সমালোচনা করতে যোগ্যতা লাগে না, সমালোচিত হতে যোগ্যতা লাগে
ধরুন, আপনি সারাক্ষণ অযথা একজন প্রার্থীর সমালোচনা করছেন বা অপ: প্রচার করছেন কিন্তু আপনি জানেনই না যে প্রতিহিংসা করতে গিয়ে বরং ওনার বেশ উপকারই করলেন। কেননা এমন আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়ে অন্যরা তথা ভোটাররা ভাবতে থাকবে - ওয়াও! ওয়াও! উনি তো দেখি বেশ বিখ্যাত, সবজায়গায় তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। তাহলে তো উনিই আমাদের লীডার, উনিই তো এখন সেরা ।
এদিকে ঐ প্রার্থীও ভাবছে, বাহ! মাঠ গুছানো হয়ে গেলো, সমালোচক করিল উন্মুক্ত দ্বার। প্রবাদ আছে "গাইতে গাইতেই গায়েন" হলেন ঘাটের মাঝি। এপ্রসঙ্গে আব্রাহাম লিঙ্কনও হাসতে হাসতে বলেছিলেন, আপনি সমালোচক নিজেকে ক্ষয় করে আমাকে গড়লেন, আমি কিন্তু আমি আপনার দ্বারা উপকৃত।
আসলেই তাই, আপনি ভাবছেন প্রতিহিংসা করে তাকে পেছনে ফেললেন ? কিন্তু না! বরং আপনার কৃতকর্মই হাস্যকর! আপনিই অধম! প্রকৃতপক্ষে আপনার ঐ প্রতিহিংসা, আপনার ঐ হীনমন্যতা বিনা পয়সায় কারো কারো প্রচার প্রচারণা হয়ে গেলো। একরকম তিনি বিখ্যাতও হয়ে গেলেন।
আর আপনি নোংরা ডাস্টবিনেই পড়ে রইলেন, সবাই কিন্তু সারাক্ষণ আপনাকেই ছি! ছি! করছে। কেননা সবাই জেনে গেছে আপনি নিম্ন ক্যাটাগরির কার্যকলাপে লিপ্ত।
আর এটাও মনে রাখবেন যে লোক অন্যের বদনাম আপনার কাছে করবে, ঐ লোক কিন্তু আপনার বদনামও অন্য লোকের কাছে বলাবলি করবে। সুতরাং গীবতকারী, হীনমন্য লোকদের দূরে রাখুন, ধুর! ধুর! করে তাড়িয়ে দিন। কবিও বলেছিলেন, হিংসুকের ঘরে বাতি দিবি কে রে, হিংসার আগুনে পুড়িলে বাঁচাবি কে রে।
-- রানা চৌধুরী