পবিত্র কুরআনে জান্নাতের জন্য অনেকগুলো পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে

Author Topic: পবিত্র কুরআনে জান্নাতের জন্য অনেকগুলো পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে  (Read 581 times)

Offline Khan Ehsanul Hoque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 549
  • Test
    • View Profile
পবিত্র কুরআনে জান্নাতের জন্য অনেকগুলো পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে

পবিত্র কুরআনে জান্নাতের জন্য অনেকগুলো পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নে  সেগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:
১। জান্নাত। কুরআনে এটি ১২০ এর অধিক সংখ্যক বার ব্যবহার করা হয়েছে। এর শব্দগত অর্থ হলো- এমন সুগন্ধী এবং সুমিষ্ট বাগান যা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আপনার বাগানটি শুধু আপনারই জন্য। অন্য কারো এতে প্রবেশাধিকার থাকবে না। এটি এমন কিছু যা শুধুই আপনার জন্য তৈরী করা হয়েছে।
২। দারুস-সালাম। এ নামটি কুরআনে দুইবার এসেছে। সূরা ইউনুসের ২৫ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন - وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَىٰ دَارِ السَّلَامِ - “আল্লাহ দারুস-সালামের দিকে আহ্বান করছেন।” সূরাতুল আনআমের ১২৭ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন - لَهُمْ دَارُ السَّلَامِ عِندَ رَبِّهِمْ - “তাদের জন্য তাদের রবের নিকট রয়েছে দারুস-সালাম।”
এখন, দারুস-সালাম এর অর্থ কী? আরবি 'দার' শব্দের অর্থ- নিবাস, গৃহ, বাসস্থান। এমন জায়গা যেখানে আপনি বাস করেন। আর অবশ্যই এখানে সালাম অর্থ: চূড়ান্ত শান্তির নিবাস। সালাম মানে, ক্ষতির অনুপস্থিতি। সালাম মানে, মন্দের অনুপস্থিতি। সালাম মানে, কষ্টের অনুপস্থিতি। সালাম মানে, ব্যথার অনুপস্থিতি। সালাম মানে, শুধুই শান্তি আর শান্তি। এখানে এটাই সালামের অর্থ।
অতএব শান্তির নিবাস মানে- এমন জমিন যেখানে কক্ষনো কোনোদিন কোনো ধরণের কষ্ট অনুভূত হবে না। কোনো মানসিক কষ্ট, কোনো দুঃখ বা কোনো উদ্বেগ থাকবে না। ভাবতে পারেন? আমাদের এই জীবনে একটি দিনও এমন যায় না, যেদিন আমরা কিছু না কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন না থাকি। কিছু একটা মনের মাঝে অশান্তি তৈরী করে। হয় শারীরিক ব্যথা অথবা মানসিক কষ্ট। এমন কোনো দিন যায় না, যেদিন কোনো একটা অস্থিরতা আমাদের মাথায় এসে জড়ো না হয়। কারণ, এই দুনিয়া শান্তির নিবাস নয়।
জান্নাতে কোনো উদ্বেগ নেই, কোনো দুঃখ নেই। এইজন্যই আল্লাহ্‌ বলেছেন, "লা খাউফুন আলাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহজানুন।" তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং দুঃখও থাকবে না। এই কারণে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন, যখন মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন তারা বলবে, وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ - আর তারা বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। (৩৫:৩৪) দারুস-সালামের মানুষেরা কোনোদিন কোনোকিছু নিয়েই উদ্বিগ্ন হবে না। একেবারে চূড়ান্ত শান্তি। এই জন্যই একে বলা হয় দারুস-সালাম।
৩, ৪ এবং ৫। দারুল-খুলদ, দারুল-কারার এবং দারুল-মুকামা। এসবগুলো একই অর্থের দিকে নির্দেশ করে। আর তা হলো চিরস্থায়িত্ব। তারা সেখানে বসবাস করবে চিরকাল, চিরকাল এবং চিরকাল। এটাই এর অর্থ। এমন বাসস্থান যেখানে মানুষ অন্তকাল ধরে বাস করবে। কখনোই বের করে দেওয়া হবে না। এর কোনো সমাপ্তি নেই।
৬। দারুল আখিরাহ। পরকালের নিবাস। এ পরিভাষাটি কুরআনে প্রায় দশবার এসেছে। সাধারণত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই পৃথিবীর জীবনের সাথে পরকালীন জীবনের তুলনা করার সময় এ পরিভাষাটি ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ যেন বলছেন দুনিয়ার এ জীবন অস্থায়ী; কেন তুমি পরকালের অনন্ত জীবনকে বাদ দিয়ে দুনিয়ার এ অস্থায়ী জীবনকে বেছে নিবে। মূসা (আ) এর সময়কালের এক ধনী ব্যক্তি কারুন ও তার প্রাসাদকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেয়ার পর আল্লাহ বলেন- تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا ۚ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ - "এই পরকালের নিবাস (দারুল আখিরাহ) আমি তাদের জন্যে নির্ধারিত করি, যারা দুনিয়ার বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে ও অনর্থ সৃষ্টি করতে চায় না। খোদাভীরুদের জন্যে শুভ পরিণাম।" (২৮:৮৩) 
৭। জান্নাতুল মা'ওয়া। জান্নাতের অর্থ আমরা আগে বলেছি। আর মা'ওয়া মানে- নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা লাভ করা। এ নামটি কয়েকবার এসেছে। যেমন সূরা আন-নাজিয়াতে এসেছে- وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَىٰ - فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَىٰ "পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, জান্নাত হবে তার মা'ওয়া।" এখানে মা'ওয়া মানে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জায়গা। সূরা আন-নাজমেও এ নামটি এসেছে।
৮। জান্নাতু আদন। আল-কুরআনে এটি দশের অধিকবার এসেছে। বিখ্যাত ভাষাবিদ রাগেব আল-আস্ফাহানীর অভিমতে- আদন মানে অবস্থান করা, মজবুত থাকা। বাইবেলেও এ নামটি এসেছে, গার্ডেন অব ইডেন।
৯। দার-আল-হায়ওয়ান। হায়ওয়ান এর বাসস্থান। যখন আরবি শেখা শুরু করেন, আরবি শেখার একেবারে শুরুতে আপনি জানবেন হায়ওয়ান অর্থ প্রাণী। এমনকি অনেক আরবও এই পরিভাষাটি প্রথমবার শুনলে মনে করে দার-আল-হায়ওয়ান আবার কী? এর অর্থ হলো প্রাণীদের বাসস্থান। কারণ প্রাণীদের বলা হয় হায়ওয়ান।
তাহলে, জান্নাতকে দারুল-হায়ওয়ান বলা হয় কেন? এটি সূরা আনকাবুতের ৬৪ নম্বর আয়াতে এসেছে। আল্লাহ বলেন,  وَإِنَّ الدَّارَ الْآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ - "পরকালের গৃহই প্রকৃত হায়ওয়ান; যদি তারা জানত।" আরবি "হায়ওয়ান" শব্দটি  'হায়াৎ' থেকে এসেছে। আর হায়াৎ মানে জীবন। হায়াৎ মানে জীবন যাপন করা। জান্নাতকে 'দারুল-হায়ওয়ান' বলা হয় কারণ, জান্নাতের জীবনই প্রকৃত জীবন। আমরা এখন যে জীবন পার করছি এটা পরিপূর্ণ জীবন নয়। এটি আংশিক জীবন। আমাদের খেতে হয়, পান করতে হয়, ঘুমাতে হয় এবং আমরা মারা যাবো। এটা চূড়ান্ত জীবন নয়।
জান্নাতে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খেতে এবং পান করতে হবে না। আমরা খাবো এবং পান করবো আনন্দের জন্য। জান্নাতে আমাদের ঘুমাতে হবে না। জান্নাতে কোনো মৃত্যু নেই। সেটাই চূড়ান্ত জীবন। আমরা জান্নাতে জাগ্রত থাকবো। পরিপূর্ণ জীবন হবে জান্নাতের জীবন।
১০। ফিরদাউস। হাদিসে এসেছে এটি জান্নাতের সর্বোচ্চ লেভেল। ফিরদাউস পরিভাষাটি কুরআনে দুইবার এসেছে। সূরাতুল মু'মিনুনের শুরুতে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা ঈমানদারদের কতগুলো বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেন। এরপর আল্লাহ বলেন, যে কেউ এগুলো করতে পারবে - أُولَٰئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ - "তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে।" الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ - "তারা ফিরদাউসের উত্তরাধিকার লাভ করবে, যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে।" (২৩ঃ১০-১১) আল্লাহর বলে দেওয়া এই শর্তগুলো যদি পূরণ করতে পারেন, আপনি জান্নাতুল ফিরদাউসে প্রবেশ করতে পারবেন। সুরাতূল কাহাফের  ১০৭ নাম্বার আয়াতেও ফিরদাউসের কথা এসেছে। 
১১। জান্নাতিন নাইম। কুরআনে এটি একবার এসেছে। নাইম হলো নি'মার বহুবচন। প্রতিটি পবিত্র আশীর্বাদ, আনন্দ এবং সুখকে বলা হয় নি'মা। প্রতিটি আমোদ প্রমোদ যেটা আপনাকে সুখী করে এবং কামনা করেন তাকে বলা হয় নি'মা। আর পরিপূর্ণ আনন্দের নাম হলো নাইম। আল্লাহ একে বলছেন জান্নাতিন নাইম। যত ধরণের আনন্দের কথা আপনি কল্পনা করতে পারেন তা সেখানে পাবেন। এ জন্যকে এটাকে জান্নাতিন নাইম বলা হয়। কারণ এটি হলো আনন্দের উৎস, নিরবচ্ছিন্ন আর বহুসংখ্যক। সব ধরণের পবিত্র আনন্দ সেখানে পাবেন আর তা হবে চিরস্থায়ী।
১২। মাকামিন আমিন। সুরাতুদ দুখানের ৫১ নাম্বার আয়াতে এটি এসেছে। আল্লাহ বলেন-  اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ مَقَامٍ اَمِیۡنٍ - "নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকবে মাকামিন আমিনে।" মাকাম অর্থ- স্থান, মর্যাদা, যেখানে আপনি বাস করবেন। আর এখানে 'আমিন' অর্থ শান্তি। এর মানে এখানে কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। জান্নাতে কোনো যুদ্ধ নেই। জান্নাতে কোনো ক্ষুধা নেই। জান্নাতে কোনো দারিদ্রতা নেই। ঘৃণা নেই। এমন কিছু নেই যা আপনার মনে অশান্তি তৈরি করবে।
১৩। দারুল মুত্তাকিন। সৎ এবং ধার্মিকদের আবাসস্থল, মুত্তাকীদের আবাসস্থল। এটি সুরাতুন নাহালে এসেছে। وَ قِیۡلَ لِلَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا مَاذَاۤ اَنۡزَلَ رَبُّکُمۡ ؕ قَالُوۡا خَیۡرًا ؕ لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوۡا فِیۡ هٰذِهِ الدُّنۡیَا حَسَنَۃٌ ؕ وَ لَدَارُ الۡاٰخِرَۃِ خَیۡرٌ ؕ وَ لَنِعۡمَ دَارُ الۡمُتَّقِیۡنَ - "আর যারা তাকওয়ার অবলম্বন করেছে, তাদের বলা হল, ‘তোমাদের রব কী নাযিল করেছেন’? তারা বলল, ‘কল্যাণ’। যারা এই দুনিয়ায় উত্তম কাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে পুণ্য। আর নিশ্চয় আখিরাতের আবাস উত্তম এবং মুত্তাকীদের আবাসস্থল কতইনা উত্তম! " (১৬:৩০)   
সমস্যা তৈরি করবে, ঝামেলা তৈরি করবে এমন মানুষদের আশেপাশেও কেউ বাস করতে চায় না। আমরা এমন প্রতিবেশী চাই যে আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না। কারণ, এদের কারণে সব মজা নষ্ট হয়ে যায়। আর আল্লাহ বলছেন জান্নাতের সবাই হবে মুত্তাকী। জান্নাতের সবাই হবে সৎ এবং ধার্মিক। আপনাকে এমন কাউকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হবে না যে আপনার ক্ষতি করবে, কষ্ট দিবে বা বিরক্ত করবে। জান্নাতে কোনো গীবত নেই। কেউ কখনো কোনো কষ্টদায়ক শব্দ উচ্চারণ করবে না। কেউ আপনাকে মনঃকষ্ট দিবে না।
তাহলে দারুল মুত্তাকিন হলো- প্রথমে আপনাকে সেখানে যেতে হলে তাকওয়া থাকতে হবে। এরপর সেখানে যাওয়ার পর সমাজের  সবাইকে মুত্তাকী হিসেবে পাবেন।
১৪। আল-হুসনা। সূরা ইউনুসের ২৬ নাম্বার আয়াতে এটি এসেছে।  لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوا الۡحُسۡنٰی وَ زِیَادَۃٌ - "যারা ভালো কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে আল-হুসনা (জান্নাত) এবং আরও বেশি।" আল-হুসনা মানে শ্রেষ্ঠত্ব, সবচেয়ে সেরা। আল-হুসনা মানে সেরাদের সেরা। আরবিতে আল-হুসনা হলো সুপারলেটিভ। জান্নাতকে আল-হুসনা বলার অর্থ হলো- জান্নাতের চেয়ে ভালো কিছু নেই। কোনো কিছুই জান্নাতের চেয়ে উত্তম নয়। এটি আল-হুসনা। কোনো কিছুই আল-হুসনার সাথে প্রতিযোগিতা করে পারে না। যা কিছুই চাইবেন তা সবচেয়ে সেরা আকৃতিতে এবং পারফেক্ট অস্তিত্বে আপনার কাছে হাজির হবে। অতএব, আল-হুসনা হলো পারফেকশনের জগত।
১৫। মাকআদে সিদকিন। সুরাতুল কামারে এটি এসেছে। আল্লাহ বলেন-  اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ نَهَرٍ - "নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে।" فِیۡ مَقۡعَدِ صِدۡقٍ عِنۡدَ مَلِیۡکٍ مُّقۡتَدِرٍ - "মাকআদে সিদকিনে, সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী (আল্লাহ)’র নিকটে।" (৫৪ঃ ৫৪-৫৫)  মাকআদ মানে বিশ্রাম নেয়ার স্থান। আর সিদক মানে সত্য এবং সততা। পুণ্য এবং সততার স্থানে বা আন্তরিকতার স্থানে। এ সবগুলো অর্থই এখানে প্রযোজ্য। কা'আদা মানে বসা। মাকআদ মানে যেখানে আপনি বিশ্রাম নেন।
জান্নাতকে কেন মাকআদে সিদকিন বলা হয়? আমাদের আলেমরা বলেছেন অনেকভাবেই এর উত্তর দেয়া যায়। প্রথমত, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল এই স্থানের সত্য হবার কথা ঘোষণা করেছেন তাই এটা সত্য স্থান। দ্বিতীয়ত, যারা এই সত্য স্থানের সত্যতা বিশ্বাস করেছে একমাত্র তাঁরাই এটা দেখতে পাবে। অন্য কথায়, আমরা এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি তাই আমরা একে দেখতে পাবো। আমরা বিশ্বাস করি যে, সদাকাল্লাহু ওয়া সদাকা রাসুলুহু। অর্থাৎ আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তাঁর রাসূলও সত্য বলেছেন। আর তাই আমরা এই সত্য স্থান দেখতে পাবো। আমরা যখন দেখতে পাবো তখন এটা আমাদের নিকট প্রমাণিত হবে। আর তাই এর নাম মাকআদে সিদকিন।
আরেকটি অর্থ হলো- সৎ এবং ধার্মিক মানুষেরা যারা মিথ্যাকে এড়িয়ে চলে, যারা মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে, যারা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছে একমাত্র তাঁরাই সেখানে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।
শেষ কথাঃ এটি চূড়ান্ত কোনো লিস্ট নয়। কেউ খুঁজলে হয়তো জান্নাতের জন্য আরও গুণবাচক শব্দ পাবে। আমি শুধু জান্নাতের জন্য ব্যবহৃত ইসেম বা বিশেষ্যগুলোর উপর জোর দিয়েছি। আবারো বলছি, কেউ কুরআনে খুঁজে দেখলে হয়তো আরও পরিভাষার সন্ধান পাবে।

— ড. ইয়াসির ক্বাদীর লেকচার অবলম্বনে।

Source: https://www.facebook.com/NAKBangla/
Khan Ehsanul Hoque

Daffodil International University
01847334702
fd@daffodilvarsity.edu.bd
www.daffodilvarsity.edu.bd