ই-স্পোর্টস কী?
ইলেক্ট্রনিক স্পোর্টস বা সংক্ষেপে ই-স্পোর্টস দিয়ে বোঝায় হয় একটি সুন্দর গুছানো টুর্নামেন্টকে, যেখানে বাস্তব খেলার প্রতিযোগিতার বদলে হয় অনলাইন গেমগুলোর প্রতিযোগিতা। অনেকটা টেনিস বা গলফের মতোই, শুধু এখানে অনেক জনপ্রিয় গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেরা প্লেয়ারদের নিয়ে নিজস্ব একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। পুরস্কার হিসেবে থাকে আকর্ষণীয় প্রাইজমানি আর জনপ্রিয়তা। ছোট স্থানীয় টুর্নামেন্ট থেকে হতে পারে তা স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষের সামনে। জনপ্রিয় গেমিং টাইটলগুলোর মধ্যে রয়েছে League of Legends, Fortnite, CS:GO, Overwatch, Call of duty, Madden NFL, FIFA ইত্যাদি। এই গেমগুলোর যেমন রয়েছে লাখ লাখ ফ্যানবেজ, তেমনি স্ট্রিমিং এর কল্যাণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর পরিসর।
ইতিহাস এবং জনপ্রিয়তার কারণ
যদিও এটি আধুনিক যুগের একটি সৃষ্টি এবং সাম্প্রতিক সময়ে এসে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কিন্তু শুরুটা হয়েছিল অনেক আগেই। ৭০ দশক থেকে এর শুরু বলে ধারণা করা হয়। ১৯৭২ সালে স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্পেস ওয়ার গেমের একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। যার পুরস্কার হিসেবে থাকে এক বছরের রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন এর সাবস্ক্রিপশন।
সফলভাবে ভিডিও গেমের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় আশির দশকে। দশ হাজার অংশগ্রহণকারী নিয়ে আয়োজন করা হয় স্পেস ইনভেডার চ্যাম্পিয়নশিপ। একে অপরকে পরাজিত করে জনপ্রিয়তার শেকড় তৈরি এখানে থেকেই।
ই-স্পোর্টসে ক্যারিয়ার
আমাদের দেশে এটি সম্পূর্ণভাবে নতুন হলেও বিভিন্ন দেশে ই-স্পোর্টসকে অনেকেই পেশা হিসেবে তৈরি করে নিয়েছেন। অনলাইন গেমিং-এ যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে, যার ফলে প্রতিযোগীর সংখ্যা হয় বিশাল মাপের। এখানে ভালো করতে হলে প্রয়োজন প্রচুর সময় এবং প্রত্যয়। আর ভালো একটি গেমিং ডিভাইস কিনতে বা তৈরি করতে ভালো অর্থেরও প্রয়োজন। যদি আপনার অর্থ এবং সময় থেকে থাকে তাহলে টুইচ স্ট্রিম দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার যাত্রা। বিভিন্ন লোকাল গেমিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে হতে পারেন বিশ্বমানের একজন গেমার।
কেমন অর্থ উপার্জন হবে এটা নির্ভর করে গেম এবং টুর্নামেন্টের উপর। এছাড়া সাধারণত ইউটিউব থেকে স্ট্রিমিং এর মাধ্যমেও গ্রহণযোগ্য অর্থ উপার্জন সম্ভব।
[collected]