যা ঘটেছিল তার জন্য ইবলিস আল্লাহকে দায়ী করেছিল
ইবলিসের যুক্তি ছিল যে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করেছে। সে তার নিজের অবাধ্যতার দোষ স্বীকার না করে উল্টো আল্লাহ তা’আলা কেই দায়ী করে বললো যে, সে পৃথিবীর বিভিন্ন সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করে মানব জাতীকে পথভ্রষ্ট করবে। সে প্রতিজ্ঞা করলো যে, মানবজাতিকে সে বিপথগামী করে তার সাথে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
قَالَ رَبِّ بِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاُزَیِّنَنَّ لَہُمۡ فِی الۡاَرۡضِ وَلَاُغۡوِیَنَّہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ۙ
সে বললঃ হে আমার পলনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথ ভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথ ভ্রষ্ঠ করে দেব। {সূরা আল-হিজর: আয়াত ৩৯}
শয়তান মানুষদের এমন কুবুদ্ধি দেয়, যার জন্য আল্লাহর অবাধ্যতা তাদের কাছে আকর্ষণীয় লাগে। এবং সে যখন-তখন, সামনে-পিছনে, ডানে-বামে থেকে, যে কোনো ভাবেই আমাদেরকে আক্রমণ করতে পারে; শয়তান আমাদের অধিকাংশ মানুষকে প্রভাবিত করে আল্লাহর প্রতি যথাযথ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বার্থ করে দেয়।
قَالَ فَبِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاَقۡعُدَنَّ لَہُمۡ صِرَاطَکَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ - ثُمَّ لَاٰتِیَنَّہُمۡ مِّنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ وَمِنۡ خَلۡفِہِمۡ وَعَنۡ اَیۡمَانِہِمۡ وَعَنۡ شَمَآئِلِہِمۡ ؕ وَلَا تَجِدُ اَکۡثَرَہُمۡ شٰکِرِیۡنَ
সে বললঃ আপনি আমাকে যেমন উদভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্যে আপনার সরল পথে বসে থাকবো। এরপর তাদের কাছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না। {সূরা আল-আরাফ: আয়াত ১৬-১৭}