ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (CERN: সার্ন)-এর বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি নতুন একটি মৌল কণার সন্ধান পেয়েছেন। লার্জ হাড্রন কোলাইডারে বিপরীত মুখী পরমাণুর সংঘর্ষ ঘটানোর পর এ মৌল কণাটির সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা।সার্ন পরিচালিত লার্জ হাড্রন কোলাইডারের প্রধান ডিটেক্টর দু’টির একটি ‘মুয়ন সলিনয়েড’-এ কণাটি খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। পুরো পরীক্ষার মূল দায়িত্বে থাকা পদার্থবিজ্ঞানী জো ইনকানডেলা জানান, ‘এই চতুর্থ কণাটির অস্তিত্বের কথা অনেক আগেই বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা, তাই এর আবিষ্কার বিস্ময়কর নয় বরং প্রত্যাশিতই ছিল।’
নিউট্রন, প্রোটন এবং ইলেকট্রনের পর Xi(b)-কে বলা হচ্ছে চতুর্থ সাব অ্যাটমিক পার্টিকল। এটিকে ‘বিউটি ব্যারিয়ন’ও বলা হচ্ছে, কারণ প্রোটন বা নিউট্রনের মতো দীর্ঘস্থায়ী নয় কণাটি। সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের জন্য দেখা পাওয়া যায় এর। তারপর অন্যান্য সাব অ্যাটমিক পার্টিকলের সঙ্গে মিশে যায় এটি।
নতুন এই মৌল কণাটি সার্ন-এর লার্জ হাড্রন কোলাইডার ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, এটি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় অতি উচ্চমাত্রার শক্তির, যা কিনা সার্ন-এর লার্জ হাইড্রন কোলাইডরেই পাওয়া সম্ভব।
পদার্থবিজ্ঞানী প্যাটরিক লুকেন্স এ ব্যাপারে বলেন, ‘এই মৌল কণাটির আবিষ্কার এটাই প্রমাণ করে, বস্তুর গঠন নিয়ে গবেষণায় পর্দাথবিজ্ঞানীদের ধারণাই ঠিক।’
তবে লুকেন্স এটাও বলেন যে, ‘হিগস-বোসন’ পার্টিকলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই কণাটির।
উল্লেখ্য, পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে জনপ্রিয় থিওরি কোয়ান্টাম ডায়নামিক্স-এ বলা হয়েছে ‘হিগস-বোসন পার্টিকল’-এর কথা। কোয়ান্টাম ডায়নামিক্স অনুযায়ী ‘হিগস-বোসন পার্টিকল’ হচ্ছে সেই মৌল কণা যা কিনা সমাধান করবে পুরো বিশ্বের বস্তুর গঠন রহস্যের। ‘হিগস-বোসন পার্টিকল’-এর অস্তিত্বের প্রমাণ এখনও পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে এখন নতুন কণাটির আবিষ্কার এতোদিন ধরে সোনার হরিণ হয়ে থাকা ‘হিগস বোসন’ পার্টিকলের খোঁজে বিজ্ঞানীদের আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন তারা।