ঘুম থেকে উঠার পর ৮ করণীয়

Author Topic: ঘুম থেকে উঠার পর ৮ করণীয়  (Read 612 times)

Offline Khan Ehsanul Hoque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 549
  • Test
    • View Profile
ঘুম থেকে উঠার পর ৮ করণীয়
« on: October 19, 2022, 11:04:00 AM »
ঘুম থেকে উঠার পর ৮ করণীয়

শেষরাতে দ্রুত ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করবে। কেননা শেষরাতে দোয়া করার বিশেষ তাগিদ রয়েছে। এটি আল্লাহর কাছে তওবা করার সর্বোত্তম সময়। আল্লাহ তাআলা জান্নাতবাসীদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তারা শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৮)

ভোররাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ থাকে। শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, বরং পার্থিব কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন। ’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, হজরত (রা.)-ও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬)

ঘুম থেকে উঠে মুমিনের করণীয় হলো—

১.   ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম করণীয় হলো, হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা। (বুখারি, হাদিস : ১৮৩)

২.   ঘুম থেকে উঠার দোয়া পড়া। দোয়াটি হলো—

উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। ’

অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত বানানোর পর জীবিত করেছেন। আর তাঁর দিকেই পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)

৩.   আল্লাহর কাছে দোয়া করা : উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাতের ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ করবে :

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। ’

অথবা বলবে, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি—হে আল্লাহ, আপনি আমাকে মাফ করে দিন। ’ কিংবা যেকোনো দোয়া করবে। এই দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি কেউ অজু করে এবং সালাত আদায় করে, তার সালাত কবুল করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫৪)

৪.   আকাশের দিকে তাকিয়ে সুরা আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩)

৫.   মিসওয়াক করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৫)

মিসওয়াক করতে না পারলে ব্রাশ করে নেবে।

৬.   অজু করে নেবে। গোসল ফরজ হলে গোসল করে নেবে।

৭.   সম্ভব হলে শেষরাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করবে। তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলে কুপ্রবৃত্তি দমন ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই দলনে রাত্রিকালীন উত্থান প্রবলতর এবং বাক্স্ফুরণে সঠিক। ’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৬)

৮.   জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করবে।

মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

Source: https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2020/02/24/878196
Khan Ehsanul Hoque

Daffodil International University
01847334702
fd@daffodilvarsity.edu.bd
www.daffodilvarsity.edu.bd