করোনাভাইরাস: চিকিৎসকদের সাবধানতাও জরুরি

Author Topic: করোনাভাইরাস: চিকিৎসকদের সাবধানতাও জরুরি  (Read 765 times)

Offline Shamim Ansary

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 3735
  • Change Yourself, the whole will be changed
    • View Profile
সমগ্র পৃথিবীতে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুুষের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সাবধান হওয়া জরুরি। চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট কর্মীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। চীনের উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় প্রথম দিকে (জানুয়ারি মাস) চিকিৎসক ও নার্সদের পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা ছিল না। কারণ, রোগের ধরন এবং কীভাবে তা ছড়ায়, সেগুলো জানা ছিল না। পিকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক উ দং মনে করেন, চীনের মতো একই ভুল ইউরোপও করছে। সবাইকে বুঝতে হবে যে চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রক্ষা করা খুব প্রয়োজন।

চীনের উহানে গত জানুয়ারিতে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ওই সময় হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।

উ দং বলেন, ‘আমাদের ইউরোপীয় সহকর্মীরা তাঁদের নিয়মিত প্র্যাকটিসের অংশ হিসেবেই নতুন করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসছেন। পরিস্থিতিটা ঠিক উহানের প্রথম দিককার মতোই। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করার প্রয়োজন আছে।’

এখন ইউরোপে নতুন করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মহামারির কেন্দ্রস্থল হিসেবে ইউরোপকে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু এই রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ইউরোপ-আমেরিকাজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে সুরক্ষাবস্তুর অভাব প্রকট হচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে না মাস্কসহ নানা জিনিস। ফলে রোগটি আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। যেমন উহানে নাক, কান, গলা ও চোখের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেশি দেখা গেছে।

পিকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) পরিচালক দু বিন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, রোগীদের সবচেয়ে কাছাকাছি যাচ্ছেন এই চিকিৎসকেরা। এ কারণেই তাঁরা খুব সহজেই আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিকিৎসকদের রক্ষা করতে, তাঁদের এ বিষয়ে জানানো প্রয়োজন এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।’

বর্তমানে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ধীর হয়ে এসেছে। তবে ইউরোপ ও আমেরিকায় এর সংক্রমণ বাড়ছে। চীনের পর ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেশি। সে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত মানুষের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃত মানুষের সংখ্যা এখন পর্যন্ত আট হাজারের বেশি। ইউরোপে পর্যটক ঢোকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।


Source: https://www.prothomalo.com/international/article/1645605/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF
"Many thanks to Allah who gave us life after having given us death and (our) final return (on the Day of Qiyaamah (Judgement)) is to Him"