সাকিব আল-হাসান এর জন্ম ২৪ মার্চ, ১৯৮৭ সালে এর ফুটবল পাগল পরিবারে। স্বভাবতই খেলাধুলা শুরু করেছিলেন ফুটবল দিয়ে। তারপরও কোন এক অজানা কারণে ক্রিকেটের প্রতি তার ছিল অন্যরকম টান। গ্রাম-গ্রামান্তরে ক্রিকেট ম্যাচে তাঁকে খেলার জন্য ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হত। বাংলাদেশের এই রত্ন পৃথিবীর বুকেও জনপ্রিয়। টেস্ট ও ওয়ান ডে দুই ধরণের খেলাতেই বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি খেলায়ও শীর্ষ ১০ এ উঠে এসেছে তার নাম।
* স্বভাবজান প্রতিভার অধিকারী সাকিব মাত্র ১৫ বছর বয়সেই সাকিব অনূর্দ্ধ-১৯ দলে খেলার সুযোগ পান।
* ২০০৫ সালে অনূর্দ্ধ-১৯ ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে (অপর দুটি দেশ ছিল ইংল্যান্ড ওশ্রীলঙ্কা) মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে ও তিনটি উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে সহায়তা করেন তিনি।
* ২০০৫ থেকে '০৬ সালের মধ্যে সাকিব অনূর্দ্ধ-১৯ দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৫.১৮ গড়ে তিনি মোট ৫৬৩ রান সংগ্রহ করেন এবং ২০.১৮ গড়ে নেন মোট ২২টি উইকেট।
* ২২ জানুয়ারী, ২০০৯ সাকিব আইসিসি'র ওডিআই অলরাঊন্ডার র্যাঙ্কিং এ ১ নম্বরে উঠে আসেন।
* ২০১১ সালে আইপিএল এর নিলামে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় বলিউডের কিং খান শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
* ২০১২ সালে তার অসাধারণ পারফরমেন্সের হাত ধরেই বাংলাদেশে পৌঁছে যায় এশিয়া কাপ ফাইনালে। শিরোপা জিততে না পারলেও বাংলাদেশ দল জিতে নেয় সারা বিশ্বের শত-সহস্র ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়।
*২০১২ সালের আইপিএল এর আসরে সেরা অল্রাউন্ডার হয়ে সারা বিস্বকে শোনালেন বাঘের গর্জন।
আমাদের বিশ্বসেরা দল হয়ে ওঠার অলীক স্বপ্ন ক্রমেই বাস্তব হয়ে উঠছে। দেশবাসী আশায় বুক বেধে রয়েছে, একদিন এই সাকিবের হাত ধরেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!
মাত্র ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার সাকিব-আল-হাসানের ক্রিকেটকে দেয়ার আছে আরো অনেক। তবে এই বয়সেই তিনি পুরোদুস্তর সফল একজন খেলোয়াড়!