শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে বুঝবেন যে উপায়ে

Author Topic: শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে বুঝবেন যে উপায়ে  (Read 998 times)

Offline Mrs.Anjuara Khanom

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 484
  • Test
    • View Profile
ভিটামিন ডি’কে সানশাইন ভিটামিন বলা হয়। কারণ ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসলে শরীর এটি কোলেস্টেরল থেকে তৈরি করে। আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ। শরীর স্বাভাবিক হাড়ের বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণে ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি। এমনকি ভিটামিন ডি স্নায়ুতন্ত্র ও পেশি ভালো রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক সময় ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় আমাদের শরীরে সে সময়ে নানা জটিলতা দেখা যায়। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কিছু লক্ষণ থেকে বুঝতে পারবেন। মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েব সাইট হেলথলাইনের প্রতিবেদনে সেই লক্ষণগুলো তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভিটামিন ডি’র গুরুত্ব
ভিটামিন ডি রক্ত ও হাড়ের ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং হাড় গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের ভিটামিন ডি দরকার যাতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস ব্যবহার করে শরীর হাড় তৈরি করতে পারে এবং টিস্যুগুলোকে সুস্থ রাখতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী অথবা গুরুতর ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে অন্ত্র দ্বারা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ বাঁধাগ্রস্ত হয়। এতে হাইপোক্যালসেমিয়া বাড়ে। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রার ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করার জন্য শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে, যা হাড়ের ক্ষতির কারণ। এর ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালাসিয়া বা নরম হাড় এবং শিশুদের রিকেট এর অন্যতম কারণ।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন ভিটামিন ডি কমে গেছে

১. ভিটামিন ডি যৌগগুলোর উৎপাদন বাড়ায় যা ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নতুন ত্বক গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর কারণে দেরিতে ক্ষত নিরাময় হতে পারে।

২. ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ একই সময়ে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম গ্রহণ শরীরকে সর্বাধিক শোষণ করতে সহায়তা করে। হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ার মানে হচ্ছে হাড় ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ হারিয়েছে। এটি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের, বিশেষ করে নারীদের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে রাখে।
পেশি ব্যথার কারণ হতে পারে ভিটামিন ডির অভাব। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আক্রান্ত ৭১ শতাংশ লোকের ভিটামিন ডি প্রয়োজনের তুলনায় কম।

৩. ভিটামিন ডি সরাসরি কোষের সাথে যোগাযোগ করে যেগুলো সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য কাজ করে। এই ভিটামিনের অভাব হলে তাই ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

৪. শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে ভিটামিন ডি। ভিটামিনটির অভাবে তাই হাড় এবং পিঠের নিচের ব্যথা হতে পারে।

৫. বিভিন্ন কারণে ক্লান্ত লাগতে পারে, যার মধ্যে একটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাব।

৬. বিষণ্নতার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর অপর্যাপ্ত মাত্রা।


Source:https://khulnagazette.com/%
Mrs, Anjuara Khanom
Library Assistant Officer,
Daffodil International University
DSC Campus
02224441833/34