ছোটবেলার কথা। টেলিভিশন না পেপার মনে নাই। কোনটাতে যেন প্রচার হতে দেখতাম - দেশের অন্ততঃ ২৫% এলাকাতে বনভূমি থাকতে হবে। না হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য থাকবে না।
ভাবতেছিলাম ম্যাপ বের করে দেখি - বর্তমানে দেশের কত অংশে বনভূমি আছে?
গুগুলে লিখলাম Forest percentage in Bangladesh 2020.
উত্তর আসলো ১১.১% (জাতিসংঘ, এফ এ ও এর রিপোর্ট অনুযায়ী।)
সেখানে আরো লেখা আছে ৩৩% বনভূমির প্রয়োজনীয়তার কথা।
ছোটবেলায় যখন ঢাকার বাইরে যেতাম গাবতলী ও আমিন বাজার পার হলেই দুইপাশে দেখা যেত ক্ষেত খামার ও গাছপালা। আমরা সকাল ১১টায় গাবতলী থেকে রওনা দিয়ে ১টার আগেই আরিচা পৌছে যেতাম। পথে শুধু সাভারে স্মৃতি সৌধে আসলে বুঝা যেত কতদূর এসেছি। এছাড়াও দুইপাশে দেখা যেত শালবন। সেই শালবনে কয়েকবার পিকনিকেও গিয়েছি। সেগুলো এখন আর নাই।
এছাড়াও ঢাকার ভিতরেও ছিল অনেক মাঠ ও খালি জায়গা। যেখানে আমাদের মত ছোটরা খেলা ধুলা করতো। এখনও মনে আছে মোহাম্মাদপুরে যখন থাকতাম আসেপাশের কিছু রাস্তা এতো নির্জন ছিল যে দিনের বেলাতেও আমরা ছোটরা একাএকা হেটে যেতে ভয় পেতাম।
তখন বাসার জানালায় দাঁড়ালেই উপরে দেখা যেত বিশাল আকাশ। ঢাকার বাসাতে বসেই সারারাত শুনতাম ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
গাছপালা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ শুধু মনোমুগ্ধকর তাই নয়। আমাদের শারীরিক ও মানুষিক অবস্থাও এর সাথে উঠানামা করে।
এখন এই ঢাকা দেখি আর ভাবি।
আমরা বহু আগেই ঢাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি।
পঙ্গপাল গাছপালা - শস্য সব খেয়ে ফেলে। পঙ্গপাল হল ভয়ংকর একটি প্রাণী। আগুন দেখলে এরা ঝাপিয়ে পড়ে। যদিও জানে যে এতে তাদের মৃত্যু অনিবার্য।
আমরা ঢাকার মানুষেরা প্রকৃৃতির কাছে পঙ্গপালের থেকেও অনেক ভয়ংকর রূপে দেখা দিয়েছি - তা কি আমরা জানি?