আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এর কতজন পুত্র ও কন্যা সন্তান ছিলেন। হাবিল ও কাবিলের মধ্যে

Author Topic: আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এর কতজন পুত্র ও কন্যা সন্তান ছিলেন। হাবিল ও কাবিলের মধ্যে  (Read 651 times)

Offline Khan Ehsanul Hoque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 549
  • Test
    • View Profile
আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এর কতজন পুত্র ও কন্যা সন্তান ছিলেন। হাবিল ও কাবিলের মধ্যে কে মুসলমান ও কে ইয়াহুদী ছিলেন। তাদের মধ্যে কি ঘটেছিল?

হযরত আদম (আ.)-এর সন্তানের সংখ্যা সম্পর্কে ঐতিহাসিক বর্ণনায় মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়। ইমাম ইবনে জারীর তাবারী (র.) তদীয় ইতিহাস গ্রন্থে হাওয়া (আ.)-এর গর্ভে হযরত আদম (আ.) এর ২০ দফায় চল্লিশজন সন্তানের জন্ম গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। (তারীখে তাবারী-১৮৪, বেদায়া নেহায়া ১/৮৯, আল কামীল ১/৪২)। আর কেউ কেউ একশত কুড়ি দফায় দুইশত চল্লিশ জন সন্তান জন্মলাভের কথা উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য যে, উক্ত আদম সন্তানের অর্ধেক সংখ্যক ছেলে সন্তান অর্ধেক সংখ্যক মেয়ে সন্তান ছিলেন। কেননা প্রতি দফায় একজন ছেলে ও একজন মেয়ে জন্মগ্রহণ করত। সর্বপ্রথম দফায় কাবীল ও তাহার যমজ ভগ্নী একলিমা এবং সর্বশেষ দফায় আবদুল মুগীস ও তদ্বীয় যমজ ভগ্নী উম্মুল মুগীস জন্মগ্রহণ করেন (সীরাত ও বিশ্বকোষ ১/৮০)।
হাবিল ও কাবিলের কেউ ইয়াহুদী ছিলেন না, তারা উভয়ই মুসলমান ছিলেন। আদম সন্তান হাবিল ও কাবিলের মধ্যে বিবাহ সংক্রান্ত যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল তা ছিল একই গর্ভ থেকে যে যমজ পুত্র-কন্যা জন্মগ্রহণ করত তখনকার শরীআতে তারা পরস্পর সহোদর ভ্রাতা ভগ্নী বলে গণ্য হতো ও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম ছিল। তাই আল্লাহ তাআলা প্রয়োজনের খাতিরে এক গর্ভের পুত্র সন্তানের সঙ্গে অন্য গর্ভের কন্যা সন্তানের বিবাহ বৈধ রেখেছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে কাবিলের সহোদরা ভগ্নীটি ছিল পরমাসুন্দরী এবং হাবিলের সহোদরা ছিল কুশ্রী ও কদাকার। বিবাহের সময় হলে নিয়মানুযায়ী হাবিলের কুশ্রী ভগ্নি কাবিলের ভাগে পড়ল। এতে কাবিল অসন্তুষ্ট হয়ে হাবিলের শত্রু হয়ে গেল। সে জেদ ধরল যে, আমার সহোদরা ভগ্নীকেই আমার সঙ্গে বিবাহ দিতে হবে। হযরত আদম (আ.) শরীআতের আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কাবিলের আবদার প্রত্যাখান করলেন। অতঃপর তিনি হাবিল ও কাবিলের মতভেদ দূর করার উদ্দেশ্যে বললেন- তোমরা উভয়েই আল্লাহর জন্য নিজ নিজ কুরবানী পেশ কর। যার কুরবানী গৃহিত হবে সেই উক্ত কন্যার পানি গ্রহণ করবে। হযরত আদম (আ.)-এর নিশ্চিত বিশ্বাস যে, যে সত্য পথে আছে তার কুরবানী গৃহীত হবে। তৎকালে কুরবানী গৃহিত হওয়ার একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন ছিল যে, আকাশ থেকে একটি অগ্নিশিখা এসে কুরবানীকে ভস্মিভ‚ত করে আবার অন্তর্নিহিত হয়ে যেত। যে কুরবানী অগ্নিভস্মিভুত করেনি তাকে প্রত্যাখাত মনে করা হত। হাবিল ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি পালন করতঃ সে একটি উৎকৃষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। কাবিল কৃষিকাজ করত সে কিছু শস্য গম ইত্যাদি কুরবানীর জন্য পেশ করল। অতঃপর নিয়মানুযায়ী আকাশ থেকে অগ্নিশিখা অবতরণ করে হাবিলের কুরবানীটি ভস্মীভুত করে দিল, আর কাবিলের কুরবানী যেমন ছিল তেমনি পড়ে রইল। তখন হাবিলের পক্ষে রায় হয়ে যাওয়াতে কাবিল রাগান্বিত হয়ে হাবিলকে হত্যা করল। ইহাই ছিল পৃথিবীতে সর্বপ্রথম নরহত্যা।

Source: https://tasneembd.org/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%AE/
Khan Ehsanul Hoque

Daffodil International University
01847334702
fd@daffodilvarsity.edu.bd
www.daffodilvarsity.edu.bd