সক্রিয় থাকি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাই

Author Topic: সক্রিয় থাকি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাই  (Read 685 times)

Offline Sahadat Hossain

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 368
  • Test
    • View Profile
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ভ্রান্তি রয়েছে। অনেকেই স্ট্রোককে হার্ট অ্যাটাক ভেবে ভুল করেন। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সবার অবশ্যই জানা প্রয়োজন, স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালির রোগ এবং হার্ট অ্যাটাক হৃৎপিণ্ডের রোগ। স্ট্রোক শুধু ব্রেনে হয়, এটা অনেকেই জানেন না। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আর স্ট্রোক হলে ম্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডা. লুবাইনা হকের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী
ডা. লুবাইনা হকের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী
স্ট্রোক বিষয়ে সচেতন করতে ২৯ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। এ উপলক্ষে প্রথম আলো আয়োজন করে এসকেএফ নিবেদিত স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘স্ট্রোক প্রতিরোধ ও পরামর্শ’। অনুষ্ঠানটির তৃতীয় পর্বে ডা. লুবাইনা হকের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী।

অনুষ্ঠানটি ২৯ অক্টোবর প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এ ছাড়া সম্প্রচারিত হয় এসকেএফের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও।

এ বছরের স্ট্রোক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: সক্রিয় থাকি, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাই। তৃতীয় দিনের আলোচনায় সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী গুরুত্ব দেন কী কী কারণে স্ট্রোক হয় বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, সেসব বিষয়ে। তিনি বলেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ। রক্তচাপের রোগী, যাঁরা নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করেন না বা কিছুদিন ওষুধ গ্রহণের পর বন্ধ করে দেন, তাঁদের ঝুঁকি অনেক বেশি। ধূমপান, তামাকপাতা, গুল, জর্দা, মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবন স্ট্রোকের কারণ। অতিরিক্ত টেনশন, হৃদররোগ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তে বেশি মাত্রায় চর্বি বা অতিমাত্রায় কোলেস্টেরলের উপস্থিতি থাকলেও স্ট্রোক হতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত অলস জীবন যাপন করা, বেশি বেশি চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া, স্থূলতা বা অতিরিক্ত মোটা হওয়া, অতিরিক্ত মাত্রায় কোমল পানীয় গ্রহণ এবং অধিক পরিমাণে লবণ খাওয়ার ফলেও এ রোগের ঝুঁকি বাড়ে।


সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী বলেন, স্ট্রোক একটি সাডেন ডিজিজ, অর্থাৎ হঠাৎ করেই মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগের তেমন কোনো পূর্বলক্ষণ নেই। তবে পরিবারের কেউ এ রোগে ভুগলে বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ, হার্টের ভালভে সমস্যা, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, আগে মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকলে আরও বেশি সচেতনতা প্রয়োজন। কেননা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, একবার স্ট্রোক হয়ে গেলে চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল। আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। আর রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়। রোগী যদি খেতে না পারেন, তবে রাইস টিউব দিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী জানান, আমাদের দেশে অনেক রোগীর অভিভাবকেরা রাইস টিউব ব্যবহার পছন্দ করেন না। কিন্তু স্ট্রোকের রোগীর জন্য এটি জরুরি একটি জিনিস। কারণ এ অবস্থায় রোগী খাবার সঠিকভাবে গিলতে পারে না। প্রস্রাব ও পায়খানা যাতে নিয়মিত হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রয়োজনে প্রস্রাবের রাস্তায় ক্যাথেটার দিতে হবে। চোখ, মুখ ও ত্বকের যত্ন নিতে হবে। বেডসোর প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত পাশ ফেরাতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী বলেন, স্ট্রোকের অনেক রোগীর হার্টের রোগ থাকে। এসব ক্ষেত্রে কার্ডিওলজিস্টেরও পরামর্শের প্রয়োজন হয়। অন্য চিকিত্সাও স্ট্রোকের ধরন অনুযায়ী করা হয়। যেমন ইসকেমিক স্ট্রোকের বেলায় অ্যাসপিরিন, ক্লোপিডগ্রিলজাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। রক্তক্ষরণের কারণে স্ট্রোক হলে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। অনেক রোগীর শ্বাসকষ্ট, বেডসোর প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। সুতরাং রেসপিরেটরি মেডিসিন স্পেশালিস্ট, প্লাস্টিক সার্জনসহ সবার সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে। রোগীর অঙ্গ সঞ্চালন করে জড়তা কাটিয়ে তুলতে রিহ্যাবিলিটেশন বা পুনর্বাসনের জন্য ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজন হয়। রোগী কথা বলতে না পারলে প্রয়োজন স্পিচ থেরাপিস্টের সাহায্য প্রয়োজন হয়।

অনুষ্ঠান চলাকালে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমস্যার সমাধান দেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম শাহী। তিনি বলেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে ধূমপান, জর্দা, গুল, মাদক পরিহার করতে হবে। ধূমপান রক্তনালি সংকুচিত করে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস জীবনকে পরিবর্তন করে। স্ট্রোক প্রতিরোধের কার্যকরী পন্থা হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। নিয়ম করে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এবং সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন হাঁটতে হবে।

Ref: https://www.prothomalo.com/life/health/%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87
Md.Sahadat Hossain
Administrative Officer
Office of the Director of Administration
Daffodil Tower(DT)- 4
102/1, Shukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi.
Email: da-office@daffodilvarsity.edu.bd
Cell & WhatsApp: 01847027549 IP: 65379