তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি ঘিরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সিঁড়িতে উঠতেই এমন এক দুর্যোগ ও দুর্বিপাক, কোভিড-১৯ মুহুর্তেই আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে, কিন্তু সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে অনেক, আমাদেকে তা জানতে হবে ও শিখতেও হবে।
আমার দৃষ্টিতে আমাদের উন্নয়নে দরকার নিম্নের ৭টি গুনঃ
১। আত্ম সচেতনতা থেকে ব্যক্তি এবং ব্যক্তি থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সচেতনতা,
২। চিন্তা চেতনায় আরো উদারতা ও সচ্ছতা,
৩। স্রষ্টার প্রতি নিবিড় বিশ্বাস ও কৃতজ্ঞতাবোধ,
৪। যুগপৎ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আবিষ্কার ও সঠিক ব্যবহার,
৫। মানব সেবার ব্রত মেনে কারোর ক্ষতি সাধন না করা,
৬। ষড় রিপূর কুপ্রবৃত্তি থেকে দুরে থাকা ও
৭। অর্পিত দায়িত্বে সৎ, নিষ্ঠাবান, ন্যায়পরায়ণ ও কর্তৃপক্ষের প্রতি সদা আনুগত্যশীল থাকা।
আমরা কেউ জানিনা বিনাশী করোনার আয়ুষ্কাল কত বা আর কীইবা করে যেতে চায় সে? আমিতো মনে করি এটি আমাদের ঈমানের এক অগ্নি পরীক্ষা। আমাদের হেরে যাওয়াতো পরকালের অঙ্গার হওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া। আমরা এ পরীক্ষায় জয়ী হবোই, কিছুতেই হারবো না ইন শা আল্লাহ।
যদি এটি আরো প্রলম্বিত হয়, আমি মনে করি আমাদের নিম্নের কয়েকটি বিষয়ে যত্নবান হওয়া উচিৎ হবেঃ
১। অনলাইন শিক্ষা ও কর্ম সেবা জোরদার করা
২। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করা,
৩। আমাদের সেবার গতি আরো বাড়ানো,
৪। তথ্য ও প্রযুক্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গকে কর্মের তৎপরতা বৃদ্ধি করা,
৫। কম লোকবল কাঠামোয় নিজেদের সন্তুষ্ট থাকা,
৬। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মনিটরিং, মটিভেষন ও সকলের সমন্বয় সাধনে গুরুত্ব প্রদান করা,
৭। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে শিক্ষণ ও শিখণ ফল তৈরি করে তা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত শিক্ষা সহায়ক উপাদান মজুত রাখা,
৮। শ্রেণি কার্যসূচী অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষককে নিয়মিত দূর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া,
৯। হিসাব বিভাককে নিয়মিত অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে অনলাইনে লেন দেন সুন্দর করা, এক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির সফটওয়ার প্রয়োজন,
১০। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবশ্যই সহকর্মীদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা।
এছাড়াও আর যা কিছু আছে তার জন্য ড্যাফোডিল বেশ সম্মৃদ্ধ।
১১। ফাইনালী, আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা।
আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের সামনে আগত ও অনাগত সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে পারবো বলে আমার আন্তরিক বিশ্বাস। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ড্যাফোডিলকে রক্ষা করুক ও উত্তরোত্তর স্মসম্মৃদ্ধি দান করুক!
মাহমুদ,
পক্ষে, ডি আই এস, ঢাকা।