ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত !

Author Topic: ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত !  (Read 694 times)

Offline Mohammad Nazrul Islam

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 178
  • Test
    • View Profile
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়  শিক্ষা বিস্তারে একটি বিশ্বস্ত নাম। সর্ম্পূণ একক মালিকানায় ‘জীবন ও জীবিকার অন্বেষায় প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপিঠটি সত্য-নিষ্ঠ পথে, দেশ-বিদেশী জ্ঞান-অন্বেষীদের অনুকরণীয় ও আলোর পথের দিশারী হিসাবে ভূমিকা রেখে চলছে।

আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ শিক্ষা বিতানে বহুলাংশেই সফল।  ৯ই ফ্রেরুয়ারী ২০২৩ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম সমাবর্তন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আব্দুল হামিদের প্রতিনিধি, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি তার  জ্ঞানর্গব আলোচনায় বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সত্যিকার অর্থেই দেশ শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেবাধী ছাত্র/ছাত্রীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশর জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছে।

তাদের গবেষণায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশ প্রতিফল হয়েছে। আমার বিশ্বাস এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠা বিদ্যাপিঠ হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, আমার দেখা ও জানা মতে দক্ষ্য, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ গড়ে তুলতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প নাই।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, একটি অসাম্প্রদায়ীক স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আমরা যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছি।

বিভিন্ন সমালোচনা, যাচাই-বাছাই করে আমরা আমাদের শিক্ষানীতির পরিমার্জন ও পরিবর্ধনে বদ্যপরিকর রয়েছি। আমরা একটি সৃজনশীল ও আত্ম-নির্ভশীল উৎপাদনমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চাই। এই জন্য উপস্থিত সকল শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করি এবং আমি আশা রাখি, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর গঠণমূলক শিক্ষানীতি ব্যাস্তবায়নে আমাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করবেন।

Convocation Speaker, হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর অতুল খোসালা (Prof. Atul Khoslৃ. Vice Chancellor, Shoolini University)। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে তিনি (ভারতের হিমাচল প্রদেশের শোলিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর অতুল খোসালা) বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় একটি High Ranking University in Bangladesh, আমি অত্র বিশ্বব্যিালয়ে আমন্ত্রীত হয়ে নিজেকে ধণ্যমনে করছি। আমি  ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলোর পথের দিশারী বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্প উদ্দ্যোক্তা  ড. মো. সবুর খান এক বক্তব্যে তার জীবন অভিজ্ঞতার কথা ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে ব্যক্ত করে বলেন, জীবনে সফল হতে হলে অবশ্যই ধৈর্য্য একাগ্রতা, সততা এবং অধ্যাবসায় থাকতে হবে। সময় ও অবস্থার বিচারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবেই সফলতা আসবে। আমার বিশ্বাস আমাদের প্রত্যেকটি ছাত্র/ছাত্রী উপরোক্তগুণে আত্মস্থ এবং নিশ্চিত সফলপথে ধাবমান হবেন।

উল্লেখ্য যে, বহুগুণের অধিকারী জনাব খান ব্যক্তিজীবনেও এক উজ্বল ‘সেলুকাস’। তার জীবন দর্শণ যে কোন ব্যক্তি বিশেষের অনুকরণীয়। তিনি অত্যন্ত সাধারন পরিবার থেকে জীবনযুদ্ধ করে আজ সফলতার র্শীষচূড়ায় পৌঁছিয়েছেন।

এই মহান ব্যক্তিত্ব, ২০০২-২০০৩ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৯০ দশক থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ী হিসেবে বাংলাদেশ তথা বিশ্বে সফল ব্যবসায়ী হিসাবে নাম কুড়ান।

তৎপর তিনি ২০০৪-২০০৬ মেয়াদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০২-২০০৩ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসি-ডেন্টস ফোরামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসের (উইটসা) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং ২০২১-২০২২ মেয়াদের জন্য অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটিজ অফ এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (এইউএপি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।



সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, জ্ঞান অন্বেষায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জুড়ি নাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রায় বিশ হাজারের অধিক ছাত্র/ছাত্রী অধ্যায়ন করছে। প্রতি বছর সমাবর্তনী অনুষ্ঠানে প্রায় ছয়হাজারের অধিক ছাত্র/ছাত্রী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে চাকুরী করে  দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম উজ্বল করছে।

আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের ছাত্র/ছাত্রীদেরকে হৃদয়ের গভীর হতে- প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই এবং আশা রাখি আপনাদের কর্ম জীবনের প্রতিটি স্তরই সফল হোক। এবং দিন দিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আরো উজ্বল করুন।


সমাবতর্নী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার, ট্রেজারার মো.মমিনুল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার- ড. নাদির বিন-আলী, প্রফেসর ড. ইসমাইল জবিউল্লাহ প্রমুখ।

এবারের সমাবর্তনে প্রায় ৬,১১৪ জন ছাত্র/ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সনদ প্রদান করা হয়। নিজ নিজ বিভাগে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য  ১২ জন ছাত্রছাত্রীকে Chancellor গোল্ড মেডেল, Vice- Chancellor গোল্ড মেডেল, এবং Chairman গোল্ড মেডেল পদক প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার সারাদিন, ছাত্র/ছাত্রীর অংশ গ্রহণ-পদচারনায় মূখরিত ছিল ‘অনন্য সৌর্ন্দয্যের চারণ-ভূমি আশুলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ড্যাফোডিল র্স্মাট সিটি ক্যাম্পাসটি।



সবুজ-শ্যামলা, ছায়া-ঘেরা এই ক্যাম্পাসটি সকল দিক দিয়েই অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এক-বিশেষ কৃতিত্বের দাবি রাখে। শিক্ষা ও সৌন্দর্য্য বিকাশের পথে মানবিক মননশীলতায় শিক্ষার্থীদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় (ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে)  অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি সকাল ৮:৩০ মিনিটে শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

দুপুরের লাঞ্চের পর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশ খ্যাত বিশিষ্ট সংগীত শিল্পীগণ।

https://banglatopnews24.com/daffodil-besobidaloyaer-dosom/
« Last Edit: February 11, 2023, 12:27:20 PM by Mohammad Nazrul Islam »