Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith

অযু

<< < (2/3) > >>

arefin:
হযরত আবু হুরাইরা(রা) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাযের সময় হযরত বেলাল(রা) কে বললেনঃ হে বেলাল! বল দেখি, মুসলমান হওয়ার পর তুমি এমন কোন কাজ করেছ যার সাওয়াবের আশা তুমি বেশি করতে পার? কারণ, আমি তোমার জুতোর শব্দ জান্নাতে আমার সামনে শুনতে পেয়েছি! তখন বেলাল বললেনঃ আমি এমন কোন কাজ করিনি যা আমার কাছে বেশি সাওয়াবের কারণ হতে পারে, তবে আমি রাতে বা দিনের যে কোন সময়েই ওযু করেছি তখন-ই সে ওযু দিয়ে আমি নামায পড়েছি, যা (আল্লাহ’র পক্ষ থেকে ) আমাকে তৌফিক দেয়া হয়েছে। (অর্থাৎ আমি সব সময় ওযুর পর দু রাকাত ‘ তাহিয়্যাতুল ওযু’র নামায পড়তে চেষ্টা করেছি)।

সহীহ বুখারী,হাদিস নং-১০৮৮
সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৪৫০৪
সহীহ ইবনে হিব্বান,হাদিস নং-৭২৪২
সহীহ ইবনে খুজাইমাহ,হাদিস নং-১১৪৭
শুয়াবুল ঈমান,হাদিস নং-২৪৮২
শরহুস সুন্না,হাদিস নং-১০০০
আল আওসাত ইবনে মুনজির,হাদিস নং-২৬৯৩
সুনানে নাসায়ী,হাদিস নং-৭৯২৭
মুসনাদ আহমাদ,হাদিস নং-৯৪৬০
মুসনাদ ইসহাক ,হাদিস নং-১৪৩

arefin:
হে ঈমানদারগন! তোমরা যখন নামাজের উদ্দেশ্যে ওঠ তখন তোমাদের মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং মাথা মাসেহ কর এবং টাকনু পর্যন্ত ধৌত কর। {সূরা মায়েদা-৬০}

sumon_acce:
Thanks for sharing this.

arefin:
উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, “মুসলিম বা মু’মিন বান্দা যখন ওযূর উদ্দেশে তার মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে দুই চক্ষুর দৃষ্টির মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার হাত দুটিকে ধৌত করে, তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে উভয় হাত দ্বারা ধারণ করার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার পা দুটিকে ধৌত করে, তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে তার দু’পায়ের চলার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। শেষ অবধি সমস্ত গোনাহ থেকে সে পবিত্র হয়ে বের হয়ে আসে।”
(মুসলিম ২৪৪, তিরমীয ২)

Noman_1450:
 প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হলে সেটা প্রস্রাব-পায়খানা, রক্ত, বায়ু, ক্রিমি যাই হোক না কেন।

 _ শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত,পুঁজ ইত্যাদি বের হয়ে গড়িয়ে গেলে।

 _মুখভরে বমি করল অযু ভেংগে যাবে, মুখভরে বমি করার অর্থ হল এত পরিমান বমি আসা যে মুখে সেটা আটকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়। আর কিছুক্ষণের মধ্যে একি ভাবের কারণে অল্প অল্প করে কয়েকবার বমি করে আর সেটার সমষ্টিগত পরিমান যদি মুখভরে বমির সমপরিমান হয় তাহলেও অযু ভেংগে যাবে। আর এমনিতে সামান্য পরিমান বমি যা মুখভরে বমির সমপরিমান হয় না তাতে অযু ভাংবে না।

 _থথুতে রক্তের পরিমান যদি থুথুর সমপরিমান বা থুথু থেকে বেশি হয় তাহলে অযু ভেংগে যাবে।

 _বেহুশ বা পাগল হলে।

 _ চিত বা কাত বা উপুড় [উপুড় হয়ে ঘুমানো নিষেধ] ঘুমালে অযু ভেংগে যাবে, এভাবে নিতম্বের একপার্শ্বে ভর করে ঘুমালেও অযু ভেংগে যাবে।
 কেউ যদি কোন কিছুতে ঠেস দিয়ে এমনভাবে ঘুমায় যে ঠেস দেয়া বস্তুটি সরিয়ে নিলে সে পড়ে যাবে- এক্ষেত্রে মলদ্বার যদি আসন থেকে উঠা থাকে তাহলে সর্বসম্মত মতে অযু ভেংগে যাবে। আর যদি মলদ্বার আসনের সাথে ভালভাবে চাপা অবস্থায় থাকে যে বায়ু নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাহলে অধিকাংশ ফকীহদের মতে অযু ভাংবে না।

 _নামাজের মধ্য এরকম শব্দ করে হাসা যে পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে এরকম শব্দ করে হাসলেও অযু ভেংগে যাবে। আর যদি এরকম শব্দ করে হাসে যে শুধু নিজে শুনতে পায় পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে না তাহলে অযু ভাংবে না বাকি নামাজ ভেংগে যাবে। আর যদি এরকমভাবে হাসে যে হাসির শব্দ অন্যলোক শুনতে পাবেই না এমনকি নিজেও শুনতে পায় না তাহলে এতে অযু বা নামাজ কোনোটাই ভাংবে না।

 এই হল অযু ভাংগার প্রধান ও মৌলিক কারণ সমূহ। এছাড়া আরো কিছু শাখাগত কারণ রয়েছে যেমন স্ত্রীলোকের স্তন থেকে দুধ ছাড়া অন্য কিছু বের হয়ে আসলে এবং ব্যাথা অনুভুত হলে, যৌনিতে আংগুল প্রবেশ করালে অযু ভেংগে যাবে। বাকি এসব সচারাচর এমন হয় না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে অযু-নামাজের সমস্ত মাসয়ালা-মাসায়েল জেনে সহিহভাবে দ্বীনের উপর চলার তোফিক দান করেন।

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version