করোনা ঠেকাতে ২০ ভ্যাকসিন

Author Topic: করোনা ঠেকাতে ২০ ভ্যাকসিন  (Read 990 times)

Offline Mrs.Anjuara Khanom

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 484
  • Test
    • View Profile
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনাভাইরাস ঠেকাতে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২০টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আবিষ্কৃত হবে কভিড-১৯ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে নতুন করোনাভাইরাসের ২০টি ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। এটিও এক ধরনের রেকর্ড। এত কম সময়ে আগে কখনো কোনো রোগের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা যায়নি। কভিড-১৯-এর জিন সিকোয়েন্স তৈরির মাত্র ৬০ দিনের মাথায় এসব ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ-ও বলে দিয়েছে, জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী ওষুধ বানাতে আরও অনেক পথ পার হতে হবে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গবেষণা শেষে একটি নিরাপদ ওষুধ তৈরি করতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

রাশিয়ার ৬ ওষুধ আবিষ্কার : জাপান, চীন, কিউবার পর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেকদূর এগিয়েছেন রুশ বিজ্ঞানীরা। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন গতকাল জানিয়েছেন, দেশটির ডাক্তাররা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ছয়টি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন তারা। এখন এসব ওষুধের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দেশের গবেষকরা এগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে আবিষ্কার করেছেন। এক্ষেত্রে আধুনিক বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতেই এ ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস নিরাময়ে কাজ করবে।
চীনে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ : চীন করোনাভাইরাসের টিকা পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া শুরু করেছে। গত শুক্রবার চীনা স্বেচ্ছাসেবীদেরকে কভিড-১৯-এর টিকা দেওয়া হয়েছে। চীনের সামরিক বিজ্ঞানীরা এ টিকা তৈরি করেছেন বলে দেশটির সংবাদ মাধ্যম গতকাল জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, চীনা স্বেচ্ছাসেবীদের প্রথম দলের সবাই উহানের অধিবাসী এবং তাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০। প্রথম দলকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতি ভাগে ৩৬ জন করে সদস্য রয়েছেন। টিকা দেওয়ার পর ১৪ দিন তাদের সঙ্গরুদ্ধ বা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এরপর টিকার জন্য তাদের শরীরে কোনো খারাপ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কিনা তা নির্ণয়ের জন্য গবেষকরা ছয় মাস তাদের ওপর নজর রাখবেন। উল্লেখ্য, চীনা গণমুক্তি ফৌজ সামরিক চিকিৎসা একাডেমির একটি গবেষণা দল এ টিকা বের করেছেন। গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন জৈব হুমকি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চেন উই। ইবোলার টিকা তৈরির সফলতারভিত্তিতে কভিড-১৯-এর টিকা তৈরির কাজ করা হয়। এ জন্য স্থানীয় কয়েকটি কোম্পানির সহায়তা নেওয়া হয়েছে।

Source: https://www.bd-pratidin.com/first-page/2020/03/22/513028
Mrs, Anjuara Khanom
Library Assistant Officer,
Daffodil International University
DSC Campus
02224441833/34