে দিয়েছেন, যদিও আব্বাস আলী ভূমি-অফিসে চাকুরী করেন! বাংলাদেশে তৈরি হওয়ায় এখন খুব সস্তাতেই গুলিস্থানের আশেপাশের মার্কেটগুলোতে এই গারীগুলো পাওয়া যায়…
কি এর রহস্য???
 
হ্যা, এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে ২০১৭ সালের দিকে ঢাকা শহরে অসহনীয় ট্রাফিক জ্যাম এবং কাঠখোট্ট্রা টাইপের ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম থাকার কারনে! এই ট্রাফিক জ্যামই ছিল বাংলাদেশ সরকারের অপার সম্ভবনাময় একটি ভবিষ্যৎ খাত..
শুনুন তাহলে বিস্তারিত রহস্য-
 
২০৩০ সালের দিকে অটো ড্রাইভিং কারগুলো খুব বেশি বিক্রি করতে পারছিল না আর কম্পানিগুলো। সকল কাস্টমারদের একই চাওয়া- গাড়ীগুলো অবশ্যই BRTA সার্টিফাইয়েড হওয়া চাই। আর BRTA রিকগনিশন দিবে তখনই যখন গাড়ীগুলো ঢাকার রাস্তায় ১ কিলোমিটার চলতে পারবে, কোনপ্রকার দুর্ঘটনা ছাড়াই.. :p
 
এরপর থেকে কোম্পানিগুলো তাদের সকল প্রযুক্তি নিয়ে ঢাকায় আসা শুরু করলো এবং ঢাকা শহরে শুরু হয়ে গেল প্রযুক্তির বিপ্লব!
কিন্তু এ-কি! তাদের প্রযুক্তিতে তৈরি করা গাড়ীগুলো ঢাকার রাস্তায় নামানোর পর থেকেই মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে থাকলো! ঢাকাতে মাত্র একটা সিগনাল পার হতেই প্রতিবার দুর্ঘটনা করে বসে গাড়ীগুলো..

 
একবার তো ২৭ নাম্বারে পানির নিচে ডুবে গিয়ে একটা গাড়ির জিপিএস ট্র্যাকিং-ই হারিয়ে ফেললো। আরেকবার রাস্তার মাঝখানে একটা মেনহোলের ঢাকনা না থাকায় সঙ্গেসঙ্গে গাড়ীটি তার সার্ভারকে খবর পাঠালো, তাকে নাকি পানামা খালের দিকে ধাওয়া করা হয়েছে!
তাদের পুরো সিস্টেমের এক্সপেরিয়েন্স চেঞ্জ হয়ে গেল.. শুরু করলো তাদের তাদের সিস্টেম নিয়ে নতুন করে সব গবেষনা। কোম্পানিগুলোর সায়েন্টিস্ট এবং কর্মীদের ঘুম হারাম, প্রতিনিয়ত চিন্তা করে যাচ্ছে কিভাবে তাদের সিস্টেমকে ঢাকার উপযোগী করে তৈরি করা যায়..
এরপর রীতিমত একাধিক গবেষণা কেন্দ্র খুলে ফেললো বাংলাদেশে এবং এটিই হয়ে গেল তাদের প্রোডাকশনের মূল কেন্দ্র, যেখানে গাড়ী চালিয়ে পরীক্ষা না করলে কোন কাস্টমারই সেই অটো ড্রাইভিং কারের উপরই আর আস্থা রাখতে পারছেন না!
 
এটিই ২০৪০ সাল! এবং এটিই সেই সোনার বাংলাদেশ, ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম যার জন্য ছিল আশীর্বাদসরূপ এবং সম্ভাবনাময় খাত। 🙂

আমার লেখা মূল পোস্টঃ https://bit.ly/2V5XiNF
_________
Md. Sanzidul Islam
Lecturer, Dept. of SWE
Daffodil International University
Cell: +880 1864007005
Portfolio: https://sanzidscloud.com
102, Shukrabad, Mirpur Road
Dhanmondi, Dhaka- 1207