করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষজ্ঞদের তথ্য ও পরামর্শ-০১

Author Topic: করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষজ্ঞদের তথ্য ও পরামর্শ-০১  (Read 883 times)

Offline Md. Siddiqul Alam (Reza)

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 253
    • View Profile
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই টিভি, সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য ও পরামর্শ জানতে পারছি। করোনাভাইরাস নিয়ে ব্র্যাকের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রধানেরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর, তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।


তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সবার কি করোনা পরীক্ষা করার দরকার আছে? অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘সবার ঢালাওভাবে করোনা পরীক্ষা করানোর দরকার নেই। যাঁর লক্ষণ নেই বা বিদেশফেরত নন বা বিদেশ থেকে এসেছেন, এমন কারও সংস্পর্শে আসেননি, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানোর কোনো দরকার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হলে আগে লক্ষণ যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর হতে হবে। পরীক্ষার জন্য মুখের লালা স্যাম্পল হিসেবে নিতে হয়। যাঁর কাশিই হয়নি, তাঁর তো স্যাম্পলই নেওয়া যাবে না, পরীক্ষা করলেও কিছু পাওয়া যাবে না।’ তাহলে পরীক্ষা কারা করাবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন বা বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। এসেই জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছেন, তখন তাঁরা পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।’ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, অন্য জ্বরের সঙ্গে করোনার লক্ষণের পার্থক্য কোথায়? তিনি বলেন, ‘করোনার লক্ষণের মধ্যে পড়ে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা একটু বেশি জটিল হলে নিউমোনিয়া ইত্যাদি। কিন্তু সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির সঙ্গে শুধু লক্ষণ দেখে বলা যাবে না যে এটাই করোনাভাইরাস বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়। পরীক্ষা না করিয়ে কোনোভাবেই সেটা বলা যাবে না।’

করোনাভাইরাস নিয়ে চিকিৎসকদের করণীয় সম্পর্কেও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সন্দেহ হলে আইইডিসিআরে যোগাযোগ করতে হবে, হটলাইন নম্বর আছে, সেখানেও যোগাযোগ করতে পারবেন। আর চিকিৎসকদের অবশ্যই রোগীকে চিকিৎসা দিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে যেমন গাউন পরা, মাস্ক, মাথার টুপি, হাতের গ্লাভস পরে নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হবে, রোগীকে অবহেলা করা যাবে না। সঙ্গে নিজের সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে।’

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় করোনাভাইরাসে শিশুরা কি কম আক্রান্ত হয়? তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী শিশুদের আক্রান্তের হার কম। করোনাভাইরাসে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ৪০ বছরের ওপরে। তবে শিশুরা যে একদম আক্রান্ত হবেই না, সেটা বলা যায় না। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে তাপমাত্রার কি কোনো সম্পর্ক আছে? তিনি বলেন, ‘আগে ভাবা হতো শীতকালে ঠান্ডা-সর্দি বেশি লাগে। দক্ষিণ চীনে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ হলো, তখন সেখানে তাপমাত্রা কম ছিল। এরপর সিঙ্গাপুর, মিডল ইস্ট, সৌদি আরবেও করোনার প্রকোপ হলো, যেসব দেশে তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাই তাপমাত্রা বেশি থাকলে করোনাভাইরাস ছড়াবে না, সেটা ভেবে বসে থাকলে হবে না। প্রতিরোধের জন্য নিয়ম মেনে চলতে হবে।’

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। নিজে সতর্ক থাকুন এবং অন্যকেও জানান।

https://www.prothomalo.com/life-style/artic
MD. SIDDIQUL ALAM (REZA)
Senior Assistant Director
(Counseling & Admission)
Employee ID: 710000295
Daffodil International University
Cell: 01713493050, 48111639, 9128705 Ext-555
Email: counselor@daffodilvarsity.edu.bd