প্রশ্ন-১. কবরের উপরে ঘর নির্মাণ করা যাবে কি না জানতে চাই?
উত্তর: কবরের উপরে কোন ঘর নির্মাণ করা যাবে না। এমনকি কোন ঘরের মধ্যেও কবর দেয়া যাবে না।
প্রশ্ন-২. আমার সাথে যদি কেউ প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে ওয়াদা ভঙ্গ করে, আল্লাহর নামে কসম কেটে মিথ্যা বলে বিশ্বাসঘাতকতা করে, দুঃখ দেয় বিনা অপরাধে কাঁদায় আর আমি যদি বলি “হে আল্লাহ তুমি তার বিচার কর। আমাকে যত দুঃখ দিয়েছে তার চাইতে অধিক দুঃখ তাকে দাও সেটা কি ঠিক হবে? ইহজগতে ঐ লোকের কি কোন শাস্তি হবে না?
উত্তর: হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী যে আপনার সাথে এগুলো করেছে সে মুনাফিকের পর্যায়ে পড়ে। মুনাফিকের যে শাস্তির বিধান আল্লাহ রেখেছেন সেই শাস্তি আল্লাহ তাকে দিতে পারেন। এ ধরনের চরিত্র যেন কারো না হয় সেই কামনা করা উচিত একই সাথে কোন অবস্থাতেই কোন মানুষকে বদদোয়া করা উচিত নয়। কারণ এতে বদদোয়াকারী এবং যাকে করা হলো কারও কোন উপকার হয় না। রবং দু'জনেরই ফায়দা হবে এ কথা বললে যে, “হে আল্লাহ তুমি তাকে সমস্ত দোষ থেকে মুক্ত করে দাও। কোন মানুষকে জাহান্নাম থেকে ফেরানো উচিত। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া উচিত নয়। আপনার সাথে এ ধরনের আচরণকারী যদি শাস্তিও পায় তাতে আপনার কোন উপকার হবে না। তাই ইসলামের নিয়ম বদদোয়া করা নয়। রাসূল (সঃ) ইসলামের ঘোরতর শত্র“ ছাড়া সাধারণত কাউকে বদদোয়া করতেন না। তাই আপনার দোয়ায় লোকটি ভালো হয়ে গেলে অনেক লোক তার তির হাত থেকে বেঁচে যেতে পারে।
প্রশ্ন-৩. আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। ভবিষ্যত যখন নির্ধারিত বান্দা যখন আল্লাহর হুকুমেই পরিচালিত হয় তখন ভবিষ্যত পরিবর্তন করা কি সম্ভব? ইসলামের আলোকে বুঝতে চাই।
উত্তর: ভবিষ্যত কি হবে সেটি জানা গেলে পরিবর্তনের চেষ্টা করা যেতো। তাই ভবিষ্যত যাতে ভালো হয় সেই চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহর নিয়ম হচ্ছে যে চেষ্টা করবে আল্লাহ তাকে সফলতা দিবেন। চেষ্টা না করে বসে থাকলে বুঝতে হবে যে আসলেই কপাল মন্দ। আর ভবিষ্যত নির্ধারিত আছে তার অর্থ হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে কে কি করবে আল্লাহ যেহেতু তা জানতেন সেটাই তিনি লিখে রেখেছেন। দুনিয়াতে আমার পরে মানুষ কে কি করবে সে ব্যাপারে আল্লাহর পূর্ব জ্ঞান রয়েছে সেটাই লিখে রেখেছেন।
প্রশ্ন-৪. আমি বিদেশী ফার্মে চাকুরীরত অবস্থায় আমার উপরের কর্মকর্তার প্ররোচনায় খ্রীষ্টান মালিকের অফিসের অনেক জিনিস বিক্রি করে সেই টাকার ভাগ নিয়েছি। বর্তমানে অনেক দিন গত হয়েছে অবসর নিয়েছি। নামাজ রোজা করি, অনুশোচনায় ভুগছি প্রতিনিয়ত। ঐ লোকটিও বিদেশে চলে গিয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কত টাকা নিয়েছি সেটাও মনে নেই- বিবেক দংশনে প্রতিনিয়ত জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি ইসলামের আলোকে করণীয় কি জানতে চাই।
উত্তর: আপনার মধ্যে যে অনুশোচনা জাগ্রত হয়েছে সেটি আল্লাহর নিকট মা পাবার কারণ হবে আশা করা যায়। তবে আপনি সারাজীবন বেশি বেশি দানখয়রাত করে যাবেন। আর আল্লাহর নিকট মা চাইতে হবে। আর যে পরিমাণ সম্পদ অবৈধভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফেরত দেয়া সম্ভব না হলে জনকল্যাণ খাতে ব্যয় করা যেতে পারে।
প্রশ্ন-৫. স্বামীর পদতলে স্ত্রীর বেহেশত কথাটি কি কোরআন হাদীস সম্মত?
উত্তর: জ্বি না, এ ধরনের কোন কথা কোরআন হাদীসে আছে বলে আমাদের জানা নেই।
প্রশ্ন-৬. পায়খানার পরে কুলুপ ব্যবহার না করে সাবান ব্যবহার করলে কোন অসুবিধা হবে কি?
উত্তর: জ্বি না, এতে কোন অসুবিধা হবে না।
প্রশ্ন-৭. আমার ছোট বাচ্চার কারণে তারাবির নামাজ বিশ রাকাত পড়তে পারি না তাই কিছু কম পড়লে চলবে কি?
উত্তর: জ্বী হ্যাঁ তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের কম পড়লেও চলবে।
প্রশ্ন-৮. “হে আল্লাহ আমাকে শহীদের মর্যাদা দান কর†এভাবে দোয়া করা যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, শহীদের মর্যাদা চেয়ে দোয়া করা যাবে।
প্রশ্ন-৯. শীতকালে রাত্রিতে স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করে কোমর পর্যন্ত ধুয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর: এ অবস্থায় পানি গরম করে গোসল করে নিতে হবে। আর যদি পানি ব্যবহার করলে কোন তির সম্ভাবনা থাকে তাহলে কেবল নির্দিষ্ট নাপাকি স্থান পরিষ্কার করে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে হবে। কোমর পর্যন্ত ধোয়ার প্রয়োজন হবে না।
প্রশ্ন-১০. আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টির আগে রাসূল (সঃ)কে সৃষ্টি করে রেখেছিলেন এ ধরনের কথা কি কুরআন হাদীসে আছে?
উত্তর: জ্বি না, এ ধরনের কথা কুরআনে তো নেই-ই কোন হাদীসেও নেই।
প্রশ্ন-১১. হযরত আদম (আঃ) নাকি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অসীলায় নিজের গোনাহ মাফ চেয়ে মাফ পেয়েছিলেন কথাটি কি সঠিক?
উত্তর: এ ধরনের কোন কথা কুরআন হাদীসে নেই বরং এ ধরনের কথা বলাও গোনাহের কাজ।
সাকিলা নাজনীন, দিনাজপুর
প্রশ্ন-১২. সেন্ট ব্যবহারে কি নামাজ হবে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, সেন্ট ব্যবহারে নামাজ হবে।
প্রশ্ন-১৩. মেয়েদের মাসিকের সময় পেশাব পায়খানার পরে শুধু পানি দিয়ে হাত ধুলে চলবে নাকি অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
উত্তর: শুধু পানি দিয়ে ধুয়ার পর যদি কোন নাপাকি না থাকে তাহলে সাবান দেয়ার প্রয়োজন নেই। সাবান দিয়েই ধুতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। পবিত্রতা অর্জন করতে হবে এটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।
প্রশ্ন-১৪. মাসিক চলাকালীন সময়ে আমার সাথে একই বিছানায় কেউ থাকলে সকালে কি তার কাপড়ও ধুয়ে ফেলতে হবে?
উত্তর: আপনার সাথে যিনি শুবেন তার কাপড়ে যদি কোন নাপাকি না লাগে তাহলে তার কাপড় ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন-১৫. পায়ে কি মেহেদী লাগানো এবং স্বর্ণ পরা যাবে?
উত্তর: পায়ে মেহেদী লাগানো যাবে এবং মহিলারা পায়ে স্বর্ণও পরতে পারবে।
প্রশ্ন-১৬. সহবাসের পরে ওজু করে শুয়ে পড়ি ফজরের সময় গোসল করে নামাজ পড়ি এটা কি ঠিক আছে?
উত্তর: আপনি যেভাবে করছেন সেটিও করা যেতে পারে তবে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে ফেলাটাই উত্তম।
প্রশ্ন-১৭. আমার মেয়ের নামে যদি কিছু স্বর্ণ রেখে দেই তাহলে কি আমার ও মেয়ের স্বর্ণ মিলে যাকাত দিতে হবে নাকি শুধু আমার স্বর্ণগুলোর যাকাত দিতে হবে। মেয়ের বয়স ১০ বছর।
উত্তর: মেয়ের নামে রাখা স্বর্ণের যাকাত আদায় করতে হবে না।
প্রশ্ন-১৮. আমি এশার নামাজের সাথে বেতের নামাজ পড়ে নেই এই ভেবে যদি তাহাজ্জুদে উঠতে না পারি। এভাবে কি পড়া যাবে?
উত্তর: এশার নামাজের সাথেই বেতের নামাজ পড়া উত্তম।
প্রশ্ন-১৯. সব সময় কুরআন শরীফ অর্থসহ পড়তে হবে কি?
উত্তর: কুরআন পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআন জানা। অর্থ না পড়লে সেটি জানা সম্ভব নয়। তাই কুরআন শরীফ অর্থসহই পড়া উচিত।
২০. বেতের নামাজ ১ রাকাতও নাকি পড়া যায়? আমি ৩ রাকাত পড়ছি, এটা কি ঠিক আছে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, আপনি বেতের নামাজ ৩ রাকাতই পড়ে যান এতে কোন অসুবিধা নেই।
প্রশ্ন-২১. আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকিনা ২০০ মাইল দূরে থাকি। বছরে একবার ১৫ দিনের জন্য বাড়ি যাই কিন্তু ১৫ দিনের আগেই চলে আসি। এ অবস্থায় রাস্তায় ও বাড়িতে গিয়ে কসর নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর: দূরত্ব ৪৮ মাইলের বেশি হলে রাস্তার মধ্যে কসর পড়বেন। বছরের অধিকাংশ সময় আপনি গ্রামে না থাকলেও আপনি নিজ গ্রামে কসর করতে পারবেন না। এটাই আলেমদের বিশ্বস্ত মত।
প্রশ্ন-২২. দুই বছর বা আড়াই বছরের বেশি বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো যাবে কি?
উত্তর: ছেলে বা মেয়ে যে কোন বাচ্চাকেই আড়াই বছরের বেশি দুধ পান করানো কোনভাবেই ঠিক নয়।
প্রশ্ন-২৩. ছাত্রীজীবনে রোযা রেখেছি আবার ছেড়েছি। তখন বুঝতে পারিনি, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আর রোযা ছাড়িনি। ছাত্রীজীবনের ঐ রোযার জন্য যদি তওবা করি এবং ভবিষ্যতে আর রোযা না ছাড়ি তাহলে মা পাব কি? নাকি আরও কিছু করণীয় আছে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ এটিই সঠিক নিয়ম। আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে মা চাইতে হবে ভবিষ্যতে আর বিনা ওজরে রোযা না ভাঙ্গার ওয়াদা করতে হবে এবং সুযোগ পেলেই নফল রোযা আদায় করতে হবে। যেমন সোমবার, বৃহস্পতিবার নফল রোযা রাখা যেতে পারে।
প্রশ্ন-২৪. আমার স্বামী সৎ। পুলিশে চাকুরী করেন সাধারণভাবে চলতে হয়। শরীরের অবস্থাও বেশি ভালো নয়। আর বাচ্চা নিতে চাই না। এমতাবস্থায় সন্তান না নিলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর: আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার যদি মনে করেন তাহলে আপনি সন্তান ধারণ থেকে বিরত থাকতে পারেন। স্বাস্থ্যের বা জীবনের তির আশংকা থাকলে আপনি এটি করতে পারেন। তবে শুধু দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান ধারণ থেকে বিরত থাকা সঙ্গত নয়।
প্রশ্ন-২৫. নামাজের সালাম ফিরানোর সময় “ছালামুন কওলাম মির রব্বির রহীম†বলা যাবে কি?
উত্তর: ছালাম ফিরানোর সময় “আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ†বলতে হবে। অন্য কিছু বলার কোন নিয়ম নেই।
প্রশ্ন-২৬. পরশমণির দোয়া কতটুকু কুরআন হাদীস সম্মত?
উত্তর: পরশমণির দোয়া বলতে কুরআন হাদীসে কোন দোয়া আছে বলে আমাদের জানা নেই। ইমাম গাজ্জালী রচিত- কিমিয়ায়ে সাআদাত বা পরশমনির সকল দোয়া কুরআন হাদীস সম্মত নয়।
প্রশ্ন-২৭. আহাদ নামা এবং গঞ্জায়েসের দোয়া কতটুকু গ্রহণযোগ্য?
উত্তর: এ ধরনের কোন দোয়ার কথা কোথাও নেই। বাজারে এ সবজিনিস পাওয়া গেলেও তা কুরআন হাদীস সম্মত নয়।
প্রশ্ন-২৮. হিন্দু গৃহপরিচারিকা রাখা যাবে কি?
উত্তর: অমুসলিম কাউকে পারিশ্রমিক দিয়ে কাজে রাখাটা নাজায়েজ কিছু নয়।
প্রশ্ন-২৯. মহিলাদের মুখমণ্ডল ছতরের অংশ কি?
উত্তর: এ বিষয়ে আলেমদের দুটো মত রয়েছে। মহিলাদের মুখমণ্ডল ছতরের অংশ নয় বলে শায়খ আলবানী রহ.সহ আরো অনেক আলেম উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন-৩০. বাঁশ দিয়ে কবরের বেড়া দেয়ার পরে তা ভেঙ্গেচুরে গেলে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, ঐ বেড়া জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
প্রশ্ন-৩১. নিজের ছবি ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখা যাবে কি? নামাজের সময় ঐ ছবি কি ড্রয়ারে রাখতে হবে?
উত্তর: আসলে এত ঝামেলার কি কোন প্রয়োজন আছে? ছবি কেনই বা বাঁধাই করে রাখবেন এর কি আদৌ কোন প্রয়োজন আছে? এই কালচারটি এড়িয়ে চলতে পারলেই উত্তম।
প্রশ্ন-৩২. আমাদের শহরে দু'টি মসজিদ আছে। একটি এরাবিয়ানদের অন্যটি বাঙালিদের। যে কোনটিতেই নামাজ আদায় করা যাবে কি?
উত্তর: যে কোন মসজিদেই নামাজ পড়া যেতে পারে সব মসজিদেই নামাজ হবে। নিয়তের মধ্যে কোন হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করা উচিত নয়।
প্রশ্ন-৩৩. আমেরিকাতে আমরা যেখানে বসবাস করি সেখানে কিছু লোক একদিন ঈদের নামাজ পড়ে কিছু লোক অন্যদিন নামাজ আদায় করে। আমরা কোন দিন ঈদের নামাজ পড়ব?
উত্তর: আপনি যে এলাকায় থাকছেন সেই এলাকার অধিকাংশ লোক যেদিন ঈদের নামাজ আদায় করেন আপনিও ঐ দিনই ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। এটাই সমাধান।
প্রশ্ন-৩৪. সৎ মাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ সৎ মাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে।
প্রশ্ন-৩৫. কোন অমুসলিমকে নিজের গ্লাসে পানি খেতে দেয়া যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, কোন অমুসলিম আপনার গ্লাসে পানি খেলে সেটা দোষের কিছু নয়।
প্রশ্ন-৩৬. আমার অসচ্ছল বোনের মেয়ের বিয়ের জন্য প্রতি বছর যাকাতের টাকার একটা অংশ জমা করে রাখি, এটা কি বৈধ?
উত্তর: এভাবে যাকাতের টাকা নিজের কাছে রাখলে সেটা যাকাত আদায় হয়েছে বলে গণ্য হবে না। ঐ টাকা যখন দিয়ে দিবেন তখনই কেবল আদায় হবে। এই পন্থা আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এটা করা উচিত নয়। তবে আপনি আলাদা করে যাকাতের জন্য নির্দিষ্ট একাউন্ট বা ফান্ডে জমা রাখতে পারেন।
প্রশ্ন-৩৭. পানির অপচয় রোধে মগের ভিতরে হাত দিয়ে পানি উঠিয়ে অযু করলে অযু হবে কি? হাত ঢুকিয়ে পানি নিলে পানি অপবিত্র হবে কি?
উত্তর: প্রথমে হাতটা একটু ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে অযু করলে অযুও হবে পানিও নাপাক হবে না।
প্রশ্ন-৩৮. আজানের সময় কথা বলা কোন্ ধরনের অপরাধ?
উত্তর: আযানের সময় সেদিকে মনোযোগ দিতে এবং মুয়াজ্জিন যা বলে তার উত্তর দিতে রাসূল (সঃ) নির্দেশ দিয়েছেন। আযানের উত্তর না দিয়ে কথা বলার মধ্যে রাসূল (সাঃ) নির্দেশ লংঘিত হয়।
প্রশ্ন-৩৯. আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। আমি হজ্ব করতে চাই। হজ্ব কাফেলার লোকেরা লোকেরা বলেছে কোন অসুবিধা হবে না মাহরাম ছাড়াও যেতে পারবেন। আমার করণীয় কি? কোন মাহরাম নেই।
উত্তর: আপনার এভাবে হজ্বে যাবার প্রয়োজন নেই। হজ্ব কাফেলা হয়তো কোন মিথ্যা মাহরাম বানিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে। এভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হজ্বে যাবার কোন যুক্তি নেই। সঙ্গী না থাকলে আল্লাহ আপনাকে দায়ী করবেন না। আপনি বরং আগে হজ্ব করেছে এমন কাউকে দিয়ে আপনার বদলী হজ্ব করিয়ে দিতে পারেন।
প্রশ্ন-৪০. আমার বৃদ্ধ মা অসুস্থতার কারণে রোযা রাখতে পারেন না তার জন্য করণীয় কি?
উত্তর: আপনার মায়ের যদি সুস্থ হবার সম্ভাবনা না থাকে তবে তার জন্য ফিদিয়া দিতে হবে। ফিদিয়া হলো ১ রোযার জন্য ১ জন মিসকীনকে ২ বেলা খাওয়াতে হবে।
প্রশ্ন-৪১. টাখনুর নীচে কাপড় না পরলে সমাজে চলতে গেলে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যদি অহংকার প্রকাশ না করা ছাড়া টাখনুর নীচে কাপড় পরি তাহলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর: টাখনুর নীচে কাপড় পরার পরে যদি কারও অহংকার প্রকাশ না পায় তাহলে তার কোন গুনাহ হবে না বলে অনেক আলেম মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এটি তো একটি নিয়ম হতে পারে না। কারণ অহংকার হলো কি হলো না সেটা মাপার কোন যন্ত্র নেই। তাই টাখনুর উপরেই কাপড় পরা উচিত। এতে করে সমাজে কারও মূল্য কখনই কমে যাবে না বলে আশা করা যায়।
প্রশ্ন-৪২. বাজনা সহকারে গান শুনলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর: যদি মৃদু বাজনা হয় এবং গানের কথা শালীন হয় তাহলে গুনাহ হবে না। এমনটিই আলেমদের কারো কারো অভিমত।
প্রশ্ন-৪৩. টিভির উপরে কুরআন শরীফ রাখলে গুনাহ হবে কি?
উত্তর: জ্বি না, এতে কোন গুনাহ হবে না।
প্রশ্ন-৪৪. “রাব্বি যিদনী ইলমা†এই দোয়াটি কি সব সময় পড়া যায় নাকি কোন নিয়ম কানুন আছে?
উত্তর: দোয়াটি সব সময় পড়তে পারেন। কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই।
প্রশ্ন-৪৫. একজন ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। কিন্তু সুদ, ঘুষ সবই খান, চরিত্রও খারাপ এতে কি তার নামাজ হবে?
উত্তর: নামাজের নিয়ম কানুন সঠিকভাবে পালন করে নামাজ পড়লে তার নামাজ হবে। আর কোন গুনাহের কাজ করলে তার গুনাহ হবে। এটি তো সকলের জীবনেই আছে। এমন কোন মানুষ কি খুঁজে পাওয়া যাবে যিনি কোন গুনাহের কাজ করেন না। শুধুই সওয়াবের কাজ করেন? ওভাবে না দেখে বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে যে যিনি নামাজ পড়েন তিনি যেন অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাক