SEO কী? জেনে নিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত

Author Topic: SEO কী? জেনে নিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত  (Read 332 times)

Offline Khan Ehsanul Hoque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 549
  • Test
    • View Profile
SEO কী? জেনে নিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত-




SEO কী জেনে নিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত
বর্তমান সময়ে আমরা সবাই গুগল সার্চ ইঞ্জিন কি তা জানলেও SEO কি বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এটি খুব কম মানুষই জানেন। তাই এই ব্লগটি হবে তাদের জন্য এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন। কারণ এই ব্লগের পুরোটা জুড়েই আমরা আলোচনা করবো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও নিয়ে। এছাড়াও সব শেষে আপনি আরো জানতে পারবেন, এসইও কিভাবে শিখবো, SEO শিখতে কি কি লাগে, এস ই ও শিখতে কত দিন লাগে এবং কিভাবে এস ই ও করে আয় করবো এমন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর।

SEO কি? (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?)
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও (SEO) হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়মকানুন যা অনুসরণ বা প্রয়োগ করা হলে সার্চ ইঞ্জিন কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং র‌্যাঙ্ক করে থাকে।

গুগলসহ যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে যখন আমরা কিছু লিখে সার্চ করি, তখন সার্চ রেজাল্ট যে পেজে আসে সে পেজকে বলা হয় SERPs (Search Engine Result Pages)। কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে SERPs-এ প্রথম দিকে দেখানোই এসইও -র মূল কাজ।

SEO কী?
এসইও -র মাধ্যমে কন্টেন্টের প্রাসঙ্গিকতা এবং ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর সম্পর্কে লক্ষ্য রাখা হয় যাতে গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনে বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট র‍্যাংক করে এবং ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ে। এসইও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন: Technical SEO, On-Page SEO, Off-Page SEO, E-commerce SEO ইত্যাদি।

অন পেজ এসইও কি?
যখন কোনো সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ করার হয় তাকে অন পেজ এসইও বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনার ব্লগ পেজ বা কোনো ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য অন পেজ এসইও ব্যবহার করতে পারেন।

এতোক্ষণ জানলাম, অন পেজ এসইও কি। এবার জেনে নেই অফ পেজ এসইও কি।

অফ পেজ এসইও কি?
অফ পেজ এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে অপটিমাইজ করা। আরো সহজ ভাষায় বললে, লিংক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করাই অফ পেজ এসইও।

টেকনিক্যাল এসইও কি?
টেকনিক্যাল এসইও হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি ওয়েবসাইটকে অর্গানিক র‌্যাঙ্কিং(Organic Ranking) পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করে প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।

SEO কেন প্রয়োজন?

এসইও সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বেশি কার্যকর পদ্ধতি কারণ এর মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সরা খুব সহজেই আপনার কন্টেন্ট খুঁজে পাবেন।
কোনো প্রকার পেইড মার্কেটিং ছাড়া অল্প সময়ে অনেক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানো যায়।
কোনো প্র্রকার পেইড প্রোমোশন ছাড়াই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানো যায়।
লম্বা সময়ের জন্য ব্যবসাকে লাভজনক করতে সহায়তা করে।
SEO কীভাবে কাজ করে? SEO এর কাজ কি?
লিঙ্ক: এসইও করার সবচেয়ে শক্তিশালী টেকনিক হলো লিংক বিল্ডিং। এক ওয়েবসাইটের লিংক থেকে আরেক ওয়েবসাইটে যাওয়া আপনার এসইও র‍্যাঙ্ক বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হয়ে এসে আপনার মেনশন করা আরেকটা লিংকে ক্লিক করে, তাহলে সেটা অফ পেজ এসইও হয়ে গেলো। যে লেখায় যত বেশি র‍্যাঙ্ক করা ওয়েবসাইটের লিঙ্ক মেনশন করা হয়, সেসব পেজ সার্চ ইঞ্জিনের উপরের দিকে থাকে।

How does SEO work?
এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন-
কন্টেন্ট: এসইও এর ক্ষেত্রে কন্টেন্ট বলতে সাধারণত ব্লগকে বোঝানো হয়। আপনার ব্লগ যদি কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ হয় তাহলে খুব সহজেই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনা যাবে। আর কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) -এর একটি এমন গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি ভাগ, যেখানে জনপ্রিয় এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে অধিক পরিমাণে সার্চ হওয়া keywords এবং key phrase খুঁজে বের করা হয়।

পেজ স্ট্রাকচার: এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইটের যে কোনো পেজ অপটিমাইজ করে বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়া যায়। এটিকে অপটিমাইজ করতে আমরা ওয়েবপেজ ও এইচটিএমএল সোর্স কোড ব্যবহার করে থাকি। এটাকে অন পেজ এসইও বলা হয়। এটা দিয়ে ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ কাজ যেমন: মেটা টাইটেল, ইউআরএল সেটআপ, মেটা ডেসক্রিপশন, ইমেজ অপটিমাইজ, ইন্টারনাল লিঙ্কিং, সাইট স্পিড, ওয়েবমাস্টার টুল সাবমিশন, অ্যানালিটিকস সেট আপ ইত্যাদি অন্তর্ভূক্ত।
এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন: এসইও শুরু করবেন যেভাবে
এসইও সম্পর্কে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানলেও কীভাবে এটা নিয়ে কাজ করা যায় তা অনেকেরই অজানা৷ চলুন তাহলে কীভাবে এসইও -এর কাজ করা যায় তা জেনে আসা যাক! 

গোল সেট করুন
আপনি যদি এসইও নিয়ে কাজ করার শুরুতেই একটা প্ল্যান তৈরি করে রাখেন তাহলে তা অত্যন্ত সময় সাশ্রয়ী হবে। যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন:

অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি: গুগল অ্যানালাইসিস করে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের অর্গানিক ট্রাফিক এনালাইসিস করতে পারবেন। স্বল্প কোয়ালিটি ও অপ্রয়োজনীয় পেজ সাইটে যুক্ত করা থেকে বিরত থাকুন।
স্টার্টআপের জন্য লিড জেনারেশন: লিড জেনারেশন হলো একটি তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কোনো সার্ভিস বা প্রোডাক্ট প্রোমোশন বা বিক্রি করার জন্য টার্গেটেড কোম্পানি বা ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্যগুলো সাধারণত ইমেইল, নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার ইত্যাদি হয়।
ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস তৈরি: ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কারণ মানুষ অনলাইন ব্র্যান্ডগুলোর সম্পর্কে সর্বপ্রথম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই পরিচিত হয়ে থাকে। আর এসইও সোশ্যাল মিডিয়ার ফুয়েল হিসেবে কাজ করে। শুধু আপনার অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর জন্যই নয় বরং তাদের সাথে দীর্ঘ সময় যোগাযোগ করার এক দুর্দান্ত উপায় এসইও অপটিমাইজেশন এবং এটি সেলস বাড়ানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সেলস বৃদ্ধি: অসংখ্য ব্র্যান্ড বা কোম্পানিগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করছে। আর তাই এত প্রতিযোগীর ভিড়ে আপনার কোম্পানি বা ব্র্যান্ডকে গ্রাহকদের নিকট তুলে ধরাটা কিছুটা কঠিন বটে। তবে আপনি যদি ঠিকমতো এসইও এর ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই সেলস বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কাস্টমার সার্ভিসের মানোন্নয়ন: আজকাল সব ই-কমার্স সাইটেই পণ্য বা সেবা গ্রহণের আগে ও পরে ক্রেতাদের জন্যে কাস্টমার সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকে। ৭৪% মার্কেটারের মতে, নির্দিষ্ট গ্রাহকের রুচি এবং চাহিদা অনুসারে মার্কেটিং করা হলে গ্রাহকদের অংশগ্রহণ বা এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের গড় সেলস ২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে। তাই আপনি যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাহকের জন্যে আলাদা করে এসইও মার্কেটিং করবেন, তখন আপনার ই-কমার্স সাইট দ্রুতই সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ
সঠিক কীওয়ার্ড আপনার কন্টেন্ট যথাযথভাবে তার টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে দেয়। যেকোনো আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে অপটিমাইজ করার সবচেয়ে প্রথম ধাপ (step) হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ। এতে করে সাইটে দ্রুত ট্রাফিক ও ভিজিটর আসবে। কীওয়ার্ড ব্যবহার করার ৩টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম আছে। সেগুলো হলো:

আপনার কনটেন্ট এর মার্কেটিং করার জন্য যখন আপনি অডিয়েন্সকে বিচার বিশ্লেষণ করে টার্গেট কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে। আপনার কীওয়ার্ড যেন টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়।
শুধু অডিয়েন্সই না, প্রোডাক্ট, ব্র্যান্ড ও সার্ভিসের উপর নির্ভর করেও সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখবেন, সব জনপ্রিয় কীওয়ার্ড কিন্তু সবধরনের প্রোডাক্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
কীওয়ার্ড যত জনপ্রিয় হয়, তত তার র‍্যাঙ্ক করা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ একসাথে অনেকে সেই একই কীওয়ার্ড তাদের কন্টেন্টে ব্যবহার করে থাকেন। ফলে বুঝেশুনে ভালো কোয়ালিটি মেইনটেইন করে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা দরকার।

কন্টেন্ট প্ল্যানিং
প্রথমেই কন্টেন্টের সাথে মিলিয়ে কীওয়ার্ডগুলো নোট করে রাখুন। আপনার কীওয়ার্ডগুলো যতো ভালো আর অথেনটিক হবে, এটা তত সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে র‍্যাঙ্ক করবে। আপনি যেই টপিকে ব্লগ লিখবেন, সেই টপিকের উপর লেখা অন্যান্য ওয়েবসাইটের ব্লগগুলো চেক করুন। দেখুন তারা কীভাবে কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করছে।

নিয়মিত ওয়েবসাইটে এসইও বেজড কোয়ালিটি কন্টেন্ট আপলোড দিতে থাকলে গুগল আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য ভাববে এবং search engine results pages (SERPs) এর উপরের দিকে আপনাকে সাজেস্ট করবে। অতিরিক্ত কীওয়ার্ড লেখার মধ্যে না দিয়ে রিডারদের জন্য তথ্যবহুল লেখা দিন যা তারা আসলেই পড়তে চান। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:

কীওয়ার্ডগুলো স্বাভাবিকভাবে লেখার মধ্যে ব্যবহার করবেন। দেখে যাতে মনে না হয় জোর করে এখানে বসিয়েছেন। রিডাররা যাতে সহজেই আপনার লেখা উপভোগ করতে পারেন, এটাও খেয়াল রাখতে হবে।
প্রথমে নিজের মতো করে কন্টেন্টটি লিখুন। এরপর সুবিধামতো কীওয়ার্ড বসিয়ে দিন।
গুগলের টপ র‍্যাঙ্ক করা ওয়েবসাইটের লেখাগুলো পড়তে পারেন। তাহলে বুঝতে পারবেন কী কারণে তাদের লেখাগুলো এত উপরে থাকছে।
নিজের কন্টেন্ট এমনভাবে অপটিমাইজ করুন যাতে তা পাঠক ও সার্চ ইঞ্জিন দু’টোতেই মানানসই হয়। সেক্ষেত্রে স্ট্রাকচার্ড ডাটা মার্কআপ ব্যবহার করতে পারেন।

Source: https://shorturl.at/jzFK7
« Last Edit: August 07, 2023, 10:18:48 PM by Khan Ehsanul Hoque »
Khan Ehsanul Hoque

Daffodil International University
01847334702
fd@daffodilvarsity.edu.bd
www.daffodilvarsity.edu.bd