করোনা ভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসা করবে রোবট!

Author Topic: করোনা ভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসা করবে রোবট!  (Read 864 times)

Offline Md. Sumon-ul Islam

  • Newbie
  • *
  • Posts: 43
  • Test
    • View Profile
    • Md. Sumon-ul Islam
মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে রোগীদের কাছে গিয়ে যখন চিকিৎসা করা দায়, সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে রোবট চিকিৎসক বানিয়েছেন দেশের একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী।

‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল’ নামে এ রোবট মানুষের শরীরের তাপমাত্রা, হার্টবিট, অক্সিজেনের পরিমাণ ও রক্তচাপ পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে। এছাড়া চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে রোবটটি কাজ করতে সক্ষম বলে দাবি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাঁচ শিক্ষার্থী।

১৫ বছর আগে দেশের কয়েকটি পলিটেকনিকে ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগ খুললেও এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় রোবট চিকিৎসক বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তারা।

ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) আবুল কাশেমের সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, আনাসুর রহমান, মীর আমিন, মেহেদী হাসান ও ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মোন্নাফ ‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল’ রোবটটি বানিয়েছেন।

আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, রোবটটিতে বি.পি মনিটর, ই.সি.জি সেন্সর, পালস অক্সিমেটরি সেন্সর, জি.সি.ইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার যুক্ত করে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে। আর চলাফেরার জন্য ক্যামেরা ও আল্ট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে।

রোবট নিয়ন্ত্রণে স্থাপন করা হয়েছে রেসবেরি পাই (Raspberry Pi), আরডোইনো মেগা (Arduino Mega) ও আরডোইনো ইউএনও (Arduino UNO)। সালাম দেওয়াসহ দেশের নাম, জাতির জনকের নাম ও প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারে এ রোবট।
রোবট নির্মাতাদের পক্ষ হতে জানানো হয় হাসপাতালে ডাক্তার না থাকলেও এ রোবট যেন চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে সেজন্য এটিকে আরও আধুনিক ও উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নির্মাতারা দাবি করেন, কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে কেউ না গেলেও রোবটটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে তার শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, হার্টবিট ও অক্সিজেনের পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবে। একই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করতে পারবে।

আবুল কাশেম বলেন, রোবটটির নির্মাণ ব্যয় মাত্র ৫০ হাজার টাকা। তবে সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে রোবটটি আরও উন্নত করে তৈরি করা যাবে।
রোবটটি মাদকাসক্ত কাউকে শনাক্ত করতে এবং আগুন লাগার খবর দিতে রোবটটিতে নতুন ফিচার হিসেবে অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও ফায়ার অ্যালার্ম যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও রোবটটি যেকোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপস তৈরির কাজও করছে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।

আবুল কাশেম বলেন, বিশ্বব্যাপী যখন করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছে, তখন মানবরূপী চিকিৎসকের বিকল্প হতে পারে এই রোবট। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এরকম রোগীদের চিকিৎসায় এ ধরণের রোবট তৈরি করে ব্যবহার করা যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগর ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খান বাংলানিউজকে  জানান, এ প্রজেক্টটি তারা কারিগরি শিক্ষা বিভাগে উন্থাপন করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়।

সূত্রঃ https://www.banglanews24.com/health/news/bd/773528.details
Md.Sumon-ul Islam
BSc in Computer Science & Engineering 
Daffodil International University

Offline Md. Sumon-ul Islam

  • Newbie
  • *
  • Posts: 43
  • Test
    • View Profile
    • Md. Sumon-ul Islam
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে হিরো হতে পারে রোবটঃ

রোবটকে এতকাল চাকরিচ্যুতির কারণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্ষমতাধর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। কিন্তু এ মারাত্মক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন, কার্যকর ও সংক্রমণবিরোধী চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্ভরযোগ্যতা অর্জন করছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

চীনের যে উহান শহরে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হয়েছিল, সেখানকার একটি হাসপাতালে রোগীদের দেখানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে একদল রোবট। সেখানে রোগীর খাবার দেওয়া, তাপমাত্রা মাপা বা যোগাযোগের মতো কাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন একটি রোবটের নাম ক্লাউড জিঞ্জার। এটি তৈরি করেছে ক্লাউড মাইন্ডস। বেইজিং ও ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

রোবটকে এতকাল চাকরিচ্যুতির কারণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্ষমতাধর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। কিন্তু এ মারাত্মক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন, কার্যকর ও সংক্রমণবিরোধী চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্ভরযোগ্যতা অর্জন করছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

চীনের যে উহান শহরে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হয়েছিল, সেখানকার একটি হাসপাতালে রোগীদের দেখানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে একদল রোবট। সেখানে রোগীর খাবার দেওয়া, তাপমাত্রা মাপা বা যোগাযোগের মতো কাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন একটি রোবটের নাম ক্লাউড জিঞ্জার। এটি তৈরি করেছে ক্লাউড মাইন্ডস। বেইজিং ও ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।


ক্লাউড মাইন্ডসের প্রেসিডেন্ট কার্ল ঝাও মানুষসদৃশ রোবট তৈরি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি দরকারি তথ্য দিতে পারে, কথোপকথন চালাতে পারে, নেচে বিনোদন দিতে পারে এবং ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। স্মার্ট ফিল্ড হাসপাতালের পুরোটাই রোবট দিয়ে পরিচালনা করা হয়। ছোট একটি মেডিকেল টিম দূর থেকে ফিল্ড হাসপাতালের রোবটগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। রোগীদের এ ক্ষেত্রে হাতে বিশেষ ব্যান্ড পরতে হয়, যা থেকে রক্তচাপসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ছোট্ট এ ক্লিনিকে মাত্র কয়েক দিন রোগীকে রাখা হয়। তবে ভবিষ্যতে সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করে কীভাবে রোগী ব্যবস্থাপনা করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে এটি ধারণা দেবে।

থাইল্যান্ড, ইসরায়েলসহ আরও কয়েকটি দেশের কিছু হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় রোবটের ব্যবহার হতে দেখা যায়। ভিডিও কনফারেন্সের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে রোবট। এর বাইরে কিছু প্রচলিত পরীক্ষাও করে থাকে রোবট চিকিৎসক।

সিঙ্গাপুরের আলেকজান্দ্রা হাসপাতালে ‘বিমপ্রো’ নামের একটি রোবট ব্যবহৃত হতে পারে, যা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীকে খাবার ও ওষুধ দেবে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগে রোবট ব্যবহারের কথা ভাবছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর ঘরের বাইরে থেকে কম্পিউটার ব্যবহার করে রোবট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী। স্ক্রিন ও ক্যামেরা ব্যবহার করে দূর থেকেই কথোপকথন চালানো যাবে।

আলেকজান্দ্রা হাসপাতালের হেলথ ইনোভেশন পরিচালক আলেকজান্ডার ওয়াইপ বলেন, রোবট ব্যবহার করলে আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিকে স্পর্শের সংখ্যা কমানো যায়। এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি কমে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, রোবট বা যন্ত্র ব্যবহার করে ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি স্ক্যান করে দেখা যেতে পারে।

এর বাইরে হাসপাতালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার ছড়ানো ঠেকাতে বিভিন্ন হল, দরজার হাতলসহ নানা কাজে রোবটের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ঘর জীবাণুমুক্তকরণ রোবটের চাহিদা বাড়ার কথা জানিয়েছে। তাদের লাইটস্ট্রাইক রোবট ইতিমধ্যে ৫০০টি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হচ্ছে।

জেনেক্সের মিডিয়া সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক মেলিন্ডা হার্ট বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা অনুরোধ পাচ্ছি। হাসপাতাল ছাড়াও জরুরি সেবাকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, হোটেল, সরকারি সংস্থা ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছ থেকেও অনুরোধ আসছে।

ফ্রান্সের শার্ক রোবোটিকসের পক্ষ থেকেও ফরমাশ বাড়ার কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কনজুমার টেকনোলজি গবেষণার পরিচালক লিজলে রোবাগ বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে রোবোটিক উদ্ভাবনের গতি বেড়েছে। আমরা এমন এক সময়ে আছি, যেখানে এ প্রযুক্তি প্রয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেন্সর ও অন্যান্য সুবিধাযুক্ত রোবটের দাম বেশি হওয়ার কারণ তাতে ইন্টারনেট সুবিধাও থাকে।

অস্ট্রেলিয়ায় ভিড় পর্যবেক্ষণ করতে সেন্সর ও ক্যামেরা যুক্ত ড্রোনের উদ্ভাবন বাড়ছে। সাউথ অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক কানাডার ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ড্রাগনফ্লাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে। মানুষের ভিড় পর্যবেক্ষণ করে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করার কাজে এ ড্রোন ব্যবহার করা হবে। দূর থেকে মানুষের নাড়ির গতি, তাপমাত্রা, হাঁচি-কাশি শনাক্ত করার জন্য কম্পিউটার অ্যালগরিদম তৈরি করছে দলটি।

সূত্রঃ https://www.prothomalo.com/technology/article/1649680/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%9F
Md.Sumon-ul Islam
BSc in Computer Science & Engineering 
Daffodil International University