মানুষের সাথে সম্পৃক্ত গুনাহ !
দুনিয়াতে এক প্রকারের গুনাহ আছে যে গুনাহের জন্য ক্ষমা আল্লাহ্ করবেন না বরং মানুষের কাছেই ক্ষমা নিতে হবে। অথচ সে পাপ আমরা প্রতিনিয়ত করে থাকি। সূরা আরাফের ৩১-৩২ আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা হালাল হারামের চাবি দিয়েছেন। যে আয়াতগুলো পড়লে বুঝবেন আল্লাহ্ আমাদের জন্য কি হালাল করেছেন আর কি হারাম করেছেন। তার একটি বিষয় নিয়ে আজকে কথা বলবো, আর তা হচ্ছে মানুষের জান, সম্পদ ও মান-সম্মানের ক্ষতি করে সীমালঙ্ঘন করা।
.
আল্লাহ্ হারাম করেছেন মানুষের জান, সম্পদ ও মান-সম্মানের ক্ষতির মাধ্যমে সীমালঙ্ঘন করা'কে।
.
আসুন দেখি কিভাবে মানুষের জিবন সম্পদ ও সম্মানের ক্ষতি করা হয় যা আল্লাহ্ তা'আলা হারাম করেছেনঃ
.
জীবনের ক্ষতি করাঃ হত্যা করা, যেকোনো উপায়ে ভয় দেখানো, ধমক দেয়া, থাপ্পর/ঘুসি/ধাক্কা/বা যেকোনো উপায়ে শারীরিক আঘাত করাকে বোঝায়। একজন মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের যেকোনো ধরণের শারীরিক ক্ষতি হারাম করা হয়েছে।
.
মান-সম্মানের ক্ষতিঃ গীবত করা, অপমান করা, নাম বিকৃত করে ছোট করা, মানুষকে নিচু দেখানো, তার শারীরিক অক্ষমতা বা সৌন্দর্য নিয়ে হাসিঠাট্টা করা সহ যেকোনভাবে মানসিক কষ্ট দেয়াকে বোঝায়। যা আল্লাহ্ হারাম করেছেন। কোন মানুষকেই তার মান-সম্মানের আঘাতের মাধ্যমে কষ্ট দেয়া যাবে না।
.
সম্পদের ক্ষতিঃ চুরি, ডাকাতি, সম্পদ বা টাকা লুটপাট করা, কারো গাছের ফসল/ফল চুরি করে খাওয়া, জমি জোর করে দখল নেয়া ইত্যাদি সহ সকল প্রকারের সম্পদের ক্ষতি বোঝায়। মানুষের সম্পদের যেকোনো ধরনের ক্ষতি করাকে আল্লাহ্ তা'আলা হারাম করেছেন।
.
আল্লাহ্র রসুলের (স) ইন্তেকালের আগে শেষ ভাষণে বলেছিলেন, এই মক্কা নগরী আর এই হারাম মাস (হাজ্জের মাস) যেমন পবিত্র ঠিক তেমনি একজন মুসলিমের জিবন, সম্পদ ও সম্মান তোমাদের নিকট পবিত্র।
.
এর অর্থ, ক্বাবা ঘর এবং হাজ্জের মাস যেমন পবিত্র আর তাতে কোন প্রকার খারাপ কাজ, হত্যা ইত্যাদি নিষেধ কাজ করা যায় না ঠিক তেমনি একজন মুসলিমের উপর কোন প্রকারের শারীরিক আঘাত, মানসিক আঘাত বা তার সম্মানহানি করা এবং তার সম্পদের ক্ষতি করাকেও আল্লাহ্ হারাম করেছেন। একজন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের জিবন, সম্পদ ও সম্মানের উপর আঘাত করা হারাম।
.
সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্র সাথে সম্পৃক্ত সকল গুনাহ আল্লাহ্ চাইলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু মানুষের সাথে সম্পৃক্ত গুনাহের জন্য আলাহ ক্ষমা করবেন না। বরং ঐ মানুষের কাছেই ক্ষমা নিতে হবে।
.
বিচারের মাঠে মানুষের সাথে সম্পৃক্ত গুনাহের কারনে মানুষ জাহান্নামে যাবে। তখন ঋণ পরিশোধ করার কোন উপায় থাকবে না। তখন নিজের আমল দিয়ে তা পরিশোধ করতে হবে নতুবা দুনিয়াতে যার রক্ত/সম্পদ/সম্মানের ক্ষতি করা হয়েছিলো তার গুনাহগুলো আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে।এর ফলে জাহান্নামে যেতে হবে। সুতরাং মানুষের জিবন-সম্পদ ও সম্মানের যাতে ক্ষতি না করে ফেলেন সেইদিকে খেয়াল রেখে পৃথিবীতে জিবনযাপন করুন।
Source: https://www.facebook.com/MuslimLesson