গাড়ি হল শখের জিনিস। ধনী-গরীব সকলের মনে একটি গাড়ি কেনার স্বপ্ন থাকে, যেটি তারা তাঁদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করবেন। সেই স্বপ্ন অনেকের পূরণ হয়। আবার কারও পূরণ হয়ও না। আজকের প্রতিবেদনে আপনারা জানবেন পৃথিবীর সেরা পাঁচটি গাড়ির গল্প।
ফেরারী মিলেনিয়ো: ফেরারীর এই গাড়িটি দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনি গাড়িটির দামও অনেক বেশি। এটি ফেরারী ব্র্যান্ডের সবচেয়ে দামি ও স্মার্ট গাড়িগুলোর মধ্যে একটি। এই মডেলের মাত্র পাঁচটি গাড়ি পৃথিবীতে আছে। যে সময় গাড়িটি তৈরী করা হয়েছে তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গাড়িটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম গাড়ি হিসেবে ধরা হয়। রেসিংয়ে গাড়িটি কয়েকবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।
বেঞ্জ F015: এটি মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি। গাড়িটির মূল্য ৩০ কোটি টাকা। এই গাড়িটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যার সব জায়গায় বাটনের পরিবর্তে LCD স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটিকে পার্কিং করার কোন প্রয়োজন হয় না। গাড়িটিকে কমান্ড করলেই তা অটোমেটিক পার্ক হয়ে যাবে। কোন পথচারী রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলে গাড়িটি অটোমেটিক থেমে রাস্তা পার হওয়ার জন্য পথচারীকে সময় দিবে। বর্তমানে এই মডেলের ১০টি গাড়ি পৃথিবীতে রয়েছে।
মার্সিডিজ বেঞ্জ সিলভার: মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের এই গাড়িটিতে যে ধরনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা গাড়িটিকে অন্য সব সুপার কারগুলো থেকে আলাদা করেছে। গাড়িটির ডিজাইন অত্যন্ত সুন্দর হওয়ায় হলিউডের সিনেমাগুলোতে গাড়িটি ব্যবহৃত হয়। গতির ঝড় তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে বেঞ্জ সিলভার অন্যতম। গাড়িটি কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনেকে ভাড়া নিয়েও নিজের শখ মেটায়।
ল্যাম্বোরগিনি ফেরেসিয়ো: এই গাড়িটি মার্ক হোসলে নামের একজন ব্যক্তি ডিজাইন করেছেন। এ গাড়িটি তাঁর ডিজাইনের জন্য পুরো পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েছে। গাড়িটির গতি বুলেট ট্রেনের চেয়েও অনেক বেশি। তাছাড়াও ডিজাইনের দিক থেকে গাড়িটিতে কোন কমতি রাখা হয়নি। গাড়িটি চালানোর স্বপ্ন অনেক মানুষেরই থাকে। কিন্তু গাড়িটির দাম অনেক বেশি হওয়ায় শুধুমাত্র উচ্চবিত্তরাই চালানোর সুযোগ পায়।
শেভ্রোলেট এফএনআর: এই কোম্পানির অনেক উন্নতমানের গাড়ি আছে, যেগুলো রেসিংয়ে অনেক ভালো করবে। কিন্তু কোম্পানি গাড়িটিকে রেসিংয়ের জন্য দেয়নি। বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা গাড়িটির মূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।
https://www.natunbarta.com/category/technology/page/4/