তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রার পাশাপাশি দিন দিন সাইবার অপরাধের পরিমাণ বাড়ছে। দেশে পর্যাপ্ত তদারকি না থাকায় গত কয়েক বছরে সাইবার অপরাধের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ইন্টারনেট এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নানা অপরাধ ঘটছে। তবে সাইবার অপরাধ কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। সম্প্র্রতি প্রতিষ্ঠানটি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম [বিডি-সিএসআইআরটি] নামে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে। সাইবার ক্রাইমের মতো কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে তারা তদারকি করবে। এ ছাড়া যে কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট অভিযোগ বা পরামর্শ পাঠাতে পারবেন।
১১ সদস্যের এই দলে বিটিআরসির পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকেও রাখা হয়েছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ জানান, বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং সাইবার ক্যাফের প্রতিনিধিদের নিয়ে দলটি গঠন করা হয়েছে। দলটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ বা সমাজের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ড হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে। বাংলাদেশে পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী এবং র্যাবের মতো সংস্থারও আলাদা সাইবার ক্রাইম ইউনিট রয়েছে। সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্ত এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ইউনিটগুলো কাজ করে থাকে।
তবে বিটিআরসি থেকে বলা হচ্ছে, নতুন গঠিত দলটি সার্বক্ষণিক সমাজ এবং রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করবে। বিশেষ এ দলের ওয়েবসাইটটির ঠিকানা
http://csirt.gov.bd. এখান থেকে সাইবার অপরাধের বিভিন্ন ধরন, তার শাস্তি, সচেতনতামূলক প্রকাশনা, বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ করার নিয়ম জানা যাবে। সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে এখানে। সাইবার ক্রাইম ঘটছে_ এ বিষয়ে কারও জানা থাকলে contact@csirt.gov.bd ই-মেইলে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের পরামর্শও দিতে পারবেন যে কেউ। সাইটটির Contact Us ক্যাটাগরি থেকে Feedback Form লিংকে ক্লিক করে সরাসরি অনলাইনে অভিযোগ বা পরামর্শ দেওয়া যাবে। এ ছাড়া অ্যাটাচমেন্ট আকারে ডকুমেন্ট যুক্ত করা যাবে এখান থেকে। অভিযোগের সময় নাম, পরিচয়, যোগাযোগের নম্বর নেওয়া হলেও প্রয়োজনে তা গোপন রাখা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেবে বিডি-সিএসআইআরটি। এ ছাড়া +৮৮০২৭১৬২২৭৭ [এক্সটেনশন ৪৪৪] নম্বরে ফোন করে অথবা +৮৮০২৯৫৫৬৬৭৭ নম্বরে ফ্যাক্স করে অভিযোগ জানানো যাবে।
তবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বলছেন, এই দলটি অপরাধ চিহ্নিত করবে কিন্তু কোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের থাকবে না। এ ক্ষেত্রে বিটিআরসি কাজ করবে। কোনো সাইবার অপরাধ চিহ্নিত করা হলে অপরাধীকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচারের আওতায় আনা হবে। আইন অনুযায়ী বর্তমানে সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীর নূ্যনতম ২ থেকে ৫ বছরের জেল ও ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে।
Source:Internet