যাঁরা খেজুর খেতে চান না, তাঁদের জন্য কিছু তথ্য

Author Topic: যাঁরা খেজুর খেতে চান না, তাঁদের জন্য কিছু তথ্য  (Read 746 times)

Offline Imrul Hasan Tusher

  • Administrator
  • Full Member
  • *****
  • Posts: 147
  • Test
    • View Profile
    • Looking for a partner for an unforgettable night?
যাঁরা খেজুর খেতে চান না, তাঁদের জন্য কিছু তথ্য

খেজুর ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজসমৃদ্ধ। খেতে সুস্বাদু, শক্তির ভালো উৎস। রমজান মাস ছাড়াও নিয়মিত খেজুর খান অনেকেই। তবে কেউ কেউ খেজুর পছন্দ করেন না বলে খান না, তাঁদের জন্য কিছু তথ্য।


রমজান মাস ছাড়াও নিয়মিত খেজুর খান অনেকেইছবি: পেক্সেলস

প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে থাকে
ক্যালরি ৩০০ কিলোক্যালরি

শর্করা ৭৫.০৩ গ্রাম

আমিষ ২.৫ গ্রাম

চর্বি ০.৩৯ গ্রাম

খাদ্য আঁশ ৮ গ্রাম

বিটা-ক্যারোটিন ৬ মাইক্রোগ্রাম

ভিটামিন এ ১০ আইইউ

থায়ামিন (বি১) ০.০৫২ মিলিগ্রাম

রিবোফ্লাভিন (বি২) ০.০৬৬ মিলিগ্রাম

নায়াসিন (বি৩) ১.২৭৪ মিলিগ্রাম

প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.৫৮৯ মিলি গ্রাম

ভিটামিন বি৬ ০.১৬৫ মিলিগ্রাম

ফোলেট (বি৯) ১৯ মাইক্রোগ্রাম

ভিটামিন সি ০.৪ মিলিগ্রাম

ভিটামিন ই ০.০৫ মিলিগ্রাম

ভিটামিন কে ২.৭ মাইক্রোগ্রাম

ক্যালসিয়াম ৩৯ মিলিগ্রাম

লৌহ ১.০২ মিলিগ্রাম

ম্যাগনেশিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম

ম্যাংগানিজ ০.২৬২ মিলিগ্রাম

ফসফরাস ৬২ মিলিগ্রাম

পটাশিয়াম ৬৫৬ মিলিগ্রাম

সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম

জিংক ০.২৯ মিলিগ্রাম


ইফতারে ২-৩টি খেজুর খেলে আপনার শারীরিক দুর্বলতা দূর হবেছবি: পেক্সেলস

সারা দিন রোজা রাখার ফলে রক্তের শর্করা বেশ কমে যায়। ইফতারে কোনো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেয়ে ২-৩টা খেজুর খেলে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে আবার বাড়বে। তবে খেজুর উচ্চ ক্যালরি-সমৃদ্ধ এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একটু বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। অনেকে বলেন, সকালে খালি পেটে খেজুর ভেজানো পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

ইফতারে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
১. সারা দিন রোজা রাখার ফলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। ইফতারে ২-৩টি খেজুর খেলে আপনার শারীরিক দুর্বলতা দূর হবে। খেজুর এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। শুধু রোজার সময় নয়, যেকোনো কারণে শারীরিক দুর্বলতায় খেজুর এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে।

২. খেজুরে আয়রন বেশি বলে যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য খেজুর খুব উপকারী।

৩. খেজুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।


খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ বিদ্যমানছবি: পেক্সেলস

৪. খেজুর আঁশসমৃদ্ধ বলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে; রক্তের কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল (খারাপ চর্বি) কমাতে সহায়ক।

৫. খেজুরে পটাশিয়াম বেশি থাকায় স্নায়ু ও পেশির দুর্বলতা কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৬. খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ বিদ্যমান। অল্প খেজুর আপনার শরীরের সারা দিনের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম। প্রতিদিন শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুর খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৭. বাড়ন্ত শিশুদের খাবারে প্রতিদিন ২-৩টি খেজুর রাখলে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ফলে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি হয় ত্বরান্বিত।

৮. অন্তঃসত্ত্বা নারীর আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ সব ধরনের খনিজের ঘাটতি পূরণে খেজুর অতুলনীয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা ঘটে।

৯. খেজুরের ক্যারোটিনয়েড–জাতীয় উপাদান চোখের রেটিনা ভালো রাখতে সাহায্য করে।

অপকারিতা

খেজুরের তেমন কোনো অপকারী দিক নেই বললেই চলে। উচ্চ পটাশিয়াম থাকায় কিডনি রোগীদের জন্য খেজুর উপযোগী নয়। ডায়াবেটিক রোগীরা খেতে পারবেন, তবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।


অতিরিক্ত খেজুর খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকেছবি: পেক্সেলস

কাঁচা খেজুর

কাঁচা খেজুর ও পাকা খেজুরের মধ্যে প্রধান পার্থক্য সুগারে। পাকা খেজুরে সুগারের পরিমাণ একটু বেশি, কাঁচা খেজুরে বেশ কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পাকা খেজুরের চেয়ে কাঁচা খেজুর বেশি উপযোগী। তাই শুধু রোজার মাসেই নয়, সারা বছরই প্রতিদিন অন্তত দুটি করে খেজুর আপনার খাবার তালিকায় রাখুন।

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/qzltxankgh
Imrul Hasan Tusher
Senior Administrative Officer
Office of the Chairman, BoT
Cell: 01847334718
Phone: +8809617901233 (Ext: 4013)
cmoffice2@daffodilvarsity.edu.bd
Daffodil International University