জাগতিক কর্মকারণের মূল- প্রেম। আর প্রেম-প্রমানের শ্রেষ্ঠ অলংকার ‘কলংঙ্ক,। ‘কলংঙ্ক, ব্যতিত প্রেম-ভোগ-বিলাশের ধারাপট। অনেক ক্ষেত্রেই অসার। প্রেম ভালবাসায় সামাজিক অবস্থানের তার- তম্যে অপবাদ বা ‘কলংঙ্ক-এর জন্ম।
অপবাদ বা কলংক-ই শ্রেষ্ঠ যা পরিশুদ্ধ মানবিক বিকাশে আত্ম-শুদ্ধি বাড়ায়। কিন্তু সমাজ ভিত্তিক এই জাগতিক অপবাদ বা কলংঙ্ক ধারন করার ক্ষমতা সকলের থাকেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‘সহ্য-ধৈর্য্য হীন হয়ে ভুক্তভোগীরা সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করে। ফলে কলংঙ্ক সার শব্দে পরিনত হয়। যা সময় ভেদে ভুক্তভোগীর গোটা জীবন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে এবং ক্রমাগতই অশুদ্ধতার পথে টানে।
চিরন্তন কথা অপবাদ বা কলংক সহিবার শক্তি যার আছে সে শ্রষ্ঠার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ও জাগতিক সৃষ্টিকূলের স্বার্থক প্রাণী। সৃষ্টি জগতে স্থান, কাল ও সমাজ বিচারে অপবাদ বা কলংঙ্ক নারী -পুরুষ উভয়েরই- সমান প্রাপ্য হবার কথা থাকলেও দক্ষিণ-এশিয় অঞ্চলে নারীরাই বেশী ভূক্তভোগী হয়ে থাকেন ।
সাধারনত জাগতিক জাত-বিচারে নারীরাই অসমতল প্রেমযজ্ঞ আলোচনায় বেশী অপবাদ বা কলং- কৃত। যেমন হিন্দু ধর্মে রাধা কলংকীনি, ইসলাম ধর্মে গন্ধম খাওয়ার কারণে হাওয়া কলংকীনি। তবে অশুদ্ধ অঞ্চলগুলো কাম নিম্মর্জ্জিত বিধায় সেখানে অপবাদ বা কলংক অসার, জীবন জীবনের কাছে অর্থহীন নেশার পেয়ালা।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সৃষ্টি তত্ত্বে ‘প্রেম বা লীলাকীর্ত্তণ সৃষ্টি বিচারের মূরলীধারা। আর অপবাদ বা কংলক জীবন পরিমাপের শ্রেষ্ঠ অলংকার।
শ্রষ্টার জাত-বিচারিক সৃষ্টি- নারী এবং পুরুষ। এ ছাড়া অন্য কোন জাত আছে কি না জানা নাই। বলতে দ্বিধা হলেও একটি পুরুষের সারা জীবনের কর্মযজ্ঞ নারী সাধনায় ‘নমঃস্য’। এই নমঃস্যতা মা-ভগ্নী কিংম্বা স্ত্রী-প্রেমিকায় পরি-সমাপ্তি। আজ পর্যন্ত যারা পৃথিবীতে অমর হয়ে আছেন তাদের কর্মযজ্ঞ এমনটাই ইংগিত দেয়।
একথা সত্য যে, কাংঙ্কিত বস্তু না পাওয়া যন্ত্রণা দায়ক। এই যন্ত্রণাই অপবাদ বা কলংক। না পওয়ার যন্ত্রণা অনেককে ভাবায়, আবার অনেক কে হীনমান্যতায় ভোগায়। এই ক্ষেত্রে, হীনমান্যতা অসহিষ্ণু-তার জন্ম দেয় আর ভাবনা মানুষকে মহৎ করে। ভাবনার অন্তরালের বিষ্ণু-বিরহ পরমার্থীকতার গোরাক যোগায়।
এই বিষ্ণু-বিরহ পরমার্থীক ভাবনা নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, সেক্সপেয়াকে অমর করেছে। তাদের কর্মযজ্ঞ জাগতিক অবমূল্যায়নের কারনেই প্রশংসিত’। সৃজন সৃষ্টি কংলক ধারাপদে মহাপ্রাপ্তির পথে বিশুদ্ধ উচ্চারণ।
ইতিহাস বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ইসলাম ধর্মে -জগত বিকাশ আদি মাতা হওয়ার কলংকে, খ্রিষ্টানদের জাতি বিকাশ এ্যাবোলিনের অবৈধ প্রেমের কলংকে, হিন্দুদের লীলাকীর্ত্তণ রাধার প্রেম কলংকে আর বৌদ্ধ ধর্মের ধারাপদাবনতি নারী বিদেষের কারণে ।