প্রযুক্তি বিশ্বে একটি কথা আছে, যত ছোট তত ভালো, তা আইপ্যাড হোক আর ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে দ্রুত গতির হার্ডডিস্ক তৈরি-ই হোক, অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট গ্যাজেট এবং বর্ধিত প্রসেসিং ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারের চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে। তেমনই একটি কম্পিউটার এমকে ৮০২ অ্যানড্রয়েড ৪.০ মিনি পিসি সম্প্রতি চীনের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, ইউএসবি আকৃতির ডিভাইসগুলোর মধ্যে এটি একদম-ই নতুন।

৩.৫ ইঞ্চির প্লাস্টিকের এই অ্যানড্রয়েড পিসিটি অলউইনার এ-টেন সিঙ্গেল কোর ১.৫ গিগাহার্টজ আর্ম প্রসেসর, মালি ৪০০ গ্রাফিক্স প্রসেসর এবং ৫১২ মেগাবাইট র্যাম সমৃদ্ধ। এই অতি ক্ষুদ্র পিসির বিশেষত্ব কিন্তু এর প্রসেসিং ক্ষমতা নয়, এর দাম, মাত্র ৭৪ ডলার, অবিশ্বাস্য! ইউএসবি সাইজের মধ্যে এই অ্যানড্রয়েড পিসি-ই বাজারের সবচেয়ে সস্তা।
এফএক্সআই’র কটন ক্যান্ডি সম্প্রতি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম কম্পিউটার হিসেবে প্রযুক্তি বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। ইউএসবি ড্রাইভ মাপের এই কটন ক্যান্ডি আকারে ছোট কিন্তু দামে মোটেই সস্তা নয়, ১৯৯ ডলার। উল্লেখ্য, নরওয়ে’র এফএক্সআই টেকনোলজিস-ই প্রথম এই ধরনের ইউএসবি পিসির ডিজাইন ও নির্মাণের কথা ঘোষণা করে, কিন্তু মার্চ’২০১২ তে বাজারে আসার কথা থাকলেও পরে তা মে মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হয়। সেই তুলনায় এমকে৮০২ অ্যানড্রয়েড ৪.০ পিসির রিলিজ খুব দ্রুতই হয়েছে বলা যায় যদিও এর নির্মাণের বিষয়ে কোনও পূর্ব-ঘোষণা ছিল না।
উভয়টিতেই একই জিপিইউ মালি ৪০০ থাকলেও কটন ক্যান্ডির রয়েছে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতির ডুয়েল কোর প্রসেসর, দ্বিগুণ র্যাম এবং টেলিভিশন বা মনিটরের সাথে সংযোগের জন্য এতে কোনও এইচডিএমআই ক্যাবল প্রয়োজন হবে না।
প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হওয়া সত্ত্বেও কটন ক্যান্ডির তুলনায় অ্যানড্রয়েড পিসির মূল্য প্রায় তিন গুণ কম। বাজারে এ ধরনের অতি ক্ষুদ্র এবং ক্রেডিট কার্ড মাপের কম্পিউটারের প্রচলনের মাধ্যমে সর্বনিম্ন মূল্য ক্ষুদ্রতম ডিভাইস তৈরির প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই প্রসেসর এবং র্যাম দিয়ে কি আপনার চলবে?

হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে