করোনাভাইরাসের কোপে ভারতে ডলারের বিপরীতে রুপির বড় দরপতন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে রুপির দর কমেছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ১৬৩ পয়সা। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার লেনদেন শেষে ১ ডলার সমান ৭৩ দশমিক ৮৭ রুপি হয়। এর মধ্য দিয়ে ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে রুপি।
শুক্রবার লেনদেনের একপর্যায়ে ১ ডলার সমান ৭৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়সায় দাঁড়ায়। তবে পরে কিছুটা ঘুরে ১ ডলার সমান ৭৩ দশমিক ৮৭ রুপি হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর যা রুপির সর্বনিম্ন দর।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপে ভারতের আর্থিক বাজারে নেতিবাচক অবস্থা অব্যাহত থাকবে। এতে রুপির দাম রেকর্ড নিচে নেমে যেতে পারে।
শুধু মুদ্রাবাজার নয়, পুঁজিবাজারেও করোনাভাইরাসের প্রভাব বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে ভারতের পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক সেনসেক্সের দর কমে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অপর সূচক এনএসই নিফটি কমে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
তবে কেবল ভারত নয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারগুলোয় ধস নেমেছে। গত সপ্তাহের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে ডাও জোন্স সূচক কমে ৮ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শুক্রবার কমে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০০৮ সালের পর একক দিনে সবচেয়ে বড় দরপতন। প্রতি ব্যারেলের দাম হয়েছে ৪৫ দশমিক ২৭ ডলার। ২০১৭ সালের জুনের পর সর্বনিম্ন দাম এটি। তবে সাধারণত অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে রুপি লাভবান হয়।
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) জানিয়েছে, তারা বিশ্ব ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আর্থিক বাজারকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রুপির অস্থিরতা কাটাতে আরবিআইয়ের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে।